অন্যান্য
আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সব ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে যেখানে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘুর মাঝে ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (সরকারকে) সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়েছে। আয়নাঘরে বন্দি রেখে জঙ্গিবাদের নাটক করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের নামে বিনা ভোটে এমপিদের পাস করানো হয়েছে, নিশি রাতে ভোট হয়েছে এবং ২০২৪ সালে আমি আর ডামির নির্বাচন হয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দেশপ্রেমিক বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে সীমান্ত চৌকিদার বিজিবি করেছে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে, তবে মন্দিরও পাহারা দেয়া লাগবে না; সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।’
তিনি এ সময় স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমীর
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কেউ নারীর ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না, তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। বর্তমান সরকারের কাছে তিনি গাইবান্ধায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
জেলা জামায়াতের আমীর মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার, জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, জেলা সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান, পলাশবাড়ীর পুরোহিত মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এর আগে, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামীর হাজারো নেতাকর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করে ২৫ সালে নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
ডিসেম্বরের পর নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন শেষ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রের কিছু সংস্কার প্রয়োজন। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, জুডিসিয়ালসহ ৫-৭টি দপ্তরের সংস্কার করার পর যখন জাতি বুঝবে এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন, তখন নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়টা বেশি লাগার কথা নয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবিরে যোগদানের আগে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে দেশের সাধারণ মানুষ কোনো ভোট দিতে পারেনি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাধারণ মানুষদের বলেছে আপনাদের ভোট হয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিষয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে না। যারা রাজনীতি চর্চা করেন তাদের মধ্যে একটি সরকারি দল, অপরটি হচ্ছে বিরোধী দল। সাইকেলের যেমন দুটি চাকা না থাকলে সাইকেল চলে না, ঠিক তেমনি সরকার ও বিরোধী দল না থাকলে রাষ্ট্র চলে না। সমালোচনা রাষ্ট্রের একটি সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: আ. লীগের চরিত্র বদলায়নি, দফায় দফায় ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
তিনি আরও বলেন, আমরাও সরকারকে বলি আপনাদের প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করুন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিপ্লবের পরেই বর্তমান সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসেছে। পাল্টা ক্যু, জুডিসিয়াল ক্যু, আনসারকাণ্ড, প্রশাসনের অস্থিরতা, হিন্দু ভাইদের নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে অরাজকতা করছে। সবই সরকার মোকাবিলা করছে। এগুলো সামনে না আসলে সরকার আরও অনেক কিছুই সংস্কার করতে পারত। সরকার যা করছে তাতে আমরা খুশি (হ্যাপি)।
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, জামালপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তার, টাঙ্গাইল জেলার সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির, জেলা নায়েবে আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে তুরস্কের ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
১ সপ্তাহ আগে
আ. লীগের চরিত্র বদলায়নি, দফায় দফায় ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
দেশের মানুষ সজাগ থাকায় ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি শক্তি দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মিথ্যাচার করে বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। এই শান্তি বিঘ্নিত করতে দফায় দফায় চেষ্টা চলছে। জাতি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান একথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জানান দেয় যে, তারা ক্ষমতার থাকতে খুন-গুমের পথ বেছে নেবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ তার নিজের পথ হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, তারা যেসব নিরীহ জনগণকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে জানতে চান তারা আর এ ধরনের রাজনীতি চায় কিনা? যারা পঙ্গুত্ববরণ করে হাসপাতালের বেডে আছে তাদের মতামত নিন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর হুকুম ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াতে ইসলামী সে সুযোগ পেলে আমাদের হাত দিয়ে কোনো চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজি বরদাশতও করা হবে না।
বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির ওপর কোনো দখল বাণিজ্য হতে দেওয়া হবে না। অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। যুব সমাজের হাতকে কারিগরের হাতে রূপান্তরিত করা হবে। উন্নত দেশের মতো পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের হাতে কাজ আসবে। আমরা তাদরেকে এমন যোগ্য কারিগর হিসেবেই তৈরি করব। আমরা যুব সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ধর্মীয় সম্প্রতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা কোথাও নিরাপত্তার জন্য পাহারা বসাতে হবে না। একজন নাগরিক তার ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে ও সমাজে সবখানে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশে নারী-পুরুষরা সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবেন। জামায়াতে ইসলামী কোরআনের আলোকে রাষ্ট্রগঠনের সুযোগ পেলে দেশের নারীরা মর্যাদা ও ইজ্জতের সহিত তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। তারা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কাজে অবদান রাখবেন।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দলের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর পক্ষে এককভাবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ও সহযোগিতা। আমরা শান্তি, অগ্রগতি, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সিলেট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও সহকারী সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
১ সপ্তাহ আগে
গাছের শিকড়ে পানি ঢেলে ডাল ছেঁটে লাভ হবে না: মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, গাছের শিকড়ে পানি ঢেলে উপরে ডাল ছেঁটে কোনো লাভ হবে না। ডাল ছেঁটে পুরো গাছের ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, আপনারা যা চাচ্ছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বৃক্ষের ডাল ছাঁটলে হবে না, পুরো গাছটা উপড়ে ফেলতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নীলার মাঠে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন ও নীতিমালা করার যে উন্মুক্ত সুযোগ(ওপেন স্পেস) তা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারিক দক্ষতা নৈতিক বাধ্যবাধকতা, শুধু প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়: প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সংবিধান থেকে পাচারকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা নামক কুফরি মতবাদ দিল্লিতে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বাতিল করে ঈমানের ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে।
মামুনুল এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলেম সমাজ ভাড়াটিয়া না, এদেশের মাটি রক্তের বিনিময়ে কিনেছে আলেম সমাজ। তাই কেউ রক্ত চক্ষু দেখালে তা উপরে ফেলা হবে।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগের এমন করুন পরিণতির কারণ হিসাবে বলেন, আলেম সমাজকে কখনও দাম দেয়নি আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসলে এটা মাথায় রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস খুঁজে পাওয়া যেত না: মান্না
শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস খুঁজে পাওয়া যেত না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। কারণ পালানো ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা ছিল না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) খুলনার উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে নাগরিক ঐক্য খুলনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের পুলিশগুলো কি ভোট দিতে দেয়? কোনো ঘুষ ছাড়া কি কাজ করে? এখন পুলিশ কি কোনো তদন্তে যায়? এই পুলিশগুলো বদলাতে হবে। নতুন পুলিশ বাহিনী সাজান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব হচ্ছে একটা ভালো ভোটের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে এসে দেখে ভোট আগেই হয়ে গেছে, বা পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে গেছে।
মান্না বলেন, এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা কোনো চাদাবাজ দেখতে চাই না, মাস্তানি দেখতে চাই না, দখলবাজিত্ব দেখতে চাই না।
পরিবর্তনের একটা অন্যতম বিষয় হচ্ছে আমরা একটা ভালো ভোট চাই বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনে দুটি মেট্রো স্টেশন ধ্বংস হয়েছিল। এটি পুনরায় নির্মাণ করতে শেখ হাসিনা বলেছিল ৩০০ কোটি খরচ হবে। এটি নির্মাণ করতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাকি টাকা পাচার করতেন। চোর যদি আপনার দেশ শাসন করে, তাহলে আপনার দেশের উন্নতি হতে পারে না।
খুলনার সভাপতি আইনজীবী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা শাখার নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আইনজীবী আব্দুল মজিদ হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্য দপ্তর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ। এছাড়া নাগরিক ঐক্য’র খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা এবং ‘বাংলাদেশ বিরোধী উসকানির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ ও মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের ১৫ কোটি মানুষের শক্তিশালী ৩০ কোটি হাত সাম্যের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই হামলার তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না ‘
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় মন্ত্রীদের আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশে সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও জানান তারা।
ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকা হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
৩ সপ্তাহ আগে
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সরকারকে এ ধরনের উত্তেজনা আর বৃদ্ধি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। কূটনৈতিক মিশনগুলো আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত ‘
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হামলা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ককেই ঝুঁকিতে ফেলে না, দুই দেশের সার্বিক সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং চরমপন্থা ও সহিংসতা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি ভারত সরকারকে হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
৩ সপ্তাহ আগে
৫ আগস্টের পরও জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই: মুফতি ফয়জুর করিম
গত ৫ আগস্টের পর ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই।
তিনি বলেন, জুলুম, অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও বৈষম্য দূর করার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, আমরা মুক্তি পাব। আমরা কি দেখলাম! সেই চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অন্যায়, দখলদারি ও হত্যা। এরজন্য মানুষ জীবন দেয় নাই, রক্ত দেয় নাই।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন জেলা উত্তরের আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে চাঁদার হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু চাঁদার পরিবর্তন হয় নাই। জুলুমের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুম বন্ধ হয় নাই। অত্যাচারের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই।
ফয়জুল করিম বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই যেমনিভাবে তেঁতুল গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না, মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। তেমনিভাবে চোরের মাধ্যমে চুরিমুক্ত দেশ হতে পারে না, জালেমের মাধ্যমে জুলুমমুক্ত দেশ হতে পারে না ও দুর্নিবাজের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হতে পারে না।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ৫ আগস্ট মানুষ শাহাদাত বরণ ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বৈষম্য দূর করার জন্য, নির্বিগ্নে চাকরি এবং স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার জন্য। আজকে আমরা কি দেখছি। সেই ডাকাত, খুনি ও লুটেরা আবার ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চাঁদাবাজ বা দুর্নীতিবাজদের দল আমরা করব না। ওদেরেকে ভোট দেব না। ওদের পিছনে আমরা হাঁটব না।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা নতুন নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন তাদেরকে বিগত নির্বাচন কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যদি আপনি ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই আপনাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনে প্রত্যেকটা মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যাকে পছন্দ তাকে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হন তাহলে আগামীর বাংলাদেশে এমন এক সূর্য উদিত হবে- যেখানে বৈষম্য থাকবে না, জুলুম থাকবে না, অত্যাচার থাকবে না, অবিচার থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। যেখানে সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার থাকবে। আর সেই বাংলাদেশ হলো ইসলামী বাংলাদেশ। ইসলাম ব্যতিত বার বার দল ও নেতা পরিবর্তন করবেন, কিন্তু দুর্নীতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এসময় তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি ভোলার গ্যাস দিয়ে বরিশাল বিভাগে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোলা-বরিশাল সেতুরও দাবি করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ওবায়েদুর রহমান বিন মোস্তফা প্রমুখ।
১ মাস আগে
কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
মেহেরপুর, ২২ নভেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই নির্বাচন হতে পারে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে মেহেরপুরের ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে।
আরও পড়ুন: জামায়াত ক্ষমতায় আসলে জনগণ-রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে: সেলিম উদ্দিন
গোলাম পরওয়ার বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয় স্বজনরা। তার বিচার জনগণই করবে বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা।
পরওযার বলেন, তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের উপর নির্ভর করবে। তবে কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত। আইনি প্রক্রিয়ায় খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।
এতে আরও বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব উল আলম, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সোহেল রানা, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আহসানুল হক প্রমুখ।
১ মাস আগে
বিদেশি চাটুকারদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে: ফয়জুল করীম
ইসলাম ও দেশের দুশমনদের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। দেশের সাধারণ মানুষ এটা মেনে নেবে না।’
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে নওগাঁ শহরের এটিম মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার গণসমাবেশে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্ত্রব্য করে এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘যে ফ্যাস্টিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, চিহ্নিত এক রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের শহিদদের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা দেশকে ভালো না বেসে এদেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে শান্তি আসতে পারে না, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়-নীতির পরিবর্তন না আসবে ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি, শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। সেজন্য দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ ও জালেমদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে মুসলমানরা। ইসলামী শাসন কায়েম হলে দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- দলটি নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন সিরাজী, সিনিয়র সদস্য জামাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হোসেন, জেলা সদস্য মাওলানা ওমর আলী প্রমুখ।
১ মাস আগে