পশু
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (পিসিএসপি) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র তাপস বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।
ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য সরাতে কাজ শুরু করে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সবার ঈদ উদযাপন এবং বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় কাউন্সিলর ও পিসিএসপি প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয় সভায় করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে আগ্রহী মাইক্রোসফট
আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ-লুটেরাদের ওপর নির্ভরশীল: রিজভী
৬ মাস আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
এবার ঢাকার মধ্যে গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সেইসঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
৬ মাস আগে
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ভোকার (এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোঅপারেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স) যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন।
একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে।
এক্ষেত্রে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কীভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় পশু চিকিৎসকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান পল্লি পশু চিকিৎসক সোহরাব হোসেন। শুক্রবার দুপুর ২টায় ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কে সদর উপজেলার ২৯ মাইল নতুন পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহরাব ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব বেগুনবাড়ি গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সোহরাব বাড়ি নতুনপাড়া থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে আসছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে একটা বেপরোয়া ট্রাক এসে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
বোদা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, হাইওয়ে পুলিশ ট্রাকটিকে জব্দ করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ঢাকায় গেলো ৪৬টি কোরবানির পশু
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবারও কম খরচে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ ঢাকায় গেলো কোরবানিযোগ্য ৪০টি গরু ও ৬টি ছাগল। তবে এবার আলাদাভাবে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু না করে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আলাদা ওয়াগন সংযুক্ত করে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
এসময় জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের সহকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা একেএম নুরুল আলম, স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চালুর এক দিন পরই বন্ধ হয়ে গেল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহন করার জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে আলাদা ৩টি ওয়াগন জুড়ে দিয়ে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ এর কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। একটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ টাকা। ট্রেনটি প্রতিদিন বিকাল ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে (তেজগাঁও) ছেড়ে যাবে। শনিবার (২৪জুন) থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত টানা ৩দিন এ সুবিধা চালু থাকবে।
করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই প্রথমবারের মতো কোরবানির পশু স্বল্পমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
৬ জুলাই থেকে চলবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
১ বছর আগে
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সেটা লক্ষ্য রাখব। পশুর হাটে হাসিলের সাইনবোর্ড দৃশ্যমান রাখতে হবে। পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়োজিত থাকবে। পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন ও এটিএম বুথ থাকবে।’
রবিবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ বা ৩০ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘সারাদেশে ৪ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে বলে আমাদের কাছে এ পর্যন্ত খবর এসেছে। এসব হাটে নিরাপত্তা দিতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পশুর হাট বসলে তা যেন কোনোক্রমেই যেন মহাসড়কের ভেতর না আসতে পারে, সেজন্য ওই হাটের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু ঠিকমত যাতে শহরে ঢুকতে পারে এবং পরিবহন যাতে সুন্দর হয় সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ও কোরবানির পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার বসাবো। পশুর হাটগুলো সিসি ক্যামেরায় আবৃত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পুলিশ নয়, অনেকেই পশুবাহী গাড়ি থামিয়ে থাকে। যদি কেউ পশুবাহী গাড়ি থামায় তাহলে স্থানীয় এসপিকে জানাতে হবে। এরপর তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পথে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কেউ কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কোনো পশুবাহী নৌযান ও ট্রাক পরিবহনের সময় জোরপূর্বক নির্দিষ্ট কোনো হাটে যাতে বাধ্য করা না হয়, থামানো না হয়। সেজন্য ট্রাক বা যানে সামনে ব্যানারে লেখা থাকবে পশুবাহী যান কোন হাটে যাচ্ছে। পশুবাহী যানবাহন সড়ক, মহাসড়ক বা নদীতে কেউ থামাতে পারবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থামাতে পারবে না। কেউ যান থামালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও ফেরিঘাটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় থাকবে। মলম ও অজ্ঞান পার্টি যাতে কোনো কার্যক্রম করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর থাকবে। পশুর হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩। যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি।
এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।
এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসাবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এবারও দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশ থেকে পশু আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনভাবেই আমরা বাইরের প্রাণির ওপর নির্ভরশীল হবো না।
অবৈধভাবে দেশে পশু আসলে আমাদের অর্থ দেশের বাইরে অবৈধভাবে চলে যায়।
তিনি বলেন, কোরবানির হাটে এ বছর কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও রেলে কোরবানির গবাদিপশু পরিবহন করা হবে। যে অঞ্চলে গবাদিপশুর উৎপাদন বেশি সে অঞ্চল থেকে যে অঞ্চলে উৎপাদন কম সে অঞ্চলে রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহন করা যায়।
এক্ষেত্রে রেল বিশেষ সুযোগ দেবে। কম খরচে পশু পরিবহনের সুযোগ করে দিবে। দেশের সর্বত্র যাতে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত থাকে সে অনুযায়ী পশু পরিবহনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে সেজন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
মন্ত্রী বলেন, কেউ খামারে পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা যাবে না। কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলেও তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পারে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মন্ত্রী বলেন, হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতে ও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না।
এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
১ বছর আগে
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সেশনে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানাতে ডিএসসিসি এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও০ ২২২৩৩৮৬০১৪।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত নাগরিকদের যে কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ইজারাকৃত কোরবানীর পশুর হাটসমূহের উৎপাদিত বর্জ্য অপসারণ কাজে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয়, প্রতিটি হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা, হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের সঙ্গে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের যাচাই করা, কোরবানি পরবর্তী ওয়ার্ডভিত্তিক সরেজমিনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা এবং বর্জ্য অপসারণ, পরিবহন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কাজে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো ঈদের দিন দুপুর ২টা হতে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
২ বছর আগে
বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচা-কেনা। হাটে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের গরুর সরবারহের ঘাটতি নেই। তেমনি ক্রেতারও কমতি নেই। তবে হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট শুক্রবার সকাল থেকে জমে উঠেছে। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার গরু আনা হয়েছে হাটে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এই হাটে গরু কেনা-বেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল গরুর হাট। ট্রাক এবং পিকআপ থেকে গরু নামানো হচ্ছে হাটে। মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় খুটি গেড়ে গরু রাখা হয়েছে। ক্রেতারা এসে নানাভাবে গরু দেখার পর বিক্রেতাদের সাথে দরকষাকষি করছেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় অনেকই গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ফয়লাহাটের এক প্রাশে গিয়ে দেখা গেলো, অস্টেলিয়ান হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের একটি গরু দেখতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা। ওই গরুটি হাটের সব চেয়ে বড় সাইজের বলে দাবি খামারীর। ওই গরুটির দাম হাকানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
হলেস্টিয়ান জাতের ওই গরুর খামারি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সে ব্যবসার জন্য বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। তার খামারে ছোট-বড় মিলে মোট আটটি গরু রয়েছে। খামারের সব চেয়ে বড় দু’টি গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছে। এর মধ্যে সাদা রঙের উপর হালকা কালোছোপ দেয়া গরুটি তার খামারের সব চেয়ে বড়। আর কালো রঙে গরুটির তার চেয়ে একটু ছোট। বড় গরুটির ওজন হবে ১৪ মণ। বিক্রির জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছে। ক্রেতারা সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আর কালো রঙের গরুটির ওজন হবে ১২ মণ। দাম হাকিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খামারি নিয়ামুল ইসলামের তথ্যমতে, তার খামারে হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের ওই গরুটি তিন বছর ২ মাস আগে জন্ম নিয়েছে। সে গরুটিকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। প্রতিদিন ওই গরুটির খাবারের জন্য তার ব্যয় হচ্ছে এক হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই খামারী তার গরু দু’টি বিক্রি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, কালাম শেখ, আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারী ও গরু ব্যবসায়ী জানান, বছরজুড়ে তারা গরুর খাবার হিসেবে খড়, ভুট্টারগুড়া, ভুসি,সরিষার খৈল,তুলার খৈল, সয়াবিনের খৈল দিয়ে থাকে। গো খাদ্যোর মূলো বেড়ে যাওয়ায় গরুর মূল্যে বেড়ে গেছে। যে মূল্যে গরু বিক্রির টার্গেট নিয়েছে তার কমে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতা রামপাল উপজেলার সোলাকুড়া গ্রামের রাসেল গাজী জানান, দুপুর থেকে সে হাটে ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। হাটে গরুর আমদানি থাকলেও দাম অনেক। গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া। বিগত বছর সে যে সাইজের গরু এক লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। দাম বেশি হওয়ায় রাসেল গাজীর মতো অনেক ক্রেতা বাজেট করে গরুর হাটে এসে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
ফয়লাহাটের ইজারাদার গাজী আক্তারুজ্জামান জানান, হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু উঠেছে। ছাগলও আছে কয়েক হাজার। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সুবিধার্থে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, জেলায় এ বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার গরু এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার ছাগল ও বেড়ার চাহিদা রয়েছে। লাভবান হতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে মানুষ গরু লালন পালন করছে। হাটগুলোতে ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু বিক্রি হচ্ছে।
গরুর দাম যাতে কম হয় এজন্য দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় স্থায়ী ১৩টি এবং অস্থায়ী পাঁচটি মিলে মোট ১৮টি গরুর হাট বসেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাটে প্রবেশ এবং বাইর হওয়ার জন্য আলদা পথ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জাল টাকা রোধে আইনশৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পশুর হাট নয়
২ বছর আগে