শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস খুঁজে পাওয়া যেত না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। কারণ পালানো ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা ছিল না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) খুলনার উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে নাগরিক ঐক্য খুলনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের পুলিশগুলো কি ভোট দিতে দেয়? কোনো ঘুষ ছাড়া কি কাজ করে? এখন পুলিশ কি কোনো তদন্তে যায়? এই পুলিশগুলো বদলাতে হবে। নতুন পুলিশ বাহিনী সাজান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব হচ্ছে একটা ভালো ভোটের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে এসে দেখে ভোট আগেই হয়ে গেছে, বা পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে গেছে।
মান্না বলেন, এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা কোনো চাদাবাজ দেখতে চাই না, মাস্তানি দেখতে চাই না, দখলবাজিত্ব দেখতে চাই না।
পরিবর্তনের একটা অন্যতম বিষয় হচ্ছে আমরা একটা ভালো ভোট চাই বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনে দুটি মেট্রো স্টেশন ধ্বংস হয়েছিল। এটি পুনরায় নির্মাণ করতে শেখ হাসিনা বলেছিল ৩০০ কোটি খরচ হবে। এটি নির্মাণ করতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাকি টাকা পাচার করতেন। চোর যদি আপনার দেশ শাসন করে, তাহলে আপনার দেশের উন্নতি হতে পারে না।
খুলনার সভাপতি আইনজীবী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা শাখার নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আইনজীবী আব্দুল মজিদ হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্য দপ্তর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ। এছাড়া নাগরিক ঐক্য’র খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা