������������������
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার পর যারা হলে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে অভিযান চালিয়ে ৮টি ধারালো অস্ত্র ও ১৭টি পাইপ জব্দ করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আব্দুর রব হল থেকে কিছু লোহার রড, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পড়াশোনা শেষ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে রবিবারের জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃতদেরও একই সময়ের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর হলে এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) এই ঋণের অনুমোদন দেয় ব্যাংকটি।
এডিবির সামাজিক খাতের অর্থনীতিবিদ রিওতারো হায়াশি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম উন্নীত করা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আরও দক্ষ ও প্রযুক্তিবান্ধব স্নাতক এবং উদ্যোক্তাদের বিকাশে সহায়তা করবে, যারা দেশের আইটি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।’
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এডিবির তথ্য মতে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক প্রোগ্রামগুলোকে সময়োপযোগী করবে।
এই প্রোগ্রামগুলো মিশ্র শিক্ষার কৌশলগুলো গ্রহণ করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে একীভূত করবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম পায় সেটি নিশ্চিত করতে এই প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
এডিবি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষাগার স্থাপন, সহযোগিতা ওস্টার্ট-আপ স্পেস এবং সহায়ক সুবিধাদি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
এই সুবিধাগুলো জলবায়ু ও দুর্যোগসহনশীল নকশা, জ্বালানি ও পানিসাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং নারীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং উদীয়মান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা তৈরি করবে।
নির্ধারিত তিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও ইন্ডাট্রি প্লেসমেন্ট করা হবে।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসির
পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এক্ষেত্রে, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন মডেল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। এতে কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।আরও পড়ুন: হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
অনুষ্ঠানে ক্যাবের গবেষণা সমন্বয়ক প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া ‘পরিবেশ সুরক্ষা ও সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়নে সামাজিক আন্দোলন: প্রেক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়’, নোভেলটি এনার্জি লিমিটেডের প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মো. ইন্তিখাব আলম ‘সোলার পিভি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট আন্ডার অপেক্স মডেল ফর পাবলিক ইউনিভার্সিটি’, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক তাসমিয়া বাতেন ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি অডিট পরিচালনা’ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত চৌধুরী ও সিহাব উদ্দিন ‘অফ-গ্রিড/ অন-গ্রিড ডিসি/এসি সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট পারফরমেন্স স্টাডি’ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।
ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আওতায় সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে। কাজেই, এখন থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০০৮ অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, যুগোপযোগী নীতিমালার অভাবে এখাতে এক শতাংশও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। অবকাঠামো তৈরিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের পাশাপাশি এখান থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে কি না সংশ্লিষ্টদের এটি খতিয়ে দেখার তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে, ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খানপ্রফেসর গোলাম সাব্বির বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সরকারের ব্যয় কম হবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটবে ও এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হবে।
প্রফেসর ড. শামসুল আলম ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন মডেল এবং মডেলটির প্রচার’ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেক্স মডেলে রুফটপ ও গ্রাউন্ডে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা গেলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করা হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ এখান থেকে মেটানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স স্থগিতের নির্দেশ ইউজিসির
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় একটি ‘পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করোনা এসে আমাদের বুঝিয়ে দিল জনস্বাস্থ্য বিষয়টা কত জরুরি। যখন ধাক্কা খেয়েছি তখন মনে করেছি জনস্বাস্থ্য জরুরি এখন আবার ভুলে যাচ্ছি? নাকি ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি? কিছু একটা ধাক্কা লাগবেই, না হলে জনস্বাস্থ্যকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
আমেরিকায় পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম, যারা ওখানে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি খোঁজেন তাদের মধ্যে যাদের এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) করা আছে তাদের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এরা তো হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করছে পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছে না। তারা উত্তর দিয়েছিল- যিনি চিকিৎসক তিনি রোগী ফোকাসড, যিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়েছেন তার দেখার দৃষ্টিকোনটা ভিন্ন। তিনি পুরো সমাজটাকে দেখেন, পুরো জনগণকে দেখেন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কৌশলসহ সব দিক দেখেন। পাবলিক হেলথের দৃষ্টিকোন নিয়ে চিকিসক হিসেবে যখন কাজ করবেন তখন তিনি অনেক বেশি অবদান রাখেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না, কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। আমরা দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে সবচেয়ে ভালো করতে চাই। আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে, পাবলিক হেলথ কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে, অ্যাক্রিডিটিশনের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। যেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়টিকে এমনিতেই একটু পেছনে ফেলে রাখা হয় সেখানে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা মোটেই খারাপ না। সবকিছু মিলিয়ে এ বিষয়ে পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবার অন্যান্য বিষয়ও পড়ায়।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
বাংলাদেশে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সিএমএ) পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে আইসিএমএবির খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল ও ব্যবসা প্রশাসন ডিসিপ্লিন।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
সিএমএ পেশাজীবীদের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মো. আক্তারুজ্জামান অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা ব্যাখ্যা করেন, কেন সারা বিশ্বে সিএমএ পেশার এত চাহিদা এবং তারা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সহায়তা করে।
আইসিএমএবির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া মাসুদ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক ও ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি আইসিএমএবির
দেশের ব্যবসা উদ্যোগের ৯৯.৮৪ শতাংশই সিএমএসএমই
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফ দিয়ে জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কাজী ফিরোজ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের চীনা ভাষার শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ফিরোজের রুমমেট বিন ইয়ামিন বলেন, ‘ফিরোজ কিছুদিন ধরে হতাশ ছিল। আমরা সবসময় তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে কক্ষে এসে নামাজ পড়ে এবং জিজ্ঞেস করে, আমাদের কাছে টাকা পাওনা আছে কি না।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যখন সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল, তখন তাকে বেশ বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। আমি তার ফিরে আসার পরে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর শুনলাম বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ আত্মহত্যা করেছে।’
ইয়ামিন বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই এবং দেখি ওই শিক্ষার্থী ফিরোজ।
ফিরোজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরে তার টেবিল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটটিতে লেখা ছিল, 'মানুষ মর্যাদার জন্য বাঁচে। মর্যাদা না থাকলে জীবন অর্থহীন... মা, আমি দুঃখিত যে আমি আমার কথা রাখতে পারিনি।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, 'ঘটনাটি হৃদয় বিদারক।’
হল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স স্থগিতের নির্দেশ ইউজিসির
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সকল কার্যক্রম স্থগিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অন ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় ইউজিসি এ নির্দেশনা প্রদান করেছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশন কর্তৃপক্ষের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ
রাবি ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিল সোমবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের ২৬তম কাউন্সিল হতে যাচ্ছে সোমবার। ৬ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে ৭ বছর পর এই কাউন্সিল হতে যাচ্ছে।
রাবি ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ৯৪ জন প্রার্থী তাদের সিভি জমা দিয়েছেন।
পরিষদকে সামনে রেখে পদপ্রার্থীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদেরও শীর্ষস্থান দখলের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
শনিবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, কাজলা গেট, প্যারিস রোড, টুকিটাকি ও পরিবহন চত্বর ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডে।
ক্যাম্পাসের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে ইতোমধ্যে কাউন্সিলের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা ক্যাম্পাস ও এর আশপাশে উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ১১ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রায় ছয় মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তবে ওই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম চলে আসছে।
গত সাড়ে ছয় বছরে তিনবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বদল হলেও বদলায়নি রাবির নির্বাহী কমিটি। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ায় বেশির ভাগ প্রার্থীর ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যায়।
তাদের মধ্যে অনেকেই তাদের ছাত্রত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় মেলার উদ্বোধন
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এডুকেশনইউএসএ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে আয়োজিত ২০২৩ শরতকালীন সবচেয়ে বড় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় মেলা এর উদ্বোধন করেন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স নেথান ফ্লক।
এর আগে চট্টগ্রামেও শিক্ষার্থী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিলো ঢাকার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সবচেয়ে বড় আয়োজন। ৩১টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আয়োজিত, এসব শিক্ষামেলায় মেলায় মোট অংশ নেন ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স নেথান ফ্লক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থী, গবেষক, স্কলার ও শিক্ষাবিদ বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি।
প্রতি বছর এদেশের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। যার ফলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানো শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩তম। এ বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।
মেলায় সম্ভাব্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুল কাউন্সেলররা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপের সুযোগ পান।
যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন: ক্যানেসিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাসকাডিয়া কলেজ, ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়, এম্পোরিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়- পাড়ডু বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ানাপলিস, আইওয়া স্টেট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লুইসিয়ানা টেক বিশ্ববিদ্যালয়, মার্সি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নোভা সাউথইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ওল্ড ডোমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্যাসিফিক ওকস কলেজ, সিয়াটেল সেন্ট্রাল কমিউনিটি কলেজ, আলব্যানির স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক, বাফেলোর স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক, শিকাগো স্কুল অফ প্রফেশনাল সাইকোলজি, ট্রাইন বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রয় বিশ্ববিদ্যালয়, সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়, বোল্ডারে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় - লোয়েল, মিশিগান ফ্লিন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয় - কলাম্বিয়া, হ্যাভন বিশ্ববিদ্যালয়, ওরিগন বিশ্ববিদ্যালয়, ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়, উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় -মিলওয়াকি, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ংস্টাউন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়েইন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও দর্শনার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং এডুকেশনইউএসএ উপদেষ্টাদের পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া জানতে সেশনে অংশগ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ২০০টিরও বেশি দেশের ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ জনের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ৪ হাজারের বেশি স্বীকৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ জীবন বদলে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আমেরিকান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে গর্বিত।
এডুকেশনইউএসএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। এর আওতায় ১৭৮টি দেশে ৪২৫টিরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরামর্শ কেন্দ্র রয়েছে।
এডুকেশনইউএসএ নেটওয়ার্ক যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ নিয়ে বিনামূল্যে তথ্য প্রদান করে। যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র উচ্চশিক্ষার প্রচার করে।