বিএনপি
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা আসন্ন নির্বাচনে একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি, আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের নীতি ও অনুশীলনে বিশ্বাস করি এবং সেগুলো মেনে চলি। অতীতেও আমরা তাই করেছি।’
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের অনুরোধের বিষয়ে এক সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
তিনি বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, কে কাজ করতে পারবে বা কে পারবে না, তা ঠিক করার দায়িত্ব তাদের নয়। ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কোন দল থাকবে, কোন দল থাকবে না, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে আর কোনটি নির্বাচন করবে না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে বিএনপি সমর্থন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা বড় কথা নয়... এটা জনগণের ব্যাপার, আমাদের নয়।’
এর আগে বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিগত সরকার, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো সহিংস ও পরিকল্পিতভাবে ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় আকারের ধারাবাহিক অভিযানের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন। সেসময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছে।
তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নয়
ফখরুল বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রবর্তনের তীব্র বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা কোনো ধরণের আনুপাতিক নির্বাচনকে সমর্থন করব না। কারণ, দেশের জনগণ এতে অভ্যস্ত নয়। এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাও উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও বিপক্ষে। ‘আমরা এর সঙ্গে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করছি। এটা দেশকে আরও ভঙ্গুর রাজনৈতিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তত তাড়াতাড়ি রাজনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ আরও স্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে জাতীয় নির্বাচন জরুরি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমানে প্রশাসন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। একবার সুশাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হলে— আপনি দেখতে পাবেন যে অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিস্থিতিও উন্নত হবে। ... বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলো এখনো ঠিকমতো চালু হয়নি। সেসব ব্যবস্থা ঠিক করা হবে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে এসব বিষয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে আমরা সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করবে— তা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত।
ফখরুল বলেন, সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে সরকারপ্রধান তাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
৫ ঘণ্টা আগে
গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যায় শেখ হাসিনার জড়িত থাকার বিষয়টি যথার্থই উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে ভারতের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, 'আমি জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে তাদের প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রতিবেদনে সঠিকভাবে বলা হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তার নির্দেশেই গণহত্যা, সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফখরুল বলেন, 'এটা প্রমাণ হয়েছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট। তিনি এদেশের মানুষকে নির্যাতন, নীপিড়ন ও হত্যা করেছেন। আমরা আজ ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তাকে (শেখ হাসিনা) ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে এবং তাকে বিচারের জন্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্য উদঘাটিত হওয়ায় তিনি দলের পক্ষ থেকে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে জাতিসংঘ যখন কথা বলে, আমরা সবাই তা বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যখন এটা বলি, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে নারাজ। যাই হোক, আমি জাতিসংঘের দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এখানে এসেছিল এবং প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) 'বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের বিক্ষোভ সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন' শীর্ষক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
৩ ঘণ্টা আগে
জনজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে নির্বাচন অপরিহার্য: মেজর হাফিজ
বিএনপির সিনিয়র নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন
হাফিজ বলেন, 'কার্যকরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং জনজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা: অন্তর্বর্তী সরকারকে গয়েশ্বর
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার কেবল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই রয়েছে। ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে পারে।’
তাই এ বছরের মধ্যেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান তিনি।
যে গণতন্ত্রের জন্য ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতন্ত্রের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রের জায়গায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজের জীবনের ঝুঁকি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন হয়ে যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন— তা বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি সাম্য, সামাজিক মর্যাদা এবং মানবি মর্যাদার জন্য লড়াইয়ে তার দলের প্রতিশ্রুতির উপরও জোর দেন।
আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার বিচার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাবেক মন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী; জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার মায়ের দুর্ভোগের জন্য দায়ীদের কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যেন রক্ষা করতে না পারে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন: রিজভী
১৪ ঘণ্টা আগে
হাসিনা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, উসকানি দিচ্ছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব একটু একটু করে ভারতের কাছে বিক্রি করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারিয়েছেন। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণের নামে টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের টাকাকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পদ মনে করতেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারি প্লট দখল করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন, হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়েছে। এতদিন জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন ড. ইউনূস : ফখরুল
১৫ ঘণ্টা আগে
জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা: অন্তর্বর্তী সরকারকে গয়েশ্বর
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা। কেমনেই-বা বুঝবেন, আপনারা তো জনগণের সরকার না?’
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে তাই দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগণ চায় সুষ্ঠু অবাধ একটি নির্বাচন, আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকাল বিকাল শুধু সংস্কার সংস্কার করছে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাট রেলওয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আন্দোলনে আমরা পিছপা হইনি, বরং আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশে আমরাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দল।’
‘ছয়টি বছর ধরে বিদেশে বসে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায়ই হচ্ছে সংস্কার।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছেই; একজন কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না; দাম কমানোর কোনো পদক্ষেপেই নিচ্ছে না এই সরকার। এই সরকার জনগণের ভাষা বোঝে না। কেমনেই-বা বুঝবে, তারা তো জনগণের সরকার না! জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন।’
‘জনগণ ও তরুণদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে নির্বাচিত করা। এই কাজ যদি আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) করতে পারেন, তাহলে পাশে আছি। ১৬ বছর পর সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সঠিক নির্বাচন চাই।’
তিনি বলেন, ‘ইউনুস সাহেব ভালো মানুষ, কিন্তু তাকে ঘিরে রয়েছে কিছু বুদ্ধিজীবী যারা রাজনীতিবিদদের সম্মান করতে জানেন না। দেশ কীভাবে চলছে—তা কেউ জানে না; প্রশাসন কাজ করছে না। তাই এখন কোনোকিছু খারাপ চিন্তা না করে দেশের মানুষের কথা ভেবে নির্বাচন দেওয়াই প্রযোজ্য।’
আরও পড়ুন: দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতন্ত্র এখনও মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর
এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতার মধ্য দিয়ে একটি সরকার চলতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবসময় শুধু সংস্কার নিয়ে কথা বলবে, সেটা মেনে নেবে না বিএনপি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল হক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন ড. ইউনূস : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে বলে তাদের জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব শিগগিরই তারা নির্বাচন আয়োজন করবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা কাজ করছেন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠকে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল আশা করে— সরকার তাদের এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক
রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার ঠিক করবে। ফখরুল বলেন, 'সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে কিছু বলবেন।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এস নাছির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
২ দিন আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের দাবিতে ৬৪ জেলায় বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা
দেশের ৬৪টি জেলায় পর্যায়ক্রমে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে এই বিক্ষোভ করবে দলটি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার
রিজভী বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি, যা শেষ হবে রমজানের আগে। পরবর্তীতে সব মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করা হবে।
দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা এসব বিক্ষোভে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। কোন জেলার বিক্ষোভে কোন নেতা অংশ নেবে—তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে, সেটা দিতেই পারে। কিন্তু তাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া যে, সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে…পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে সে উসকানি দিচ্ছে, একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাকে সমর্থন করছেন ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এটা অদ্ভুত ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ! একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপর আরেকটি রাষ্ট্রের এরকম অবস্থান—এটা তো চরমভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন!’
৪ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
৪ দিন আগে
কমিশনে স্বাস্থ্য সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত কমিশনের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির মিন্টো রোডে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে এই সংস্কার প্রস্তাব জমা দেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে।
স্বাস্থ্যসেবাকে আরও গণমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন করার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব এই কমিশনের উপর ন্যস্ত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
৬ দিন আগে
ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাসা ও অন্যান্য স্থাপনায় হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এক আলোচনায় অংশ নিয়ে হাফিজউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাধা সৃষ্টি না করে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী ফোরাম স্বাধীনতা ফোরাম।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) থেকে শুরু হওয়া ঘটনা এখনো চলমান; এখনো শেষ হয়নি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা জানি না, সরকারের ভূমিকা সম্পর্কেও আমরা অবগত নই। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব এবং সম্ভবত আজকের মধ্যেই আমরা জানতে পারব কে এর জন্য দায়ী।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে তার দল এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমরা মনে করি, আগামী দিনে গণতন্ত্রের পথকে রুদ্ধ করতেই কিছু মানুষ এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকতে পারে। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা— তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, বুধবারের ঘটনার ওপর তাদের দল নজর রাখছে। ‘আমরা আশা করি খুব শিগগিরই দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, কারণ গণতন্ত্রের অভাবে অনেক ঘটনা ঘটে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের পথে সব বাধা দ্রুত দূর করবে। তাদের সচেতন হতে হবে, তারা যেন আর কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে।’
হাফিজ বলেন, সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও শিক্ষার্থীদের সুদৃঢ় ঐক্য এখন জরুরি, কারণ বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি আরও বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্রদের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের অনুরোধ করেছেন। ‘এর কোনো প্রয়োজন নেই। কেউ অনুরোধ করুক বা না করুক, তারা (শিক্ষার্থীরা) তাদের নিজস্ব দল গঠন করবে।’
হাফিজ বলেন, ছাত্ররা দল গঠন করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে, কারণ দল গঠন করা খারাপ কিছু নয়। বরং জনগণের জন্য আরেকটি পছন্দ তৈরি করার সুযোগ হবে।’
তিনি বলেন, ছাত্ররা দল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছে। ‘তারা আরও সময় চায়। আমরা মনে করি, এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। তাই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল বিশৃঙ্খলা, বাধা ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দেখতে চায়, কিন্তু একমাত্র ভারত অস্থিতিশীলতা চায় এবং তারা চায় না বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হোক।
আরও পড়ুন: সংস্কার সংস্কার করা ষড়যন্ত্র কিনা, প্রশ্ন তারেকের
হাফিজউদ্দিন আরও বলেন, বিভিন্ন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের উদ্যোগকে তাদের দল স্বাগত জানায়।
হাফিজউদ্দিন বলেন, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে তাদের সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরবে। কেউ কেউ মনে করছেন, সংস্কারের আড়ালে সরকার বিলম্বের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী একজন জ্ঞানী ও সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। আমরা তার ওপর আস্থা রেখেছি এবং তাকে আমাদের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা তাই করব। তবে আমরা আশা করি, তিনি আমাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না। তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন এবং জাতিকে সকল সংকট থেকে মুক্ত করতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ বর্তমান নামে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন
৬ দিন আগে