জামায়াত
৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে এখন নির্বাচনী মাঠে নেমে পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে হবে।’
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭–২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এ সময়টিই সবচেয়ে উপযুক্ত। যারা একসময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’— এ স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি খুলনার শিবির নেতা আমিনুল ইসলাম বিমান, মুন্সি আব্দুল হালিম, আমানুল্লাহ আমান, রহমত আলী, আবুল কাশেম পাঠান ও সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের ত্যাগ ও অবদান আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।’ এ সময় মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারিবৃন্দ, বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্যের মধ্যে নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চুসহ জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
৫ দিন আগে
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উপজেলা জামায়াত আমির বহিষ্কার
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে তাকে নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বহিষ্কারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব।
এর আগে নওগাঁ সদর উপজেলার ইনায়েতপুর মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে এবং তদন্ত শেষে ইনায়েতপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তার পোস্টার সম্বলিত ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির দিন দুপুরে শ্রেণিকক্ষে একা ছিলেন তিনি। ওই সময়ে সেখানে ক্লাস নিতে এসে মাওলানা মোনায়েম হোসাইন তাকে বোরকার হিজাব খুলতে বলেন। এক পর্যায়ে বাধা দিলেও তিনি শোনেননি। পরে তিনি শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে আবারও একা পেয়ে জোরপূর্বক চুম্বন করেন তিনি।
পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এ ঘটনা সহপাঠীদের জানালে একইভাবে আরও বেশ কয়েকজন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। পরে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ২২ সেপ্টেম্বর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করেন ওই মাদরাসার আরেক শিক্ষক সালেক রহমান।
পুরো এ ঘটনার ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে সেখানে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে দেখা যায়নি অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে।
ওই দিন রাতে ভিডিও ধারণকারী ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মোনায়েম হোসাইন।
নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব বলেন, মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ওঠার পরপরই ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেখানে মোনায়েম হোসাইনের নৈতিক স্খলন হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে মোনায়েম হোসাইনের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।
৮ দিন আগে
তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে: তাহের
বাংলাদেশ আর আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না, কারণ দেশের ৪ কোটি তরুণ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় তরুণদের সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে।’
শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তাহের একই সফরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এজন্য খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।’তাহের প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কি দেশের স্বার্থে কিছু বিষয়ে এক থাকতে পারি না?’
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। ‘আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। কিন্তু দেশে আস্থার সংকট, সেবাখাত থেকে শৃঙ্খলার অভাব এবং দুর্নীতি বড় সমস্যা। এসব যদি সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশ ‘টাইগার’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।’
দেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জামায়াত নেতা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না।’তিনি আরও জানান, দলটি টেকসই গণতন্ত্র এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। তবে এ অংশগ্রহণের অর্থ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, বরং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
তাহের বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সততা, সাম্য, মর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নারী-পুরুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং সব দল, মত ও ধর্মবিশ্বাসের মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
১০ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে দলটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এসময় হুমা খানের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক জুনিয়র উপদেষ্টা ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম খান।
সাক্ষাতের শুরুতেই হুমা খান জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও তার পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা কামনা করেন। পরবর্তীতে আন্তরিক পরিবেশে উভয়পক্ষ পারস্পরিক মতবিনিময় করেন।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ সভায়’ জামায়াত আমিরের দেওয়া বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিস হুমা খান।
পড়ুন: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার
আলোচনায় তারা বাংলাদেশে বিদ্যমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম-খুনের বিচারসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে খোলামেলা মতবিনিময় করেন। হুমা খান জামায়াতের প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াত আমির তাকে বিস্তারিত অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, এসময় ডা. শফিকুর রহমান জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে নিজের দলের উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে প্রকাশিত ইংরেজি সংস্করণের ১২ খণ্ডের বই উপহার দেন।
দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান প্রমুখ।
৩০ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না: এটিএম আজহার
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও রংপুর-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃশ্যমান সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে তার আলোকে ভোট করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান জারি রাখার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধরা জীবন দেননি।’
গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়া ও পাকার মাথায় উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহার বলেন, ‘জামায়াত সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এই দলের নেতা-কর্মীরা সবার আপনজন। কিন্তু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জামায়াত থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে একটি মহল। তার পরেও এই দলের নেতা-কর্মীরা মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে আল্লামা সাঈদীকে মেরে ফেলেছে দাবি করে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দুকের নলের সামনে পরিবারকে জিম্মি করে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। এখন সবাই দেখছে সেই সাক্ষীরা প্রকাশ্যে নির্ভয়ে এসে সত্য কথাগুলো বলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
ভোট সম্পর্কে এটিএম আজহার বলেন, ‘অন্য দলের নেতারা বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নানা ওয়াদা দিয়ে ভোট নেয়। কিন্তু ভোট পাওয়ার পর সেই নেতারা আর এলাকায় না এসে নিজেদের উন্নয়ন করে। কারণ তারা মানব রচিত সংবিধানের আলোকে পরিচালিত সংসদের শাসক। মানব উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আল কোরআনের আইন প্রয়োগ করতে হবে, সৎ লোকদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটাই স্লোগান— আল্লাহর আইন চাই। সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সৎ লোককে ভোট দিতে হবে। সৎ লোকের মাধ্যমে প্রচলিত আইন পরিবর্তন করে জামায়াতের ছায়াতলে আসতে হবে। জামায়াতের ছায়ায় এলে অন্তত নামাজ পড়বেন, মিথ্যা বলবেন না, রোজা রাখবেন।’
পথসভায় মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মণ্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান কবির, নায়েবে আমির শাহ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
৩২ দিন আগে
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বেইবা জেরিনা।
সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পড়ুন: ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করল জামায়াত
রাষ্ট্রদূত জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ইইউ’র উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
৩৪ দিন আগে
ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করল জামায়াত
মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এই অনুদান হস্তান্তর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য, আর সে লক্ষ্যে আমরা সব সময় আপোষহীন। জামায়াত একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষকে কর্জে হাসানা প্রদান করি। যাতে মানুষ সুদের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পায়। ক্যান্সার হাসপাতালে আমাদের সামান্য অনুদান সে কল্যাণকামীতারই ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
পড়ুন: সংস্কার নিয়ে গড়িমসি হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে: ডা. তাহের
তিনি আরও বলেন, একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন নির্বাচন জিকির তুলেছে। তারা আর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন না। তারা যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তামাশার নির্বাচন কোন ভাবেই মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে হবে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, এসবকে আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই অবৈধ হয়ে যাবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আগামীতে স্বৈরাচার রুখবার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জুলাই সনদ লেখা, আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।
দলটির বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহজাহান কবির।
এতে উপস্থিত ছিলেন ডা. হাসানুল বান্না, ডা. আব্দুস সালাম, ডা.আব্দুল্লাহ ইউসুফ জামিল তিহান, ডা.শরিফুল ইসলাম, ডা. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
৩৭ দিন আগে
জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার(৩১ আগস্ট) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক বর্তমান পরিস্থিতি এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও ড. হামিদুর রহমান আযাদ।
আজ বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক আজ বিকাল ৩টার পরিবর্তে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
৩৮ দিন আগে
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এই রোডম্যাপ একটি সুষ্ঠ নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য নীল নকশা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘চূড়ান্ত সংস্কারের সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই আগেই প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন এবং বিচার এখনও দৃশ্যমান হয়নি। এর মধ্যে বোধহয় তিনি কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করে পরিকল্পিত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দেশবাসী শঙ্কা পোষণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কমিটমেন্ট দিয়ে আসছিল তারা নিরপেক্ষ থাকবে, তারা সংস্কার করবে, বিচার দৃশ্যমান করবে এবং নির্বাচন হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা তার ওয়াদা ভঙ্গ করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।’
আরও পড়ুন: সংস্কার নিয়ে গড়িমসি হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে: ডা. তাহের
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের জন্য কিছু বিষয় সুরাহা হওয়া খুবই জরুরি। এর মধ্যে জুলাই চার্টারকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু সেগুলো না করেই নির্বাচনের যে রোডম্যাপ বা পথনকশা ঘোষণা করা হয়েছে সেটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ভণ্ডুল করার নীল নকশা বলে আমি মনে করি। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করব, জুলাই চার্টার রিফান্ড ও পিআরের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’
আগের ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি ও নতুন প্রস্তাবিত পিআর—এই দুটোর মধ্যে একটি নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের বড় ধরনের অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন মো. তাহের। এজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতে আমির মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, কালিকাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবুল হাসেম।
৪০ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মাদ ইসহাক দার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ২টায় তিনি ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জামায়াত।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তারিক বাযওয়া, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়া ও সার্ক) ইলিয়াস মেহমুদ নিজামী, ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মাদ ওয়াসিফ ও পলিটিক্যাল কাউন্সেল কামরান দাঙ্গল প্রমুখ।
জামায়াতের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
পড়ুন: পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জামায়াত আমিরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান জামায়াত আমির।
ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন।
৪৫ দিন আগে