পরিবেশ
জাতিসংঘের আলোচনায় কৃষকদের জন্য জলবায়ু তহবিলের অংশ দাবি
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এ বছর ফিলিপাইনের এসথার পেনুনিয়ার ছোট খামারে আনারস নষ্ট হয়ে গেছে।
এশিয়ান ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল পেনুনিয়া জীবিকা নির্বাহের জন্য খামারের উপর নির্ভর করেন না। তাই তিনি বিপর্যস্ত হওয়ার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন।
তবে পেনুনিয়া চিন্তিত তার মতো বিশ্বব্যাপী লাখো ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে। কারণ তারা ধানখেত, নারকেল বাগান এবং সবজি খেতের উপর নির্ভরশীল। অথচ সবই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে।
এটাই কারণে এ বছরের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে বরাদ্দের কিছু অংশ কৃষি খাতে দেবে বলে আশা করছেন তিনি। বিশেষ করে যারা বিশ্বের অনেক অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করে, এমন কৃষিজীবী পরিবারের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ক্ষুদ্র কৃষকদের সাহায্য না করেন, তাহলে আপনি খাবার কোথা থেকে পাবেন? কে আপনার জন্য কৃষিকাজ করবে? কে মাছ ধরবে, কে মধু সংগ্রহ করবে, কে আপনার সবজি রোপণ করবে?’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস জাতিসংঘের
গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন। বিশেষ করে টাইফুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের পুনরুদ্ধার, কৃষকদের অত্যাধিক খরা থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং উষ্ণ পৃথিবীর জন্য ভালো বীজ, ভালো সার ও উন্নত সেচ অবকাঠামো প্রস্তুত করতে এই অর্থ প্রয়োজন।
তবে, বিশ্ব সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজন ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু অর্থায়ন। অর্থাৎ ধনী দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্তুত তার মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
যে চুক্তিই হোক না কেন, এটা নিশ্চিত যে টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এখানে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে-ঠিক কতটুকু অর্থ কৃষির জন্য এবং কতটুকু অর্থ জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন কমানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
ক্লাইমেট পলিসি ইনিশিয়েটিভের গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু অর্থায়নের ১ শতাংশেরও কম পান। একই সময়, খাদ্য ব্যবস্থা—অর্থাৎ খাবার তৈরি, পরিবহন ও নিষ্পত্তির সব প্রক্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ উষ্ণায়নের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দায়ী।
উষ্ণ হয়ে যাওয়া জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের প্রচেষ্টা আরও কঠিন হয়ে ওঠছে বলে মন্তব্য করেছেন সিজিআইএআরের নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাহানে এলৌফি। কপ২৯-এ ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য জলবায়ু-স্মার্ট সমাধান নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা চলাকালে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই, তবে আমরা কীভাবে এমন একটি খাতে বিনিয়োগ না করে থাকব, যা সমস্যার তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী?’
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষির অভিযোজনের জন্য কেন দেশগুলোকে সহায়তা করা উচিত তার একটি সহজ কারণ তুলে ধরেন সেভ সয়েল নামে একটি আন্দোলনের প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি কর্মকর্তা প্রবীনা শ্রীধর।
যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে সম্মত হওয়া অনেক কঠিন, সেখানে কৃষি সমাধানগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করা তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ধাঁধাটি সমাধান করতে পারিনি। কিন্তু সেসব ধাঁধার যেটুকু সমাধান করতে পেরেছি আমরা, সেগুলো দেখে কাজ শুরু করছি না কেন?’
তবুও অন্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি মোকাবিলান মতো সবচেয়ে বড় সমস্যা থেকে মনোযোগ সরে যাবে।
বার্কলে আর্থের একটি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী জেক হাউসফাদার একটি ইমেইল বার্তায় বলেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমাতে ভূমি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনে ‘সত্যিকার সম্ভাবনা’ রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানো সম্ভব। যদিও বিশ্বে প্রতি বছর যে ৪০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, এটি তার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
১ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মানের আরও অবনতি
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী শহর ঢাকার বাতাসের মান 'খুব অস্বাস্থ্যকর'।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী (একিউআই) বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ২৩৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা যথাক্রমে ৬৬৬, ৩৫৮ ও ২৭২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
৪ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মানের আরও অবনতি
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে একিউআই স্কোর ২২৬ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কোলকাতা যথাক্রমে ৭১৮, ৬০২ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৬ দিন আগে
জনপ্রশাসন একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমির মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজায় 'পাহাড়' শ্রেণির ৪০০ একর এবং 'ছড়া' শ্রেণির ৩০০ একর জমি ‘রক্ষিত বনের’ গেজেটভুক্ত হওয়ায় ওই বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
রবিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমানের সই করা পত্রে এ অনুরোধ জানানো হয়।২৯ আগস্ট এবিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার পাঠানো আধা-সরকারি পত্রে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। ২১৪৫.০২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।রেকর্ডে ‘রক্ষিত বন’ উল্লেখ না থাকায় বন বিভাগ এ বিষয়ে মামলা করে। পাশাপাশি, ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলাও হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ এ বন্দোবস্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন, যা আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে।
১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদে বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার রয়েছে। দেশের বনভূমির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় এই বন্দোবস্ত জনস্বার্থবিরোধী বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বন-বনভূমি ও ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
খুলনায় ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রাম থেকে ১০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধার করা সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার মহেশ্বীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছন থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
স্থানীয়রা জানান, মহেশ্বরীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছনে অজগরটি দেখা যায়। পরে তারা সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কয়রা টহল ফাঁড়ির স্টাফদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জের অধীনস্থ বানিয়াখালি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের স্টাফরা গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিপিজি সদস্য, ভিটিআরটি সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের ৫০ কর্মী ও ড্রোন মোতায়েন
১ সপ্তাহ আগে
শনিবার ঢাকার বাতাস 'সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর'
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৬ মিনিটে রাজধানী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ১১৫।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে ' সংবদেনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৭৬০, ৩০৮ ও ২২৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১ সপ্তাহ আগে
শুক্রবার ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৫০ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভ যথাক্রমে ৭১৭, ৪২৬ ও ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১ সপ্তাহ আগে
বৃহস্পতিবার ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৬৫ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৮২২, ৪৪১ ও ১৭৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২ সপ্তাহ আগে
বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
বাতাসের মানের তালিকায় ১৬৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাসের শহরের অবস্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় আইকিউএয়ারের তালিকা অনুযায়ী ঢাকার বাতাস এখন 'অস্বাস্থ্যকর'।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ৬৬৬, ৪০৬ ও ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ওভারতের কোলকাতা যথাক্রমে ৪৪৭, ৪১৪ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২ সপ্তাহ আগে
সোমবার ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় একিউআই স্কোর ১৭৪ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ওভারতের কোলকাতা যথাক্রমে ৪৪৭, ৪১৪ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২ সপ্তাহ আগে