আওয়ামী-লীগ
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো উপায় নেই। কাজেই যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেনা। এবারের নির্বাচন জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।’
সোমবার ( ২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় মোমেন বলেন, বিপুল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্য প্রক্সিযুদ্ধের কারণে ধ্বংসের মুখে। তাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্যও শেখ হাসিনা সরকারের দরকার আছে। আমরা এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই।
সাংবাদিকরা সামজের দর্পন ও বিবেক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ধীরগতির কারণ অনুসন্ধান করে প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বর্জন করছে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীর অভাব রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেইসঙ্গে হাওরাঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপযোগিতা, ইপিজেড অঞ্চলে স্থানীয়দের বিনিয়োগে ও স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গেুলো তুলে ধরারও আহ্বান জানান।
সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ সম্পাদক রবিকিরণ সিংহ রাজেশের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহসভাপতি আশফাক আহমদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক জনকণ্ঠের ব্যুরো চিফ সালাম মশরুর, সাবেক সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো চিফ সংগ্রাম সিংহ, দৈনিক যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্মা প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৩৩ দিন আগে
নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে আমাদের দেশে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম নিয়ে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহিলা সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোনো দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের তিনটি দাবি ছিল নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে সরকারিকরণ ও ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আপনাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
৭৩৩ দিন আগে
‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি’
বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি। অনেকেই এসেছেন কিন্তু বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুস্থ ও সুষ্ঠু করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মনে করেছিল তারা না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না, ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোটায় যাবে। এরকম দুঃস্বপ্ন নিয়ে তারা আন্দোলন করে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, ‘এখন তারা সরকার কীভাবে ব্যর্থ হবে, ভোটার টার্নওভার কীভাবে কম হবে এবং নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে না বলে নানান গল্প বলে যাচ্ছে।’
দলীয় এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আমরা খুব ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে চান। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে। সে ব্যাপারে পোলিং এজেন্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
ইউক্রেন, সুদান ও মাধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে আমরাও সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশগুলোর কিন্তু দায় পড়ছে আমাদের উপর, শাস্তি পাচ্ছি আমরা। দেশে আমাদের গরিবেরা সাফার করছে, প্রান্তিক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্রের যে ঊর্ধ্বগতি সেটা নিয়েও মানুষের দুঃখ-কষ্টের আবহ তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে, ডলারের সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহনে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে।’
তারেক রহমানের সমালোচনা করে কাদের বলেন,’ তিনি এখন রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিটাকে ধ্বংস করছেন। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। তার বাবা জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
৭৩৪ দিন আগে
সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে 'নৌকায়' ভোট দেওয়ার জন্য সকল ভোটারদের অনুরোধ করেছেন, যাতে তার দল আবারও তাদের সেবা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে একেবারে সকালবেলা যারা ভোটার তাদের সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দেবেন।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নৌকা হচ্ছে হযরত নূহ (আ.) এর মহাপ্লাবনের সময় মানবজাতিকে রক্ষা করা নৌকার প্রতীক।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘এই নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে এবং আপনাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।’
শ্রোতারা হাত তুলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের জন্য স্লোগান দেওয়ার সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নৌকায় ভোট দেবেন? ওয়াদা করেন, আপনাদের হাত উপরে তোলেন।’
তিনি রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরীকে (ডিউক) পরিচয় করিয়ে দেন এবং সবাইকে তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।
গত ১৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩টি নির্বাচনে জনগণ তার দলকে ভোট দিয়েছে বলেই সরকারের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কিছু উন্নয়ন কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে দেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ মুক্ত করা এবং দারিদ্র্য পুরোপুরি নির্মূল করা।
তিনি বলেন, ‘সব মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর দেশে কাউকে অবহেলা করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই। নৌকা প্রতীক ক্ষমতায় থাকলেই এ দেশের উন্নয়ন হবে।’
তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক)।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
৭৩৪ দিন আগে
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দিনব্যাপী সফরকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি দুপুরে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা এবং মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে অবস্থিত তার বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং তার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন।
পীরগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যান এবং এরপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
২০ ডিসেম্বর সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রা.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এছাড়া, ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার জেলা স্টেডিয়াম ও রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
৭৩৪ দিন আগে
দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আ. লীগ সরকারকে পছন্দ করে: বাগেরহাট-২ আসনের প্রার্থী শেখ তন্ময়
বাগেরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তন্ময় বলেছেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কারণে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারও সরকারে দেখতে চায়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাদের নেতা নেই। দল নেই। সামাথ্য নেই। শক্ত করে দাঁড়ানোর জন্য শক্তিটুকুও নেই। বিএনপি কাঠের নড়বড়ে পুলের মতো। বিএনপির এবার বিদায নেওয়ার পাল্লা। ওরা মাটির নিচে মিশে গেছে। আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশার শেষ নেই নতুন ভোটারদের
শেখ তন্ময় বলেন, ‘দেশবাসীর সমর্থন ছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে শুধুমাত্র বিদেশি শক্তির ভরসায় কেউ রাজনীতি করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিএনপি ও তার স্বাধীনতাবিরোধী বন্ধুরা গত কয়েক বছর ধরে গণঅভ্যুত্থানের নামে দেশবাসীর সঙ্গে প্রহসন করেছে।’
শেখ তন্ময় উপস্থিত জনসাধারণের প্রতি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা ‘ভোট হয় না’ বা ‘ভোট দিতে পারি না’ বলবে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। তারা তাদের ইচ্ছা মতো ভোট দেবে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছেন শহরের সুবিধা
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৩ জন এবং বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট ভোটার সংখ্য ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮ জন। ৭ জানুয়ারি মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
৭৩৪ দিন আগে
রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর -পুঠিয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস জারি করেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন অফিস থেকে দারা ও তার সমর্থককে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বানেশ্বর ট্রাফিক মোড়ে সড়ক বিভাজনের উপর বড় ছবি দেখতে পান অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা।
এ ছবিটি নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাঙ্গানো হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার মধ্যে এই ঘটনার লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তা না করলে দারার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
রাজশাহী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
৭৩৪ দিন আগে
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিপোর্টকে নির্জলা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সিপিডির সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।'
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রীর নিজ জেলা চট্টগ্রামে বন্দরনগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে সিপিডির দেওয়া তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে যদিওবা গবেষণার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে গবেষণা করতে অনেক সময় লাগে, অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে। কিন্তু সিপিডি এই রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনেক লুকোচুরি করেছে এবং অনেক ভুল ও অসত্য তথ্য তারা পরিবেশন করেছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'যেমন সিপিডি বলেছে আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে বিদেশনির্ভর। অথচ আসলে আমাদের চলতি বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে সাহায্যনির্ভর কিংবা বিদেশনির্ভর। এক সময় এটি ২০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কারণে এটি ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ সিপিডি বলেছে এটি ৭৫ শতাংশ।'
ড. হাছান বলেন, 'সিপিডি বলেছে বেসিক ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি দুই হাজার কোটি টাকার জন্য মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান, আদায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সিপিডি আরও বলেছে নাবিল গ্রুপ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণ যেসব আদায় হয়েছে, সে তথ্য সিপিডির রিপোর্টে জানানো হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলোকে লুকানো হয়েছে। সিপিডি চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপের কথা বলেছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চেক করেছি। সেই গ্রুপের কোনো লোনই ক্লাসিফায়েড নয়। অর্থাৎ সিপিডি অসত্য তথ্য দিয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'একইসঙ্গে সিপিডি বলেছে, ক্লাসিফায়েড লোনের আকার বেড়েছে। কিন্তু তারা শুধু আকারের কথা বলেছে, পারসেন্টেজের কথা বলে নাই। কারণ, ক্লাসিফায়েড লোনের হার কমেছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি হচ্ছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার। জিডিপি ৬ গুণ বৃদ্ধি পেলে তো ক্লাসিফায়েড বা ব্যাড লোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পারসেন্টেজ কত, সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। ২০০৯ সালে ক্লাসিফায়েড লোন ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কমেছে।'
সিপিডির কেউ কেউ তো ২০০৭-২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তখন ব্যাড লোন ১০ শতাংশের উপরে ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এইভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি যে তিনদিন কর্মসূচি দিয়েছে, জনগণও তা জানে না, কেউ খেয়ালও করে নাই। হয়তো বা সাংবাদিকরা খবরা-খবর রাখেন বলেই খেয়াল করেছেন। তারা কোন দিন হরতাল দেয়, কোন দিন অবরোধ দেয়, কেউ কিন্তু খেয়াল করে না। বাংলাদেশের মানুষও খেয়াল করে নাই, কাকপক্ষীও খেয়াল করেছে কি না আমি জানি না। সুতারং এগুলো গতানুগতিক কর্মসূচি ও হাস্যকর।'
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
৭৩৪ দিন আগে
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনার সরকারের প্রয়োজন আছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অপতৎপরতা চলছে। একটি মহল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে এ অঞ্চলে প্রক্সি যুদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা থাকলে এটা হবেনা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ইউরোপের সব দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারা ইউরোপ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কাজেই আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। এজন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে তরুণ, শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ, সাবধান থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইমাদুর হোসেইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
সোমবার সকালে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
এরপর তিনি সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াসড়কের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আমাদের সবার। তাই সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বড়দিন উদযাপনের আনন্দ মানুষের মধ্যে যেন সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে; মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রচার করেছেন, তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোনো ধর্মই এ বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। দেশের সকল মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একাত্ম হবে-এ আশা বড়দিনে।
এ সময় প্রেসবিটারিয়ান চার্চের পাস্টার ফিলিপ বিশ্বাস ও ডিকন নিঝুম সাংমা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড়দিনে সমাগত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সহসভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিসিক কাউন্সিলর আব্দুল মোহিত জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
৭৩৪ দিন আগে
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) সহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে, এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী সংঘাতে জড়ালেই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, “সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও অব্যাহত থাকবে।’’
কাদের বলেন, যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ হোক কিংবা স্বতন্ত্র যেই হোক, দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশা।
১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
৭৩৪ দিন আগে