তিনি বলেন, ‘আমি অংশীদারিত্বে বিশ্বাস করি...আমি সহযোগিতায় বিশ্বাস করি। আমাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনে আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন দরকার।’
বাংলাদেশের সামনের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারা বিশ্বাস না করার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর এক হোটেলে ‘স্পেশাল ব্রিফিং অন কনটেম্পরারি পলিটিক্যাল ইস্যুস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের জন্য আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটি এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-কমিটির সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-কমিটির সভাপতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনসহ সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর বর্ণনা দেন এবং এসব সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করে বলেন, এ কাজ বাংলাদেশ একা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ পর্যাপ্ত না হওয়ায় এ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চায়।
রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আলাপকালে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান, যাতে দেশটি তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়।
তার মতে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান হয়তো মৌলবাদের সৃষ্টি করতে পারে, যা বাংলাদেশ ও আশপাশকে হুমকিতে ফেলবে।
ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় তাদের ভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে ফেরার প্রতি জোর দেন। তার মতে, এটি সংকটের একমাত্র সমাধান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তিনি জানান, সমুদ্র-স্তর এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ৩ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং জলবায়ু ঝুঁকির কারণে দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ১-৩ শতাংশ কম হচ্ছে।