শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি, যেভাবে চলবে প্রক্রিয়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলা বা থানার ভেতরে অনলাইন বদলি কার্যক্রম শুরু হতে চলেছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ বদলি চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, বদলির জন্য শিক্ষকদের অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ২৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই করা হবে। ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার যাচাই সম্পন্ন করবেন এবং আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন করা হবে। এরপর ৪ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
বদলির শর্তের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় নির্বাচন করবেন। কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র এক বা দুটি বিদ্যালয়ও পছন্দ করতে পারবেন। তবে আবেদনের পর বদলির আদেশ জারি হয়ে গেলে তা বাতিল করতে পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারি করা সর্বশেষ ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা, ২০২৩’ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ যাচাইয়ের পর কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলে তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুসারেই যে বদলি হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একাধিক আবেদনকারী যদি একই বিদ্যালয় নির্বাচন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনোরকম ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
৩৪৬ দিন আগে
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তার পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।
এছাড়া, নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নারায়াণগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে নারায়াণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
৩৪৬ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা কেবল প্রবেশপত্র আনতে পারবেন এবং কালো বলপয়েন্ট কলম, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যতীত অন্য কোনো কলম সঙ্গে রাখাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর প্রবেশদ্বার সকাল ৮টায় খুলে দেওয়া হবে। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বন্ধ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার হলে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বাসা ত্যাগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি
৩৪৬ দিন আগে
পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
বিতর্ক উঠায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাদের নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগ বাতিল হওয়ার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এ এফ জগলুল আহমেদ, মো. মুনির হোসেন, অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার ও ড. মো. মিজানুর রহমান।
এরমধ্যে তিনজনের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠে। বলা হয়, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী। তাই তাদের নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। আপত্তি জানায় পিএসসির কর্মকর্তারাও।আরও পড়ুন: পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের পদত্যাগ
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিতর্কিত তিন সদস্যের নিয়োগ বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ডা. শাহিনা সোবহানের বাবা জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ডা. শাহিনা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বান্ধবী।
অন্যদিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএফ জগলুল আহমেদ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি ছিলেন। ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ‘আয়নাঘরে’ অনেকেই বন্দি ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ড. মো. মিজানুর বিসিএস ৮৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের সময়ে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম
৩৪৯ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা: উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই আগামী ফেব্রয়ারির মধ্যেই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে বিলম্বের জন্য দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা ও পাঠ্যবই ছাপতে দেরি হওয়াকে দায়ী করেন তিনি।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব)’ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় ইরাব সভাপতি আকতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুছা মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক রুম্মান তূর্য, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।উপদেষ্টা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমদিকে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। পাঠ্যবই নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা বলেছিলেন সব বই নির্ধারিত সময়েই পাবে। কিন্তু পরবর্তীতে শেষদিকে দেখলাম পাঠ্যবই হাতে পৌঁছে দিতে এখনো অনেক কাজ বাকি।‘প্রথমদিকে আমরা আর্ট পেপার পাচ্ছিলাম না। কাগজের সংকটও ছিল। পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যদের সহায়তায় আর্ট পেপারের সমস্যাটা সমাধান হয়েছে,’ যোগ করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।তিনি বলেন, কিছু আর্ট পেপার ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে। আশা করছি জানুয়ারির শেষ দিকে জাহাজ এসে পৌছাবে।শিক্ষা সংস্কারে ইরাবের সহযোগিতা কামনা করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।এরআগে ৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।আগের সরকারের আমলে মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
৩৪৯ দিন আগে
বাকৃবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় ২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর রাত ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্যা। এ সময় তিনি বলেন, ‘২৮ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
‘অভিযুক্তরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে গোপনে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের র্যাগিং করেছে। পরবর্তীতে তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি,’ বলেন বাকৃবির এই শিক্ষক।
‘অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলগুলোর প্রভোস্ট, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক হল থেকে তাদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন ও ননঅ্যাটাচ ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের অ্যাটাচ ২৮ জনের মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ননঅ্যাটাচদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা সর্বপ্রথম গত ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং করে। এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন শিক্ষাবর্ষের যাত্রা শুরু
৩৫০ দিন আগে
আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১০
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কলেজে কর্তৃপক্ষ কলেজ ও ছাত্রাবাস ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের আশপাশে যতগুলো কলেজ রয়েছে তাদের সিট চার্জ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দিতে হচ্ছে ৭ হাজার টাকা। তা কমানোর জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু স্যার আমাদের সঙ্গে না বসে সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে এর কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইপিজেডে কারখানা শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
৩৫০ দিন আগে
কক্সবাজারে ইংরেজি শিক্ষকদের নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সম্মেলন
কক্সবাজারে ইংরেজি শিক্ষকদের জন্য একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও গ্লোবাল এইড ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (জিএএসডি)।শনিবার (১১ জানুয়ারি) কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বহুভাষিক শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি শিক্ষাদানের কৌশল উন্নয়ন’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা হোস্ট কমিউনিটি থেকে ১৫০ জনেরও বেশি ইংরেজি শিক্ষক অংশগ্রহণ করেছেন।ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অ্যাক্টিং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার স্কট হার্টম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এই সম্মেলনের লক্ষ্য শিক্ষকদের বহুভাষিক শ্রেণিকক্ষের অনন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী কৌশল সম্পর্কে দক্ষ করে তোলা, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ও উন্নত শিক্ষাগত ফলাফল নিশ্চিত করা যায়।
৩৫১ দিন আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি ভূমিকা নেই: উপদেষ্টা
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেগুলো সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকার শুধু কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই।’
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত ট্রাস্টি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন— উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষরা যদি চলে যান বা জোর করে বের করে দেওয়া হয়, তবে এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক তৈরি করে।’
‘(বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে) এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে—পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার চেয়ে এটি বড় আইনি চ্যালেঞ্জ।’
এ ধরনের সমস্যাগুলো আদালতে আইনি পথে সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের হতাশার কথা স্বীকার করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশেষ করে তারা প্রত্যাশা করে যে এসব বিষয় সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা (শিক্ষা) উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ থাকা উচিত। শিক্ষার্থীরা মনে করে, এটা তো শিক্ষার ব্যাপার, তাই শিক্ষা উপদেষ্টা সব ঠিক করে দেবেন। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে কীভাবে কী করব অনেক সময় তা বোঝা যায় না।’
এর আগে, ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে একজন নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করা।
সেদিন সচিবালয়ের ফটকের কাছে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
৩৫৪ দিন আগে
বছরের সাত দিন চলে গেলেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা
ফেনীতে নতুন বছরের সাত দিন অতিবাহিত হলেও নতুন বই পায়নি ছয় উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিকের সব বই পেয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
এদিকে জেলায় প্রাথমিকের ৫০ শতাংশ বই এলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বই এসেছে মাত্র ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। অপরদিকে মাদরাসা ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা এখনও বই হাতে পায়নি। মাধ্যমিকে জেলার ৩৭ লাখ বইয়ের চাহিদা থাকলেও এখনও বই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে জেলায় মোট বরাদ্দকৃত বইয়ের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৬টি। তারমধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির চাহিদার ৩ লাখ ১৬১টি বইয়ের একটিও এখনও আসেনি বলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়।
জেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনীতে মাধ্যমিক ও মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৮ জন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের মোট চাহিদা ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৬টি।
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় বই এসেছে ৭৯ হাজার ৩০৪টি। বিগত বছরের শেষ দিন পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলায় মাধ্যমিকে নবম শ্রেণির ৩টি বিষয়ের ৩৪ হাজার ৫০০টি বই ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ১২ হাজার ৯০০টি বই এসেছে। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলায় মাধ্যমিকে নবম, দশম শ্রেণির দুইটি বিষয়ে (বাংলা, গণিত) ২৫ হাজার ৮০০টি বই ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির তিনটি বিষয়ে (বাংলা, গণিত, ইংরেজি) ৮ হাজার ৪০০টি বই এসেছে।
বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ফেনী সদর উপজেলার গোয়াডুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের। সে জানায়, বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে এসেছি। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পেলেও আমরা বই পায়নি। পরে বই দেবে বলে শিক্ষক জানিয়েছেন।
দাগনভূঞা উপজেলার লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অনিন্দ্র দে জানান, প্রতিবার বই উৎসব হত, এবার তাও হয়নি। নতুন বইও পাইনি। বই কবে দেবে তাও ঠিক জানাতে পারেননি শিক্ষকরা।
ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টর স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক জাফর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, নতুন বই পাবে না জেনে ছেলে স্কুলে যায়নি। সরকার আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই বই পেত।
নতুন শিক্ষাবর্ষে দেরিতে বই পাওয়া নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে উঠবে নতুন বই।
আরও পড়ুন: নতুন সব বই শিক্ষার্থীরা কবে পাবে, জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ বই বিতরণ শেষ হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই হাতে পেলেই বিতরণ করা হবে।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, ‘নতুন বছরে আগের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব হয়নি। মুদ্রণ জটিলতায় ও কিছু পরিবর্তনের কারণে ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলায় কিছু বই এসেছে।
এছাড়া জেলায় চাহিদার সব বই আসতে আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো লাগতে পারে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ।
৩৫৫ দিন আগে