���������������
বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
প্রকৃতির মহিমা হৃদয়ে ধারণ করে অবলীলায় ঝরে চলেছে মনোরম জলপ্রপাত ও প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো। কালের গহ্বরে শত শত সভ্যতা হারিয়ে গেলেও এগুলো এখনও বেঁচে আছে অকৃত্রিম কারুকাজে। বিশ্ব সংসারের এই প্রাণবন্ত জল-শিল্পগুলো যেন নিবেদিত হয়ে শিখিয়ে দেয় সৌন্দর্য্যের বুনন। পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ের সঙ্গে নমনীয়তার মায়াবী মেলবন্ধনে রচনা করে অস্তিত্বের জয়গান। সেই সঙ্গীতের সুরের সুধা পেতেই হাজারও পরিব্রাজক হন্যে হয়ে ঘর ছাড়ে। এই টান কোনও বিলাসিতার খোরাক নয়; বরং সৌন্দর্য্য, বিশালতা ও বিস্ময়কে নগণ্য দু’চোখ ভরে ধারণ করার এক অদম্য নেশার হাতছানি। তেমনি ১০টি নয়নাভিরাম ঝর্ণার বিস্তারিত নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, ডুব দেয়া যাক সেই জলজ মুগ্ধতার রাজ্যে।
পৃথিবীর ১০টি সর্বোচ্চ এবং সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক ঝর্ণা
অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত
এর অবস্থান ভেনেজুয়েলার কানাইমা ন্যাশনাল পার্কের লীলাভূমিতে। অয়ান-টেপুই পর্বতের কোলে সগৌরবে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে ৯৭৯ মিটার (৩ হাজার ২১২ ফুট)-এর এই দীর্ঘ পানির ধারা। স্থানীয় নাম কেরেপাকুপাই মেরু, যার অর্থ গভীরতম স্থানের জলপ্রপাত।
অ্যাঞ্জেল নামটি এসেছে বিমানচালক জিমি অ্যাঞ্জেলের নাম থেকে, যিনি ১৯৩৩ সালে গ্র্যান সাবানার উপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় সর্বপ্রথম এই নির্ঝরকে আবিষ্কার করেন। ১৯৬০ সালের ২ জুলাই তার শেষকৃত্যের ভস্ম ফেলা হয় এই ঝর্ণায়।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
এটি বর্ষাকালে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ হাজার ৭৫০ গ্যালন বেগে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত।
তুগেলা জলপ্রপাত
দক্ষিণ আফ্রিকার রয়্যাল ন্যাটাল ন্যাশনাল পার্কের কেন্দ্রস্থলে মুখোমুখি হওয়া যাবে এই জলপ্রপাতটির সঙ্গে। প্রাকৃতিক শৈল্পিকতার এই অনন্য নির্মাণের দৈর্ঘ্য ৯৪৮ মিটার (৩ হাজার ১১০ ফুট)। ড্রাকেন্সবার্গ পর্বতমালার কঠিন দেহ বেয়ে নেমে গেছে এই অপরূপ ধারার মন্ত্রমুগ্ধতা। পাঁচটি স্বতন্ত্র স্তরে বিভক্ত এই নির্ঝরের গন্তব্য তুগেলা নদী। এই নদীর উৎপত্তি মন্ট-অক্স-সোর্সেস পাহাড়ে। এই পাহাড়ের উপর এবং সেই রয়্যাল ন্যাটাল ন্যাশনাল পার্ক; এই দুইটি পথে রয়েছে তুগেলার দুটি ঝিরি পথ।
এই ঝর্ণার আবিষ্কার হয় ২০ শতকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে। ভেজা মৌসুমে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ ঘনফুট (১ দশমিক ৪১ কিউবিক মিটার) পর্যন্ত উঠে যায় এর প্রবাহ।
বিশ্বসেরা ১০ পিরামিড: চিরন্তন কিংবদন্তির খোঁজে
মানব সভ্যতার অবাক চাহনির সামনে সহস্রাব্দ ধরে দাঁড়িয়ে আছে অবিঃশ্বাস্য উচ্চতা এবং রহস্যময় কাঠামোর পিরামিডগুলো। সেই চাহনিতে কখনও ছিল মহাপরাক্রমশালী দেবতার জন্য প্রার্থনা, কখনও বা ছিল বহির্জাগতিক প্রাণীর জন্য ভয়।প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই স্থাপনাগুলো প্রাচীন সভ্যতার চাতুর্য এবং প্রকৌশল দক্ষতার প্রমাণ। চিরন্তন এই কিংবদন্তির প্রতিটি ধূলিকণায় নিরন্তর স্পন্দিত হচ্ছে চিত্তাকর্ষক সব গল্প। সেই গল্পের খোঁজে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যায় সেই অকৃত্রিম আদিমের স্বাদ নিতে। তেমনি বিশ্বের ১০টি অনন্য পিরামিড নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই অতিকায় সভ্যতার ব্যাপারে।
পৃথিবীর সেরা ১০টি পিরামিড
গিজার গ্রেট পিরামিড
মিশরের কায়রোর পশ্চিমে গিজা মালভূমিতে অবস্থিত এই পিরামিডের আরও একটি নাম খুফুর পিরামিড বা চিওপসের পিরামিড। গিজা পিরামিড কমপ্লেক্সের এই অংশটির মূল উচ্চতা ছিল প্রায় ৪৮১ ফুট। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় ও বাইরের আবরণে পাথর অপসারণের ফলে এর উচ্চতা নেমে এসেছে প্রায় ৪৫৪ ফুটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ঐতিহাসিকদের মতে এই গ্রেট পিরামিড পুরাতন রাজ্যের চতুর্থ রাজবংশের ফেরাউন খুফুর শাসনামলে তথা ২ হাজার ৬১৩ থেকে ২ হাজার ৪৯৪ খ্রিস্টপূর্বের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। গিজা মালভূমিতে অবস্থিত ৩টি পিরামিডের মধ্যে এটি প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম। এটি মূলত ফারাও খুফুর পরিবার ও রাজকীয় কর্মকর্তাদের জন্য মন্দির ও সমাধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে পিরামিডটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মেমফিস এবং এর নেক্রোপলিসের অংশ।
খাফরের পিরামিড
মিশরের গিজা মালভূমিতে গ্রেট পিরামিডের নিকটেই সগর্বে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়া এই পিরামিডের আরেক নাম শেফ্রেনের পিরামিড। ৭০৬ ফুটের ভিত্তির উপর প্রায় ৪৪৮ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে থাকা এই স্থাপনাটির নির্মাণ হয়েছিল ফেরাউন খাফরের শাসনামলে। গ্রেড পিরামিডের ন্যায় এর নির্মাণকালটিও চতুর্থ রাজবংশের সময়। খাফরকে খুফুর উত্তরসূরি বলে মনে করা হয়।
পিরামিডটি মূলত খাফরের সমাধি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। সমাধির নকশায় তার পূর্বসূরিদের পিরামিডের স্পষ্ট ছাপ দেখা যায়। পিরামিডের নিচের অংশটি পালিশ করা চুনাপাথরে আবদ্ধ। পিরামিড কমপ্লেক্সের বিশেষ আকর্ষণ হলো স্ফিংস। এটি হলো সিংহের দেহ এবং মানুষের মুখ সম্বলিত বিশাল এক মূর্তি। একে ফেরাউন খাফরের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
শুধুমাত্র দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণ নয়, প্রযুক্তির সঙ্গে যুগপৎ বিকশিত উন্নত মানের গাড়িগুলো জীবনধারায় যোগ করছে নতুন নতুন সুবিধা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুপার ফাস্ট কার ও হাইপারকারের মতো শ্বাসরুদ্ধকর বিলাসবহুল গাড়িগুলো সামাজিক অবস্থানকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে। আরও একটু আরামদায়ক, ডিজাইনে আরও একটু নতুনত্ব এবং আরও একধাপ উচ্চতর কর্মক্ষমতা দিতে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে চলে অটোমোবাইল নির্মাতারা। সেই অর্থে ২০২৩ সালে পৃথিবীর সেরা ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি অটোমোবাইল ভক্তদের একদমই নিরাশ করেনি। চলুন, বিস্ময়কর ব্যয়বহুল সেই গাড়িগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২৩ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ১০ গাড়ি
রোলস-রয়েস বোট টেল
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ি রোলস-রয়েসের বোট টেল, যার মূল্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি টাকায় ৩০৩ দশমিক ৮ কোটি টাকা (১ মার্কিন ডলারকে ১০৮ দশমিক ৫ বাংলাদেশি টাকা হিসাবে)। চোখ ধাঁধানো গাড়িটির ডিজাইন করেছে জনপ্রিয় অটোমোবাইল ব্র্যান্ড রোলস-রয়েস-এর কোচবিল্ড বিভাগ।
২০২১ সালে উৎপাদিত গাড়িটি সপ্রতিভ এবং স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির সমন্বয়ে এক অনন্য সৃষ্টি। এর চেসিস এবং ইঞ্জিনটি রোলস-রয়েস ফ্যান্টমের। অর্থাৎ ফ্যান্টমের মত বোট টেলের ৫৬৩ হর্সপাওয়ার শক্তি সম্পন্ন ৬ দশমিক ৭৫ লিটারের টুইন-টার্বোচার্জকৃত ভি১২ ইঞ্জিনের ক্ষমতা আছে। ফ্যান্টম ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল/ঘন্টা) বেগে ছুটতে পারে।
বোট টেলের পেছনের ডেকের পাঁচটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটসহ ১ হাজার ৮১৩টি যন্ত্রাংশ বেসপোকের। এই অত্যাশ্চর্য বাহনটির ডিজাইনের অনুপ্রেরণা এসেছে ক্লাসিক ইয়ট থেকে। এর পেছনের কাঠের ডেকটি খোলা হলে শ্যাম্পেন কুলার ও একটি হোস্টিং স্যুটের মতো দারুণ এক বেসপোক হস্তশিল্পের সেট উন্মুক্ত হয়। ব্র্যান্ডের বিলাসিতা ও বিশেষত্বকে জাহির করার মাধ্যমে এই ভার্সনটি রোলস-রয়েস কাস্টমাইজেশনের এক সীমাহীন সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছে।
বুগাটি লা ভয়চার নোয়ার
ফ্রান্সের বুগাটি অটোমোবাইলস এস.এ.এস এই অসাধারণ হাইপারকারটি বানিয়েছিল কিংবদন্তির বুগাটি টাইপ ৫৭ এসসি আটলান্টিককে উৎসর্গ করে। ২০১৯ সালে জেনেভা মোটর শো-এর মাধ্যমে উন্মোচিত এই মাস্টারপিসটি আধুনিক প্রযুক্তি ও ক্লাসিক ডিজাইনের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ। এর ১৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যকে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করলে দাড়ায় ২০২ দশমিক ৯ কোটি টাকা।
এর হাতে বানানো রাজকীয় চেসিসটি মসৃণ কালো কার্বন ফাইবারে মোড়া। পেছনের ৬টি নিষ্কাশন পাইপ-এর আগের সময়ের কাইরনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। ৮ লিটার কোয়াড-টার্বোচার্জ করা ডব্লিউ১৬ ইঞ্জিন যানটিকে ১ হাজার ৪৭৯ হর্সপাওয়ার শক্তি দিতে পারে। কাইরন বুগাটির যৌথ উৎপাদিত গাড়িগুলোর সবচেয়ে কম সময়ে শূন্য থেকে ৪০০ কিলোমিটার/ঘন্টা(২৪৯ মাইল/ঘন্টা) গতিতে উঠার রেকর্ড আছে। এর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারুকাজ কারিগরের সূক্ষ্ম ও যত্নশীল কাজের কথা জানান দেয়। এই একচেটিয়া যানবাহন নিমেষেই বিলাসিতা, কর্মক্ষমতা এবং স্বপ্রতিভ শিল্পকলার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি হওয়ায় প্রাণোচ্ছ্বল গ্রহটির সৌন্দর্য্যের পরিমাণও যেন পানিতেই বেশি। আর তার টানেই বিশ্বব্যাপী ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যান খাল-বিল, নদী-নালা ও সাগর সৈকতে। কিন্তু এই মায়ার ভেতরেও লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঝুঁকি। মনোরম জলীয় সৌন্দর্য্যে অবগাহনের সময় এমনকি ছোট সুইমিং পুলটিও আশঙ্কাজনক বিপদগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তবে এটা দুঃখজনক যে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের পানিতে ডুবে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।এরকম দুর্ঘটনা পরিবার তো বটেই, গোটা দেশবাসীর জন্য আশঙ্কাজনক।তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনের সুষ্পষ্ট কারণগুলো যাচাই করা আবশ্যক। যে বিষয়গুলোর ওপর মানুষের হাত নেই, সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন পূর্ব সচেতনতা। আর যে কারণগুলোর ওপর মানুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার ওপর জোর আরোপ করা। আর এই লক্ষ্যেই এই নিবন্ধে পানিতে ডুবে মৃত্যু এড়াতে ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা সম্পর্কিত নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের জন্য ১৫টি টিপ্স
নির্ধারিত নিরাপদ অঞ্চলে সাঁতার কাটা
নিরাপত্তা ও উপভোগের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত এলাকায় সাঁতার কাটুন। সৈকত এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে প্রায়ই বিভিন্ন সংকেতের পতাকা দেখা যায়। এগুলো সেই স্থানের দুর্ঘটনা প্রবণতা চিহ্নিত করে।
এ সংকেতগুলো মেনে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সাঁতার কাটা উচিত। এই সীমানাগুলো সাঁতারের জন্য শুধু নিরাপদই নয়; এগুলোর মাঝে থাকলে বিশেষত একজন যোগ্য লাইফগার্ডের সজাগ দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকা যায়।
সহসা কোনো অনিশ্চিয়তায় সঙ্গে সঙ্গেই ডাঙায় ফিরে আসা
সাঁতার কাটার সময় চারপাশে অথবা নিজের শরীরে হঠাৎ কোনো অসঙ্গতি অনুভূত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাঙায় ফিরে আসুন। এটা হতে পারে স্রোত তীব্র হওয়া, প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়া কিংবা শরীরে হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব হওয়া।
কখনও কখনও আসন্ন কোনো বিপদের ব্যাপারে মন আগে থেকেই জানান দিতে শুরু করে। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যায় নিজের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর বিশ্বাস রাখাটা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের পরিণত মেলবন্ধনের মায়ায় কিংবদন্তিতে রূপ নেয় ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। আক্ষরিক অর্থে না হলেও সুদূর অতীতকে অনুভব করার এক চমৎকার উপায় এই ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহ। বাংলাদেশ তেমনি প্রাচীন বিস্ময়ে পরিপূর্ণ গর্বিত এক দেশ। নিছক পরিব্রাজক, ইতিহাস-ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক, নির্বিশেষে সবাইকে আকর্ষণ করে এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আশ্রয়স্থলটি। তাই বাংলাদেশের ১৫টি বিশ্ব সেরা ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে করা আজকের আয়োজনটি যে কোনো ভ্রমণপিপাসুর ভ্রমণের রসদ যোগাবে।
ঐতিহাসিক গুণসম্পন্ন বাংলাদেশের ১৫টি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্থান
সোমপুর মহাবিহার
নওগাঁর পাহাড়পুরের এই বৌদ্ধ বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যের শাসনামলে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে থাই এয়ারওয়েজের ডাবল ফ্লাইট শুরু ১৬ জুলাই
চলতি মাসের ১৬ জুলাই থেকে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ডাবল ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে থাই এয়ারওয়েজ। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে দিনে ও রাতে বিরতিহীনভাবে ১৪টি ফ্লাইট চলানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানান থাই এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ।
আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে আগে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট ছিল। এখন থেকে ডাবল ফ্লাইট সুবিধা পেতে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, প্রতিদিন ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে ব্যাংককে রওনা হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
তিনি আরও বলেন, দিনে ডাবল ফ্লাইটগুলো চলবে এয়ারক্রাফট বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার অথবা বোয়িং ৭৭২ দিয়ে। যাতে থাকবে ৩০টি বিজনেস ও ২৬২টি ইকোনোমি ক্লাসের সিট।
তিনি জানান, ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। একই রাতে আবারও ঢাকা থেকে ব্যাংককের ফ্লাইটে যাওয়া যাবে। যা ব্যাংককে পৌঁছাবে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে। রাতের ফ্লাইটগুলো মডার্ন এয়ারবাস এ৩২০-২০০ তে পরিচালনা করা হবে। যাতে থাকবে ১৬৮টি ইকোনমি ক্লাসের সিট।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে ডাবল ফ্লাইট চালু উপলক্ষে ‘হ্যাপি জুলাই' নামে বিশেষ ছাড় রয়েছে। এতে দুজন এক সাথে ভ্রমণ করলে ৩০ কেজি লাগেজ ফ্রিতে বহনের সুবিধা পাবেন। এশিয়া, উত্তর এশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া রুটে ভ্রমণকারীরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন। থাই এয়ারওয়েজে হালাল খাবারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া যেকোনো যাত্রী আগে থেকে কী খাবার খেতে চান তাও তিনি নির্বাচন করে রাখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থাই এয়ারওয়েজ বর্তমানে ঢাকা থেকে ব্যাংকক ছাড়াও সেখান থেকে দেশটির বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অফিসে থাই এয়ারওয়েজের সেলস ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এয়ার গ্যালাক্সির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রণয়ন করা হয়নি।
গত বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হবে।
২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বছরের ডিসেম্বরে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে এবং এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত একটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, পর্যটন মাস্টারপ্ল্যানটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। স্টেকহোল্ডাররা তাদের অনুমোদন দিলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ মনিটরের (একটি ভ্রমণ বাণিজ্য প্রকাশনা) সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম অবিলম্বে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়। শিগগিরই একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ভিসা জটিলতার মতো সমস্যাগুলো মাস্টারপ্ল্যানে সমাধান করা দরকার।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো সময়োপযোগী পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প আমলাতান্ত্রিক এবং বিশৃঙ্খলভাবে কাজ করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো পর্যটন পেশাদার নেই।’
তিনি পর্যটকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) মহাসচিব তৌফিক রহমান আরও ভালো আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের জন্য বলেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, মহাপরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিচ্ছি। আমরা তাদের পরামর্শগুলো সামঞ্জস্য করার পরে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
‘পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে ‘ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যটন খাতের তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি জেলায় পাঁচজন অতিরিক্ত জেলা কমিশনারের মধ্যে একজনকে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন যে সরকার পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য কাজ করছে।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ৩০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চুক্তি সই করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের কার্যক্রম ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি সময়মতো সম্পন্ন হয়নি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। ভ্যাট এবং এআইটি সহ মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। ভ্রমণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী নাজমুন নাহার বিশ্ব মানচিত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সকল বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করে নারীর অগ্রযাত্রায় আজও যারা অবদান রাখছেন, তাদেরই একজন আমাদের গর্বিত নারী নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে যিনি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ একাকী সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাজমুন নাহার ১৬০ তম দেশ হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পূণ্যভূমি সৌদি আরবের মাটিতে পা রাখেন।
এরই মধ্যে তিনি দেশটির বিভিন্ন শহর যেমন- রিয়াদ, জেদ্দা ও মক্কা সফর করেন এবং ওমরাহ পালন করেন। তারপর নিজ দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। তিনি বিশ্ব শান্তির বার্তা ও পরিবেশ সচেতনতায় তরুণ ও শিশুদেরকে উৎসাহিত করেন।
দেশে ফিরেই ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রোটার্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে নাজমুন নাহার দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধির সামনে তার বিশ্ব ভ্রমণের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে বহন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই সম্মেলনে সকল প্রতিনিধিদের সামনে রোটেশিয়ার পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা ‘রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড’- দেয়া হয়।
বন- জঙ্গল, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মরুভূমির লাখ লাখ মাইল একাকী পাড়ি দিয়ে আসা তার বিশ্বভ্রমণের এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করেন এশিয়া থেকে আসা সকল প্রতিনিধিরা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন আয়োজিত 'মিট দ্য সেলিব্রেটি’- সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে আসা তরুণ ডিবেটারদেরকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
মার্কিন ডলারের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এবং বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশি যাত্রীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত? এই ডলার সংকট মোকাবিলা করার কি কোনো উপায় আছে? মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিকল্প উপায় দেখে নেয়া যাক।
কেন আপনার মার্কিন ডলার কেনার বিকল্প মাথায় রাখা উচিত
বিদেশ ভ্রমণ একদিকে যেমন উত্তেজনাপূর্ণ ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে; তেমনি এটি ব্যয়বহুলও। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হল বাংলাদেশি টাকাকে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার খরচ। তবে ভ্রমণকারীরা সাধারণত যে কোনো দেশে যাওয়ার সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখে।
মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেইজ কারেন্সির তোয়াক্কা না করে বিনিময় হারকে উচ্চ করে তুলেছে। তাই ভ্রমণকারীদের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণের উপায়
• ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক কার্ডের (ডলার-সমর্থিত ভিসা/মাস্টারকার্ড) মাধ্যমে ডলার নেয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তারা এই পরামর্শ দিয়েছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামের সঙ্গে বর্তমানে ব্যাংকের ব্যবধান ১০ টাকার বেশি।
আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার অনুমোদন (এনডোর্স) করা সাশ্রয়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতে আপনার প্রতি মার্কিন ডলারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা সাশ্রয় করতে পারে। তবে বর্তমানে নগদ ও কার্ড অনুমোদনের বিনিময় হার একই ১০৬ টাকা (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের একটি খবর অনুযায়ী, খোলা বাজারে তখন ১ ডলার কিনতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ হতো, অন্যদিকে ব্যাংক বা কার্ডের মাধ্যমে ডলার কিনতে ৯৫ টাকা লাগতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিচ্ছি যে তারা তাদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড দিতে অনুরোধ করুন। যাতে তাদের কম টাকা খরচ হয়।’
আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
• আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের স্থানীয় মুদ্রা কিনুন
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা কেনা আপনার বিনিময় খরচ কমাতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হারও বেড়েছে।
তাই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার গন্তব্য দেশের মুদ্রা কেনার খরচ কমছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করেন, বাংলাদেশ থেকে রুপি কিনলে আপনি মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করার চেয়ে বেশি মুদ্রা পেতে পারেন।
• ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করুন
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেট গ্রহণ করে। যেমন- অ্যাপল পে ও গুগল ওয়ালেট। আপনি যদি এই ধরনের লেনদেন চলে এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার মুদ্রাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়বে না। একটি তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি মুদ্রা লোড করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
• বিদেশি এটিএম এর সুবিধা নিন
আপনি যখন অন্য কোনো দেশে থাকেন, তখন এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা, ব্যাংক বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জের দোকানে কারেন্সি কনভার্ট করার চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে। আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে ডলার-সমর্থিত কার্ড থাকে, তাহলে আপনি স্থানীয় এটিএম ব্যবহার করে যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে টাকা তুলতে পারবেন।
তবে, আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে আপনার কার্ড কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশি এটিএম ব্যবহার করার জন্য ফি আছে কিনা তা জেনে নিন।