শোক
জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া পিন্টু হাসপাতালে মারা গেছেন জানতে পেরে আমি মর্মাহত ও শোকাহত।
ইউনূস বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সরকারের জন্য অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন সংগ্রহের জন্য ভারতজুড়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি যখন মাঠে খেলতেন না, তখনও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মুখ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হন। কিংবদন্তি এ খেলোয়াড় সেন্ট্রাল ব্যাক পজিশনে খেলতেন, একইসঙ্গে তিনি লাল-সবুজ জার্সিতে একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার ছিলেন। দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষ করার পর দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন একজন পুরোদস্তুর স্পোর্টসম্যান।’
প্রধান উপদেষ্টা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং ক্রীড়া অঙ্গনের সংশ্লিষ্টজন, যাদের কাছে জাকারিয়া পিন্টু একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি ছিলেন তাদের সকলের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
২ দিন আগে
মেহেরপুরে বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান মারা গেছেন
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান (৭১) মারা গেছেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে তার বাসভবনে মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ নিচ্ছলেন।
আরও পড়ুন: গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুর রশিদ আর নেই
আব্দুর রহমান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। মেহেরপুরের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এমপি আহমেদ আলীর হাত ধরে তিনি দলের রাজনীতিতে আসেন। ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান (বর্তমানে মেয়র পদ) নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
১ সপ্তাহ আগে
গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুর রশিদ আর নেই
গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ মারা গেছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৪টায় ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক আব্দুর রশিদের ছেলে সাহেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাবা ঢাকাতে আমার বোনের বাসায় বছর খানেক ধরে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্ট ছিলেন তিনি। বুধবার ভোর ৪টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় গাংনী উপজেলার নিজ গ্রাম বানিয়াপুকুরে নামাজে জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
অধ্যাপক আব্দুর রশিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। পরে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন।
অদ্যাপক আব্দুর রশিদ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ছড়া, কবিতা, গল্প লিখতেন।
তার লেখা "অগ্নি যুগের অগ্নি সেনা, বিপ্লবীদের বীর গাঁথা" গ্রন্থটি পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
৩ সপ্তাহ আগে
সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবা তালেব উদ্দিন মারা গেছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত কয়েকদিন ধরে তালেব উদ্দিন শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ ডায়াবেটিস সমস্যা নিয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
তালেব উদ্দিন রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আগামীকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রংপুরের লালবাগ বাজার জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দর্শনা মোড়ে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
৩ সপ্তাহ আগে
বাসসের প্রধান প্রতিবেদক মুরসালিনের মা আর নেই
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান প্রতিবেদক মুরসালিন নোমানীর মা তহুরা বেগম তৃপ্তি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
স্বামী, তিন ছেলে, নাতি ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তিনি কিডনি-ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেন তহুরা বেগম।
চৌগাছার গরিবপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক নোমানীর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তহুরা বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইল জেলা আ. লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক মারা গেছেন
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক (৮০) আর নেই।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাস ভবনে শহরের থানা পাড়ায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ফজলুর রহমান ফারুক ১২ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। তার স্ত্রী মৃত সুরাইয়া বেগম। তিনি এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলার মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর রহমান খান ফারুক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পরে শনিবার সকালে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানতে জড়ো হন। তবে আওয়ামী লীগের দুযেকজন নেতা-কর্মী ছাড়া তেমন কাউকেই দেখা যায়নি।
ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২১ সালে একুশে পদক দেন।
১ মাস আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার মেয়ে রূপা মঞ্জুরী শ্যাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সুজেয় শ্যাম ক্যান্সার, উচ্চ ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।
তার মেয়ে জানান, গত সেপ্টেম্বরে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর পর তার সংক্রমণ শুরু হয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এ সময় আইসিইউতে শয্যা খালি না থাকায় তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সুজেয় শ্যাম। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানের সুরকার হিসেবে সম্মানিত তিনি।
গানটি ছিল “বিজয় নিশান উড়ছে ঐ”। এটি লিখেছিলেন গীতিকার শহিদুল আমিন এবং কণ্ঠ দিয়েছিলেন অজিত রায়; ১৯৭১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্য তার মোট নয়টি গান গাওয়া হয়েছিল।
তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে "রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি", "রক্ত চাই রক্ত চাই", "আহা ধন্য আমার জন্মভূমি" এবং "আয়রে চাষি মজুর কুলি"।
১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সুজেয় শ্যাম। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
তিনি হাছন রাজা (২০০২), জয়যাত্রা (২০০৪), অবুঝ বউ (২০১০) ও যৈবতী কন্যার মন (২০২১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
১ মাস আগে
প্রবীণ সাংবাদিক হারুন মারা গেছেন
প্রবীণ সাংবাদিক এন এম হারুন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক নাতনি, দুই ভাই ও এক বোন এবং অনেক আপনজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
এন এম হারুন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি তৎকালীন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সি (এনা) সাপ্তাহিক হলিডে, ঢাকা কুরিয়ার, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, অধুনালুপ্ত দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তিনি ছিলেন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সিতে। ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রাক্কালে তিনি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ (মুজিবনর সরকারের প্রধানমন্ত্রী) স্বাক্ষরিত বুলেটিনের সংবাদ প্রচার করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। সর্বশেষে তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকা থেকে অবসর নেন।
তার স্ত্রী বদরুন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার কন্যা নন্দিনী সাবরিনা একজন প্রোকৌশলী। এছাড়া ইংল্যান্ড প্রবাসী সাংবাদিক আবু মুসা হাসান তার ছোট ভাই।
১ মাস আগে
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ২০০৯-২৪ মেয়াদে সংসদ উপনেতা এবং শেরপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
আওয়ামী লীগ শাসনে থাকাকালীন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
১ মাস আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কানাডার ক্যালগেরির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শনিবার যোহরের নামাজের পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য জামাল উদ্দিন।
পরবর্তীতে তিনি টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এই অভিনেতা গত ১৫ বছর ধরে অনিয়মিতভাবে অভিনয় করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
১ মাস আগে