বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি জাতির জন্য কলঙ্কজনক, কারণ এটি সারা বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেছে যে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) অস্থির হয়ে পড়েছে (মার্কিন ভিসা নীতিতে)। তারা বলার চেষ্টা করছে এটা তাদের সমস্যা নয়। তাহলে ভিসা নীতি কেন এলো... যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তা আমাদের জন্য শোভনীয় নয়। একটি জাতি হিসাবে।’
শনিবার এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, যারা রাজনীতিবিদ, আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচারক যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমেরিকা ভিসা নীতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এর মানে শুধু দেশের জনগণের কাছে নয়, সারা বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হওয়ায় এখনো তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরার চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার ও কারাগারে রেখে সরকার বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
পৃথক পৃথক দুর্নীতি মামলায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
আমাদের আন্দোলন দ্রুত চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার উৎখাত করতে বিএনপির চলমান আন্দোলন দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে কাজ করায় তাদের আন্দোলন ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তা দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন রাস্তায় তাদের জীবন দিয়েছেন, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং অনেককে গুম ও হত্যার শিকার করা হয়েছে, কিন্তু মানুষ গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সকল গণতান্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হই।
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ সুগম করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে জনগণের টাকা লুটপাটে স্মার্ট হিসেবে বর্ণনা করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই একটি স্মার্ট বাজেট। বর্তমান সরকারের চেয়ে কোনো সরকারই লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে না। বাজেটের সুবিধা নিয়ে বর্তমানের চেয়ে স্মার্টভাবে ব্যাংক ও জনগণের টাকা কেউ লুট করতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু তার বনানীর বাসায় প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নতুন বাজেট সরকারকে জনগণের টাকা লুটপাটের বিভিন্ন সিন্ডিকেট চালাতেও সহায়তা করবে। ‘সুতরাং, নিঃসন্দেহে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি খুব স্মার্ট বাজেট।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের স্মার্ট বাজেটের জবাব দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার পৃষ্ঠপোষক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের নীতি নিয়ে জনগণের অর্থ লুট করার জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করেছে। এই অর্থনৈতিক মডেলের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মানে যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য বা সরকারের পৃষ্ঠপোষক; তারা এই বাজেট থেকে উপকৃত হবেন, সাধারণ মানুষ নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল কর চাওয়া, কমিশন ও চাঁদাবাজি নীতির ওপর ভিত্তি করে। ‘তারা (আ.লীগ নেতা) যে কোনো কাজে কর, চাঁদা ও কমিশন নেবে। এটি অর্থনীতি ও বাজেটের ভিত্তি এবং জনগণ এর প্রধান ভুক্তভোগী। সব প্রতিষ্ঠানই লুণ্ঠনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ‘পৃষ্ঠপোষক-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক ব্যবস্থা, কর আদায় নীতি এবং শোষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের সমগ্র অর্থনীতিকে চালিত করছে।’
খসরু বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন হলে সরকার সমর্থিত মহল আরও ধনী হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও দরিদ্র হবে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট লুণ্ঠনকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিএনপির আমলে স্থিতিশীল অবস্থানে থাকা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। ‘তাই মানুষ দরিদ্র হচ্ছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান হারাচ্ছে।’
তিনি বলেন, জনগণ যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন সরকার করের জাল বাড়িয়ে তাদের ওপর নতুন করে বোঝা চাপিয়েছে। ‘যারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ধনী হচ্ছেন তারা কর দেন না, কারণ তারা অবৈধভাবে তাদের অর্থ বিদেশে পাচার করে ও দেশে ডলার সংকট তৈরি করে। আর ডলারের ঘাটতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য ব্যাংক ও বাহ্যিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়ায় গত সাত বছরে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৫২ শতাংশ। এই ঋণ শোধ করতে হবে নতুন প্রজন্মকে।
খসরু বলেন, বাংলাদেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতি উদ্ধারে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। ‘রাজনৈতিক সমাধান মানে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি বলেন, বাজেট জনগণের চিন্তার প্রতিফলন এবং রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন। ‘একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় থাকায় জনগণের রাজনৈতিক চিন্তা বাজেটে প্রতিফলিত হবে না।’
বিএনপির জে্যষ্ঠ এই নেতা বলেন, এই বাজেট মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে সাহায্য করবে না, কারণ লুটপাট ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলগুলোর নেতাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে 'ভয়াবহ মাস্টারপ্ল্যান' নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে এবং বেঁচে থাকার কোন আশা থাকে না, তখন অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য কিছু একটা ধরে রাখার চেষ্টা করে। তাই, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাজা তাদের (সরকার) পরিকল্পনার অংশ যে বাংলাদেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া, রাজনীতিকে বিলুপ্ত করা। দেশ ও রাজনীতিবিদদের রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে একাই নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা পার করুন।’
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৫০টি মামলা নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মামলার আসামি বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা। তারা (সরকার) এখন এই ভয়ানক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার ভাবছে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার ও সাজা হলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেন যেহেতু তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় সনদ সংশোধন করে একতরফা খেলা এবং একা গোল করার সুযোগ তৈরি করেছেন। ‘তারা কোনো প্রতিপক্ষ ছাড়াই (নির্বাচনের নামে) খেলার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকবে। তারা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার শুনানি এবং দলের নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের পৃথক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ২০০৭ সালে তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় আসামিদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ করেই শুনানি শুরু হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এখন খুব দ্রুত প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে এবং রাত পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে দেশের বিচার বিভাগের কফিনে পেরেক ঠেকানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিষয়টি নিয়ে ঢাকার বিশেষ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলার চেষ্টা করলে ফখরুল বলেন, সেখানে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
‘তারা (বিএনপিপন্থী আইনজীবী) ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় যখন পুলিশ বেআইনিভাবে আদালতে ঢুকে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। তাহলে আমরা কিভাবে বলবো, এ দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সুযোগ আছে? আমরা কিভাবে বলবো যে বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার আছে, জনগণের ভোটের অধিকার আছে, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার আছে এই দেশে? তিনি প্রশ্ন করেন।
বিএনপি নেতা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলনকে কোনো কিছুই দমন করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে রেখে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণ জেগে উঠেছে এই শাসককে পরাজিত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়।‘আমরা সরকারকে বলতে চাই যে এখনও সময় আছে। সুতরাং, অশুভ খেলা পরিহার করে এবং জনগণকে প্রতারণা ও নির্যাতনের পথ থেকে সরে সরল পথে আসুন...দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
বিএনপি নেতা টুকু ও আমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, একই ধরনের মামলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না এটা এখন বাস্তবতা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তা গ্রহণ করা হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সত্য এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ কখনই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো স্থান নেই, এটি সারা বিশ্বে এখন স্বীকৃত।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণরূপে স্বৈরাচারী শাসকের হাতে, তাই গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এখানে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারা বিশ্বে যারা স্বাধীন সংবাদপত্র, গণতন্ত্র এবং ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, , তারা সবাই এক বাক্যে বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, কারণ ভিন্ন মতামত সহনশীল করার মানসিকতা সরকারের নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (সরকার) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং বাঁচার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে জনগণের চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য উত্তাল আন্দোলনই একমাত্র বিকল্প,কারণ এই সরকারের কোনো রকমের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এই রায় থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার বিচার বিভাগসহ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। তারা ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।’
টুকু,আমান ও সাবেরার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, এগুলো ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কোনোদিন স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ফখরুল।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, তাদের দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।
ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখার নতুন কিছু নেই, কারণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যা ঘটেছে তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, তারাও চান একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হোক, যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
বিভিন্ন অপপ্রচার ও সহিংসতা চালিয়ে সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও বিএনপি নেতা তার দলের সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) তাদের করা অগ্নিসংযোগের সহিংসতার পরে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। অতীতেও তারা একই কাজ করেছে। তাই সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। ‘আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
সংঘর্ষের মামলায় ৩ মাসের আগাম জামিন পেলেন নিপুন রায়
গত ২৬ মে কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা নিপুন রায় চৌধুরীকে তিন মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় বিএনপি নেতার জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের শুনানিকালে নিপুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
আগের দিন মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হন নিপুন রায়। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার এড়াতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে আসেন তিনি।
সংঘর্ষে কয়েক ডজন আহত হওয়ার একদিন পর গত ২৭ মে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুমন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ মোট ১০৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ
বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বহদ্দারহাট এলাকায়। তবে পাল্টা আক্রমণ কিংবা তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করেনি। রবিবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মহানগর বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল বের হয়। মিছিলটি বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছালে কোন ধরনের উস্কানি ছাড়াই মিছিলের পিছন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। তবে কোনো পুলিশ বা নেতাকর্মী আহত হয়নি।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ছাত্রদল নেতা খুন: বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খোকনসহ ৭০ জনের নামে মামলা
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম জানান, বিএনপির মিটিং থেকে হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির (মিডিয়া) দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জানান, পুলিশের ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। মূলত পত্রযাত্র নিয়ে বাকলিয়া থেকে বহদ্দার হাট পৌঁছলে সেখানে রোড ডিভাইডারের ওপর দাড়িয়ে মহানগর বিএনপিরে সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর সমাপনী বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করতে গেলে পুলিশ বহদ্দারহাট কাশবন হোটেলের সামনে হুইসেল বাজিয়ে লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় দুই-একটি পাথর নিক্ষেপ হয়। তবে এতে কেউ আহত হয় নি, কোনো হামলার ঘটনাও ঘটেনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আমরা এই জনসভা থেকে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র বা জনগণের ভোটাধিকারে বাধা দিচ্ছে তারাই বর্তমান সরকার।’
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের জন্য ‘খুবই লজ্জাজনক’।
তিনি বলেন, সরকার তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিদেশিদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু দেশবাসীর পাশাপাশি বিদেশিরাও দেখেছে এর অধীনে অনুষ্ঠিত আগের দুটি নির্বাচনের কোনো মূল্য ছিল না।
‘তাদের (সরকার) পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলো বলছে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তারা বুঝতে পেরেছেন শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
আরও পড়ুম: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু