অন্যান্য
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা এবং ‘বাংলাদেশ বিরোধী উসকানির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ ও মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের ১৫ কোটি মানুষের শক্তিশালী ৩০ কোটি হাত সাম্যের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই হামলার তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না ‘
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় মন্ত্রীদের আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশে সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও জানান তারা।
ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকা হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
১ দিন আগে
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সরকারকে এ ধরনের উত্তেজনা আর বৃদ্ধি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। কূটনৈতিক মিশনগুলো আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত ‘
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হামলা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ককেই ঝুঁকিতে ফেলে না, দুই দেশের সার্বিক সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং চরমপন্থা ও সহিংসতা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি ভারত সরকারকে হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
১ দিন আগে
৫ আগস্টের পরও জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই: মুফতি ফয়জুর করিম
গত ৫ আগস্টের পর ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই।
তিনি বলেন, জুলুম, অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও বৈষম্য দূর করার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, আমরা মুক্তি পাব। আমরা কি দেখলাম! সেই চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অন্যায়, দখলদারি ও হত্যা। এরজন্য মানুষ জীবন দেয় নাই, রক্ত দেয় নাই।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন জেলা উত্তরের আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে চাঁদার হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু চাঁদার পরিবর্তন হয় নাই। জুলুমের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুম বন্ধ হয় নাই। অত্যাচারের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই।
ফয়জুল করিম বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই যেমনিভাবে তেঁতুল গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না, মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। তেমনিভাবে চোরের মাধ্যমে চুরিমুক্ত দেশ হতে পারে না, জালেমের মাধ্যমে জুলুমমুক্ত দেশ হতে পারে না ও দুর্নিবাজের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হতে পারে না।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ৫ আগস্ট মানুষ শাহাদাত বরণ ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বৈষম্য দূর করার জন্য, নির্বিগ্নে চাকরি এবং স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার জন্য। আজকে আমরা কি দেখছি। সেই ডাকাত, খুনি ও লুটেরা আবার ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চাঁদাবাজ বা দুর্নীতিবাজদের দল আমরা করব না। ওদেরেকে ভোট দেব না। ওদের পিছনে আমরা হাঁটব না।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা নতুন নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন তাদেরকে বিগত নির্বাচন কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যদি আপনি ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই আপনাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনে প্রত্যেকটা মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যাকে পছন্দ তাকে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হন তাহলে আগামীর বাংলাদেশে এমন এক সূর্য উদিত হবে- যেখানে বৈষম্য থাকবে না, জুলুম থাকবে না, অত্যাচার থাকবে না, অবিচার থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। যেখানে সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার থাকবে। আর সেই বাংলাদেশ হলো ইসলামী বাংলাদেশ। ইসলাম ব্যতিত বার বার দল ও নেতা পরিবর্তন করবেন, কিন্তু দুর্নীতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এসময় তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি ভোলার গ্যাস দিয়ে বরিশাল বিভাগে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোলা-বরিশাল সেতুরও দাবি করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ওবায়েদুর রহমান বিন মোস্তফা প্রমুখ।
১ সপ্তাহ আগে
কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
মেহেরপুর, ২২ নভেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই নির্বাচন হতে পারে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে মেহেরপুরের ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে।
আরও পড়ুন: জামায়াত ক্ষমতায় আসলে জনগণ-রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে: সেলিম উদ্দিন
গোলাম পরওয়ার বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয় স্বজনরা। তার বিচার জনগণই করবে বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা।
পরওযার বলেন, তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের উপর নির্ভর করবে। তবে কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত। আইনি প্রক্রিয়ায় খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।
এতে আরও বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব উল আলম, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সোহেল রানা, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আহসানুল হক প্রমুখ।
১ সপ্তাহ আগে
বিদেশি চাটুকারদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে: ফয়জুল করীম
ইসলাম ও দেশের দুশমনদের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। দেশের সাধারণ মানুষ এটা মেনে নেবে না।’
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে নওগাঁ শহরের এটিম মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার গণসমাবেশে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্ত্রব্য করে এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘যে ফ্যাস্টিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, চিহ্নিত এক রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের শহিদদের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা দেশকে ভালো না বেসে এদেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে শান্তি আসতে পারে না, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়-নীতির পরিবর্তন না আসবে ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি, শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। সেজন্য দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ ও জালেমদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে মুসলমানরা। ইসলামী শাসন কায়েম হলে দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- দলটি নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন সিরাজী, সিনিয়র সদস্য জামাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হোসেন, জেলা সদস্য মাওলানা ওমর আলী প্রমুখ।
৩ সপ্তাহ আগে
বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম ও নির্যাতনের সমালোচনা করে দেশে বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিুর রহমান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে নীলফামারীর বড় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে মানুষকে শান্তি দেয়নি। দেশবাসীর শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। সকল ধরণের, সকল বর্ণের মানুষ তাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত আমির বলেন, তারা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলো সীলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছিল। ঘরে বসেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা শান্তি পায়নি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নামে যুদ্ধাপরাধীর মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে বিচারের নামে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জামায়াত প্রধান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পরেই ঝাঁল মিটিয়েছিল আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর উপর। তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুষ্টি করা হয়েছিল। ঘাতকদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত কমিটির রির্পোট প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
জামায়াত আমির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামী। মিথ্যা মামলায় তাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে হত্যার অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের শাসনামলে ১৯৭১ সালে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যুদ্ধপারাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যে মামলা হয়েছিল, সেখানে একটি মামলাও তাদের বিরুদ্ধে ছিল না। এছাড়া শেখ মুজিব সরকার সে সময় যাচাই-বাচাই করে ১৯৫ জনের যে তালিকা করেছিল,তার মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে কোনো নাগরিক ছিল না।
ডা. শফিকুর বলেন, ৫ আগস্ট যখন পরিবর্তন আসল আমরা সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছি ধৈর্য ধরার জন্য। বলেছি কেউ কারো উপর হাত তুলবেন না। ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেবেন না। কিছু করতে হলে আইনের আশ্রয় নেবেন। দেশবাসী আমাদের কথা শুনেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্দয় হতে পারে, খুনি হতে পারে, কিন্তু ১৮ কোটি মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক।
আরও পড়ুন:জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন পালাবো না। তিনি চলে গেলেন তার প্রিয় দেশে। তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও অধিক মামলা হয়েছে। আমাদের বিচারালয় যখন তাকে চাইবেন, তখন তাকে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন।
তিনি বলেন. সাড়ে ১৫ বছরে তারা গোটা জাতির বিরুদ্ধে জুলুম করেছে। বিচারের নামে তামাশা করেছে। অবিচার করেছে। সেটি যেন শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কারও ক্ষেত্রে না হয়। আমরা বৈষম্যহীন ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না । আমরা ঘুষ খাবো না, কাউকে খেতেও দেবো না। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই- যে সমাজে লেখাপড়া করার পরে ‘আমরা শিক্ষিত বেকার’এই শব্দটি আমাদের কানে আসবে না।
নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমাজের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখতে পারেন। নারীরা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ও মর্যাদার সঙ্গে জাতি গঠনে অবদান রাখবেন।
নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
৩ সপ্তাহ আগে
বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
সকল বিভেদের অবসান ঘটিয়ে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বড় মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
তিনি বৈষম্যহীন সমাজ ও নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
এরপরও যদি আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কথা ভাবলে ষড়যন্ত্র হবে, আরও বড় বিপদ আসবে।
তিনি জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। বাঘের মতো বাঁচতে হবে, বিড়ালের মতো নয়।’
আমির বলেন, স্বচ্ছ রাজনীতির কারণে জামায়াতের ওপর বারবার আঘাত হানা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, 'আমরা কখনো দুর্নীতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সব সময় আমাদের টার্গেট করে দুইবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পেছনে একমাত্র কারণ আমাদের স্বচ্ছতা।’
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির ক্যান্সার সমূলে উৎপাটন করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের তাদের রাজনৈতিক চরিত্র ঠিক করতে হবে।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘নেতারা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত না হন, তাহলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
৩ সপ্তাহ আগে
প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে
‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দেন তারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বিএসআরএসফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান।
এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যৎ এ প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দুর্নীতি কমিয়ে উন্নয়নকে জনগণের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এ সরকার কাজ করছে। বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে এ সরকারের ওপর। যা অন্তবর্তী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছি। আমরা দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে সংস্কার করব।
তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এটা ব্যক্তিগত টাকা নয়, জনগণের টাকা। এটা মাথায় রাখা উচিত। এ সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সবাই ভাবেন আমাদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। আসলে কিছু নেই আমাদের কাছে। ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন কবে ক্ষমতায় আসবেন। আমরাও চাই নিজেদের কাজে ফিরে যাই।
ফাওজুল কবির বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি, গ্যাস বিদ্যুতের দাম নিয়ে ক্ষুদ্ধ মানুষ। আমরা এখানে একটা কাজ করেছি, দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। বিইআরসির আগের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেট্রোতে সাবেক সচিব হতে হবে বলে যে বিধান ছিল, সে নিয়ম বাদ দিয়েছি। যার অভিজ্ঞতা আছে তিনিই এখানে কাজ করতে পারবেন। আবার পাওয়ার গ্রিডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা কাঠামোগত পরিবর্তন করতে শুরু করেছি।
আলোচনায় অংশ নেন মো. সারদার শাহদাত আলী, ড. মো. শামসুল হক, ড. শর্মিন্দ নীলর্মি, ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মেহেদী এইচ ইমন, উমামা ফাতেমা ও মো. মাহিন সরকার।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ২ বছরে সরকারি খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে: উপদেষ্টা আসিফ
১ মাস আগে
বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বৈঠক
রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে শনিবার বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তারা মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন- দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা, রাষ্ট্রপতির অপসারণ এবং জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা এর আগে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। এটি একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল।’
তিনিন আরও বলেন, ‘বর্তমানে, আমরা ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে বাধার সম্মুখীন হই, বিশেষত চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন) কারণে। তাকে অপসারণ করা উচিত। গত দু'দিন ধরে আমাদের দেশের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, বৈঠকে কীভাবে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা করা যায়, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কীভাবে প্রেসিডেন্টকে দ্রুত অপসারণ করা যায় এবং যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘জাতীয় ঐক্য কীভাবে জোরদার করা যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়াও তারা এ বিষয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তারা তাদের অবস্থানের সঙ্গে একমত।
হাসনাত বলেন, 'জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, রাষ্ট্রপতির পদে থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।
এসব বিষয়ে তারা অন্য দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’
তিনি বলেন, 'ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ৫ আগস্টের আগে যে জাতীয় ঐক্য গঠন করা হয়েছিল, তা আরও জোরদার করতে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে এবং বিএনপি তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনার পর নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ‘আমরা আশা করছি তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে।’
হাসনাত ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, আকতার হোসেন ছিলেন।
নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, 'চুপ্পু অবশ্যই যাবে, তবে আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করছি না।’
১ মাস আগে
রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুরের পীরগাছা সদর ইউনিয়ন শাখার হিন্দু কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলা জামায়াতের অফিসে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুর জব্বার।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ।
কমিটিতে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভবেশ চন্দ্র বর্মণ সভাপতি ও ওষুধ ব্যবসায়ী বিজন চন্দ্র দাস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
এছাড়া কমিটির অন্যরা হলেন- দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাপস চন্দ্র রায় সহসভাপতি, কিসামত ঝিনিয়া সনাতন সংঘের সভাপতি সুধারঞ্জন বর্মণ সহসম্পাদক ও দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র বর্মণ অর্থ সম্পাদক।
এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ভবেশ চন্দ্র বর্মণ ও ইউনিয়ন জামায়াতের অর্থ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় প্রায় দুই শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
১ মাস আগে