প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে এটিএম আবু আসাদকে পুনর্বহাল
অবসরে যাওয়া বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এটিএম আবু আসাদকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এটিএম আবু আসাদকে ২০২১ সালের ৩১ মে অবসরে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই অবসরের আদেশ বাতিল করে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অবসরের তারিখ থেকে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত সময়ে তিনি কর্মরত ছিলেন হিসেবে গণ্য হবে।
এ ছাড়াও, তিনি বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
২ সপ্তাহ আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে গণভবনে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানায়, রাত সোয়া ৮টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক এক দফা দাবি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে
সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। তাদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আন্দোলনকারীরা চাইলে আমি এখনো আলোচনায় রাজি। তারা যেকোনো সময় (গণভবনে) আসতে পারে। দরকার হলে তারা তাদের অভিভাবকদের নিয়েও আসতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি তাদের কথা শুনতে চাই; শুনতে চাই- তাদের কী কী দাবি অপূর্ণ রয়ে গেছে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পর এই প্রথম তিনি এ ধরনের ইঙ্গিত দিলেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কারো দাবির অপেক্ষায় থাকিনি।’
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, পুলিশ হোক বা অন্য কেউ, তার বিচার হোক। যাদের কাছে অস্ত্র ছিল এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবার বিচার ও তদন্ত হওয়া উচিত।’
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যত্রও যেসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসিনা বলেন, ‘এজন্য আমি বিচার বিভাগীয় কমিশনে আরও দুজন বিচারক এবং তিনজন সদস্য নিয়োগ দিয়েছি।’
তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয়, সে কারণে তিনি কমিশনের কাজের পরিধি ও সময়ও বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
যারা ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়েছে তাদের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেটাই চাই। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে; তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে।’
রংপুরে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্য এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সহিংসতা ঘিরে গ্রেপ্তারদের মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একইসঙ্গে আটক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যারা একেবারেই জড়িত নন, তাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি; এটি শুরু হচ্ছে।’
যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তারাই কেবল কারাগারে থাকবে এবং বাকিরা মুক্তি পাবে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটি পুরোপুরি বাতিল করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল। এরপর সার্বিক বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা এই প্রকল্প চালু করি। আমরা সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি বাতিল করতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
২ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (জামায়াত-শিবির ও বিএনপি) ছাত্রদের শুধু ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নূরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সহিংসতার পর চিকিৎসা নেওয়া আহতদের দেখতে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গেছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, সারা দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে। এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল স্টেশনের ভাঙা টোল প্লাজাগুলোর সেবা চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, নৈরাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে টার্গেট করেছে।
তিনি জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসব ভাঙচুরের পেছনে থাকা অপরাধীদের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত।’
হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি।
ইতালির রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে মিনা বলেন, 'হলি আর্টিজানের ঘটনার মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
সাম্প্রতিক হামলা ও ভাঙচুর মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় দুই লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
আলেসান্দ্রো বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ ক্ষেত্রগুলো এই ক্ষেত্রের কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
তিনি ইতালিতে বৈধ অভিবাসনের বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার দেশের পুলিশ সদস্যদের বিশাল অভিজ্ঞতা থাকায় বিক্ষোভ ও দমন-পীড়নের মতো বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশকে 'স্কুল অব পাবলিক অর্ডার'-এ প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি একটি ভালো প্রস্তাব উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে
কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জাতিসংঘ ও যেকোনো দেশ তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই সবকিছুর তদন্ত হোক। কারণ, এর পেছনে কী ঘটেছিল এবং কীভাবে এগুলো ঘটেছে তা খুঁজে বের করা দরকার। আমি জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছি তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠানোর জন্য। অন্য কোনো দেশ চাইলে তাদের বিশেষজ্ঞদেরও পাঠাতে পারে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি চাই এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। অপরাধীরা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সহিংসতায় ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কারো কোনো দাবির অপেক্ষা না করে প্রাথমিকভাবে এক সদস্যের একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, পরে যখন আরও অনেক ঘটনা ঘটতে শুরু করে তখন এই কমিটি তিন সদস্যে উন্নীত করা হয়।
২ মাস আগে
সহিংসতায় আহতদের দেখতে কুর্মিটোলা হাসপাতাল পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় সহিংসতায় আহতদের দেখতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার(৩১ জুলাই) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে কুর্মিটোলা হাসপাতালে যান তিনি।
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের সময় হামলার শিকার চিকিৎসাধীনদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী সহিংসতায় হারানো প্রাণ আর কখনো ফিরে আসবে না: প্রধানমন্ত্রী
আক্রান্তরা যাতে সুচিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় আহতদের আঘাত কতটা ভয়াবহ ছিল, তা দেখেন তিনি। ভুক্তভোগীদের কাছে হামলার নৃশংসতার বর্ণনা শুনে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রহমান আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
শেখ হাসিনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
গত কয়েকদিনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শন করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মিরপুর ১০-এর ভাঙচুর করা মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, সহিংসতায় বিধ্বস্ত সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন এবং মহাখালীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল: ভারতীয় হাইকমিশনারকে শেখ হাসিনা
২ মাস আগে
সরকার পতনের জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল: ভারতীয় হাইকমিশনারকে শেখ হাসিনা
দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতাকে 'সন্ত্রাসী হামলার কাছাকাছি' বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
বুধবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এটি মোটেও কোনো আন্দোলন ছিল না এবং এক পর্যায়ে এটি প্রায় সন্ত্রাসী হামলায় পরিণত হয়েছিল।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, সহিংসতাকারীরা আসলে তার (শেখ হাসিনা) সরকারকে উৎখাতের জন্য শ্রীলঙ্কায় যেমনটি ঘটেছিল, ঠিক সেরকম পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে তারা (নৈরাজ্যকারীরা) শ্রীলঙ্কার মতো সহিংসতা সৃষ্টি করে সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চালানো সহিংসতায় প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা এবং ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু হওয়াকে তিনি স্বাগত জানান।
ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ঢাকার রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সব সময় সহযোগিতা দেয় ভারত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল ভারত সফর উল্লেখযোগ্য ফলাফল বয়ে এনেছে, অতীতের অর্জনগুলোকে সুসংহত করেছে এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের জাতীয় উন্নয়ন রূপকল্প-বাংলাদেশেল ভিশন ২০৪১ এবং ভারতের ভিশন ২০৪৭ এর ভিত্তিতে উভয় দেশ সহযোগিতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।’
এই সহযোগিতার মধ্যে ডিজিটাল, গ্রিন, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন এবং সুনীল অর্থনীতি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও আর্থিক প্রযুক্তির (ফিনটেক) মতো সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র থাকবে।
ভার্মা বলেন, ‘এর অর্থ আমাদের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎভিত্তিক অংশীদারত্বকে তুলে ধরে।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী সহিংসতায় হারানো প্রাণ আর কখনো ফিরে আসবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে
কোটাবিরোধী সহিংসতায় হারানো প্রাণ আর কখনো ফিরে আসবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হলেও হারানো প্রাণ আর কখনো ফিরিয়ে আনা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘যেসব স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে সেগুলো নতুন করে নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু যেসব প্রাণ চলে গেছে তা আমরা আর কখনো ফিরে পাব না।’
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি প্রতিটি দাবি পূরণ করেছেন। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তাই আন্দোলন করার কোনো কারণই ছিল না।
তিনি বলেন, এরপরও এ ধরনের ঘটনা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটানো হলো। তারপর আন্দোলনের নামে অনেকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হলো।
তিনি বলেন, 'আমি কখনো ভাবিনি যে এই সময়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এত তাজা প্রাণ ঝরে পড়বে।’
তিনি বলেন, কেউ দাবি করার আগেই সরকার সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দেশব্যাপী তাণ্ডবের সুষ্ঠু তদন্তে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছে, যাতে এই হামলার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তদন্তের পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি ইতোমধ্যে কমিটির আরও দুইজন সদস্য বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকার এরই মধ্যে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে বিদেশি সংস্থাগুলোকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, 'এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের মৎস্য খাতে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের ছয়টি স্বর্ণপদক, আটটি রৌপ্য পদক ও আটটি ব্রোঞ্জ পদক এবং সার্টিফিকেট দেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ জন খামার মালিক, দুজন মৎস্য কর্মকর্তা, একজন প্রকল্প পরিচালক, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, একজন অ্যাসোসিয়েশন লিডার, একটি প্রকল্প ও একটি কমিটি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জেলেদের স্মার্ট কার্ড দিতে সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দু'জন জেলেকে স্মার্ট পরিচয়পত্র দেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান দেশের মৎস্য খাতে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেন।
১৫ খামার মালিকের মধ্যে যশোরে তিনজন, খুলনা, সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারের দুইজন করে, ঝিনাইদহ, বগুড়া, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফেনীতে একজন করে খামারি রয়েছেন।
টেকসই উন্নয়ন ও মৎস্য সম্পদের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৩০ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী 'জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪' উদযাপন হচ্ছে। তবে বুধবার মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
২ মাস আগে
সহিংসতায় আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছান। এরপর আহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।
আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
হামলার নৃশংসতার কথা শুনে এবং আহতদের শরীরে আঘাতের তীব্রতা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এসময় চোখের জল ধরে রাখতে তাকে বেগ পেতে হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
পরিদর্শনকালে তিনি আহতদের সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এ ছাড়াও, মিরপুর ১০ এ ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন এবং মহাখালীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি যেন সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে যথাযথ ও মানসম্মত করতে বৈদেশিক কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করব।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেসময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রসঙ্গত, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব নিহতের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে