শোক
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
রাজশাহীতে কর্মরত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা আক্তার আর নেই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চারদিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার (১৮ ফব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়নপুর গ্রামে। তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি একমাত্র মেয়ে। মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। তার সাংবাদিকতা যাত্রা শুরু ২০১৪ সাল থেকে।
এখন টিভির রাজশাহী অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার রাকিবুল হাসান রাজিব বলেন, গেল শুক্রবার বিকালে মাসুমা স্বামীর সঙ্গে কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। কুমিল্লায় বাস থেকে নেমে সিএনজির সঙ্গে ভাড়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন তারা। এ সময় একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তারা দুইজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন মাসুমা।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমা আক্তার ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো অফিসে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে।
তিনি আরও জানান, পড়ালেখা শেষে রাজশাহীর বাংলার জনপদ নামের একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন তিনি। পরে এখন টিভি দিয়ে তার টেলিভিশন ক্যারিয়ারের সূচনা হয়।
তরুণ এই সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা শোক জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গেল সপ্তাহ থেকেই তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। গত জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলার বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকার
ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
তার গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো—‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।
তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।’
২ দিন আগে
সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অর্ন্তবর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক শোক বার্তায় আইন উপদেষ্টা এই শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায়, তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান উপদেষ্টা।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
তিনি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের পঞ্চম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই বিচারপতি।
১ সপ্তাহ আগে
সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
তিনি রাজধানীর মগবাজারে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে আইসিওতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ বাদ আছর রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাযা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাইস্কুলে মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
১ সপ্তাহ আগে
প্রয়াত সভাপতি কুদ্দুসের স্মরণে বিজিএমইএতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল
দেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি, তৈরী পোশাক শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এবং ড্রাগন গ্রুপ, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্মরণে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে বিজিএমইএ অডিটোরিয়ামে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন; সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রেদোয়ান আহমেদ, এস এম ফজলুল হক, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), ফারুক হাসান ও খন্দকার রফিকুল ইসলাম; বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দুই প্যানেল নেতা আবুল কালাম ও মাহমুদ হাসান খান (বাবু) এবং প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মোস্তফা কিউ সুবহান (রুবেল) ও মেয়ে তাসনিয়া কামরান আনিকা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
শোকসভায় প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি তারা প্রয়াত নেতার জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে পোশাক শিল্পের কল্যাণে তিনি যেভাবে শিল্পকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন, গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেসব স্মরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তার পেছনে রয়েছে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অসামান্য অবদান। বিশেষ করে তারই হাত ধরে এ দেশে সুয়েটার শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, লাখো লাখো মুনুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
শুধু তাই নয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শিশুশ্রম-সংক্রান্ত হারকিন বিলস মোকাবিলায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং ‘আর্ন অ্যান্ড লার্ন’ কার্যক্রম চালু করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী বহুল প্রশংসিত।
বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্মরণে শোকসভা আয়োজনের জন্য সম্মিলিত পরিষদকে এবং এ শোকসভায় অংশগ্রণের জন্য ফোরামের নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, সোয়েটার শিল্পের পথিকৃত হিসেবে বিজিএমইএ তাকে (মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস) চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
১ সপ্তাহ আগে
সাবেক সচিব ইনাম আহমদ চৌধুরী আর নেই
বাংলাদেশের সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) বিকালের দিকে ঢাকার বনানীতে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ছেলে নাদিম আহমদ চৌধুরী জানান, তার বাবা সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বনানীর বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, তার বোন ও স্বজনরা বিদেশে রয়েছেন। তাদের দেশে ফেরার পর ৬ ফেব্রুয়ারি ইনাম চৌধুরীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।
অর্থনীতির ছাত্র ইনাম আহমদ চৌধুরী ১৯৬০ সালে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে যোগদান করেন। বাংলাদেশ আমলে সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
ইনাম আহমদ চৌধুরী ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী।২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।
ইনাম আহমদ চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ২৯ জুন সিলেটের গোলাপগঞ্জের বারোকোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গিয়াসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও মা রফিকুন্নেছা খাতুন চৌধুরী। তার বাবা ঢাকার কমিশনার ছিলেন।
ইনাম তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আসামের শিলংয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫২-৫৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি থাকাকালে শহীদ মিনার নির্মাণ ও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতাও তার রয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ'র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) এক শোক বার্তায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাব পেয়েছেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন কে এম সফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার অবদান আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ তার বীরগাঁথা আজীবন চিরকৃতজ্ঞে স্মরণ করবে, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর আত্মার মাগফেরাত ও পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু, ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩ সপ্তাহ আগে
ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক লোটাসের শ্বশুর আর নেই
ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক মো. রেজাউল করিম লোটাসের শ্বশুর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকে নিজ পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা, এক পুত্র ও পাঁচজন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামে।
মরহুমের নামাজে জানাজা বসুন্ধরা আবাসিকের সি ব্লক মসজিদে মাগরিবের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল পিরোজপুরের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
এর আগে গত বছরের ৭ জানুয়ারি তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা মৃত্যুবরণ করেন।
১ মাস আগে
গয়েশ্বর রায়ের স্ত্রী মারা গেছেন
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা রায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
তার পুত্রবধূ ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, তার শাশুড়ি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, দুই মেয়ে, এক ছেলে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে গয়েশ্বরের স্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পৃথক শোকবার্তায় তারা ঝর্ণার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের এমডি রফিকুল ইসলাম আর নেই
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিটিভির সংবাদ পাঠক সালেহ আকরাম আর নেই
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সন্তান রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীব বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর ১৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৯ সালে তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। সর্বশেষ গত জুলাই থেকে বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
১ মাস আগে