কূটনৈতিক
দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংকট কি কেটে গেছে- এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলব একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। সেসব সমস্যা ও আইনের যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, ‘আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে
৪০ জনেরও বেশি কানাডীয় কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, কানাডাকে তার ৪০ জনেরও বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি প্রত্যাহারের জন্য ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে এবং এর আগেও নয়াদিল্লি বলেছিল মোট সংখ্যা কমিয়ে ৪১ জনে নামানো উচিত।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
কানাডার মাটিতে একজন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অটোয়ার অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত কানাডাকে তার দেশে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।
যদিও ভারত এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘হিংসার পরিবেশ’ এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
১ বছর আগে
শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
সম্প্রতি ‘কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে’ একটি যৌথ বিবৃতি জারি করায় ‘অকূটনৈতিক আচরণের’ জন্য ঢাকায় ১৩ রাষ্ট্রদূতের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আশরাফুল আলমকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ঢাকাস্থ যেসকল দূতাবাস গণমাধ্যমে একটি যৌথবিবৃতি দিয়েছিলেন, আজ দুপুরে সেসব রাষ্ট্রদূতকে আমরা ডেকেছিলাম। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। ওনাদের যৌথ বিবৃতিটি ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে যথাসময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। ঘটনা সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ত্বরিত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, এসময় কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে সরকারকে পাশ কাটিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ’ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কিছু মৌলিক ত্রুটি ছিল যা বাংলাদেশ নির্দেশ করেছে এবং এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের দূতাবাস/হাইকমিশন স্বাক্ষর করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা কোনো সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিকে গুটি কয়েক কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেন নি।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
ঘটনাটি জানাজানি হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাৎক্ষণিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯শে জুলাই তারিখে কূটনীতিকবৃন্দের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই কিন্তু দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, যে দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ঘটনাটির সমালোচনা তারা করেছেন, সেই গুরুত্ব ও দ্রুততার সঙ্গে কিন্তু তারা সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক ও ত্বরিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে তারা মূল্যায়ন করেননি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই যৌথ বিবৃতিটির বস্তুনিষ্ঠতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবনার অবকাশ থেকেই যায়।’
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দায়িত্ব গ্রহণ আয়োজক ৩ দেশের
কূটনৈতিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দায়িত্ব নিলেন আয়োজক তিন দেশ।
রবিবার কাতারে আয়োজক তিনটি দেশের প্রতিনিধিরা আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার আগে এই অনুষ্টানে মিলিত হন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা আগামী সোয়া তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফুটবলের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আয়োজন করবে।
প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী ও জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আমরা বেশি আবেগতারিত হতে পারিনি।’ ‘আমরা ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালের প্রস্তুতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি এবং আমরা বিশ্বজুড়ে ভক্তদের স্বাগত জানাতে উন্মুখ।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জয়, আর্জেন্টিনার হয়ে আরও খেলতে চায় মেসি
গ্রিনফিল্ড জাতিসংঘে কাতারের একজন সহযোগী রাষ্ট্রদূত শেখ আলিয়া আল থানিকে বলেছিলেন যে বর্তমান আয়োজক ‘উচ্চমান নিশ্চিত করেছে।’
শেখ আলিয়া বলেছেন, ‘মনে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিশ্বকাপ জিনিসগুলোকে অতিক্রম করে এবং এটি মানুষ ও দেশকে একত্রিত করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব তৈরিতে একটি ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করে।’
২০২৬ সালের টুর্নামেন্টটি ১৬টি শহরে খেলা হবে: ১১টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তিনটি মেক্সিকোতে এবং দু’টি কানাডায়।
কাতারে ৩-৩ ড্রয়ের পর পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পে বিশ্বকাপের মহাকাব্যে চমক, শেষ পর্যন্ত হার
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২: স্বপ্নের শিরোপা জয়ী মেসির আর্জেন্টিনা
২ বছর আগে
বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ: শাহীনবাগের ঘটনায় খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুধবারের ঘটনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে গুমের শিকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিদেশি কূটনীতিকদের ‘দেশের জনগণের মতো’ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিক একটি বিশেষ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এবং পরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত একটি গ্রুপ তাদের (আ.লীগের) সহায়তায় অন্য সংগঠনের নামে সেখানে যায়। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ‘কিন্তু অন্য কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া, সেই কর্মসূচিকে ব্যাহত করা এবং কর্মসূচিকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়া একটি অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটাও এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন ও গুমের পরিবারের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ মায়ের ডাক (মায়ের কল) এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের শাহীনবাগের বাসায় যান।
তবে সেখানে তিনি অন্য একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা আটকা পড়েন এবং মুখোমুখি হন - মায়ের কান্না (মায়ের অশ্রু) - যেটি আরও সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। আশির দশক পূর্ববর্তী শাসনামল, বিশেষ করে সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরুর দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকারদের পক্ষে সমর্থন করে।
সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন বলে জানা গেছে। সানজিদা প্লাজা ডি মায়ো নামে একটি সংগঠনের অনুকরণে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি আর্জেন্টিনার সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসনের সময় বলপূর্বক নিখোঁজদের জন্য গঠিত হয়েছিল। অনুরূপ সংস্থাগুলো দক্ষিণ আমেরিকার আশেপাশের অন্যান্য দেশে বিদ্যমান যেখানে সত্তর দশক থেকে শুরু হওয়া সামরিক সরকারের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিখোঁজ হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের মদদে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটাই প্রথম নয়। ‘আমি মনে করি এই ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি ডিনার পার্টিতে যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
খসরু বলেন, ‘বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কেউ শাস্তিও পায়নি। এই ঘটনার পেছনে কারা ছিল এবং সরকারের উদ্দেশ্য তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার চায় এ ধরনের ঘটনা যাতে দেশে একটা ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন,‘তারা (সরকার) যেভাবে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দমন করতে চায়, এখন একইভাবে তারা কূটনীতিকদের জন্য ভিন্ন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঘটনা তা প্রমাণ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে যে দলগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তারা কয়েক মাস আগেও বিএনপির মানবাধিকার কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মদদে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার এ ধরনের অপচেষ্টা আওয়ামী লীগের চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে, কিন্তু সরকারের সমর্থনে অন্যের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা বেআইনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে খসরু বলেন, এটি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি 'মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন' করবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
মার্কিন কূটনীতিক সরকারকে কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেননি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে খসরু বলেন, ‘এর মানে কি সরকারকে না জানিয়ে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না কূটনীতিকরা? সরকার ঘটনা সম্পর্কে অবগত না থাকলে কর্মসূচির দুই দিন আগে কেন পুলিশ এলাকায় (শাহীনবাগ) ঘোরাফেরা করছিল? রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পুলিশের একটি দলও রয়েছে। তাই সরকার এ বিষয়ে অবগত ছিল।
তিনি বলেন, এটি একটি অজুহাত হতে পারে না যে সরকার মার্কিন কূটনীতিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি কারণ তিনি তার কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেননি। ‘সরকারকে জানালে নিরাপত্তা পাবেন, না হলে নিজের নিরাপত্তা নিজে গ্রহণ করবে। সরকারের এ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের নিরাপত্তার চরিত্র ফুটে উঠেছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন খসরু।তিনি বলেন, মায়ের কান্নার লোকজন বিএনপির কিছু কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার জন্য আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ‘যারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি... সরকার নিজেই তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করছে যে তারা এর পেছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘তারা পরোক্ষভাবে ঘটনাটিকে সমর্থন করছে কারণ এটি তাদের সাহায্য ছাড়া ঘটতে পারে না।’
খসরু বলেন, মার্কিন কূটনীতিকের কর্মসূচিতে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ডের গতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ।
উভয় পক্ষ দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কাজে লাগানো হয়নি এমন সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এই বছর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
এই উদযাপনের অংশ হিসেবে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন এবং একটি ই-বুক উন্মোচনের অনুষ্ঠান হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং সফররত থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব-মনোনীত সারুন চারোয়েনসুওয়ান যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট এবং ই-বুক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব এবং স্থায়ী সচিব উভয়েই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। যা গত পাঁচ দশক ধরে বিকাশ লাভ করেছে এবং শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে যে কয়েকটি দেশ স্বাধীনতার খুব প্রথম দিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
২ বছর আগে
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের ছোঁড়া গোলায় একজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন,কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তেমন কোন সাফল্য নেই।
শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, আলোচনায় রাজনীতি-অর্থনীতি
বিবৃতিতে তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কাদের বলেন, অকারণে নিরীহ রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গোলা বর্ষণের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর এই হামলা ক্ষমার অযোগ্য। বিবৃতিতে কাদের মিয়ানমারের সরকারের উদ্দেশে বলেন,আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবাইকে সংযত আচরণ করতে হবে।
তিনি বাস্তুচ্যুত, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
২ বছর আগে
বাংলাদেশে নির্বাচনকালে সুশীল সমাজের আরও স্পেস প্রয়োজন: ব্যাচেলেট
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় সুশীল সমাজের জন্য আরও ‘স্পেস’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী দল, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের কর্মীদের সভা সমাবেশের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন৷ বাংলাদেশে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দূর করতে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের মধ্যে আরও সংলাপের ‘স্পেস’ থাকা প্রয়োজন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
ব্যাচেলেট বলেন, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ না করে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং বিশেষ করে তরুণদের চাওয়া শোনা দরকার।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘আমি আশা করি আমার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে উঠবে এবং সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে।’
সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ব্যাচেলেট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কূটনৈতিক এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই: কাদের
২ বছর আগে
কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের সামনে গুলি, পুলিশসহ নিহত ২
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যের এলোপাথাড়ি গুলিতে শুক্রবার বিকালে একজন নারী পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। পরে রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে নিজেকেও শেষ করে দেন ওই পুলিশ সদস্য।
ইউএনবি জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ মিশনের সব কূটনৈতিক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা নিরাপদ আছেন।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হত্যাকারী পুলিশ প্রায় এক ঘন্টা ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করেছিল এবং শহরের পশ পার্ক সার্কাস এলাকায় হাইকমিশনের কাছে কমপক্ষে ১০ রাউন্ড গুলি চালায়।
ঘটনার পরপরই কলকাতা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা দুর্বৃত্ত পুলিশকে ছোটুপ লেপটা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিনি কলকাতা আর্মড পুলিশের ৫ম ব্যাটালিয়নে ছিলেন।
কলকাতা পুলিশের প্রধান বিনীত গয়াল স্থানীয়দের বরাতে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হঠাৎ গুলি চালানোর আগে পুলিশ সদস্য এক ঘণ্টা ধরে এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছেন। তার এলোপাথাড়ি গুলিতে একজন নারী নিহত হয়েছেন এবং অন্য দু'জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ সদস্য নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে নিজেকেও শেষ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছি এবং মামলার সমস্ত দিক তদন্ত করব।’
পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
২ বছর আগে