অর্থনীতি
সেরা ৫২৫ করদাতা নির্বাচন করেছে এনবিআর
কর প্রদানে উৎসাহিত করতে জাতীয় পর্যায়ে র্যাঙ্কিয়ের পর সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে মোট ৫২৫ জন সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১১টি সিটি করপোরেশনে ৭৭ জন এবং ৬৪টি জেলায় সর্বোচ্চ আয়করদাতা ও দীর্ঘমেয়াদী আয়করদাতা ক্যাটাগরিতে ৪৪৮ জনকে নির্বাচিত করেছে।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত আয় বিবেচনায় করদাতার সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এর মধ্যে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও জেলা থেকে দু'জন করে এবং নারী ও যুব ক্যাটাগরিতে একজন সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
করদাতা নীতিমালা-২০০৮ এর আওতায় জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘতম 'আয়কর পরিশোধের' বিধান অনুযায়ী সেরা করদাতাদের নাম প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন ১৪১ জন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬ জন, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৩ জন এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১২ জন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২২-২৩ কর বর্ষে সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে সেরা ৫২৫ জন করদাতার নাম চূড়ান্ত করা হয়।
এর মধ্যে প্রতিটি সিটি করপোরেশন এলাকায় সাতজন হারে ৭৭ জন করদাতাকে সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড ও পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সাতজন করে এই কার্ড পাবেন।
আরও পড়ুন: জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আদায় ১৪.৩৬% বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে: এনবিআর
বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আয় বৈষম্য বেড়েছে: ড. বিনায়ক সেন
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেছেন, বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দেশে আয় বৈষম্য বিস্তৃত হয়েছে, যা এই বৈষম্য মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আইসিডিডিআরবি'র ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সেন আরও বলেন, বৈষম্য বাড়ছে- সাধারণভাবে বলতে গেলে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে বৈষম্যের প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
তার মতে, দেশে দরিদ্র ও ধনী উভয়ের অবস্থার উন্নতি হলেও ধনীদের উন্নতির হার বেশি।
২০২২ সালের গৃহস্থালি জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে জাতীয় পর্যায়ে ভোগ বৈষম্যের পরিমাপের গুণাঙ্ক ছিল শূন্য দশমিক ৩৩৪; শহরাঞ্চলে এটি ছিল শূন্য দশমিক ৩৫৬ এবং গ্রামাঞ্চলে শূন্য দশমিক ২৯১।
ড. সেন বলেন,‘যদি বৈষম্য পরিমাপের গুণাঙ্কের মান শূন্য হয় তবে এর অর্থ হলো সমাজে চূড়ান্ত সমতা রয়েছে। আর ১ মানে চূড়ান্ত বৈষম্য আছে; শূন্য দশমিক ৫০ অতিক্রম করা দেশে উচ্চ বৈষম্যকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ দেশে এখন উচ্চ বৈষম্য রয়েছে।’
সেমিনারে 'বাংলাদেশে দারিদ্র্য প্রবণতা ও নির্ধারক: সাম্প্রতিক প্রমাণ থেকে অন্তর্দৃষ্টি' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. সেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তবে গত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আদায় ১৪.৩৬% বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে: এনবিআর
ড. সেন দারিদ্র্যের প্রধান কারণগুলো তুলে ধরেন এবং এটি কাটিয়ে ওঠার জন্য বেশ কয়েকটি নীতিগত প্রস্তাব দেন। স্মার্ট ম্যাক্রোইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট, টেকসই প্রবৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনাকরে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে এসব নীতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন তিনি।
তিনি উপস্থাপনায় তুলে ধরেন যে, সরকারি ব্যয় বাড়লেও কর-জিডিপি অনুপাত কমছে। বিগত ২০০০ থেকে ২০০১ সালে দেশে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর ২০১-১১ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ১০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ওই বছর জিডিপির অনুপাতে সরকারি ব্যয় ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ।
২০২০-২১ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, তবে সরকারি ব্যয়-জিডিপি অনুপাত বেড়ে হয়েছে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ কারণে সরকারের ব্যয় সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। এছাড়াও আইসিডিডিআরবি'র কর্মকর্তা ও গবেষকরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা আমানতের ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশ সুদ দেবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রা আমানতের ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশ সুদ দেবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া, এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, কেউ আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে এই আমানতের উপর কমপক্ষে দেড় (১ দশমিক ৫) শতাংশ সুদ দেবে।
এই হিসেবে, আমানতের বিপরীতে দুটি সম্পূরক কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। শিশু বা ভাইবোনসহ নির্ভরশীলরা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।
এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন এবং নির্ভরশীল বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আদায় ১৪.৩৬% বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে, আগের অর্থবছরের ২০২২-২৩ একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ প্রথম চার মাসে রাজস্ব সংগ্রহ ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব বোর্ডের তিনটি শাখা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং শুল্ক বাবদ ১ লাখ ০৩ হাজার ৯৭৬ টাকা সংগ্রহ করেছে। এটি চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব বোর্ড ৯০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।
খাতভিত্তিক রাজস্ব আয় হয়েছে- শুল্ক থেকে ৩২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ৪০ হাজার ০৪৮ দশমিক ৬২ কোটি টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত থেকে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
তবে এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। চার মাসে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ দশমিক ২৩ লাখ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত আয় বিবেচনায় করদাতার সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়াল এনবিআর
জুলাই-আগস্টে রাজস্ব কমেছে ৪৮৭০ কোটি টাকা: এনবিআর
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীরা অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশিমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নভেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স আসার সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আইনি চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট প্রেরকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে আইনি মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, রেমিটেন্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডলারের দামের ওপর সরকার অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিটেন্সে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে বাড়াবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না বলে জানান তিনি।
সেলিম বলেন, রেমিটেন্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তত বেশি দেবে। তাই যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিটেন্স আসবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যক্তিগত আয় বিবেচনায় করদাতার সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম বলেছেন, দেশের মাত্র ৩৫ লাখ মানুষ বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেন, ব্যক্তিগত আয়ের বিচারে এ সংখ্যা ১ কোটির ওপরে পৌঁছাতে হবে।
তিনি বলেন, করযোগ্য আয়ের মানুষ দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব হিসেবে এগিয়ে এলে এ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। কর কর্মকর্তারা সবাইকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য করতে পারেন না।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়কর রিটার্ন বিষয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়াকে বোঝা হিসেবে বিবেচনা করে। অনেক সময় করদাতারা মনে করেন, সরকার অন্যায়ভাবে কর আদায় করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা করদাতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমরা করদাতাদের ভয় দেখাতে চাই না। আমরা করদাতাদের বিশ্বাস করি, কিন্তু করদাতাদেরও সেই আস্থা আমাদের ওপর রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়াল এনবিআর
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য টিআরপি নিয়োগ করা হয়েছে। তারা এনবিআরের পক্ষ থেকে করদাতাদের সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, 'সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কর দেবেন। করের টাকায় সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। জনগণকে এটা বুঝতে হবে।’
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সেমিনারে 'নতুন আয়কর আইন ও কর নীতি' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর নীতি বিভাগের সদস্য শামস উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়াল এনবিআর
বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
করোনা মহামারির সময় বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই বা রেইজ)- শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এসময় প্রকল্প পরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব সৌমেন্দ্রনাথ সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার আয়োজন করেপ্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
সভায় জানানো হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত বিদেশফেরত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
এতে আরও বলা হয়েছে, এই কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানাধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুনঃএকত্রীকরণের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সহযোগিতার মধ্যে দুই লাখ কর্মীকে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এছাড়াও, তাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা, দক্ষতা সনদ প্রদান, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রণোদনার মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আমাদের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা। শুরুতে যে পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা আশাব্যঞ্জক। এই প্রজেক্ট তার গন্তব্যে পৌঁছবে। প্রজেক্টটি করোনাকালে যারা ফেরত এসেছে তাদের নিয়ে শুরু করেছি। তবে আমরা ভাবছি করোনা পরবর্তীতেও যারা এসেছে তাদের নিয়েও কাজ করার। আমরা চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। তবে আমরা শতভাগ তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না তথ্যের ঘাটতির কারণে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর কতজন কর্মী প্রবাসে যান সেটি আমাদের তালিকায় আছে। কিন্তু কতজন ফেরত আসেন তা কিন্তু আমাদের জানা নেই। তারা হয়তো জানেন না কিভাবে কি করতে হবে। কেউ হয়তো পুনরায় প্রবাসে যেতে চান। সেসব বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করাই রেইজ প্রকল্পের লক্ষ্য। শুধু প্রণোদনা দেওয়া নয়, দক্ষতা উন্নয়নেও সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাস ফেরতদের কেউ ঋণ চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে দেব। কেউ উদ্যোক্তা হতে চাইলেও আমরা সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিষয়ে ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা ঋণ দিতে পারছি না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড আছে। আমরা হয়তো ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। এর মানে এই না, আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি না। আসলে আমরা প্রবাসীদের ঋণের চাহিদা পাচ্ছি না। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তো একটা ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে চলতে হয়। হয়তো ঋণ পাওয়ার যেসব শর্ত আছে, সেটি কারও জন্য পূরণ করা কঠিন হয়। কিন্তু ঋণ পাচ্ছে না বিষয়টি এমন নয়।
সভায় জানানো হয়, যে সকল কর্মী বিদেশ গমনের পর দক্ষতা অর্জন করেছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই এ সকল কর্মীদের রিকগনিশন অব প্রিয়র লার্নিং (আরপিএল) এর আওতায় ২৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে দক্ষতা সনদ প্রদান করা হবে। যা তাদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কর্মী সংখ্যা ২ লাখ। এই দুই লাখ কর্মীর প্রত্যেককে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেওয়া হবে।
এছাড়া, রেফারেলের আওতায় কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে তারা সমাজে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ/আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
এ লক্ষ্যে রেইজ প্রকল্প বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রত্যাগত কর্মীদের একটি তথ্য সমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে। গত ৪ মাসে ৫৯ হাজার জন কর্মীর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৩০ জুলাই, ২০২৩ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্তৃক ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৩০টি সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেন্টারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইওএম বাংলাদেশ এবং সাব কনসালট্যান্ট হিসেবে আরো ৭ টি বেসরকারি সংস্থা (রামরু, ওকাপ, ব্র্যাক, প্রত্যাশী, বিএসএসকে, ওয়্যারবি, কেএনইউএস) সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ভোজ্যতেল ও সার আমদানির অনুমোদন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) বুধবার (২২ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ভোজ্যতেল ও সার আমদানি ও বেসরকারি খাতে স্থাপন করা সৌর ও বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠকের অনুমোদন অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১৪৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারতের গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১ দশমিক ১০ লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে।
বিআআইএইচসিএল-বিজেডএইচই-ইএনএএম-এমএনএস কনসোর্টিয়াম ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় একটি ১০০ মেগাওয়াট সৌর (এসি) পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেখান থেকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় (প্রতি ইউনিট) ১১ দশমিক ০০৫৮ টাকা শুল্ক হারে ২০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ আমদানি করবে।
বিপিডিবিকে আগামী ২০ বছরে প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিনতে খরচ করতে হবে ৩৫৬৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সিদ্দিকী ফেব্রিক্স লিমিটেড-ইন্টেক এনার্জি জিএমবিএইচ-সৌদিয়া জার্মান পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড (এসএফ-আইই-এসজিপিপিএল জেভি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একটি ১১ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করবে। যা থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবি বিল্ড,ওন,অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনবে।
প্রতি ইউনিট ২১ দশমিক ১০৫ টাকা শুল্ক হারে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বিপিডিবিকে খরচ করতে হবে ৪০৬৮ কোটি টাকা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে ‘আরিচা-বরঙ্গাইল-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে ১১২ দশমিক ৮১ কোটি টাকার চুক্তি দেবে।
মোট ৯০ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) সার আমদানির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
অনুমোদন অনুযায়ী, বিসিআইসি ১২৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে এবং কর্ণফুলী ফার্টিলিজ কোম্পানির লিমিটেড ফার্টিলিজ কোম্পানি থেকে ১২১ দশমিক ০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
বিসিআইসি ১২৩ দশমিক ৪৮ কোটি টাকায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
অবৈধ লেনদেনের দায়ে ওয়ালেটমিক্সের লাইসেন্স বাতিল
অবৈধ লেনদেনের দায়ে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি ওয়ালেটমিক্স লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ বাতিল সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ওয়ালেটমিক্স অবৈধ লেনদেন করেছে, যা অনুমোদিত নয় এবং এ কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ফলে এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ কোনো প্রতিষ্ঠান ওয়ালেটমিক্সের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে এবং ওয়ালেটমিক্স লিমিটেডকে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্তাবলী অনুসারে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে ওয়ালেটমিক্সের পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
স্বয়ংক্রিয় ও নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি নতুন ডেটা সেন্টার চালু করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, এটি ১০৬ র্যাকসহ একটি অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার চালু করেছে।
এতে জানানো হয়েছে, ডাটা সেন্টার ইতোমধ্যে এএনএসআই /টিআইএ-৯৪২, রেট-৩ (ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন) আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
রেট-৩ ডেটা সেন্টারে পাওয়ার, কুলিং ও অন্যান্য সিস্টেমগুলোকে অফলাইনে না নিয়েই আপডেট এবং চালানোর জন্য একাধিক পথ রয়েছে।
ডিএসই বলেছে, ফলে অ্যাপ্লিকেশন অপারেশনগুলোকে ব্যাহত না করে পরিকল্পিতভাবে সরঞ্জাম বা ডিভাইস অপসারণ, প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
১২ নভেম্বর ডিএসই ঘোষণা করেছে, নিকুঞ্জের ডিএসই টাওয়ারে নতুন ডেটা সেন্টার থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চালু হওয়ার পর থেকে নতুন ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএসইর মতে, নতুন ডেটা সেন্টারে অত্যাধুনিক সার্ভার, নেটওয়ার্ক উপাদান, স্টোরেজ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে। এই অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার চালু করার মাধ্যমে ডিএসই বিনিয়োগকারী ও সব অংশীজনদের সুবিধার জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করেছে।
উদ্বোধনী লেনদেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, পরিচালক রুবাবা দৌলা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসইসি স্টক মার্কেটের শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি বন্ড