শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কানাডার ক্যালগেরির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শনিবার যোহরের নামাজের পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য জামাল উদ্দিন।
পরবর্তীতে তিনি টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এই অভিনেতা গত ১৫ বছর ধরে অনিয়মিতভাবে অভিনয় করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
২ দিন আগে
বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি আরও বলেন, বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ এক অকৃত্রিম অভিভাবক হারালো। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো।
শনিবার এক বিবৃতিতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি।
মরহুমের রাজনৈতিক ভক্ত ও অনুরাগীদের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, প্রয়াত বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি আজীবন গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। প্রচণ্ড মেধাবী এই মানুষটি এক অনন্য জীবন পেয়েছেন। চিকিৎসা সেবা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা, রাজনীতি এবং সমাজ কর্মে অসামান্য সাফল্যে পেয়েছেন ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
১ সপ্তাহ আগে
নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী: অধ্যাপক ইউনূস
সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান- জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানান প্রধান উপদেষ্টা।
চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সুদীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিটিভিতে তার 'আমার ডাক্তার' অনুষ্ঠানটি কোটি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাজনীতিতেও একই নিষ্ঠা নিয়ে এসেছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা। পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সংসদে তার বক্তব্য সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসনীয় ছিল।’
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
তিনি আরও বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি তার উদারতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ডা. বদরুদ্দোজার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন বি চৌধুরী।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বি চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার মুন্সীগঞ্জের মজিদপুর দায়হাটায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার সকাল ৮টায় উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর বারিধারার ৮ নম্বর রোডের বায়তুল আতিক জামে মসজিদে, রবিবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দায়হাটায় চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
১ সপ্তাহ আগে
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ওমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বি. চৌধুরীকে উত্তরা ওমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেদিন বি. চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তার বাবা আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেস ভুগছিলেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে।
বি. চৌধুরী একজন কৃতি ছাত্র। ১৯৪৭ সালে ঢাকার বিখ্যাত স্কুল সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। সব পরীক্ষাতেই তিনি মেধা তালিকায় ছিলেন।
বি. চৌধুরী যুক্তরাজ্যের তিনটি রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে নির্বাচিত ফেলো-এফ.আর.সি.পি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফ.সি.পি.এস।
তিনি রোগ বিজ্ঞানে দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগ বিজ্ঞান বিষয়ে টিভি অনুষ্ঠানের রেকর্ড অর্জনকারী উপস্থাপক। সফল পার্লামেন্টেরিয়ান বি. চৌধুরী জাতিসংঘে তিন বার বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।
বি. চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বি. চৌধুরী ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তার সহধর্মিনী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী। অধ্যাপক চৌধুরী দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী পেশায় একজন ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক এবং ঢাকার উত্তরা ওমেন মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করেন। একমাত্র ছেলে মাহী. বি. চৌধুরী রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
১ সপ্তাহ আগে
প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিউজ টুডের সাবেক সিটি এডিটর বদিউল আলম।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল
তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাত সাড়ে ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বদিউল আলমকে দাফন করা হবে।
বদিউল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।
এক বিবৃতিতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
২ সপ্তাহ আগে
চলে গেলেন বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল
কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল মারা গেছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে সম্প্রতি তার ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। এতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অঘোর তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি বাংলা দৈনিক পত্রিকা ভোরের কাগজে কাজ করেন, যা সেই সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদপত্র।
দীর্ঘ কর্মজীবনে অঘোরকে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতা শিল্পের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করার পাশাপাশি অঘোর টেলিভিশনেও কাজ করেছেন। তিনি চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভিতে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি এটিএন নিউজের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। অন্যান্য ক্রীড়া সাংবাদিকরাও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আঘোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আরেক প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক ও আঘোরের বন্ধু আরিফুর রহমান বাবু তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটি লিখেছিলেন, 'আমার মনে আছে, অতীত জীবনে কোনো এক বিদায়ী সন্ধ্যায়- আমি এই পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আর তুমি তোমার নৌকা ওপারে ভাসিয়েছিলে।’
আরিফুর হোসেন লেখেন, 'আমার মন দুঃখে ভরে গেছে। অঘোর মণ্ডল চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’
আরও পড়ুন: ডিআরইউর সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন আর নেই, বনানী কবরস্থানে দাফন
২ সপ্তাহ আগে
লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারওয়ার নির্জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আমার সব সহকর্মীর প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই।’
মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
শোকবার্তায় ড. ইউনূস বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সেনাবাহিনীর এই তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তা জনগণকে রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার আত্মত্যাগ দেশপ্রেমের আদর্শের নজির হিসেবে তার এ আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্জনের মৃত্যু এমন এক সময়ে হলো যখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় দেশব্যাপী জনমানুষের নিরাপত্তায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় তার এ অকাল মৃত্যু শুধু সেনাবাহিনীর জন্য নয় বরং দেশের জন্যও এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় মাতৃভূমির প্রয়োজনে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের এই মহান আত্মত্যাগ একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সংকল্পবদ্ধ হয়ে আত্মনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অভিযানে সেনা কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
২ সপ্তাহ আগে
ডিআরইউর সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন আর নেই, বনানী কবরস্থানে দাফন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি ও রেডিও বাংলাদেশের সংবাদপ্রবাহ গ্রন্থণাকার আজমল হোসেন খাদেম আর নেই।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ইম্পালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর বনানী মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান
জানাজা শেষে ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ আজমল হোসেন খাদেমের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৪৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি তিন মেয়ে, জামাতা নাতি-নাতনি আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
দীর্ঘদিন বাংলার বাণী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। পাশাপাশি রেডিও বাংলাদেশের সংবাদ পর্যালোচনা ভিত্তিক কথিকা ‘সংবাদ প্রবাহ’ গ্রন্থণা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের স্থায়ী সদস্য ছিলেন। এছাড়া রাত ৯টায় প্রচারিত সংবাদ প্রবাহ অনুষ্ঠানটি ছিল আশির দশকের জনপ্রিয় সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল মারা গেছেন
৩ সপ্তাহ আগে
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খানকে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের বায়তুন নূর জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আগামী সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর ৬ নম্বর সেক্টরের রোড-৩-এর ২২ নম্বর বাড়িতে আমানউল্লাহ খানের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকাল ৫টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তিনি স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা যা, ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশ করে।
পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন।
খান কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সিস, এশিয়ানেট, ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট এবং এশিয়ান মিডিয়া ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের মতো প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আধুনিকের (জাতীয় ধূমপানবিরোধী সংস্থা) সম্মানিত সদস্য এবং সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই
১ মাস আগে
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ হারুন জুয়েলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, তরুণ লেখক ও গবেষক আবদুল্লাহ হারুন জুয়েলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
জুয়েল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর বিষয়ক উপকমিটির সদস্যও ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ ভোরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় মারা যান আবদুল্লাহ হারুন জুয়েল (৪৮)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।আরও পড়ুন: হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ মাস আগে