সংসদ-সচিবালয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি’র চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি’র চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এ বি তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়।
কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত এবং মো. শাহরিয়ার আলম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের পরচিতি র্পব শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরসমূহের সার্বিক কার্যক্রম ও কর্মবণ্টন এবং চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে নবনিয়োগপ্রাপ্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ডাক্তারদের ০২ (দুই) মাসের প্রশিক্ষণের পরিবর্তে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ন্যায় একত্রে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ০৬ (ছয়) মাস মেয়াদী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করা এবং অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ডাক্তার নিয়োগের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
বৈঠকে নতুন ভবন নির্মাণে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং সার্কিট হাউজ ব্যবহারকারীকে মানি রিসিট দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া সরকারি টাকায় বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী কর্মকর্তাদেরকে ডিগ্রি অর্জনকৃত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থলে পদায়ন করতেও মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এর সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়।
কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে শেষ অধিবেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ ও প্রতিশ্রুতির হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ও প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় এমপিরা
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানরা এবং বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন শক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।’
এর আগে বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য লিখিত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনের টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চলমান গবেষণার ফলাফল এবং কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) অধীনে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর সেল একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করবে।
এছাড়া ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট এ বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জি (নবায়নযোগ্য) থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি করে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে মোট ১ হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর (ফেনী-১) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এই পাঁচটি বিভাগ এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ নেই।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হকের (সাতক্ষীরা-৪) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা ছিল। ৯ দশমিক ১২ গুণ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। যা মোট জাতীয় বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়বে। ফলে নিয়োগে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২২ থেকে ২৩ বছরে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি আসলে ওটার কাছাকাছি বিষয়।’
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫ শতাংশ) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং তার থেকে বেশি বয়সিদের গ্রুপে (২৯ বছরের বেশি) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বনিম্ন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।
বয়সসীমা বাড়ানো হলে বর্তমানে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা এ সুযোগ পাবেন। এতে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পাটের ব্যাগ বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: পাটমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ও প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় এমপিরা
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের বেহাল দশার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র তিন সংসদ সদস্য।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং দুই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার অভিযোগ করেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কথা উঠলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
খোঁড়া অজুহাতে বড় সংস্থাগুলোকে সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে 'পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট বিল-২০২৪' পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এই কঠোর সমালোচনা করেন।
তবে এমপিদের সমালোচনার জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।আরও পড়ুন: আইনি-কূটনৈতিক জটিলতায় তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বিলের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে পঙ্কজ নাথ চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘নিয়ম না মেনেই চারটি প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। আমি বিস্তারিত বলব না, সংগঠনগুলোর নামও বলব না।’
পঙ্কজ নাথ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া এই বিশেষ অনুমোদনে মরে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক।
সুদ মওকুফের সমালোচনা করে পঙ্কজ নাথ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর কারণে সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই হয়নি, এমনকি বিপর্যয়ও ঘটেনি। সন্দেহজনক ও খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে সংশোধনী বিল পাস
মতিউর রহমানের নাম উল্লেখ না করে পঙ্কজ নাথ বলেন, দুর্নীতির কারণে প্রতিদিনই বিতর্কিত ব্যক্তির নাম আলোচিত হচ্ছে।
‘সরকারি ব্যাংক, এনবিআরের পরিচালক, আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান থেকে একজন ব্যক্তি রাষ্ট্রের তিন থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে ১৫ বছর আগে।’
এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে তার নাম কারা সুপারিশ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
‘সরিষার মধ্যেই ভূত থাকে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ এই ভূত দূর করতে পারবে না।’
বিলের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পি কে হালদার চোরাচালানের টাকা নিয়ে ভারতে চলে গেছেন।
অনেক কোম্পানি আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। যারা লিজিং কোম্পানিতে টাকা জমা রেখেছেন এবং তা ফেরত পাবেন তাদের জন্য এই আইনে কোনো বিধান আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগও আছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না। ব্যাংকটি ব্যাঙের ছাতার মতো হয়ে গেছে। আজ ১০-২০টি ব্যাংক বন্ধ রয়েছে। তাদের আর্থিক অবস্থা নাজুক।
হামিদুল হক খন্দকার বলেন, আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কথা উঠলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ সংসদে পাস
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বিল-২০২৪ সংসদে পাস
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আইন- ১৯৯২ এর সংশোধিত বিল ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের 'সচিব' পদের নাম পরিবর্তন করে সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়েছিল।
বিলটির সংশোধনী আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বাজারে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি করে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে গিয়ে দেখেছি একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পাঁচ-ছয়টি পণ্য কিনতে হয়। অনেকে তা নিতে পারেন না। যাদের প্রয়োজন নেই তাদেরও টিসিবি থেকে আলাদা জিনিস নিতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিপন্ন ভাষাগুলোর সংরক্ষণ-গবেষণার লক্ষ্যে সংসদে নতুন বিল উত্থাপন
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন এনে থাকে, তারা যদি সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কোনো আইন এনে থাকে, তাহলে বলা হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় তারা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বাজারে গেলে বাজার ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু তারা বাজার ত্যাগ করার পরই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় বাজার।’
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলে আমার জানা নেই।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওষুধের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকার মুনাফা কোথায় নেবে জানি না। ওষুধ কোম্পানিগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কম শুল্কে কাঁচামাল আনলেও আমাদের দেশে দাম বেশি।’আরও পড়ুন:আইনি-কূটনৈতিক জটিলতায় তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আইন করে ক্যান্সারের ওষুধ ও কিডনি চিকিৎসার খরচ কমানোর কথা বলা হচ্ছে। এই কোম্পানিগুলো কি বাইরের? এটা কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? আমাদের দেশীয় মালিক। তাদের কি বিবেক নেই? শতকরা কত ভাগ লাভ দরকার? শতভাগ লাভ।’
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, এই বিল জনগণের স্বার্থে নয়। এখানে শুধু একটি শব্দ পরিবর্তন। ভোগ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ, নিত্যপণ্যের প্রাপ্যতা, বাজারে সহজলভ্যতা, আমদানি-উৎপাদন সমন্বয় ও জনগণের জন্য সহজ করার দায়িত্ব যদি ট্যারিফ কমিশনকে দেওয়া হয় তবেই জনগণের স্বার্থ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভেঙে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্য সহজলভ্য করা। এটা ট্যারিফ কমিশনের কাজ সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।’
শুধু একটি শব্দ বদলের জন্য বিল সংসদে আনার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সংসদে সাড়ে তিনশ’ সদস্যকে ডেকে একটি কেবল একটি ‘সচিব’ পদ থেকে পরিচালক পদ পরিবর্তন করা, প্রধানমন্ত্রীকে আপনার সামনে বসানো এবং আপনার (মন্ত্রী) কাছ থেকে শব্দ পরিবর্তন করা অর্থের অপচয়।’
আরও পড়ুন: ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে সংশোধনী বিল পাস
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে সংশোধনী বিল পাস
স্থানীয় সরকারে (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়।
জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনও এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে ‘প্রশাসক’ হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। কোনও দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিপন্ন ভাষাগুলোর সংরক্ষণ-গবেষণার লক্ষ্যে সংসদে নতুন বিল উত্থাপন
বিলে আরও বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোনো অজুহাতে তাদের মেয়াদের বেশি সময় পদে থাকতে পারবেন না। চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে, যা বর্তমানে ১০ হাজার টাকা রয়েছে।
এতে চেয়ারম্যানদের তাদের মেয়াদের পরও অফিসে থাকার অনুমতি দেওয়ার বর্তমান পার্থক্যটি দূর হবে। এছাড়া মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বিত করার অভ্যাসও এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রোধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ‘সচিব’ পদটির নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ইউয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত পর্ষদকে শপথ নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে প্রথম সভা করতে হবে, যা ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ছিল না।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
নতুন আইন অনুসারে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাদের মেয়াদকালে সরকার-নির্ধারিত সম্মানী পাবেন এবং বরখাস্ত হলে ভাতা প্রাপ্তির বিষয়ে যেকোনো আইনি অস্পষ্টতার সমাধান করবেন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা, সরকারি বরাদ্দের ওপর নির্ভরতা হ্রাস এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও আধুনিক ও সেবামুখী করাই সংশোধিত এই আইনের লক্ষ্য।
বিলটি গ্রাম আদালত পরিচালনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
আইনি-কূটনৈতিক জটিলতায় তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে একই সঙ্গে জোর কূটনৈতিক ও আইনি তৎপরতা চলছে।’
বুধবার(২৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের (সংরক্ষিত আসন) উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে ফেরত আনা নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার সব জটিলতা দূর করে এই অপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, 'আশা করছি, শিগগিরই আমরা এই প্রক্রিয়ার ফলাফল দেখতে পাব।’
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করছে।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
‘এছাড়া পলাতক আসামিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন, সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়ে তিনি নিজে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছে বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০ বছরে ২৬ হাজার ১৮১টি নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের বৈঠকেও তাদের ব্যক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশে খুনিদের অবস্থান নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে এ বিষয়ে প্রত্যাশিত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন, খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চলমান কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) নূর চৌধুরী ও তার পরিবার কানাডায়, আবদুর রশিদ ও মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম ডালিম পাকিস্তান অথবা লিবিয়ায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় এবং রেসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ভারতে অবস্থান করছেন। এছাড়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থানকালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যে ১২ আসামির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপন্ন ভাষাগুলোর সংরক্ষণ-গবেষণার লক্ষ্যে সংসদে নতুন বিল উত্থাপন
বিপন্ন ভাষাগুলোর সংরক্ষণ-গবেষণার লক্ষ্যে সংসদে নতুন বিল উত্থাপন
বিশ্বব্যাপী বিলুপ্তপ্রায় মাতৃভাষা ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে গবেষণার জন্য একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট ফান্ড’নামে প্রস্তাবিত তহবিলটির মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রসারে জাতির পিতার অবদানকে সম্মান জানাতে চায়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিলে দুই ধরনের তহবিল গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে: স্থায়ী এবং চলতি।
স্থায়ী তহবিলের উৎস:
১. সরকার থেকে এককালীন অনুদান।
২. সরকার থেকে পর্যায়ক্রমিক অনুদান।
৩. স্থায়ী তহবিলের বিনিয়োগ থেকে আয় বা মুনাফা।
৪. অনুমোদিত অন্যান্য উৎস থেকে অবদান।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
বর্তমান তহবিল ব্যবহার:
১. বাংলা ভাষা ও অন্যান্য ভাষা আন্দোলন নিয়ে গবেষণা।
২. ভাষা গবেষণা ও শিক্ষার জন্য বৃত্তি, ফেলোশিপ, অনুদান ও প্রশিক্ষণ।
৩. বিপন্ন ও অলিখিত ভাষার সংরক্ষণ ও বিকাশ।
৪. অনুবাদ কার্যক্রমের জন্য আর্থিক সহায়তা।
৫. ইনস্টিটিউটের গ্রন্থাগার, বিশ্ব লিপি আর্কাইভ এবং ভাষা জাদুঘর বাড়ানো।
৬. গবেষণা কার্যক্রমের জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা।
বর্তমান তহবিল উৎস:
১. সরকারি অনুদান।
২. সরকারের অনুমোদিত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদান।
৩. বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থায়ন, অনুদান, ঋণ।
৪. চলতি তহবিলের বিনিয়োগ থেকে আয়।
৫. অনুমোদিত অন্যান্য উৎস থেকে অবদান।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
তহবিলের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
১. শিক্ষামন্ত্রী (চেয়ারম্যান)।
২. প্রতিমন্ত্রী বা শিক্ষা উপমন্ত্রী।
৩. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব।
৪. অর্থ বিভাগের সচিব।
৫. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।
৬. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব।
৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
৮. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
৯. বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, ঢাকা।
১০. ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি।
১১. বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রধান।
১২. সরকারের মনোনীত কমপক্ষে দুইজন ভাষা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ।
১৩. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সদস্য-সচিব)।
ভাষা শিক্ষার জন্য ফেলোশিপ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিলে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং তার সম্মানে ট্রাস্ট ফান্ডের নামকরণ যথার্থ। এ উদ্যোগের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ১০ বছরে ২৬ হাজার ১৮১টি নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১০ বছরে ২৬ হাজার ১৮১টি নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২০১৪-২৪ সালের মধ্যে নদীর তীর থেকে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এছাড়া এসময়ে ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদী তীরবর্তী দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিএ নদী তীরগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিলোমিটার। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও মিরকাদিমে চারটি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর রয়েছে যেগুলো অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী পরিবহনের জন্য এসব অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্ত্রী বলেন, নদী পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। নদী পুনরুদ্ধারের জন্য সকল অংশীদারদের নিয়ে একটি আমব্রেলা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউআইপি) প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংক।
এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হবে এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং করা হয়।