অন্যান্য
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক কমিটি হবে: ডা. তাহের
প্রতি আদমশুমারির পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে দেশে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের আলোচনার প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি তথ্য দিয়েছেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আজ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে নির্বাচন কমিশনই একান্তভাবে কাজটি করতো। এখন স্বচ্ছতার জন্য একটু পরিবর্তন আনার কথা বলা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে, একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে।’
‘সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেই কমিটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা ও সুপারিশ করবে। এটিকে দুভাবে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম হচ্ছে, সামনে যে জাতীয় নির্বাচনটি হবে, এতে আমাদের বা কমিশনের প্রস্তাব ছিল—একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হবে ইসির অধীনে।’
‘যেহেতু এবার সময় কম, এরমধ্যে ভিন্ন কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। সে জন্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে ইসি, তাদের সুপারিশক্রমে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
‘স্বচ্ছ, সুন্দর ও সঠিকভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য এটি খুবই জরুরি বিষয়। কারণ এটার কারণে নির্বাচনের ফল ভিন্ন হয়ে যায় অনেক সময়।’
ডা. তাহের বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের জন্য অনেকগুলো বিশেষজ্ঞের কাজ করতে হয়। জরিপের কাজ, ভৌগোলিক অঞ্চলকে সমন্বয়, ভোটের আনুপাতিক দিকগুলো আছে—এমন অনেক বিষয়ে। সবকিছু বিবেচনা করে এটি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে।’
‘আর স্থায়ীভাবে আরেকটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, সংবিধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির বিষয়ে উল্লেখ থাকবে। আদমশুমারির পরপরই সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। তারা একটি সাংবিধানিক কমিটি হিসেবে কাজ করবে, সংবিধানে তাদের কথা উল্লেখ থাকবে।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমীর আরও বলেন, এই কমিটি স্বাধীন হবে। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে। কমিশন প্রস্তাব করেছিল—এটির নামের শেষে কমিশন হবে। এ নিয়ে অনেকে আবার আপত্তি করেন। যে কারণে, নামের শেষে কমিটি দিয়েই সবাই ঐকমত্য হয়েছি।’
‘জামায়াত এটির শেষে কমিশনেই একমত ছিল। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে সংবিধানে সংযোজন করার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। এটিকে একটি আইনের মাধ্যমে করার কথা বলেছে। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি তার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছে।’আরও পড়ুন: জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে একটি ‘সনদের’ জায়গায় পৌঁছানোর আশা আলী রীয়াজের
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন কমিটি হিসেবে সংবিধানে এটি সংযোজিত করার বিষয়েও বিএনপি রাজি হয়েছে। আমরাও এখানে কম্প্রোমাইজ (আপস) করেছি। আমরা কমিশনের জায়গায় কমিটি মেনে নিয়েছি। দুটো প্রধান দলই ছাড় দিয়ে একটি ঐকমত্যে আসার পর বাকিরা রাজি হয়েছেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘গেল ১৫ বছরে বহু সংসদীয় আসনকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে, কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচনে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের সময় এমন বহু পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনেকেই আপিল করেছিলেন।
৬ দিন আগে
ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ: ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। শনিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক(পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
পড়ুন: সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
দলটি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন দলটি।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
১০ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের এদেশে ঠাঁই হবে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে এদেশ লুট করেছে, খুন ও গুম করেছে,জুলুম করছে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে, গরীবের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, তাদের আর এ দেশে ঠাঁই হবে না। দেশের মাটিতে এই ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের বিচার হবে ইনশাল্লাহ।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে দেশের হাজারো গরীবের ত্রাণের চাল যাদের গুদামে পাওয়া যায়, গরীব চাল যারা খাদ্য গুদামে বোঝাই করে রাখে। গরীবের হক যারা মেরে খায়, বাংলাদেশের মানুষ আর তাদের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
সোমবার (২৩ জুন ) বিকালে নীলফামারী বড় মাঠে ইসলামী আন্দোলন, নীলফামারী জেলা শাখার জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয়—তাহলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট ও চাঁদাবাজ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে এদেশে ইসলামী ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা সম্ভব। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে।
পড়ুন: দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।
জনসভায় নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন নীলফামারী-২ আসনে অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন ও নীলফামারী-৪ আসনে আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম।
১৫ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়টি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
‘এখন বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর কিংবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন একটি সমস্যার জায়গা থেকে আলোচনাটি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বছর দিয়ে ঠিক করার একটি প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব আসার পর পারস্পরিক আলোচনার জন্য সময় নেওয়ার কথা বলেছি। সেই সময় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সেটি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সর্বোচ্চ দশ বছর একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে তিনটি দল থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আছে। সেইসব প্রস্তাবসহ আরও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে, যেমন: সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন, সাংবিধানিক পদগুলোতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার পরিধি, দুই কক্ষের মধ্যে ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—এসব প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আবার বসা হবে।’
‘তবে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অধিকতর ঐক্যের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি আরও ঐক্যের দিকে আসতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন যথার্থভাবে এগিয়ে যাবে।’
১৬ দিন আগে
দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
পড়ুন: ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার মামলা খারিজ
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এদেশ থেকে তাড়াতে, ভাগাতে বাধ্য করেছিলাম। আমরা ইনশাআল্লাহ ঐক্যবদ্ধভাবে যদি আবারও রাস্তায় নামি—তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ, কোনো সন্দেহ নাই।
দলটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী মাওলানা আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, জামায়াতের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম ২ আসনের ইসলামি আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নুর বকত প্রমুখ।
১৭ দিন আগে
জবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতৃত্বে ফয়সাল ও শাহিন
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদকে আহ্বায়ক এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন— জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাসিম হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তকি, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ এবং মুখপাত্র কামরুল ইসলাম রিয়াজ।
দায়িত্ব পাওয়ার পর ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীবান্ধব ও দলীয় লেজুড়বৃত্তিকহীন ছাত্ররাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপসহীন অবস্থানই পারে একটি কার্যকর ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাপরিবেশ গড়ে তুলতে।‘
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জবির যেকোনো সংকটে অতীতেও তারা সামনে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে আগামীতেও সে ধারা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
কমিটির সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাজ শিক্ষার্থীদের নিয়েই, তবে আমাদের সংগঠনের যাত্রা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি থেকে। ফলে প্রথমেই আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে চাই।’
১৯ দিন আগে
ইউনূস-তারেকের বৈঠককে ‘আশাপ্রদ ঘটনা’ বলছে নাগরিক কোয়ালিশন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে একটি ‘আশাপ্রদ ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে গঠিত প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। বুধবার (১১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে তারা।
এতে বলা হয়, এপ্রিলের নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রত্যাখ্যান করে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল অনড় অবস্থানের কারণে একটি রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, যা ঈদের ছুটির পর গভীরতর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশে-বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র এখন গোপনে এবং প্রকাশ্যে দুভাবেই ঘটে চলেছে বলে প্রতীয়মান।
‘এই অবস্থায় আগামী ১৩ জুন লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মুখে একটি অত্যন্ত আশাপ্রদ ঘটনা।’
নাগরিক কোয়ালিশন জানিয়েছে, সাংবিধানিক স্বৈরাচার ঠেকাতে এবং নিরপেক্ষ নিয়োগ ও ক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত ‘৭/২’ সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক থেকে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে: রিজভী
তাদের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, জুলাই চার্টারকে রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি হিসেবে নেওয়া, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন, সাংবিধানিক নিয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী আসনে নির্বাচন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাগরিক কোয়ালিশন মনে করে আগামী ডিসেম্বর বা এপ্রিল—কোনোটিই নির্বাচনের জন্য কার্যকর সময় নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও তার জন্য বিভিন্ন আইনি পরিবর্তন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যেমন দুঃসাধ্য, তেমনি এপ্রিলের নির্বাচন অসহনীয় গরমে অসুস্থ ও বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করবে।
‘পাশাপাশি, রমজানের তীব্র গরমে নির্বাচনের জন্য দেশব্যাপী ব্যাপক সরকারি কর্মযজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলের প্রচার ও প্রস্তুতি দুরূহ করে তুলবে এবং তার সাথে সাথে এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় এসএসসি–এইচএসসি পরীক্ষাও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।’
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এপ্রিলেই কেন নির্বাচনের সময় প্রস্তাব করা হয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা সরকারের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন।
তারা বলছে, এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও সংস্কার ও নির্বাচনের প্রধান ধাপগুলো কবে কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তার কোনো পরিকল্পনা বা বিভিন্ন ধাপের সম্ভাব্য তারিখ সরকার এখনো ঘোষণা করেনি। এই ধাপগুলো যেকোনো একটি বাস্তবায়নের শিথিলতা এপ্রিল মাসের নির্বাচনকেও যে পিছিয়ে দিতে পারে, এই আশঙ্কা মোটেও অমূলক নয়।
২৭ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে ১০-১৩ জুন সফর করবেন অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উপর জোর দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নে কাজ করছে দুই দেশ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর্। অধ্যাপক ইউনূস রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন।’
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং বৈচিত্র্যময়। এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এই সফরকালে, রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাপক ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করবেন। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আজীবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি-মুনও এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং যুক্তরাজ্যের নীতি ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও অধ্যাপক ইউনূস দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ যুক্তরাজ্য একটি শীর্ষস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক নীতি এবং সুশাসনের প্রচারকে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, এই সফর বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগ, গণতান্ত্রিক পথচলা এবং সুশাসনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সর্বোপরি’ একজন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বজুড়ে একটি অনন্য এবং ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। তার মতো একজন ব্যক্তিত্বের যুক্তরাজ্য সফর বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উন্নত এবং সুসংহত করবে।
সফরের সময় আলোচনায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়।
বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্রিটিশ দক্ষতা এবং সম্পদের ব্যবহার করা হবে এই কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অধ্যাপক ইউনূসের কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। যা বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করবে।
তার পাবলিক কূটনীতি উদ্যোগের অংশ হিসেবে, প্রধান উপদেষ্টা ১১ জুন চ্যাথাম হাউস - রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে একটি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
পাচার করা অর্থ এবং বিদেশি সম্পদ পুনরুদ্ধারও আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডন সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
সরকারের মতে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে প্রতি বছর আনুমানিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত তার হাইকমিশনারের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে পাচার করা তহবিল শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার করা যায়।
৩০ দিন আগে
টিউলিপের কোনো চিঠি সরকার এখনো পায়নি: শফিকুল আলম
ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরকালে টিউলিপ সিদ্দিক দেখা করতে চেয়েছেন এমন কোনো চিঠি টিউলিপ সিদ্দিকের কাছ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার এখনো এমন কোনো চিঠি পায়নি।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা এমন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না, যা আমরা দেখিনি।’
প্রধান ইউনূস চার দিনের সরকারি যুক্তরাজ্য সফরের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক তার যাচাইকৃত এক্স হ্যান্ডেল থেকে লিখেছেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার লুকানোর কিছু নেই। আপনি যদি সত্য খুঁজে বের করার বিষয়ে আন্তরিক (সিরিয়াস) হন, তাহলে কথা বলুন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে ট্যাগ করেচেন এবং দ্য গার্ডিয়ান দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে চিঠিতে জানিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে যুক্তরাজ্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ। এর পর তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসন করতে উদ্যোগী হন। এজন্য তিনি লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টিউলিপের খালা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শাসনামল থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
৩০ দিন আগে
দায়িত্বে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে: উপদেষ্টা পরিষদ
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তোলা হলে জনগণকে সঙ্গে তা মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভুত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৪৫ দিন আগে