শোক
শিল্পপতি সৈয়দ মনজুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ছিলেন। দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার একান্ত পরিশ্রমে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।’
১৯৯৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
দায়িত্ব পালনকালে তার দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংগঠক হিসেবেও তার অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে সকলের শ্রদ্ধাভাজন, দেশপ্রেমিক শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক জানাই। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
১৬ ঘণ্টা আগে
অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় আজ বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা যান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের মৃত্যুতে সিজেএফডির শোক
বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন এই খাতের সফল ব্যবসায়ী। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে তার প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স।
১৯৭২ সালে ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
১৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নোমানের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানকে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাউজানে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
জানাজায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানের লাশ। সেখানে চট্টগ্রামের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আবদুল্লাহ আল নোমানের তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।
১২ দিন আগে
লালমনিরহাটে বাসচাপায় চাচা-ভাতিজি নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চাচা-ভাতিজি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদিতমারী উপজেলার স্বর্ণামতি সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর।
নিহতরা হলেন— চাচা রমজান আলী (৪৫) ও ভাতিজি খাদিজাতুল কোবরাকে(২৬)। তারা কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে লালমনিরহাট যাচ্ছিলেন তারা।
এ সময় বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা নাবিলা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মোটরসাইকেলটির। এতে ঘটনাস্থলেই চাচা রমজান আলী নিহত হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয় ভাতিজিও।
ওসি আলী আকবর বলেন, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
১২ দিন আগে
সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের মৃত্যুতে সিজেএফডির শোক
ঢাকার চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সংগঠন চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম-ঢাকার (সিজেএফডি) সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এটিএম মোস্তফা কাজল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন তিনি।
মোস্তফা কাজলের মৃত্যুতে সিজেএফডি কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মুজিব মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম রোকন।
সাংবাদিক মোস্তফা কাজল ২০১৪ সালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আপ্যায়ন সম্পাদক ও ২০২০-২১ সালে বিটভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)’-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) স্থায়ী সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
১৯৯৬ সালে আজকের কাগজ পত্রিকা দিয়ে মোস্তফা কাজলের সাংবাদিকতা শুরু। পরে দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক ভোরের ডাকে কাজ করেন।
সিজেএফডি নেতারা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৪ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
রাজশাহীতে কর্মরত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা আক্তার আর নেই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চারদিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার (১৮ ফব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়নপুর গ্রামে। তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি একমাত্র মেয়ে। মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। তার সাংবাদিকতা যাত্রা শুরু ২০১৪ সাল থেকে।
এখন টিভির রাজশাহী অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার রাকিবুল হাসান রাজিব বলেন, গেল শুক্রবার বিকালে মাসুমা স্বামীর সঙ্গে কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। কুমিল্লায় বাস থেকে নেমে সিএনজির সঙ্গে ভাড়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন তারা। এ সময় একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তারা দুইজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন মাসুমা।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমা আক্তার ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো অফিসে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে।
তিনি আরও জানান, পড়ালেখা শেষে রাজশাহীর বাংলার জনপদ নামের একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন তিনি। পরে এখন টিভি দিয়ে তার টেলিভিশন ক্যারিয়ারের সূচনা হয়।
তরুণ এই সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা শোক জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
২২ দিন আগে
সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গেল সপ্তাহ থেকেই তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। গত জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলার বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকার
ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
তার গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো—‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।
তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।’
২৫ দিন আগে
সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অর্ন্তবর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক শোক বার্তায় আইন উপদেষ্টা এই শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায়, তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান উপদেষ্টা।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
তিনি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের পঞ্চম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই বিচারপতি।
৩১ দিন আগে
সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
তিনি রাজধানীর মগবাজারে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে আইসিওতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ বাদ আছর রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাযা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাইস্কুলে মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৩১ দিন আগে
প্রয়াত সভাপতি কুদ্দুসের স্মরণে বিজিএমইএতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল
দেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি, তৈরী পোশাক শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এবং ড্রাগন গ্রুপ, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্মরণে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে বিজিএমইএ অডিটোরিয়ামে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন; সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রেদোয়ান আহমেদ, এস এম ফজলুল হক, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), ফারুক হাসান ও খন্দকার রফিকুল ইসলাম; বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দুই প্যানেল নেতা আবুল কালাম ও মাহমুদ হাসান খান (বাবু) এবং প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মোস্তফা কিউ সুবহান (রুবেল) ও মেয়ে তাসনিয়া কামরান আনিকা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
শোকসভায় প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি তারা প্রয়াত নেতার জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে পোশাক শিল্পের কল্যাণে তিনি যেভাবে শিল্পকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন, গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেসব স্মরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তার পেছনে রয়েছে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অসামান্য অবদান। বিশেষ করে তারই হাত ধরে এ দেশে সুয়েটার শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, লাখো লাখো মুনুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
শুধু তাই নয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শিশুশ্রম-সংক্রান্ত হারকিন বিলস মোকাবিলায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং ‘আর্ন অ্যান্ড লার্ন’ কার্যক্রম চালু করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী বহুল প্রশংসিত।
বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্মরণে শোকসভা আয়োজনের জন্য সম্মিলিত পরিষদকে এবং এ শোকসভায় অংশগ্রণের জন্য ফোরামের নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, সোয়েটার শিল্পের পথিকৃত হিসেবে বিজিএমইএ তাকে (মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস) চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
৩৬ দিন আগে