কৃষি
মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মাংস ও ডিম আমদানি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরুৎসাহিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
কোনো অবস্থাতেই মাংস ও ডিম আমদানি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে আমদানি করলে দেশিয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।’
সোমবার( ১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করার কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করে থাকেন।’
এ ধরণের আমদানির ফলে সংক্রামক রোগ জুনোটিক ডিজিজ দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে বলে সতর্ক করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠারও আগ্রহের কথা জানান তিনি।
তার ভাষ্যে, এ ব্যাংক গঠিত হলে খামারিরা ঋণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে, একদিকে তাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতেও বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
এসময় তিনি গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে টিকা দেওয়ার পরিধি বৃদ্ধির জন্যও কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এছাড়াও ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করবে।’
১ সপ্তাহ আগে
হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে হাওর অঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরণের শিকার নির্মম, অমানবিক, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতি।’
আরও পড়ুন: দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
মৎস্য উপদেষ্টা জানান, বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে। বিদেশি সহায়তা নির্ভর না হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগও গ্রহণ করা হবেও আশ্বাস দেন।
‘সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে। কালচারাল (নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ উৎপাদন) মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করে যাবে।’
এর আগে শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপন করেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে জাদুঘরে পাঠানো হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারের মজুদাগার নির্মাণ করা ছাড়াও সম্ভাব্য বিকল্প স্থানে মজুদাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য বন্ধ ঘোষণা করা বা পরিত্যাক্ত পাট কারখানাগুলোতে সারের মজুদাগার করা হবে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে অফ সিজনে সার কিনে আনা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দু’দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিন বিজ্ঞানি ড. আবেদ চৌধুরি ও বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন বিএজেএফ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু খালিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।
কৃষি সচিব জানান, বিজেএমসির অধীন বন্ধ থাকা পাটকলগুলোকে ন্যায্য দামে লিজ নিয়ে সারের গুদাম তৈরির প্রাথমিক আলোচনা কার্যক্রম চলমান। খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
কৃষি সচিব বলেন, সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে মজুদাগার নির্মাণের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে সামনের দিনে কৃষি খাতে প্রকল্প খাতে এক টাকাও বাড়াতে চাই না। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে ভারসাম্য আনা হবে। এখন দেশে সার নাই এই কথা কেউ বলতে পারবে না। দামের কিছুটা তারতম্য হচ্ছে, সেটিও ঠিক করা হবে। কৃষককের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা করা হবে।
অপ্রয়োজনীয় ধানের জাত উদ্ভাবন থামানো হচ্ছে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, বীজ উদ্ভাবনের চেয়ে মাঠে যেসব জনপ্রিয় বীজ রয়েছে সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেসব বীজ কৃষককে লাভ দিচ্ছে সেগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব জাত মাঠে কাজ করে না সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। শুধু শুধু জাতের সংখ্যা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুইদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক ঘণ্টার আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন তিনি। এদিন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
রাজধানীর পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে খাদ্য ও কৃষি সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও সরকারের নীতি কৌশল, কৃষি সাংবাদিকতায় তথ্যের চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষি, কৃষি সাংবাদিকতায় ডিজিটাল মিডিয়া, কৃষি ও পরিবেশ সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত, কৃষি সাংবাদিকতায় ফ্যাক্ট চেকিং, কৃষি, খাদ্য ও জলবায়ু বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ের ওপর দুইদিনের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৪ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ, রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থাও
ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা এখন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মালঞ্চা অরেঞ্জ ভ্যালিতে পাওয়া যাচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে দার্জিলিং জাতের কমলা উৎপাদন করে দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এলাকার আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল নামে এক বাগান মালিক। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন দর্শণার্থীদের জন্য ঘুরাফেরার মনোরম পরিবেশ।
গত ২০ নভেম্বর দর্শণার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়।
মালঞ্চা গ্রামের আড়াই বিঘা জমির ওপর ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল। বাগানটিতে আড়াইশোর মতো কমলাগাছ রয়েছে। তার এ বাগানের গাছে এবার কিছুটা কম কমলা ধরেছে। তবে কমলার আকার অন্যবারের চেয়ে বড়।
অরেঞ্জ ভ্যালিতে গিয়ে দেখা যায়, গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট-বড় কমলা। কমলার ভারে হেলে পড়েছে গাছের ডালপালা। কমলার পাশাপাশি এবার সেখানে চাষ করা হয়েছে মাল্টাও। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাল্টার আবাদ করা হলেও সবখানেই দেখা গেছে সবুজ রংয়ের কিন্তু এখানকার মালটাও কমলা ও সবুজ রঙের। সবুজ রঙের মাল্টাগুলো কিছুটা টক হলেও হলুদ জাতের এই মাল্টাগুলো দারুণ মিষ্টি। নয়নাভিরাম এ কমলা বাগান দেখতে প্রথম দিন থেকেই দেখা মিলছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীর।
মিষ্টি ও রসালো এ কমলা ও মাল্টা বাগানেই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। তবে বাগান মালিক আশা করছেন ফলন কম হলেও দামে এবার তা পুষিয়ে যাবে। বাগান থেকে এবার প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কেজি কমলা বিক্রি হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিক।
বাগান মালিক জুয়েল জানান, আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার কমলা ও মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি জানান, গত ১১ বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা হর্টিকালচার থেকে প্রতিটি চারা ৫ টাকা দরে কিনে রোপণ করেন। যদিও তার এ বাগান করার ইচ্ছা ছিল না। শুধু হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি কমলার চারাগুলো কিনেছিলেন। এখন সেই আড়াইশো গাছ থেকে বার্ষিক প্রায় ৩০ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করছেন তিনি।
উদ্যোক্তা জুয়েল বলেন, ‘আমার বাগানে দার্জিলিং জাতের কমলা ও বারী-৪ জাতের হলুদ রঙের মাল্টা চাষ হয়। এ বাগানের কমলা ও মাল্টা স্বাদে দার্জিলিংয়ের কমলা ও মাল্টার মতো। অর্গানিক পদ্ধতিতে তিনি এ বাগান করেছেন। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। বাগানের কমলা ৪০০ ও মাল্টা ৩০০ গাছ রয়েছে। এবার ১০ হাজার কেজি কমলা ও ৭ হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলাগাছ ৫০ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। এটি অর্থকরী ফসল, যা খুব সহজে ও স্বল্প খরচে উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি এমন বাগান করতে চায়, তাহলে তার পক্ষ থেকে কমলা চাষ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
বাগানে ঘুরতে আসা দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ এলাকার মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সপরিবারের ঘুরতে এসেছি, সত্যিই ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে জুয়েল সাহেব একটি অনন্য উদহারণ সৃষ্টি করছেন। যেমন কমলাগুলো দেখতে সুন্দর, তেমনি রসালো, সুস্বাদু ও মিষ্টি।’
কড়া নিরাপত্তাসহ বাগানে প্রবেশের জন্য ৪০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। বাগানের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি দর্শণার্থীরা যাতে ক্লান্তি দূর করতে পারেন, সেজন্য এবার বাগানে ক্যাফে যুক্ত করা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্লেজোন। রয়েছে গাছ দিয়ে সাজানো অসংখ্য সেলফি বুথ।
২ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ-রসুন বীজের সংকট, মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা কৃষকরা
সিরাজগঞ্জে মৌসুমি পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নানা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কৃষকরা। তবে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের সংকট ও দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এতে পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও রসুনের ৯০০ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই কৃষকেরা লাভজনক পেঁয়াজ রসুন চাষাবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এর বীজ সংকট ও মূল্য বাড়তে থাকায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও বাজারে এসব বীজের সংকটও রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি এ চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বীজের দাম বেশি থাকায় এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ১ বিঘা জমিতে রসুন চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ চাষাবাদে বীজের দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
তারা বলছেন, ভরা মৌসুমে এ দুই ফসলের বীজের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মুহাম্মদ আহসান শহিদ সরকার বলেন, ‘এ চাষাবাদে উৎসাহিত করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বীজ সংকটের বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা লাভবান হবে। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২ মাস আগে
এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণে গৃহীত স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্টে (এসএটিইপি) যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
প্রকল্পটির আওতায় বাকৃবি ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, শনিবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির আওতায় অনুষ্ঠিত কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালায় ওই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এসময় বাকৃবির সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ৬৩ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকরা নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
উপাচার্য বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষিপ্রধান ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি, সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল হাসেম, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জনাব নাসের আহমেদ।
প্রকল্পটির অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
৩ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা-খরায় পাটে ক্ষতি ৫৬ কোটি টাকা
খরা,অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কুড়িগ্রামের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে পাট, আমন বীজতলা,শাক সবজি ও আউশসহ বিভিন্ন ফসলের হাজার হাজার হেক্টর জমির আবাদ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের পাটের আবাদ। তথ্যমতে জেলায় এবার কৃষিতে ১০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতির পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে পাটে।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও জিঞ্জিরাম এই পাঁচ আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ১৬ নদ নদীর জেলা কুড়িগ্রাম। যার ফলে বন্যাসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে লেগেই থাকে। এ বছর এপ্রিল ও মে মাসে বৃষ্টি হয়নি। খরার তীব্রতাও ছিল বেশি। এরপর পুরো জুন মাস ধরে অতিবৃষ্টি হয়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ১০০ মিলিমিটার বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। পরের মাস জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে বন্যা। দুই সপ্তাহ ধরে বন্যা চললেও এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল থেকে পুরোপুরি পানি নেমে যায়নি।
আরও পড়ুন: খরায় পুড়ছে আম, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সোনালি আঁশখ্যাত পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও খরার কারণে তা অর্জিত হয়নি। আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে। এরপর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কারণে বিচ্ছিন্ন যাত্রাপুর এবং ধরলা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানিতে ডুবে থাকায় অনেক জমির পাট গাছ মরে গেছে। চাষিরা সেই পাট গাছ কেটে এনে পাটখড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুকাচ্ছেন। কিছু কিছু চাষি পাট জাগ দিয়ে ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে যেসব ক্ষেত থেকে পাট পাওয়া গেছে তার উৎপাদন ও মান ভালো হয়নি। ফলে লাভ তো দূরে থাক, আবাদ খরচ তোলা নিয়ে দুঃশ্চিতায় পড়েছেন পাটচাষিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের ঘন শ্যামপুর এলাকার রহিমুদ্দিন নামের একজন কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পাট কাটা যেত। এর মধ্যে বন্যায় পাট তলিয়ে সব গাছ মরে গেছে। এখন খড়ি করা ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই পাট কেটে খড়ি হিসেবে শুকাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, জেলায় এবার ২১ হাজার ৩৪৬ জন কৃষকের ১০ হাজার ২৪০ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৬ কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিম্নাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেরিতে নামলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি ধান: উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতি ও সম্ভাবনা
৬ মাস আগে
ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি ধান: উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতি ও সম্ভাবনা
বৃষ্টির মৌসুমে বন্যা সমস্যার অন্যতম প্রধান শিকার হয় দেশের শস্যখেতগুলো। বিশেষ করে ধানখেতের বিনষ্ট মোটা দাগে দেশকে খাদ্য ঘাটতি ও কৃষিভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। প্রতি বছর প্রধান খাদ্যশস্যের ওপর এই চাপ প্রশমনে এক যুগান্তকারী উপায় হতে পারে পঞ্চব্রীহি ধান। অভিনব এই ধানের উৎপাদন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন অস্ট্রেলিয়া নিবাসী বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ ডক্টর আবেদ চৌধুরী। ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ধানের এই জাতটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠতে সক্ষম। জাতটির এক রোপণেই ৫ বার ফলন পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমজুড়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
চলুন, পঞ্চব্রীহি ধানের উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতি ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পঞ্চব্রীহি ধান: এক রোপণে ৫ ফলন
‘পঞ্চ’ মানে ৫, আর ‘ব্রীহি’ অর্থ ধান। একবার রোপণে একই শস্য থেকে বছরের ভিন্ন মৌসুমে মোট ৫ বার ফলনের কারণে ধানের নাম হয়েছে পঞ্চব্রীহি। ধান উৎপাদনের এই নতুন পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন অস্ট্রেলিয়া নিবাসী বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ ডক্টর আবেদ চৌধুরী। ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের এক সেমিনারের মাধ্যমে তিনি এই উদ্ভাবনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তার এই পদ্ধতিতে প্রথমবার ফসল তোলার পরে ধান গাছ সম্পূর্ণ না কেটে আরও চারবার ফলন পাওয়া যায়।
পঞ্চব্রীহি ধানের সুবিধা
ধান গাছের সাধারণত একবার ফলন পর্যন্ত আয়ু থাকে। কিন্তু এই ধান প্রথমবার ফসল তোলার পর ৪ বার পর্যন্ত বাড়তে পারে। যে কোনো ঋতুতে বৃদ্ধি পাওয়া এই শস্য প্রায় সারা বছর ধান দিতে পারায় এটি বর্ষজীবীর কাতারেও পড়ে।
আরও পড়ুন: প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
সাধারণ ধানের ক্ষেত্রে বোরো কাঁটার পরে আউশ রোপণ করা হয়। তারপর আউশের মৌসুমে ফসল তুলে ধরা হয় আমন। এভাবে প্রতিবার চাষের সময় জমি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, ও নাইট্রাস অক্সাইডের মতো দূষিত গ্যাস নিঃসরণ হয়। কিন্তু পঞ্চব্রীহির ক্ষেত্রে এক চাষেই ৫ বার ফলন পাওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রা ৮০ ভাগ হ্রাস পায়।
চাষাবাদ অন্যান্য ধানগুলোর মতো সহজ হওয়ায় সামগ্রিক খরচও অনেকটা কম হয়।
উদ্ভাবনের নেপথ্যের গবেষণা
পূর্বে ডক্টর আবেদ চৌধুরী তার পিএইচডি গবেষণাকালে ‘রেকডি’ নামক একটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন। এই উদ্ভাবন ৮০’র দশকে ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছিল। তার উদ্ভাবিত ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধক রঙিন ভুট্টা বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার অধীনে একদল বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত গবেষকদলের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
ধান গবেষণার জন্য ডক্টর আবেদ চৌধুরী বেঁছে নিয়েছিলেন নিজের জন্মস্থান সিলেটের মৌলভীবাজার জেলা। সেখানকার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামে প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি ধান নিয়ে গবেষণা করেন। শুরুটা হয়েছিল ২০১০ সালে ২৫ বর্গমিটার জমিতে ২০টি ধানের জাত নিয়ে। এগুলোর মধ্যে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি ছিল ফিলিপাইন ও চীন সহ বিভিন্ন দেশের কয়েকটি ধান।
তার গবেষণার সহযোগী ছিল গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত ও নিরক্ষর কৃষকগণ, যারা মাঠপর্যায়ের গবেষণায় পুরোটা সময় পরিশ্রম করেছে।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
কোনো রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ছাড়াই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধানের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে হাইব্রিড ঘটানো হয়। অতঃপর যে জাতগুলোর ধান পেঁকে যাওয়ার পর কাটা হলে আবার ধানের শীষ বের হয়, সেগুলোকে আলাদা করা হয়। এভাবে বেশ সুক্ষ্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয় মোট ১২টি জাত।
এরপর টানা ৩ বছর চলে চাষাবাদ। এখানে দেখা যায় জাতগুলোর প্রত্যেকটিই দ্বিতীয়বার ফলন দিচ্ছে। একই গাছে তৃতীয়বার ফলনের চেষ্টা করা হলে সেটিও সফলতা পায়। পরিশেষে ৪টি জাত বাদে বাকি সবগুলো চতুর্থবার ফলন দেওয়া পর্যন্ত টিকে থাকে।
অতঃপর গবেষণালব্ধ এই ৪টি জাতের ওপর আলাদাভাবে মনোন্নিবেশ করে আরও সুক্ষ্মভাবে গবেষণা শুরু হয়। ২০২১ সালে জানুয়ারিতে ২ বিঘা পরিমাণ জমিতে রোপণ করা হয় বোরো ধানের এই ৪টি জাত। উপযুক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগের পাশাপাশি নেওয়া হয় সঠিক সেচ ও পরিচর্যা। এর ফলে ১১০ দিনের মধ্যে ফসল চলে আসে ৮৫ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার গাছে। পরে পরিকল্পনামাফিক মাটি থেকে ঠিক ৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ধান কেটে সংগ্রহ করা হয়।
সে বছর মে মাসের প্রথম দিকে প্রথম পর্যায়ে কাটা ধানে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয় ৪ টন। তারপর থেকে ৪৫ দিন পর পর প্রতি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি ফলন আসে ২ থেকে ৩ টন। সব মিলিয়ে জাতগুলো থেকে হেক্টরপ্রতি প্রায় ১৬ টন ফসল পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: মিয়াজাকি বা সূর্যডিম আম কেন এত দামি
পঞ্চব্রীহি ধান চাষের পদ্ধতি
বছরের যে কোনো সময়ে রোপণ করা যায় এ ধান। চারাগুলো রোপণ করতে হয় পরস্পরের থেকে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে। এতে করে প্রত্যেকটি গাছ মাটি থেকে সমান শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে।
বছরের প্রথমে বোরোর মৌসুমে এ ধান পাঁকতে ১১০ দিন সময় নেয়। অন্যান্য ধানের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রথমবার ধান কাটার পরে জমিকে আবার প্রথম থেকে প্রস্তুত করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ এমনকি গোটা মাস খালি রাখার পর জমিতে আউশ বা আমন লাগানো যায়। কিন্তু এখানে ঐ বোরোর গাছ থেকেই ৪৫ দিন অন্তর অন্তর ২ বার আউশ এবং সবশেষে ২ বার আমন ধান পাওয়া যায়। প্রথমবারের তুলনায় পরের ফলনগুলোতে উৎপাদন কিছুটা কম হলেও ৫ বারের ফলন মিলিয়ে মোট উৎপাদন প্রায় ৫ গুণ বেশি হয়।
ধানের বীজ সংগ্রহের সময় পৃথক কোনো প্রক্রিয়া নেই। অন্যান্য ধানের মতো কৃষকরা নিজেরাই বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। অন্য ধানের মতো একই ভাবে চারা তোলার আগে বীজতলায় রোপণ করতে হয়।
নির্দিষ্ট পরিমাপে ধান কেটে নেওয়ার পর মোড়া অংশগুলোতে থাকা লতাপাতা ও ঘাস ছেটে সার দিতে হয়। পোকামাকড় ধরলে অন্য ধানের মতোই সামান্য কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। খুব শক্ত ধান পঞ্চব্রীহির বেড়ে ওঠার জন্য পরিচর্যার এটুকুই যথেষ্ট। কেননা ঝড়-বৃষ্টি ও বন্যা এই গাছ নষ্ট করতে পারে না।
আরও পড়ুন: জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
নতুন উদ্ভাবিত এই ধানের সম্ভাবনা
হেক্টর প্রতি ২০ টন উৎপাদন করা সম্ভব এই নতুন ধান। কিন্তু তার জন্য দেশের প্রতিটি কৃষকের জন্য এই ধান সহজলভ্য হতে হবে।
ডক্টর আবেদ চৌধুরীর মতে, এ নতুন ধান চাষ পদ্ধতি সারা দেশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে আগামী ৫০ বছর দেশবাসীর খাদ্যের যোগান নিয়ে আর চিন্তার অবকাশ থাকবে না। এই চাষ একদিকে যেমন সময় বাঁচায়, অন্যদিকে অর্থের দিক থেকেও সাশ্রয়ী।
পঞ্চব্রীহি নিয়ে এখনও গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। এই জাত থেকে শুধু ৫ বার নয়, ভবিষ্যতে ১৫ বা ২০ বারও ধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডক্টর আবেদ।
ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদনক্রমে বীজগুলো বিনামূল্যে দেশের ৮৭ হাজার গ্রামে সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. আবেদ। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকগণ নতুন এই চাষাবাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ হবেন।
শেষাংশ
প্রতি বছর বন্যা প্রবণ দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্যসংকটের একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে পঞ্চব্রীহি ধান। একবার রোপণ করে ৫ বার ফলনে কমে যাবে কৃষকদের সময়, শ্রম ও খরচ। মাঠ পর্যায়ে ঘন ঘন চাষাবাদের পাশাপাশি উত্তরোত্তর গবেষণা নতুন ধান উৎপাদন পদ্ধতিটিকে আরও বিকশিত করে তুলতে পারে। এর নিরিখে কৃষি ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করতে পারে ডক্টর আবেদের সৃষ্টি করা মাইলফলক।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি। বরং উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন আমরা অনায়াসে ৫-৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারি, সে অবস্থা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুধু পলিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় ৪ কোটি টনের মধ্যে ৩ শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পলিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল ৫ দফা পলিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পলিশ করলেও ৫-৭ লাখ টন চাল বাড়বে।’
তিনি বলেন, দফায় দফায় পলিশ করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি সবকিছু মিলে প্রতি কেজিতে প্রায় ৪ টাকা। যে ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এ পলিশ বন্ধ করছি। মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পলিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সকলের প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চে 'বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল এবং মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ও নেতৃত্বে দিচ্ছে। কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষিখাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।’
আরও পড়ুন: খরায় পুড়ছে আম, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের কৃষিখাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: মাহমুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
৯ মাস আগে