কোরবানি
চামড়ার বাজারে এবারও হতাশা, গোড়ায় গলদ রেখে দাম নির্ধারণ
এবারের ঈদুল আজহায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার বর্ধিত নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলেও নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি হয়নি বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, মূল সমস্যা সমাধান না করে চামড়ার দাম বাড়ালেই বাজার চাঙ্গা হবে না।
কোরবানির প্রথম ৭২ ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি চামড়া এসেছে লালবাগের পোস্তায়। কাঁচা চামড়ার এ আড়তে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শহরের নানা জায়গা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছেন চামড়া। তবে তাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন দর অনুযায়ী, এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
ট্যানারির হিসাব অনুযায়ী, ৩০ বর্গফুট কিংবা এর চেয়ে বেশি আকারের চামড়াকে বড়, ২০ বর্গফুটের ওপরের চামড়াকে মাঝারি এবং ২০ বর্গফুটের নিচের চামড়াকে ছোট চামড়া হিসেবে ধরা হয়।
এ হিসাবে সর্বনিম্ন দাম ধরলেও একটি বড় চামড়ার দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৮০০ টাকা, মাঝারি ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১৫ ফুটের ছোট চামড়ার দাম হয় ৯০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করতে পারছেন। এর চেয়ে বেশি দামে কোনোভাবেই চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
চামড়া ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কোরবানির দিন বিকালে প্রতি পিস চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। ৯০০ টাকা দাম বলে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও ক্রেতা পাওয়া যায়নি।’
একই অভিযোগ জানিয়ে আরেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মিলন সরকার বলেন, ‘কেউ ফুট মেপে চামড়া কেনেনি। পিস হিসেবে গড়পড়তা ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করেছি। সরকার দাম বাড়িয়েছে শুনে মাদরাসা–লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে বেশি দামে চামড়া কিনে বড় বিপদে পড়তে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম: শিল্প উপদেষ্টা
কেন সরকারের নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে পোস্তার আড়তদাররা জানান, এবার চামড়ার বাজার আগেরবারের চেয়েও খারাপ। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান দিয়ে ট্যানারির কাছে চামড়া বিক্রি করতে হবে।
এ বিষয়ে কাঁচা চামড়ার সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, ‘যারা চামড়ায় অর্থলগ্নি করত, এবার তাদের অনেকেই এ ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী আগের সরকারের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তারা পলাতক। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের হাতে নেই নগদ টাকা। আগে যে ব্যবসায়ী ১০ হাজার পিস চামড়া কিনতেন, এবার তারা কিনছেন ৫ হাজার পিস করে।’
এ ছাড়া পোস্তায় প্রচুর নষ্ট চামড়াও এসেছে উল্লেখ করে টিপু বলেন, ‘৩০ শতাংশেরও বেশি চামড়া পচে গেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ না লাগিয়ে কাঁচা চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করতে করতে অনেক চামড়া হয় পচে গেছে, না হলে মান হারিয়েছে। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ না দিয়ে চামড়া এনেছেন। এতেও দাম অনেক কমেছে।’
১৭৭ দিন আগে
কোরবানি: হাটগুলোতে জমে উঠছে পশু কেনাবেচা
ঈদুল আজহার প্রস্তুতি জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় অস্থায়ী গবাদিপশুর হাট গড়ে উঠতে শুরু করেছে। জমে উঠছে পশু কেনা-বেচাও।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ঢাকায় আসা শুরু করেছেন এবং হাটগুলোও দ্রুত কোরবানির পশুতে ভরে উঠছে। এরইমধ্যে ব্যাপক পশু কেনা-বেচার মৌসুম শুরু হচ্ছে ঢাকায়।
স্থানীয়ভাবে যেগুলোকে ‘কোরবানি হাট’ বলা হয়, সেগুলো প্রতি বছর ঈদুল আজহা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে বসে, যাতে পর্যাপ্ত পশুর চাহিদা মেটানো যায়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে সরকারি হাটগুলো সাধারণত ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে বসতে থাকে।
এই বছর, মে মাসের শেষ সপ্তাহে কার্যক্রম শুরু হয়, যখন মফস্বল এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু, ছাগল এবং মহিষ নিয়ে আসেন। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী দেশ ভারতের ও নেপালের কিছু পশুও এসেছে। কিন্তু সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে এই সংখ্যাটা সীমিত।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
২০২৫ সালে, ঢাকা শহরে ১৮টি সরকারি গবাদিপশুর হাট বসেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে, গাবতলী—শহরের একমাত্র স্থায়ী হাট, সাথে সাদেক হোসেন খোকা প্লে-গ্রাউন্ড, ধোলাইখাল, বাসিলা, কমরাঙ্গীরচর, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর ও উত্তরা সেক্টর ১৫-এর মতো অস্থায়ী স্থানগুলো।
এছাড়াও কিছু এলাকায় অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট হাট গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন হাট পরিদর্শনে দেখা গেছে দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে। অধিকাংশ বাঁশের কাঠামো তৈরি হয়েছে, বিক্রেতারা ও কৃষি খামার মালিকেরা তাদের স্থান চিহ্নিত করেছেন সাইনবোর্ড দিয়ে।
শহরের দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে, পশু বোঝাই পিকআপ-ট্রাক ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করছে এবং তৈরি হচ্ছে ত্রিপলের ছাউনিযুক্ত অস্থায়ী খাঁচা।
তবে ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, ‘কয়েক বছর ধরে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এতে গরু পালনে ব্যয় বেড়েছে। ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।’
গাবতলী হাটের পাশ দিয়ে নিয়মিত অফিসে যান মিরপুরের বাসিন্দা জামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন অফিস যাত্রায় গাবতলীর পাশ দিয়ে যাই। বাজারটি এখনই বেশ ভিড়, দাম খুব বেশি। লোকজন পছন্দের পশু কিনতে দরকষাকষি করছেন।’
এ বছর খরচ বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন পাবনা থেকে এক পশু ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, পরিবহন খরচ বেড়েছে। জ্বালানি দাম ও টোলের কারণে আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতারা চমক আশা করেন, কিন্তু আমাদের অনেক খরচ হয়েছে।
দনিয়া কলেজ মার্কেটে ফরিদপুর থেকে আসা আব্বাস আলী তার ছয়টি বলদ নিয়ে বললেন, ‘মানুষ দামাদামি করছেন। কিন্তু বিক্রি কম হচ্ছে। শুরুতে অবশ্য বিক্রি কম হওয়ারই কথা।’
এ সময়ে পশুখাদ্য বেড়ে যাওয়া ও পরিবহন খরচের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
হাট এলাকায় সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশনগুলো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মোবাইল পশুচিকিৎসা সেবা, সিসিটিভি নজরদারি ও বিশেষ নিরাপত্তা টহল।
প্রতারণা ও চুরি প্রতিরোধে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাও চালু করা হচ্ছে। অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রির প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পশুর হাটের ভিড় এড়াতে ও লেনদেনের সুবিধার কারণে লোকজন অনলাইন মাধ্যমে পশু ক্রয় করছেন।
তবে কয়েকটি সমস্যা রয়ে গেছে। হাট এলাকা সংলগ্ন সড়কে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশুর বর্জ্যের কারণে স্যানিটেশন সমস্যা বাড়ছে। অনিয়মিত ও বেআইনি হাটগুলোর বিস্তার তত্ত্বাবধানে জটিলতা সৃষ্টি করছে, আবার চাহিদা ও সরবরাহে ওঠানামা দামেও প্রভাব ফেলছে।
তবুও কোরবানির উৎসাহ কমেনি। গবাদিপশুর হাট এখন পুরো গতিতে চলছে। যার মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরে এক দুর্দান্ত ব্যবসায়িক মৌসুম শুরু হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা সুরক্ষিত ও সফল মৌসুমের প্রত্যাশায় রয়েছেন, যেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন ঘটছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত দাম নিশ্চিতে সংরক্ষণে সহায়তা দেবে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা
লেনদেনের জন্য ব্যাংকের সময় বাড়ল
কোরবানি মৌসুমে আর্থিক লেনদেনের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে হাট সংলগ্ন ব্যাংক শাখাগুলোকে ৩ জুন থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অস্থায়ী ব্যাংক বুথও গড়ে তোলা হচ্ছে বাজারে, যেখানে নগদ জমা, উত্তোলন ও হিসাব খোলার সেবা প্রদান করা হবে।
আবহাওয়ার সতর্কতা
জুনের প্রথমার্ধে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় সিটি কর্পোরেশনগুলো হাট এলাকায় দ্রুত নর্দমা ব্যবস্থা বাড়াচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে আসা কামরুল হালকা রসিকতা করে বলেন, ‘ঈদের আগে বেশি বৃষ্টি হলে হাটগুলোতে কাদা মেলা হবে—শান্তিতে পশু কেনাবেচা সম্ভব হবে না।’
তবুও ঢাকা দৃঢ়সংকল্পে এগিয়ে চলছে। পশুর হাট কেবল বাণিজ্যের উৎস নয়, আস্থা, ধৈর্য্য ও উৎসর্গের স্মারক হিসেবে রয়ে গেছে।
১৮৬ দিন আগে
তিন ষাঁড় একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি
কোরবানির জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রস্তুত করা হয়েছে রাঙ্গা দুদু, কালা পাহাড় এবং রাজা মানিক নামে তিনটি বিশাল ষাঁড়। কুয়াকাটা ডেইরি ফার্ম নামের একটি খামারে ষাঁড় তিনটি সবার নজর কেড়েছে।
ষাঁড় তিনটি একসঙ্গে কিনলে রয়েছে বিশেষ অফার। একসঙ্গে কিনলে ক্রেতাকে নিজ খরচে পবিত্র ওমরাহ করানোর ঘোষণা দিয়েছেন খামারটির স্বত্বাধিকারী মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশজুড়ে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়াই। খামার এবং কৃষিকাজ করা আমার শখ ছিল, যা এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। ৪-৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আমরা শাহিওয়াল এবং ফ্রিজিয়ান জাতের তিনটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি।’
‘বড় জাতের এই পশু তৈরি করতে আমরা কোনো প্রকার মেডিসিন বা ক্ষতিকারক খাবার ব্যবহার করিনি, শুধু স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে। বড় ষাঁড় তিনটি একসঙ্গে কিনলে তাকে আমার পক্ষ থেকে ওমরাহ করানো হবে,’ যোগ করেন তিনি।
খামারের দায়িত্বে থাকা বাদল জানান, ‘আমরা দুজন লোক সার্বক্ষণিক গরুগুলোর পরিচর্যা করছি। নিজ হাতে বানানো সাইলেজ (বায়ুরোধক অবস্থায় সংরক্ষিত সবুজ ঘাস), ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়। এছাড়া, এই ষাঁড় তিনটিকে গোসল করানো হয় দিনে তিনবার।’
আরও পড়ুন: মাংস নয়, গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি হবে: উপদেষ্টা
খামার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে শখের বশে শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গাভি কিনে খামার শুরু করেন হাবিবুর। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে অর্ধশতাধিক গরু। এর মধ্যে কিছু দেশীয় জাতের পশু থাকলেও বেশিরভাগই শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। তবে কোরবানি উপলক্ষে বিশেষভাবে তিনটি বিশাল ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন তিনি।
২০ মণের রাঙ্গা দুদুর দাম হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। রাঙ্গা দুদুর চেয়েও বেশি ওজন নিয়ে প্রস্তুত কালা পাহাড়ের দাম ১৭ লাখ টাকা। তবে ওজন ও বয়সে কিছুটা কম হলেও রাজা মানিকের দাম ১২ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মারুফ বিল্লাহ খান বলেন, ‘চলতি বছরে উপজেলায় ২২ হাজারের বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুতি করা হয়েছে। কেউ যাতে এসব পশুর শরীরে ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সবসময় নজরদারি করছে।’
১৮৯ দিন আগে
ঈদে ঢাকার পরিচ্ছন্নতায় দুই সিটিকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ইশরাকের
হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ নেওয়ার আইনি পথ সুগম হয়েছে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের। এরপরই নগরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে নিজেকে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইশরাক। সেইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহায় ডিএনসিসির পাশাপাশি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতায়ও সহযোগীতার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শপথ কেবল একটি ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা)। জনতার মেয়র হিসেবে আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে, তার ওপর আমার দায়িত্ব বর্তায়।
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।… বিকালের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: কাকরাইলের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করলেন ইশরাক
ইশরাক জানান, দক্ষিণ সিটিতে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের অনুমোদন দেওয়া হবে। নিজেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তিনি।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে পিন করে রাখা একটি কমেন্টে আগামী সিটি নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
সেখানে লিখেছেন, টানা ১০ বছর বিএনপি গ্রেটার (বৃহত্তর) ঢাকা চালিয়েছে। ৯০টির মধ্যে ৭০টির বেশি ওয়ার্ড কমিশনার আমাদের (বিএনপির) ছিল। এখন অনেকে মারা গিয়েছেন কিন্তু একাধিক বিকল্প প্রার্থী আছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে ঢাকা সিটির জন্যে প্রাথী বাছাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ হয়। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। পরবর্তীতে নির্বাচনি ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তৎকালীন ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়।
১৯৬ দিন আগে
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় মিরপুর-২ এর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, 'আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২'শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতোগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।'
মেয়র বলেন, 'এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।'
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫৩৫ দিন আগে
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (পিসিএসপি) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র তাপস বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।
ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য সরাতে কাজ শুরু করে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সবার ঈদ উদযাপন এবং বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় কাউন্সিলর ও পিসিএসপি প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয় সভায় করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে আগ্রহী মাইক্রোসফট
আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ-লুটেরাদের ওপর নির্ভরশীল: রিজভী
৫৪১ দিন আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
এবার ঢাকার মধ্যে গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সেইসঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
৫৪৯ দিন আগে
চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানি উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রবিবার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশীয় খামারিদের ভাবনার কোনো কারণ নেই। ঈদ যাতে সবাই ভালোভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনেন। এর মাধ্যমে গবাদিপশুর জাতের উন্নতি করে দুধ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
৫৫০ দিন আগে
এ বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪১,৮১২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩ টি।
২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০ টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫ টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮ টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২ টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫ টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪ টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২ টি পশু, রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬ টি পশু, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯ টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫ টি ভেড়া, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩ টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪ টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০ টি ভেড়া, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩ টি ভেড়া এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫ টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
৮৮৮ দিন আগে
কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রবিবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং ২ টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।
এসব টিম সোমবার (২৬ জুন) থেকে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৯২ দিন আগে