বিএনপি
গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, এর মধ্যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী (শহীদ জিহাদ দিবস) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য শর্ত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, এর অর্থ মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে শহীদ জিহাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদকে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদ একটি অবিস্মরণীয় নাম। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিহাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা রাখে গিয়ে পুলিশ তার বুকে গুলি চালিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই নির্ভীক ছাত্রনেতা শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং তার আত্মত্যাগ সে বছর গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। যার ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।’
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, আর জিহাদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারেক বলেন, 'আমরা যদি তার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারি তাহলে তার (জিহাদের) আত্মা কষ্ট পাবে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে 'শহীদ জিহাদ দিবস' পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলা ক্রসিংয়ে জিহাদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকের একদল ছাত্রনেতাও তার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জিহাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
১২ ঘণ্টা আগে
সাবের হোসেনের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুম ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থাকার পরও কীভাবে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার খুব কাছের। তিনি (আসিফ) আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো একজন খুনি কীভাবে জামিন পেতে পারেন?’
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক সমাবেশে রিজভী বলেন, সাবেরের নির্বাচনি এলাকার মানুষ চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, অনেকে পঙ্গু হয়েছে।
রিজভী বলেন, ছাত্রদলের খিলগাঁও শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৬ বার গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী কি এর জন্য দায়ী নন? তার নির্দেশে ওই এলাকার ১১ জনকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই দায় এড়াতে পারেন না।’
সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
খিলগাঁও থানার চারটি ও পল্টন থানার দুটি মামলাসহ ছয়টি মামলায় ঢাকার আদালত তাকে জামিন দিলে পরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অনেক রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্যদের মধ্যে সাবের চৌধুরীই প্রথম আওয়ামী লীগ নেতা।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে খিলগাঁও এলাকায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা করেছে এবং সাবের হোসেন চৌধুরী তার সহযোগী ছিল। তিনি শেখ হাসিনার আদর্শে লালিত হয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে কেউ গণতন্ত্র, বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলার সাহস পায়নি। এ কারণেই তিনি (সাবের) সফলভাবে গুম ও হত্যার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, ছেলে হারানো বাবাদের চোখের পানি এখনো শুকায়নি, তারপরও গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলায়ও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবের হোসেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হত্যা, দখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও হাসিনার শাসনামলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত একটি সরকার। তারা যদি শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাহলে এর অর্থ কী? আসিফ নজরুলের মতো একজন ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারে থাকতে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিনে মুক্তি পাওয়া কীভাবে সম্ভব? তাহলে এই সরকার কাকে রক্ষা করছে?'
রিজভী অভিযোগ করেন, সাবের হোসেন চৌধুরী বছরের পর বছর জনগণের ভোট ছাড়াই সংসদ সদস্য ছিলেন। ‘তার নির্দেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যদি তাকে জামিন দেওয়া হয়, তাহলে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত এবং ক্রসফায়ারে জড়িত পুলিশ - যারা মানুষকে গুম করেছে, নির্যাতন করেছে এবং মাথায় গুলি করেছে - সম্ভবত কয়েক দিনের মধ্যেই তারাও মুক্তি পাবে। এর জবাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে দেবে?
পরে সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
১৫ ঘণ্টা আগে
বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের হাতে এ টাকা তুলে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তাকে তার গুলশানের বাসায় আসার অনুরোধ করার পর মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি যখন তার সঙ্গে দেখা করি, তখন তিনি আমাকে দলের ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা দেন এই বলে যে, এটা বন্যার্তদের জন্য তার ব্যক্তিগত সহায়তা।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দেশের সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে তাকে ছয় বছর আটকে রেখেছে। কারাগারে থাকাকালীন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এখনও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।’
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএনপি।
সে সময় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরসহ পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য নগদ প্রায় ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে দলটি।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দলটি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তাদের দুর্ভোগ লাঘবে আবারও তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
১ দিন আগে
হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজার প্রথম দিনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আট দফার প্রতি বিএনপির সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আপনারা যে আট দফা উল্লেখ করেছেন, আমরা তা বিবেচনা করছি। আট দফার মূল ইস্যুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা আপনাদের বলতে পারি, অতীতে যেমন প্রতিটি সমস্যায় আপনাদের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণকর্তা বলে দাবি করা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অতীতে তাদের ওপর যেসব নিপীড়ন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার পেছনেও তারা (আওয়ামী লীগের লোকজন) ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের দল সরকার গঠন করলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বৈরশাসকের সহযোগীদের চিহ্নিত করুন: রিজভী
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা নিজ সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে সংখ্যালঘুদের অন্যায় ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক ঘটনা।’
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে কীভাবে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলায় কারাবাস সহ্য করেছেন তার বর্ণনাও দেন।
তিনি সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
১ দিন আগে
প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। তাই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সদর উপজেলা, নরসিংদী পৌর ও মাধবদী পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে খায়রুল কবির খোকন এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাতে কোনো অপশক্তি ষড়যন্ত্র করতে না পারে এজন্য আমাদের দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।’
নরসিংদীতে দুর্গাপূজা নিরাপদভাবে উদযাপন এবং সার্বিক সহযোগিতায় সনাতন ধর্মবলম্বীদের পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেছে বিএনপি।
নরসিংদী-১ সংসদীয় আসনের ৮২টি পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতির হাতে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৭ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন।
জেলা পূজা উদযাপন মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক এমএ জলিলেল সভাপতিত্বে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেলের সদস্য সচিব আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালেহ চৌধুরী, নরসিংদী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবীর কামাল, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুত।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
২ দিন আগে
প্রশাসনে স্বৈরশাসকের সহযোগীদের চিহ্নিত করুন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশাসনে পতিত স্বৈরশাসকের সহযোগীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিহ্নিত করতে হবে। তারা দেশকে বিজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন শেখ হাসিনাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করতে প্ররোচিত করেছে। সেই প্রশাসনে যদি স্বৈরশাসকের সহযোগী থেকে যায়, তাহলে তারা আপনাদের (এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রতি পদে বাধা দেবে। খুব দ্রুত তাদের চিহ্নিত করুন।’
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
অতীতে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে নিরপেক্ষ থাকা গণতন্ত্রপন্থী ও মেধাবী ব্যক্তিদের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তারা পরাশক্তির আশ্রয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘অন্যথায় তারা (স্বৈরশাসকের পোকামাকড়) দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। কারণ, তাদের পেছনে রয়েছে বিশেষ এক পরাশক্তি।’
তিনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির কঠোর সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
‘তাদের (উর্মি) মতো ব্যক্তিরা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে রয়েছেন,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই স্বৈরশাসকের সহযোগীরা বিপ্লব বা গণআন্দোলনের ভিত্তিতে গঠিত একটি সরকারকে ব্যর্থ হওয়া নিশ্চিত করতে চাইবে।
পতিত স্বৈরশাসকের পুনরুত্থান রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করবে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন কিংবা শেখ হাসিনার পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়াবহ বধ্যভূমি। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ করা এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, যাতে এই বধ্যভূমি তৈরি না হয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের উচিত খুব বেশি সময় না নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট ও পাচার করেছে এবং এখন তারা অর্থ ব্যয় করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রিজভী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সিঙ্গাপুরে একটি লবিস্ট ফার্মকে ভাড়া করেছেন তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য। ‘তাদের অনেক টাকা আছে।’
এসময় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
২ দিন আগে
পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসন করা হলে জনগণ দেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা গুম-খুনের সংস্কৃতি তৈরি করেছে, আয়না ঘরকে (গোপন কারাগার) পুনর্বাসন করা হয়, তাহলে এদেশে মানুষ থাকতে পারবে না।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশ হবে ঘাতকদের অভয়ারণ্য। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে চিরকাল গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কবরস্থান হবে।’
নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই ব্যক্তি যখন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তখন তিনি বিএনপি সমর্থকদের হয়রানি করতেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে তাদের ভিসা নবায়ন করতেন না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাদের যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’
তিনি বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন, তবে তাকে এ বিষয়ে দেখতে হবে এবং তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। রিজভী বলেন, 'কাতারের রাষ্ট্রদূতকে কে পররাষ্ট্র সচিব করছেন?’
এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
৩ দিন আগে
শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এই শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা সদর ও বারইগ্রাম বাজারে পৃথক দুটি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। এছাড়া বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ১১ জন শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। খুনি ও তাদের দোসরদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও কাতার বিএনপির সভাপতি শরীফুল হক সাজু।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
৪ দিন আগে
প্রশাসন থেকে ‘ফ্যাসিবাদের ভূত’ সরানোর উপর নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য: ফখরুল
প্রশাসন থেকে 'ফ্যাসিবাদের ভূত' নির্মূল করা না গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরেন।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের ‘ভূতের’ মদদেই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের সহায়তায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। এখনো সেসব ভূত প্রশাসনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ভূত নির্মূল করতে হবে; অন্যথায় আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই সময় দেব, তবে তা হতে হবে যৌক্তিক। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সরকার অবশ্যই জাতির নেতৃত্ব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরাজনীতিকরণ সমর্থন করি না। আমরা 'মাইনাস টু' ফর্মুলার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি, পাশাপাশি মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানকেও প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ফখরুল আরও বলেন, 'এজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা যোগ্য ও সক্ষম এবং আমরা তাদের দ্রুত গতিতে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা কখনো ব্যর্থ হইনি। ১৯৫২, '৬৯, '৭১ সালের যুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বর্তমানে আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইনশাল্লাহ এবারও আমরা বিজয়ী হব।’
শিক্ষক জাতীয়করণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, 'শুধু জাতীয়করণ দিয়ে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে থাকতে হবে; তা না হলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু আমি জানি আওয়ামী লীগ পিয়ন থেকে শুরু করে গভর্নিং বডির সভাপতি পর্যন্ত সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যারা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত, শিক্ষিত এবং একটি পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম, তাদের আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এটি আন্তরিকভাবে করা হয়, তবে পরিবর্তন আসবে; অন্যথায় তা অধরাই থেকে যাবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশে নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব এবং এদেশে সত্যিকারের জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ও তারেক রহমানের স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।’
সভায় চৌধুরী মুগিস উদ্দিন মাহমুদ, জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
৫ দিন আগে
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
খুলনায় বিএনপির সুধী সমাবেশে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর খালিশপুর থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নগর বিএনপি ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে দলটি।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে বিএনপি সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশস্থলে সামনের চেয়ারে বসা ও মঞ্চে উঠা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শুরু হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, মঞ্চে উঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে তাদেরকে দেখে এসেছেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
এদিকে সংঘর্ষে ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মো. সোহেল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. নূরুজ্জামান এবং বিএনপির সদস্য শহিদসহ ১৫ জন আহত হন। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, নগরীর খালিশপুর থানার ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালিশপুর থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
ওই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া ১ (এক) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
৫ দিন আগে