কোরবানি
৩ দিনে প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ
বিগত তিনদিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে অপসারণ করেছে।৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৮০টি ট্রিপের মাধ্যমে মোট ২০ হাজার ৬২৬.৩৪ মেট্রিক টন কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তরপূর্বক অপসারণ করেছে।এদিকে মঙ্গলবারও ডিএসসিসি এলাকার ৫৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে ৪, ৬, ৯-১১, ১৮, ২১, ৫২, ৫৯-৬১, ৬৩, ৬৬, ৬৭, ৭১, ৭২ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকী ৫৮টি ওয়ার্ডে ৯৩৫টি কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব পশু জবাই করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.১০মিনিট নাগাদ সকল ওয়ার্ড থেকে ঈদের তৃতীয় দিনে জবাই করা কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম দিনে মাত্র সোয়া ১১ ঘন্টায় সকল ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগরভবনের হল রুমে ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ছয় হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি দুপুরের মধ্যেই ৭নং ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপসএবছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৭নং ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় সেখানে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে আগামী ঈদে প্রতিটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র।তিনি বলেন,'আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নির্দিষ্ট স্থানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেব, মাংস বাসায় পৌছে দেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। রাস্তায়, ফুটপাতে ও যেখানে সেখানে কোরবানি না দিয়ে আপনারা শুধু দায়িত্ব নিয়ে প্যান্ডেলে এসে পশু কোরবানি দেবেন।'এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আধুনিক জবাই খানা নির্মাণের জন্য দ্রুতই আমরা পদক্ষেপ নিব৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশেই উন্নত দেশের মতো আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন: সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস এ তথ্য জানান।
এসময় তাপস বলেন, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি দেয়া হবে। আমি সকলকে সুষ্ঠুভাবে ও পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানি দেয়ার অনুরোধ করব। এরপর আমরা দুই মেয়র মিলে, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সকল বর্জ্য অপসারণে দুপুর ২টা থেকে কার্যক্রম শুরু করব।’
আরও পড়ুন: ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান তাপসের
ঈদ জামাতের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও সন্তোষজনক পরিবেশে আমরা এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।’
মেয়র তাপস এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী ও ঢাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব শিগগিরিই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান তাপসের
ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করি যে, অনেকেই ঈদের তৃতীয় দিনে কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। আমরা বিনীতভাবে নিবেদন করছি -তৃতীয় দিনের অপেক্ষায় যাতে কেউ না থাকেন। ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই যেন সকলেই কোরবানি সম্পন্ন করেন। কারণ বর্জ্য অপসারণে আমরা একটানা দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা কাজ করব। সেজন্য তাদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে, ঈদের ছুটির প্রয়োজন রয়েছে।’
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ঢাকাবাসীকে এই আহ্বান জানান মেয়র।
কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বরাবরের মতোই এবারও বিশাল কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য এবং হাটের বর্জ্য -- সবমিলিয়ে আমরা বিশাল এক কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকি। সেই প্রস্তুতি আমরা এরই মাঝে সম্পন্ন করেছি। ’
তিনি বলেন, আজ রাত ১১টা থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আরম্ভ হবে। আগামীকাল কোরবানির পর দুপুর ২টা থেকে আমরা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আশাবাদী, পূর্বের ন্যায় এবারও সকল বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে সক্ষম হবো।
মেয়র বলেন, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামীকাল সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
এ সময় তিনি ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের অনুরোধ করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির পরিবহন মহাব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিথুন চন্দ্র শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সেশনে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানাতে ডিএসসিসি এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও০ ২২২৩৩৮৬০১৪।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত নাগরিকদের যে কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ইজারাকৃত কোরবানীর পশুর হাটসমূহের উৎপাদিত বর্জ্য অপসারণ কাজে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয়, প্রতিটি হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা, হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের সঙ্গে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের যাচাই করা, কোরবানি পরবর্তী ওয়ার্ডভিত্তিক সরেজমিনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা এবং বর্জ্য অপসারণ, পরিবহন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কাজে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো ঈদের দিন দুপুর ২টা হতে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা দানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টিমগুলো এ কাজে নিযুক্ত হয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে এ টিমগুলো কাজ শুরু করেছে।
রোগাক্রান্ত ও কোরবানির অনুপযুক্ত গবাদিপশু যাতে হাটে ক্রয়-বিক্রয় না হয় সেজন্য এ মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এছাড়াও সারাদেশের কোরবানির হাটে এক হাজার ৭৩৯টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমও কাজ করছে।
অপরদিকে, রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ জন্য মন্ত্রণালয়ের ৯জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নির্ধারিত পশুর হাটে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১২টি মনিটরিং টিমও রাজধানীর কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আযহার দিন রাত ১০টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন সকালে পশু কোরবানির দেয়া শুরু হবে। এরপর থেকেই পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকেই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে। রাত ১০টার পর কোথাও বর্জ্য থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে। সভায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটি পালনের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট এবং ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন তৈরি করা আছে। সেটা অনুযায়ী তারা পশুর হাট বসাবে। হাটে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য যারা আসবে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রাস্তার পাশে কোথাও হাট বসবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটি করপোরেশন ঈদ উপলক্ষে জয়েন্টলি একটা প্রোগ্রাম চালু করেছে তা হলো ক্যাশ টাকা ছাড়াই পশু ক্রয়-বিক্রয়। হাটে কেউ ক্যাশ টাকা না নিলেও হবে যদি তার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
গতবারের মত এবারও কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে গেছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান এই বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বাধন করেন।
এ সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে সহকারী বাণিজ্য কর্মকর্তা নুরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম, সহকারি স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, বুধবার প্রথম দিন ১৮টি গরু ও চারটি ছাগল নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি গরুর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯১ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রতিটি ছাগলের ভাড়া ২৯৬ টাকা। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত ট্রেনটি চলবে। ট্রেনটি প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়বে। রাতে ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ফের ভোর ৫টায় তেজগাঁও থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই কোরবানির পশু সহজে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে পশু পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ: জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো
ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় কোরবানির ফলে সৃষ্ট বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিদিনের বর্জ্য প্রতিদিন অপসারণ হচ্ছে। কোরবানির বর্জ্য সরাতে ১২ ঘণ্টার বেশি লাগবে না।’মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ নগরভবনে আয়োজিত ১৪তম করপোরেশন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে। বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডে কোরবানির জায়গাও নির্ধারণ করা আছে।’
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
সবার সহযোগিতা পেলে যথাসময় বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।তিনি বলেন, ‘পশুর হাটে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘ছয়টি পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খুব খুশি। নিরপাদ ও সহজ লেনদেন, তাৎক্ষণিক ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ, ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সুবিধা এবং ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পর থেকে রক্ষায় স্মার্ট হাট চমৎকার উদ্যোগ।’ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, কাউন্সিলররা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
কোরবানির ঈদ: জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো
আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো। হাটে গরু-ছাগলের সংখ্যা এবং বিক্রেতার জনসমাগম বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু ও বিক্রেতার সমাগম থাকলেও ক্রেতা ছিল কম।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শিয়ালমারি পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, মানুষে লোকারণ্য পুরো হাট। কেউ এসেছেন গরু কিনতে, আবার কেউ এসেছেন কোরবানির গরু দেখতে। হাটের সামনে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজট। কয়েকজন পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
হাট ব্যবস্থপনার দায়িত্বে থাকা চঞ্চল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় গরু যেন বাজারে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
হাটে আসা পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হাটে গরু বিক্রি করতে আইছি। গরুর দাম দিয়েছি দেড় লাখ টাকা। মানুষ আমার গরু দেখছে কেনার জন্য দামও জিজ্ঞাসা করছে আমি এক লাখ ২০ হলে গরুটি বিক্রি করে দেব।’
জীবননগর উপজেলার আরেক বিক্রেতা বকতিয়ার আলী বলেন, ‘আমি আমার গরু বিক্রি করতে এসেছি, দাম দিয়েছি দুই লাখ টাকা। গরুর ওজন অনুযায়ী ক্রেতা ও দালালেরা দাম বলছে কম। যে কারণে গরু দিতে পারছি না। তবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা হলে গরুটি বিক্রি করে দেব।’
গরুর ক্রেতা মো. কাশেম বলেন, ‘আমি কোরবানির গরু কিনতে এসেছি। গরুর দাম এবার অনেক বেশি, তাই গরু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমার বাজেটের মধ্যে যদি হয়, আমি এই হাটেই গরু কিনে নিয়ে যাব।’
বাজারে ছাগল বিক্রি করতে আসা মো. আক্কাচ আলী বলেন, গতবার কোরবানির ঈদের তুলনায় এ বছর ছাগলের দাম কম। ক্রেতাও অনেক কম।
ছাগল ব্যবসায়ী মো. সমসের আলী বলেন, বাজারে বড় ছাগলের তুলনায় ছোট ছাগলের চাহিদা বেশি। এই জন্য এসব ছাগলের দাম এখন তুলনামূলক বেশি।
বাজারের ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, শিয়ালমারী পশুর হাটে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রাস্তায় পুলিশের অনেক লোকজন রয়েছে।
পড়ুন: ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
ডুগডুগি পশুর হাটের ইজারাদার জনি শাহ পশুর হাটের বেচা-বিক্রি সম্পর্কে বলেন, গত বছরের করোনার প্রভাবের কারণে খুব খারাপ অবস্থা ছিল। এবার আবার সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার বন্যার কারণে ব্যাপারীরা আসতে না পারায় খুব বেশি ভালো বেচা-বিক্রি নেই। তারপরও ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার বেচা-বিক্রি হয়েছে। আশা করি ঈদের সামনের হাটগুলোতে বেচা কেনা আরও বাড়বে।
হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, শিয়ালমারী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে পুলিশ এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। হাটের নিরাপত্তায় জীবননগর থানা-পুলিশের পাঁচটি দল কাজ করছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শিয়ালমারি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এবং পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পশু ক্রয় করতে এসে যাতে কোনো ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৪৪০০টির বেশি পশুর হাট বসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী