ইতোমধ্যেই বহু বাড়ি-ঘর আর গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকায় ওই উপজেলার চরাঞ্চলের জালালপুর, গালা, সোনাতুনি ও কৈজুরি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব ইউনিয়নের চিথুলিয়া, তারটিয়া, চরপাইখন্দ, হাটপাচিল, ভাটপাড়া, চরঠুটিয়া, গুধিবাড়ি, জগতলা, ধীতপুর, মাকড়া, শ্রীপুর, ছোট চানতারা, বানতিয়ার, পাকুরতলা, ভেকা গ্রামের বহু বাড়ি-ঘর, চাষের জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে একাধিকবার ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া জেলার কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনায় সামান্য করে পানি বাড়তে থাকায় অনেক স্থানে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড ভাঙনের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।