বিএনপি
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় খুশি বিএনপি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত রাতে (শনিবার রাতে) ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করা যায় ও একটি নির্বিঘ্ন বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অপশাসনে জড়িত ফ্যাসিবাদী দলের বিচার সহজ করতে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের পদক্ষেপকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী যদি এই সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া হতো—তাহলে সরকার চাপের মুখে পড়ে কাজ করার লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ত না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি মনে রাখবে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক কার্যক্রমের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাতের উল্লেখ করে তিনি বলে, সেসময় তারা তাকে আরেকটি চিঠি দেন, যাতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নোংরামি থেকে মুক্ত করতে পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে কমিটি গঠন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব এবং প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশ এবং আলোচনায় বারবার এই দাবি তুলেছি। এটি লক্ষণীয়, নীতিগতভাবে আমরা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছি। সেই অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বিএনপি আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঠিক আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল।’
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ গুম, খুন, কারাবরণ ও নিপীড়ন সহ্য করে নিজের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ফ্যাসিবাদ উৎখাতের লড়াই করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘সেই দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি অব্যাহতভাবে উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান জনরোষকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাই।’
শনিবার (১০ মে) রাতে এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড—সাইবারস্পেসসহ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বাংলাদেশের সীমান্তপথে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন চলছে, অথচ সরকার এ বিষয়ে একটি কথাও বলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ বিষয়ে সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার নীতিকেই অনুসরণ করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার—এসব সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোক ঢোকানো হচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। কোথায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি বলেন, ‘শুনেছি একজন খুব শক্তিশালী উপদেষ্টা রয়েছেন—খোদা বখস। তিনি নাকি স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সব কিছু দেখেন এবং খুবই ক্ষমতাবান। আবার শোনা যায়, তিনি বিএনপিকে পছন্দ করেন না। নিজের মতো করে সব গুছিয়ে রাখেন। তাহলে এত ক্ষমতাবান উপদেষ্টা থাকার পরও আজ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইনের মতো ঘটনা ঘটছে কেন?’
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। তারপরও পার্শ্ববর্তী দেশ কী সাহসে সীমান্ত দিয়ে জোর করে লোক ঢোকাচ্ছে? সরকার কেন এ নিয়ে নিশ্চুপ? শেখ হাসিনা যেমন সীমান্তে হত্যার সময় প্রতিবাদ করতেন না, বর্তমান সরকারও আজ নিরুত্তর।’
সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। বাংলাদেশের জনগণকে কি এত দুর্বল জাতি ভাবছেন? মুক্তিযুদ্ধের দেশ, যে জাতি ৩০ লাখ শহিদ আর দেড় হাজার শিশু-কিশোরের রক্ত দিয়েছে, সে জাতিকে উপেক্ষা করে সীমান্ত দিয়ে লোক ঢোকানো হবে আর সরকার কিছুই বলবে না?’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
রিজভীর অভিযোগ, ‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ।’
‘সরকার সংস্কারের কথা বলেছিল, জনগণ তা মেনে নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও সে বিষয়ে সরকার নীরব। কেন এই নিশ্চুপতা?’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত এবং বৌদ্ধ ফোরামের নেতা সুশীল বড়ুয়া, প্রার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
১ দিন আগে
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
এখনই সময় এসেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিদায় জানানোর বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না।’
শনিবার (১০ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের মহাসমাবেশে তিনি এমন কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদিকে আমরা এখানে সমাবেশ করছি, আরেক দিকে ঢাকায় সমাবেশ হচ্ছে নিউ মার্কেটে। দাবি একটাই—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশে তারা বাকশাল কায়েম করেছে।’
‘অথচ বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়েছিলেন তিনিই। আর গার্মেন্টস শিল্পের ভিতও তার হাতে গড়া। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা এনেছিলেন খালেদা জিয়া। আজ যারা বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বলেন, তারা যেন এই ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে না পারেন,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দলীয় নেতাকর্মীদের কেউ অন্যায় করলে পুলিশে দিতে বললেন মির্জা ফখরুল
তরুণদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তোমরা চাকরি চাও, ব্যবসা চাও, শান্তিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাও— এসব কিছুই তখনই সম্ভব, যখন দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র থাকবে। আজকের সমাবেশের আহ্বান, তরুণরা জেগে উঠো— ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও, অধিকার ছিনিয়ে আনো।’
‘এক-দুজন নয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অত্যাচারে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন। ১৫ বছর সে গোটা জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ২০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। এক হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষকে গুম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছয় বছর কারাগারে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছিল। আমাদের নেতা তারেক রহমান, যার দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে রয়েছে, তিনি এখনো দেশে ফিরতে পারেননি। এই অবস্থার অবসান হয়েছে শুধু আমাদের তরুণ ভাইদের জন্য।’
তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবেন না। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে— আজ সেটাই বাস্তব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রচেষ্টায় প্রলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ অভাবনীয় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামকে আমরা সবাই বিশেষ চোখে দেখি, কারণ আপনাদের এই শহর থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’
১ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় বাড়ছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ত্যাগসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্রমশ সংশয় তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ মে) খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ি এলাকার এক মিলনায়তনে ইস্টার রিইউনিয়ন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, 'আমরা যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ও পেশাজীবীদের মধ্যে সংশয় বৃদ্ধি দেখতে পাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের কাছে তার দল দায়বদ্ধ। তাই একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনিপি এখনও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে র্যাব সদস্যরা অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আমাদের সহকর্মী কোথায় আছেন, সে বিষয়ে আমরা এখনো কোনো তথ্য পাইনি। স্বৈরাচারী শাসনামলে শুধু সুমন নয়, ঢাকাসহ সারা দেশে অসংখ্য মানুষকে গুম, নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি ২০১৪ সালে স্বৈরাচারী শাসনামলে নিখোঁজদের পরিবারকে একত্রিত করে 'মায়ের ডাক' নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, 'এটা অত্যন্ত উদ্বেগ ও বিস্ময়ের বিষয় যে, পুলিশ প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায় সুমনের বোনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।’
তারেক বলেন, পুলিশ পরে দাবি করেছিল সুমন নিখোঁজের বিষয়টি তারা জানে না।
তিনি বলেন, ‘তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যাক, সুমনের ঘটনাটি সম্পর্কে তারা অবগত ছিলেন না। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসনামলে দায়িত্ব পালন করা একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভোরে বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়তে পেরেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বছরের ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন দাবি করছে, হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। ‘গতকাল থেকে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং প্রত্যেকেই প্রশ্ন করছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসলে কী জানে।’
একই সঙ্গে অভিযোগ উঠছে যে, সম্ভবত, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক ও তাদের সহযোগীদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে সময় নষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে স্বৈরাচারবিরোধী বা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে সূক্ষ্মভাবে বিভাজনের বীজ বপনের ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে। এসব বিষয় বারবার মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে।
২ দিন আগে
আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে নাকি, নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে—সে বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা—তা বিএনপির সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উপর।’
শুক্রবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্টার সেন্টারের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার বিএনপির নেই। ‘আমাদের মহাসচিব ইতোমধ্যেই বলেছেন, এটি জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচনে কে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না—তা জনগণই নির্ধারণ করবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি নেতা আরও প্রশ্ন তোলেন যে, আওয়ামী লীগ আসলেই গণতন্ত্র এবং নির্বাচন চায় কিনা। ‘আওয়ামী লীগকে এটি স্পষ্ট করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে, তবুও ১৫ বছর ধরে জনগণের উপর দমন-নিপীড়ন চালানো ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের একজন সদস্যও অনুশোচনা করেননি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা তাদের ভুল স্বীকার করেননি বা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি। ‘সুতরাং, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কিনা বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা—এই প্রশ্ন আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতি অতিক্রম করে জনগণের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে চাই।’
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ বলেছে, তারা স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং জনগণের উত্থাপিত দাবির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সরকার ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
৩ দিন আগে
ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এসময় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র সহযোগী পরিচালক জোনাথন স্টোনস্ট্রিট বৈঠকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি শামা ওবায়েদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড. আব্দুল মঈন খান আলোচনার ফলাফল বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, দুটি প্রধান বিষয়—বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচনের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের হতাশ সদস্যরা বিএনপিতে যোগ দিলে স্বাগত: রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, কার্টার সেন্টার আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। সম্ভাব্য সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, সেই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে সফলভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করেছে, যা আজ পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়নি।
ড. মঈন বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রয়োজনীয় দাবি করা অযৌক্তিক। এটি অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে ৯ মাস পার হয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই, মানুষ এটি নিয়ে কথা বলবে। বিএনপি এই বিষয়টি না তুললেও, জনগণ চুপ থাকবে না।’
তিনি বলেন, তাদের বৈঠকে নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং এই বিষয়ে বিএনপির প্রত্যাশা কী তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, যদি এই বছরের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—
তাহলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় দেরি হলে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৯ মাস আগের পরিস্থিতির চেয়ে ভালো নয়।’
স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. মঈন বলেন, ‘যদি কোনো কারণে দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়, তাহলে তা ১৮ কোটি মানুষের জন্য সুখকর হবে না...। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জন্য ততই ভালো হবে...। আমরা তাদের এটাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: বাবার কবর জিয়ারত জোবাইদার, মাকে নিলেন বাসায়
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান ও সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতির পার করে জনগণের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে চাই।
১৯৮২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রচার এবং মানবিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কাজ করে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকটি করেছে প্রতিনিধিদল।
৩ দিন আগে
আ. লীগের হতাশ সদস্যরা বিএনপিতে যোগ দিলে স্বাগত: রিজভী
দুই মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামী ১৫ মে থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। সদস্য সংগ্রহের এই পর্বে আওয়ামী লীগের হতাশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে দলটি। তবে শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে—কেবল তারাই যোগ দিতে পারবেন, যারা আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জমি দখল, অর্থ পাচার এবং লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সহযোগীদের দলে অনুপ্রবেশ রোধে তারা সতর্ক থাকবেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির সদস্য হতে পারেন কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, ‘ধরুন কেউ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, অথবা এমন ব্যক্তি ছিলেন—যারা একসময় আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলেন কিন্তু পরে তাদের দুঃশাসন, বর্বরতা, লুটপাট এবং অর্থ পাচারে হতাশ হয়ে পড়েন—যারা এই ধরনের কার্যকলাপকে সমর্থন করেননি এবং ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। কেন তাদের আমাদের দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে না?’
তিনি বলেন, তাদের দল মূলত নতুনদের লক্ষ্য করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সমাজে যাদের সুনাম এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যেমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার, এনজিও কর্মী, কৃষক ও শ্রমিক।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এক্ষেত্রে, আমাদের দলের সদস্য হওয়ার মানদণ্ড হলো ব্যক্তিটি আমাদের আদর্শে বিশ্বাস করে কিনা।’
তিনি বলেন, তাদের দল আশা করে যে, সমাজের সকল স্তরের মানুষ—যারা বিএনপিকে সমর্থন করেন, দলের প্রতি অনুগত এবং যারা জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও আদর্শকে সমর্থন করেন, তারা দলের সদস্য হতে আগ্রহী হবেন।
বিএনপি নেতা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা একটি পর্যালোচনা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবেন যাতে অবাঞ্ছিত উপাদানগুলো দলে অনুপ্রবেশ না করে।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, দলের সদস্য হতে আগ্রহীদের ২০ টাকায় একটি প্রাথমিক সদস্যপদ ফর্ম কিনতে হবে। অর্থ প্রদানের রশিদের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আবেদন ফর্মের সঙ্গে একটি হলফনামাও থাকবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক সদস্য হতে ইচ্ছুকদের এই আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
রিজভী বলেন, ‘পরবর্তীতে, এই ফর্মগুলো যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। অবশ্যই যাচাইকরণ করা হবে কারণ সন্ত্রাসবাদ, জমি দখল এবং অর্থ পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা বিভিন্ন উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে। আমরা সমাজ থেকে নতুন ব্যক্তিদের, যাদের সুনাম আছে এবং যারা তাদের সম্প্রদায়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তাদের উপর মনোযোগ দিয়ে এটি(অনুপ্রবেশ) দৃঢ়ভাবে এড়াবো।’
তিনি বলেন, ১৫ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত নবায়ন কর্মসূচির পাশাপাশি দল প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাইলেন রিজভী
রিজভী উল্লেখ করেন, দলটি এর আগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রিজভীকে। আর সদস্য সচিব হিসেবে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত রয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমিটির একটি সভা হয়েছে। বিএনপির জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য দুই মাসব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
রিজভী বলেন, সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন অভিযানের মাধ্যমে তারা মূল্যায়ন করতে পারবে যে কতজন লোক দলের রাজনীতিতে জড়িত হতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, সকল বিভাগীয় শহরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু হবে, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম মহাসচিবরা অভিযান কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন।
৩ দিন আগে
বাবার কবর জিয়ারত জোবাইদার, মাকে নিলেন বাসায়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার বাবার কবরে ফাতেহা পাঠ করেছে। পরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার অসুস্থ মাকে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান বুধবার (৭ মে) বিকালে জোবাইদা তার শাশুড়ি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ ত্যাগ করেন। প্রথমে তিনি তার বাবা ও প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করতে বনানী সামরিক কবরস্থানে যান।
তিনি সেখানে নারীদের জন্য নির্ধারিত নামাজঘরে আসরের নামাজ আদায় করেন এবং তারপর তার বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন।
রুমন জানান, জোবাইদার সঙ্গে তার দেবর প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও ছিলেন।
তিনি বলেন, কবর জিয়ারতের পর জোবাইদা ধানমন্ডির স্কয়ার হাসপাতালে যান। হাসপাতালিটিতে তার মা ইকবাল মান্দ বানু ১ মে থেকে চিকিৎসাধীন।
রুমন বলেন, সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তার মাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর জোবাইদা তাকে ধানমন্ডিতে তাদের বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ নিয়ে যান।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) ডা. জোবাইদা লন্ডন থেকে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার অসুস্থ মাকে দেখতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে যান। জোবাইদার উপস্থিতি মা ও মেয়ের মধ্যে এক আবেগঘন পুনর্মিলন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন জোবাইদা রহমান
তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন এবং পরে ফিরোজায় ফিরে আসার আগে মাহবুব ভবনে কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলেন।
সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন। কয়েক বছর আগে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের একটি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এর আগে লন্ডনে ১৭ বছরের নির্বাসন শেষ করে জোবাইদা মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ও শামিলা রহমানের সঙ্গে দেশে ফেরেন।
তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা এবং তাদের মেয়ে জাইমা রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।
৪ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রতিবেশী অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, আমরা সামরিক হামলার নিন্দা জানাই এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অংশীদারদের সংযম প্রদর্শন এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নয়, ৩১ দফার মাধ্যমে সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপি নেতা বলেন, অভিন্ন স্বার্থ এবং আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল সকলের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাভে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
৪ দিন আগে
হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন জোবাইদা রহমান
অসুস্থ মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাকে দেখতে যান তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, ডা. জুবাইদা সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে তার শাশুড়ি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। হাসপাতালে জোবাইদার উপস্থিতি মা-মেয়ের মধ্যে এক আবেগঘন পুনর্মিলনের সৃষ্টি করে।
জোবাইদার মা সম্প্রতি বয়সজনিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে, লন্ডনে ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন জোবাইদা।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়া, জোবাইদা, তারেকের প্রয়াত ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাদের স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. জোবাইদা বেশিরভাগ সময় ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসভবনে থাকবেন। তবে দেশে ফিরে তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান।
ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ‘মাহবুব ভবন’ নামে পরিচিত তার বাবার বাড়িতে জোবাইদাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা এবং তাদের মেয়ে জাইমা রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।
৫ দিন আগে