সোমবার তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বোরিং মেশিন চালুর মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেল খনন কাজের উদ্বোধন করবেন।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে রাজধানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী নৌবাহিনীর সিকিউরিটি সাপোর্ট ইউনিট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্প এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা দেবে এবং চুক্তির মেয়াদ হবে চার বছর।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৩২ ভাগ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং নৌবাহিনীর নেভাল অপারেশনসের পরিচালক এবং সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সুপারভিশন কনসালটেন্টের প্রধান সমন্বয়ক কমোডর মাহমুদুল মালেক প্রায় ৬৫ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
নয় হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
দুটি টিউব বিশিষ্ট মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪ কিলোমিটার। পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজসহ এ টানেল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাসহ ভ্রমণ সময় উল্লেখযোগ্য হ্রাস পাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।