আবহাওয়া
সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে এ পূর্বাভাস জানানো হয়।
এছাড়াও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টায় একিউআই সূচকে ৫২ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৫৮তম স্থানে আছে বাংলাদেশের জনবহুল এই রাজধানী।
এদিকে উগান্ডার কাম্পালা, ইন্দোনেশিয়ার মেদান ও জাকার্তা যথাক্রমে ১৬৯, ১৬৩ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক প্রতিদিনের বাতাসের মানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। একটি শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত এবং কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে সেটি এই সূচকে তুলে ধরা হয়।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বেড়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সর্বকালের উষ্ণতম দিনের রেকর্ড ভেঙেছে ২২ জুলাই
বৃহস্পতিবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
রাজধানীর বাতাসের মান বিগত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালেও 'মাঝারি' পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দেখা যায়, ৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা ৩৯তম স্থানে রয়েছে।
যথাক্রমে ৩১৪, ১৫৮ ও ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ তিন দূষিত শহর হলো ইরাকের বাগদাদ, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: বিএমডি
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে দেশের সর্বোচ্চ ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
এদিকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি রয়েছে। মৌসুমি বায়ু অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্র হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বুধবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’
ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
২৪ জুলাই সকাল ১১টা ২০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দেখা যায়, একিউআই স্কোর ৬৫ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ৩২তম অবস্থানে।
১৮৭, ১৬৩ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে যথাক্রমে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা, পাকিস্তানের লাহোর ও মিসরের কায়রো সিটি।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টা ২ মিনিটে একিউআই স্কোর ৭৯ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২২তম।
উগান্ডার কাম্পালা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৬৯, ১৬০ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করে আছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে।
সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ৬৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির স্থান ৩০তম।
পাকিস্তানের লাহোর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা যথাক্রমে ১৯৭, ১৭৩ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ তিন স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: বিএমডি
ঢাকা বিভাগসহ সব বিভাগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাত বাড়ার পূর্বাভাস
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় দেশের সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আর গতকাল ও আজকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৬ ও ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে রাজশাহী ও বান্দরবনে।
এদিকে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাত বাড়ার পূর্বাভাস
গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলা বৃষ্টিপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে সারা দেশেই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে সোমবার রাত একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।