প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার জনসংখ্যা নীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যা নীতি ২০১২ হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিমালায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা ২০৪১ থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটি বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ উৎপাদনশীল।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি।’
এছোড়াও অসহায় নারী, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী, হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রসর হচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ চিহ্নিত করেছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।
এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা আমাদের সমাজকে, বিশেষ করে যুবসমাজকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মা ও নবজাতকের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার পর্যায়ক্রমে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ইতোমধ্যে ২০ হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএনএফপিএর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (পিওএ)-এর ১৫টি মূলনীতিকে বাস্তব রূপ দিতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ গ্রহণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি আবারও চালু করেছি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে সারাদেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসহ প্রায় ৩০টি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
এর মধ্যে তিন হাজার ক্লিনিকে 'স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স' সেবা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে সরকার ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/ক্লিনিকের মাধ্যমে মাতৃ, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে।
এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র সার্বক্ষণিক নরমাল ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব সেবা দিতে আমরা প্রতি কেন্দ্রে চারজন করে নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়নমন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্যবিষয়ক কৌশলপত্র (২০১৭-২০৩০) এবং এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিশোরদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ হাজার ২৫৩টি সেবায় কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কর্নার স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকার দেশব্যাপী 'স্কুল মিল' কর্মসূচি চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৬৪ মিলিয়ন বই বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে আমরা উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করেছি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা বিনামূল্যে করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় বাজেটের ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা নারী উন্নয়নের জন্য একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোট শ্রমশক্তির ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবং আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫০ শতাংশে উন্নীত করা। আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’
তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ১৪৬টি দেশের মধ্যে সপ্তম এবং এই অঞ্চলে প্রথম।
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগের জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হচ্ছে জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে তাদের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশকে রূপান্তর করা প্রয়োজন।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পরিমাণ ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে আরও আন্তরিক ও অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে অনুষ্ঠিতব্য সামিট অব দ্য ফিউচারের জন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সংলাপ প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রদান করবে।
সামিট অব দ্য ফিউচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ইস্যু মোকাবিলায় তাদের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা নেবে।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ, বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে দুর্দশাগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ দেওয়াটাও জরুরি বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের শিকার ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশু বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। তারা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন: ঢাকার আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ইউএনএফপিএ অনুসারে, সংলাপটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক জনসংখ্যার গতিশীলতা এবং বৈচিত্র্যকে উন্মোচন করবে। এছাড়া বার্ধক্য ও আন্তঃপ্রজন্মের সুস্থতা, জনসংখ্যার তথ্যের ভবিষ্যৎ এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সংলাপে আলোচনা হবে।
স্থানীয় ও জাতীয় সরকার, একাডেমিয়া, থিংক ট্যাংক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সামাজিক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রায় ২০০ জন প্রতিনিধি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন বা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, জনসংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়ে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করবে। যা পরিবর্তিত জনসংখ্যাতাত্ত্বিক প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
সংলাপটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ব্যবহারিক প্রতিক্রিয়াগুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে সেই ধারাবাহিকতাকে সম্মান জানাবে, যা জনসংখ্যা নীতিতে মানবাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করে এবং এর মূলে ছিল লিঙ্গ সমতা ও প্রজনন অধিকার।
জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে, যেখানে বিশ্ব নেতারা টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদাকে স্থান দিতে সম্মত হয়েছেন।
এই আলোচনাগুলো জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রজনন স্বাস্থ্য, মানবাধিকারের সর্বজনীনতা এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত কর্মসূচির নীতি ও ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বাগত জানায়, তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হলি সি টু বাংলাদেশের অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডাল আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করি।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন আর্চবিশপ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ছেলেদের সংখ্যা কেন কম এবং কেন তারা ফলাফলে মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে তা খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১২ মে) সকালে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা সংখ্যায় কম কেন তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বোতাম টিপে ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল যেভাবে জানা যাবে
তিনি বলেন, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ছেলের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন এবং মেয়েদের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
তিনি বলেন, ‘পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা। কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার যথাসময়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উচ্চশিক্ষার আগ পর্যন্ত উপবৃত্তি ও বৃত্তি প্রদান করেছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং কেন ছাত্রের সংখ্যা কমছে তার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমার কথা নয়, (মেয়েদের) সমান হওয়া উচিৎ।’
এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা যথাক্রমে ১২ ও ২০ মার্চ শেষ হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আজ
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১২ মে) সকালে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা যথাক্রমে ১২ ও ২০ মার্চ শেষ হয়।
এ বিষয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আজ
হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় শোক জানানো হয়।
শোক বার্তায় বলা হয়, মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কমিউনিস্ট পার্টির এ নেতা। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
আরও পড়ুন: শুধু বিত্তশালী নয়, রিকশাচালক-দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। এরপর থেকেই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ে বেশ কিছু সংখ্যক বই লিখেছেন হায়দার আকবর খান রনো। তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: ঢাকার আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী