জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, এ বছর কোরবানির পশুর সংকট হবে না। জেলায় এবারের ঈদুল আযহায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯২ হাজার। অন্যদিকে পাঁচ উপজেলায় ছোট-বড় ও পরিবারিকভাবে মিলিয়ে ১২ হাজার ৬২৪টি খামারে ৯৮ হাজার ৭৬৯টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ষাঁড় ২৩ হাজার ৩৮৭টি, বলদ ১৭ হাজার ৫০২টি, গাভী ১৩ হাজার ৯৫২টি, মহিষ ৩ হাজার ৪০৬টি, ছাগল ২৯ হাজার ২৪৩টি এবং ভেড়া ও গাড়ল ১১ হাজার ২৭৯টি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর জেলার খামারিরা গরু পালন করে আসছেন। তারা জানান, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু। ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না তারা। প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার দিয়ে থাকেন তারা। এ খাতের প্রতি সরকার নজর দিলে ভারত থেকে গরু আনার প্রয়োজন পড়বে না বলে তারা জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোনিমগাছি এলাকার গরুর খামারি ইকবাল হোসেন জানান, নিয়মিত খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু পালন করা হয়। তার খামারে ৪৮টি গরু রয়েছে, যার দাম সর্বোচ্চ ২ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার টাকা। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির পশু কম বিক্রির আশঙ্কা করছেন তিনি।
পৌরসভার বটতলা হাটের ইজারাদার মনিরুল ইসলাম জানান, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ সময় হাটে গরু ও ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। মঙ্গল ও শুক্রবার এ দুদিন হাট হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে হাটে ক্রেতারা তেমন না আসায় বেচাকেনা একেবারে কম। বিক্রি কম থাকায় এবার লোকসান গুনতে হতে পারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খামারিদের স্থানীয়ভাবে গবাদি পশু পালনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়। এবার লালন-পালন করা এসব পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে। পর্যাপ্ত পশুর মজুদ থাকায় দামের ওপর প্রভাব পড়বে না। তবে করোনাকালে মানুষের হাতে টাকা না থাকায় এ বছরের ঈদুল আযহায় কোরবানি দেয়ার পরিমাণ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’