������������������������
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে মুক্তধারা নিউইয়র্ক ইনকর্পোরেটেড।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল মওলা এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকিজ উদ্দিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এফবিসিসিআই এবং গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক এবং মুক্তধারা নিউইয়র্ক ইনকর্পোরেটেড আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩-এর সমাপনী অধিবেশনে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ২০২৩ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তধারা নিউইয়র্ক ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ২০২৩-এর প্রধান সমন্বয়কারী বিশ্বজিৎ সাহা।
সিরাজগঞ্জে ফের যমুনার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকে এবং অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পাউবো কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনার পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
সিএমএসএমই ঋণে ১% তদারকি চার্জ অবিলম্বে প্রত্যাহার চায় দোকান মালিক সমিতি
দোকান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিএমএসএমই ঋণে ধার্যকৃত ১ শতাংশ তদারকি (সুপারভিশন) চার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মগবাজারে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা লিখিত নোটে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ করেছে এবং সুদের হার আরও বাড়ানো হবে।
দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন খুব সামান্য লাভ নিয়ে। এরমধ্যে ভ্যাট, ট্যাক্স ও ইউটিলিটি চার্জ বৃদ্ধি এবং বিক্রি কমার কারণে তারা মাঝে মাঝে লোকসান গুনছেন। সুদের হার ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১ শতাংশ তদারকি চার্জ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।’
তিনি বলেন, তদারকি চার্জ প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইতোমধ্যে নেওয়া টাকা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ফেরত না দিলে এর বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলন করবে দোকানদাররা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে সার্কুলার প্রত্যাহার করে সব ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে কাটা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সমিতি অবগত নয়। বিক্রয়ের দীর্ঘস্থায়ী মন্দার সময় এই ধরনের সিদ্ধান্ত সিএমএসএমই সেক্টরের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন মহলের ২৩টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন, হালনাগাদ, আধুনিক ও সময় উপযোগী এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এলজিপির ব্যবহার ২০০৯ সালে ৬০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন হয়েছে।’ এই গ্যাস এখন বাড়ি, মোটর যান ও শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ‘হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় এলপিজি অপারেটরদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি এলপিজির জন্য একটি নতুন নীতি তৈরি করার সময় অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের উদ্দেশে।
নসরুল হামিদ বিইআরসিকে বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করুন যে সমস্ত এলপিজি ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম, প্রবিধান ও নীতি মেনে চলছে।’
তিনি বলেন, এলপিজি সম্পর্কিত বেশিরভাগ দুর্ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের কারণে ঘটছে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সরকারি সংস্থা যেমন রাজউক, এলপিজি অপারেটর এবং জ্বালানি নিয়ন্ত্রকদের নিরাপত্তা নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি লাইন সঠিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করার পর রাজউককে নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, অপারেটর, ডিলার, সাব-ডিলার ও বিক্রেতাদের ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে এলপিজি সিলিন্ডার লিক হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এলপিজি সিলিন্ডার একটি অপারেটরের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় হাত ঘুরে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায় এবং তারা সেগুলো হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে যত্নবান নয়।’
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি সচিব নুরুল আলম, বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান চৌধুরী, ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজি লিমিটেডের লিয়াকত আলী এবং বুয়েটের অধ্যাপক মাসুদ হেলালী কর্মশালায় উপস্থাপনা করেন।
ইমরান চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিইআরসি তাদের কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; কিন্তু তারা কর্মশালার ইস্যুতে মূল অংশীজন হলেও তাদের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অপারেটররা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে না।
তিনি বলেন, সিলিন্ডার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু অপারেটর রান্নার উদ্দেশ্যে সিএনজি ব্যবহার করছে যা বিপজ্জনক এবং ফুড কোর্টের এলপিজির জন্য সিঙ্গেল লাইন ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
বাইরের কেউ যেন বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা না দেয়: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই এবং লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না।’
শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ বিকল্প উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের অভ্যন্তর থেকে উদ্ভূত অনেক বাধা মোকাবিলা করে ক্ষমতায় রয়েছেন। জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে দলটি আবার ক্ষমতায় আসবে।
যারা বলছেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, নির্বাচন বানচালের এই চেষ্টা দেশের বাইরে থেকেও করা উচিৎ নয়।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘যদি দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচাল করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। আমরা দেখতে চাই, দেশের বাইরে থেকেও যেন কোনো চেষ্টা না হয়।’
দেশে ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানটি চালু করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দল এটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। জনগণ এখন তাদের ভোটাধিকার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন।
তার সরকারের নির্বাচনী সংস্কারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ এবং জাল ভোট দিয়ে বাক্স পূরণের কোনো সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো (নির্বাচনী ব্যবস্থা) সংস্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইনটি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করেনি। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। আওয়ামী লীগ সরকারই এটা করেছে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাদের তিনি বলতে চান, সংবিধানের ৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণই ক্ষমতার উৎস এবং রাষ্ট্রের মালিক।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন, উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাই আমরাও চাই নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হোক।’
আরও পড়ুন: 'উষ্ণ আতিথেয়তার' জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল
সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেল নভোএয়ার
নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৩ সালের ‘বেস্ট অন টাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে।
এছাড়া বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন, মোস্ট কাস্টমার ফ্রেন্ডলি এয়ালাইন (ডমেস্টিক), বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস (ডমেস্টিক) - এই ৩ ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে সিলভার পুরস্কার লাভ করেছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দি ইয়ার-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাত থেকে এই পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নভোএয়ারের সব রুটের টিকিটে ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়
ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর পরিচালিত আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের অনলাইনে মতামত জরিপের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মেজবাউল ইসলাম বলেন, এই স্বীকৃতি আগামীর পথচলায় আমাদের উৎসাহ জোগাবে। নভোএয়ার শুরু থেকেই সম্মানিত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ও নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। পূর্ণ যাত্রী সন্তুষ্টি ও উন্নততর সেবার প্রতিশ্রুতি আমাদের পরিচালনার সকল স্তরে অব্যাহত থাকবে।
নভোএয়ার বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট, রাজশাহী ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: নভোএয়ারের যশোর-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু
কক্সবাজার রুটে নভোএয়ারের ফ্লাইট চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়নের সমান বণ্টনের জন্য ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বারবার আহ্বানে খুব কম সাড়া পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'ডেলিভারিং ক্লাইমেট জাস্টিস: অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাম্বিশন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন অন অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ওয়ার্নিংস ফর অল' শীর্ষক জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিষয়ল শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চ পর্যায়ের থিমেটিক সেশনে তিনি বলেন, ‘অভিযোজন তহবিলকে প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশ এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেকোনো গঠনমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্ম হতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সৎ থাকবে এবং আসন্ন সংকট এড়ানোর জন্য তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্ব করবে।’
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশকে সাধারণত বিশ্বনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি প্রকৃতি-ভিত্তিক, কাঠামোগত এবং প্রযুক্তিগত সমাধান রয়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য অংশে একইভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এর জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাডাপটেশন পাইপলাইন অ্যাকসেলারেটর অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি কার্যকর মডেল দেখতে চাই।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে যে লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল তার তুলনায় সরকার প্রাণহানির সংখ্যা এক অঙ্কে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘৬৫ হাজার উপকূলীয় মানুষের সমন্বয়ে আমাদের বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সর্বশেষ জাতীয় পরিকল্পনা একটি সমন্বিত বহু-বিপজ্জনক আগাম সতর্কতা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নিয়মিত আপডেট দিতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতিতে মহড়া পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন ও আগাম সতর্কীকরণে বিনিয়োগ নিখুঁত অর্থবহ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন অংশীদাররা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে: জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
২০২৩ অর্থবছরে আনুমানিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির সর্বশেষ প্রতিবেদন 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৩'-এ এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি বলেছে, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদার উন্নতি এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির উন্নতির প্রতিফলন ঘটেছে।
এডিবি আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩ অর্থবছরে ৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বাড়লে চলতি হিসাব ঘাটতি ২০২৩ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কিছুটা কমে ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের প্রধান ঝুঁকি হলো বৈশ্বিক চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির আরও অবনতি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, সরকার বৈদেশিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালোভাবে পরিচালনা করছে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই মূল কাঠামোগত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি করা, লজিস্টিক উন্নত করা এবং আর্থিক খাতকে গভীর করা, যা বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
তিনি উল্লেখ করেন, তেলের অব্যাহত উচ্চ মূল্য অভ্যন্তরীণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ সম্প্রসারণ এবং দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্কারকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি ভালো প্রণোদনা সরবরাহ করে।
এডিও সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ বলা হয়েছে, মাঝারি মুদ্রাস্ফীতি এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধি বেসরকারি খরচ পুনরুজ্জীবিত করতে অবদান রাখবে, যখন বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
তবে দেশের আর্থিক নীতি কাঠামো বৃদ্ধির পরে প্রাথমিক উচ্চ সুদের হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পেতে পারে।
বৈশ্বিক নন-ফুয়েল পণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস, প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন এবং নতুন কাঠামোর অধীনে আর্থিক নীতির প্রাথমিক কঠোরতার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি
চলমান সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনে ৫ দফা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চলমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথমত, এমডিবি (বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকসমূহ), আইএফআই (আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ) ও বেসরকারি ঋণদাতা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই তাদের অগ্রাধিকার পুনরায় একত্রিত করতে হবে এবং এসডিজি বাস্তবায়ন ও জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কম খরচে, ছাড়ের হারে এবং বিশেষত উচ্চ পরিমাণে অনুদানে তহবিল উপলব্ধ করা দরকার।
তৃতীয়ত, সমস্ত ঋণপ্রদানকারী উপকরণের দুর্যোগের ধারা থাকা উচিৎ, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সংকটের সময় ধাক্কা মোকাবিলা করতে পারে।
চতুর্থত, ঋণদাতাদের মধ্যে সমন্বয় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও কার্যকর ঋণ ত্রাণ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
পঞ্চমত, কোটার পরিবর্তে এসডিআর (স্পেশাল ড্রইং রাইটস) ঋণসীমা প্রয়োজন এবং দুর্বলতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিৎ, যা হবে সহজ ঋণ প্রক্রিয়া দ্বারা সমর্থিত।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রচার করুন: উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কারের প্রকৃতি ও ব্যাপ্তি নিয়ে সমঝোতার অভাব রয়ে গেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক পাবলিক অর্থায়ন ব্যয়বহুল এবং নাগালের বাইরে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঋণের সংকট এড়াতে উচ্চ সুদের হারের ঋণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি এবং আমরা আশা করি এই রেকর্ড বজায় থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈশ্বিক ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম অবশ্যই পর্যালোচনা করা উচিৎ বিষয়ে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, বর্তমান রেটিং সিস্টেম অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তহবিলের প্রাপ্যতাকে আরও সীমাবদ্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের ভোটাধিকার, কোটা এবং এমডিবি ও আইএফআই-তে প্রতিনিধিত্বের সীমাবদ্ধতাও তাদের দর কষাকষির ক্ষমতাকে হ্রাস করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর উন্নয়নের বিবরণ প্রমাণ করে যে আমরা আমাদের ভূমিকা পালন করতে পারি। সময় এসেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার আমাদের প্রত্যাশার প্রতি সাড়া দেওয়ার।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুদৃঢ় সামষ্টিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির ঠিক আগে আমাদের অর্থনীতি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।’
তিনি বলেন, কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমরা এখনও ৬-৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছি; আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পেমেন্টের ভারসাম্য পরিচালনা এবং আমাদের উন্নয়ন ব্যয় বজায় রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের আর্থিক এবং নীতির জায়গাতে স্পষ্ট চাপ রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকার দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের মাত্রা ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
পাইপলাইন বসানোর কাজের জন্য মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গোদনাইল, এনায়েতনগর, বউবাজার, লাকিবাজার, হাজীগঞ্জ, ওয়াপদাপুল, কাইয়ুমপুর, ফতুল্লা, সস্তাপুর, জেলখানা এলাকা, নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ জংশন থেকে শিবু মার্কেট হয়ে পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
এ ছাড়া পঞ্চবটি, মাইজদাইর, ইজদাইর, চাষাঢ়া, খানপুর, কিল্লারপুল, তল্লা, কুতুবাইল, ধর্মগঞ্জ, তক্কারমাঠ, পাগলা, চিতাশাল, দেলপাড়া, জালকুড়ি, নয়ামাটি, দাপা ইদ্রাকপুর, ভুইগড়, কুতুবপুর ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকা এবং ঢাকা ম্যাচ, সেনপুর, মোক্তারপুর, নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন থেকে পঞ্চবটি হয়ে মোক্তারপুর, ধর্মগঞ্জ শাসনগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী, সাহেবপাড়া, মিজমিজি থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, উল্লেখিত এলাকাগুলো ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা সংলগ্ন এলাকা, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আশপাশেও গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ