মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের প্রধান সড়ক সংলগ্ন কে বি বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বাঁশখালীর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ১২টি দোকান পুড়ে যায়। এতে অন্তত দেড় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরে চত্তি রঞ্জনের মালিকানাধীন কসমেটিকস ও সেন্ডেলের দোকানে ধূপ জ্বালানোর সময় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তাদের ধারণা। তবে কেউ কেউ বলছেন বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের আরো দোকানে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা তীব্রতর হওয়ায় আগুনের নেভানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক আমির হোসেন বলেন, মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১২টি দোকানসহ আরো কয়েকটা দোকানফটক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে আমাদের পরিবার চালানোর একমাত্র আয়ের স্থান পুড়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। ঘুরে দাঁড়াবার মতো কোনো সহায়-সম্বল নেই।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লটিন বসনু বলেন, খবর পেয়ে আগুনের ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনি।
এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।