বিএনপি
নির্বাচন বিলম্বিত করলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার যদি নির্বাচন আয়োজনে বেশি সময় নেয় তাহলে শেখ হাসিনা ও বর্তমান প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, 'কোনো কোনো উপদেষ্টা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে তা ১৫ বছর বিলম্বিত করেছেন। এর সঙ্গে আরও কয়েক বছর যোগ করলে মানুষ ভাবতে শুরু করবে পার্থক্যটা কী।’
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক দোয়া মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ‘আমরা বিশ্বাস করি, তারা যাই করুক না কেন, তাতে অবশ্যই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি হবে না।’
আরও পড়ুন: মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন: রিজভী
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় ফিরতে খুব অস্থির হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলব, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে কে ক্ষমতায় আসবে বলা মুশকিল। এটা বিএনপির একার বিষয় নয়।’
যদ দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের পদক্ষেপ নিলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে দেশের জনগণের মালিকানা এবং তাদের সরকার নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। কারণ, কে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন- তা নির্ধারণ করে দিতেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে দমন ও নির্যাত করে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। ‘আমরা এখন সেই ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মুক্ত এবং আমরা অবাধে চলাফেরা করতে পারি।’
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোম কম: রিজভী
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা
দলকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
মোস্তাফিজুর রহমানকে (মোস্তফা) আহ্বায়ক ও সোহেল হোসেন কায়কোবাদকে সদস্য সচিব করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শফিকুল ইসলাম বেবুকে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসিবুর রহমান হাসিবকে দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও তাসভীর উল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
৫৫ মিনিট আগে
১৬ বছরে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা: টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৬ বছরে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। আইন, বিচার, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছেন। লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কোনাবাড়ি ইছাহাক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষকেই নয়, তিনি নিজের দল আওয়ামী লীগকেও বিপদে ফেলে দিল্লি চলে গেছেন। এখন তিনি দিল্লি বসে আবারও বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় বসার ষড়যন্ত্র করছেন। হাসিনা যে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তা দিয়ে ১০০টা পদ্মা সেতু বানানো যেত।’
তিনি বলেন, ‘ধ্বংপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবীত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। এই কর্মসূচি জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার নিশ্চিতসহ সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেবে। তাই আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।’
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ মুজিবের হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের একটি অরাজক পরিবেশের পোড়ামাটি থেকে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিদেশে পাঠিয়েছিলেন এবং রেমিটেন্স যোদ্ধা তৈরি করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছিলেন। তার সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশকে আবারও একটি উন্নত দেশ বানাবেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর অপকর্ম, লুটপাট ও খুনে বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। বিচার থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনও দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে। আপনাদের মুখরোচক কথা বলে মিলতাল দিয়ে থাকবে। কিন্তু আপনারা তাদের কথায় ভুলবেন না, আওয়ামী লীগ থেকে সজাগ থাকবেন।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে কাজ করতে চান রাহাত ফাতেহ আলী খান
১৮ ঘণ্টা আগে
সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
ওপারে (ভারত) পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘হাসিনা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই দেশে নাকি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে বাস করি। পূজায় এখানে মন্দির পাহারা দিয়েছে আমাদের লোকজন। তারা আমাদের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সাম্য সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা লুটপাট করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন আমাদের দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হাত না দেয়- সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা আর কেউ করেনি। তারা আলেম-ওলামাদের ফাঁসি দিয়েছে, আমাদের রাজনীতিবিদদের ধরে নিয়ে গেছে, জেলে দিয়েছে। এভাবে কেউ যেন আর অন্যায় করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এখন যেন কেউ দেশকে বিভক্ত করতে না পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এক। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন চাই। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ সবাইকে আমি আহ্বান জানাতে চাই- আসুন, আমরা একটি সুযোগ পেয়েছি, এই সুযোগটি কাজে লাগাই। সব বিভেদ ভুলে আবার আমরা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তুলি; একটি শান্তির দেশ, প্রেমের দেশ, উন্নতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলি। আমাদের মাথায় যেন কেউ কাঁঠাল ভাঙতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকি।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ঘুষ চাচ্ছে। ঘুষ আমরা আর দেব না। আপনারা সবাই রুখে দাঁড়াবেন। যে ঘুষ চাইবে তাকে ধরে পুলিশে দেবেন। অবশ্য পুলিশও ঘুষ খায়, কিন্তু আমরা এই পুলিশ পরিবর্তন করছি। পুলিশ এখন জনগণের পুলিশ হবে। এইরকম একটি বাংলাদেশ আমরা চাচ্ছি।’
‘কেউ কেউ বলেন একাত্তর ভুলে যাবেন। একাত্তর আমরা ভুলতে পারি না। একাত্তরে আমাদের একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। আমি আমার নিজেকে চিনতে পেরেছি একাত্তর সালে। আমরা আমাদের জন্য একটি ভূখন্ড তৈরি করতে পেরেছি।’
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘ভোটের কথা বললে অনেক অসন্তুষ্ট হয়। তাদের বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা ভোট চাই এই কারণে যাতে আমরা সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারি, যিনি সংসদে গিয়ে আমাদের জন্য কাজ করবেন।’
‘সংস্কার আমরাও চাই। ২০২২ সালে আমাদের নেতা ৩১ দফা দিয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখতে দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা সংস্কারটি চাই।… দেশকে গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। এই রকম একটি বাংলাদেশ চাই। আর আমাদের নেতা তারেক রহমান এই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সবাইকে দেখাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে গিয়ে (হিন্দুদের নিয়ে) একটি মিথ্যা প্রগাপান্ডা ছড়াচ্ছেন। মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।’
এ সময় উপস্থিত হিন্দু জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে কি কেউ চাঁদা চাচ্ছে? কেউ কি আপনাদের ঘরবাড়িতে হামলা করছে? কাউকে কি হত্যা করা হয়েছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই, ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের ভাইদের যারা ১৫ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আবারও আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এবার আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ গড়ে তুলব।’
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, বিএনপির চেয়ার পারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বেবি নাজনীন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওমাদ জমির, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলামসহ দলের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক।
জনসভা শেষে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত ৬টি পরিবারের স্বজনদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।
১৯ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করল দলটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে দলটির। পর্যায়ক্রমে শরিক দল ও জোটগুলো এই আলোচনায় অংশ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে জোটের শরিকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। সবার পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিজেদের ঐক্য আরও জোরদারের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে জোটের শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ২০২৬ সালে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে পারে, যাতে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নিজেদের সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।’
‘কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কোনো দল গঠিত হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। সংস্কারের বাহানায় একটি দলকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে বিলম্ব করার বিরোধিতা করি আমরা।’
এর আগে, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তার এক দিন পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
১ দিন আগে
সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার চাইলেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি মুরাদ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ধামরাইয়ের আমতা, বালিয়া ও চৌহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, খায়রুল হক বেআইনিভাবে তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। বাংলাদেশে অশান্তির মূলে ছিল এই রায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে বিএনপির বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুরাদ বলেন, এক যুগের বেশি সময় এই ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন।
মুরাদ বলেন, ভারতীয় আগ্রাসের কারণে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমির মুখে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রভুর মতো আচরণ করে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভারতের এসব আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হয়েছে।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফুর রহমান মিলনের সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতা দেলোয়ার হোসেন, এম এ জলিল, আনসার আলী, খন্দকার আইয়ুব, খন্দকার আবু তাহের মুকুট, সাবিনা ইয়াসমিন, লোকমান দেওয়ান প্রমুখ।
২ দিন আগে
কানাইঘাটে ফের দাফন হবে হারিছ চৌধুরীর লাশ, দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় নিজ এলাকার শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার পাশে পুনরায় দাফন করা হবে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত আবুল হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। এই মাদরাসাটি হারিছ চৌধুরীর নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাজরিনের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিনিধি দল। এসময় হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী এবং তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়ছল আহমদ, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পিতা শফিকুল হক চৌধুরীর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে তার মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে। তবে, কবে দাফন করা হবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর চলতি মাসে দাফন কার্য সম্পন্ন হতে পারে বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় প্রয়াত কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম হারিছ চৌধুরীর লাশ তার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফন করা হবে। কবরের জায়গার স্থান সেভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ফয়ছল আহমদ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ থেকে কোথাও পালিয়ে যাননি, তিনি ঢাকাতে আত্মগোপনে ছিলেন। আমি বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং সবসময় যোগাযোগ ছিল। স্বাধীন দেশে মুক্তভাবে হারিছ চৌধুরীর লাশ তার নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটে এখন দাফন করা হবে।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা নানাভাবে অবিচারসহ হয়রানীর শিকার হয়েছি। আমার বাবা মারা যাওয়ার পরও সে সময় সরকারকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এবং তার মৃত্যুর বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে যায়। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাবার লাশ শনাক্ত করে তার ইচ্ছা অনুযায়ী কানাইঘাটে দাফন করতে পারব, যার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।’
আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবুল হারিছ চৌধুরী মারা যান। ৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার সাভারে একটি মাদ্রাসায় তার লাশ দাফন করা হয়।
এরপর সামিরা চৌধুরী প্রফেসর মাহমুদুর রহমানই তার পিতা আবুল হারিছ চৌধুরী দাবি করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালতের নির্দেশে তার লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এরপর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
২ দিন আগে
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। এজন্য যেকোনো মূল্যে ৩১ দফার পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে।
জনগণের সম্পৃক্ততায় স্বৈরাচারী পালিয়েছে, তবে দেশের ভেতরে-বাইরে দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম শুরু। সংগ্রাম করেই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও জনসম্পৃক্তি নিশ্চিত করতে নরসিংদীতে বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত। আমাদের সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন, স্বৈরাচারকে সরিয়ে দেওয়া এবং স্বৈরাচারকে ফেলে দেওয়ার। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণে দেশের মানুষ সক্ষম হয়েছে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে, বাধ্য করেছে পালিয়ে যেতে।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের জবাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা রক্ষার, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ও দেশ গড়ার এবং মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রাম।
মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, এ সংগ্রামে একমাত্র নেতৃত্ব দিতে পারবে বিএনপি বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশে যদি একটি দুর্বল জনমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে অনেকেই এ দেশ থেকে সবকিছু লুটেপুটে নিয়ে যাবে। এ দেশের অর্থ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে অনেকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। দেশে যদি একটি বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখা যায়, তাহলে অনেকের জন্য সুবিধা হবে। এসব থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এমন একটি সরকার প্রয়োজন যারা জনগণের কথা বলবে, জনগণ ও দেশের চিন্তা করবে।
এ রকম কেউ যদি দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নেয়, তবে দেশের স্বার্থ জনগণের স্বার্থ নিরাপদ থাকবে বলে জানান তারেক রহমান।
নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা নেওয়াজ আরলি ও সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টদের বিষয়ে তারেকের সতর্কতা
৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের বক্তব্যকে 'অস্পষ্ট ও হতাশাজনক' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচন সংক্রান্ত বার্তা অস্পষ্ট।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করবেন। ' কিন্তু তিনি তা করেননি। এটা আমাদের জন্য যেমন হতাশাজনক, তেমনি জাতির জন্যও হতাশাজনক।’
ফখরুল বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। ‘খুব তাড়াতাড়ি এটা করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিব যে 'পরস্পরবিরোধী বক্তব্য' দিয়েছেন তা নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারের সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এরপর মঙ্গলবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আশা করা যায় ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটি সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে? ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার আশা করা যায়। এটি একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ ‘
আরও পড়ুন: অসুস্থ ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সাভার সিএমএইচে
৪ দিন আগে
অসুস্থ খালেদা জিয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ স্থগিত
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের শনিবারের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন: রিজভী
তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা এখন পিছিয়ে গেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি মাসের শেষের দিকে লন্ডন ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার।
একই সঙ্গে সৌদি আরবে তার পবিত্র ওমরাহ পালনেরও কথা ছিল।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
প্রায় সাত বছরের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খালেদা জিয়ার সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি, এর ঠিক তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হওয়ার ৬ বছর পর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ উপলক্ষে গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি তার হার্ট, ফুসফুস, কিডনি এবং চোখের জটিলতাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের জবাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেকের
৪ দিন আগে