কোরবানি
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় মিরপুর-২ এর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, 'আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২'শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতোগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।'
মেয়র বলেন, 'এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।'
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (পিসিএসপি) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র তাপস বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।
ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য সরাতে কাজ শুরু করে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সবার ঈদ উদযাপন এবং বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় কাউন্সিলর ও পিসিএসপি প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয় সভায় করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে আগ্রহী মাইক্রোসফট
আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ-লুটেরাদের ওপর নির্ভরশীল: রিজভী
৬ মাস আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
এবার ঢাকার মধ্যে গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সেইসঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
৬ মাস আগে
চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানি উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রবিবার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশীয় খামারিদের ভাবনার কোনো কারণ নেই। ঈদ যাতে সবাই ভালোভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনেন। এর মাধ্যমে গবাদিপশুর জাতের উন্নতি করে দুধ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
এ বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪১,৮১২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩ টি।
২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০ টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫ টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮ টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২ টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫ টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪ টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২ টি পশু, রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬ টি পশু, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯ টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫ টি ভেড়া, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩ টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪ টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০ টি ভেড়া, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩ টি ভেড়া এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫ টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
১ বছর আগে
কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রবিবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং ২ টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।
এসব টিম সোমবার (২৬ জুন) থেকে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
ঈদুল আযহার আগে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা চলতি মাসের (জুন) প্রথম ২৩ দিনে ১ দশমিব ৭৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে অবশেষে কয়েক মাস স্থবিরতার পরে সরকারি চ্যানেলের রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে কিছুটা গতি এসেছে।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, ইতোমধ্যেই রেমিটেন্স প্রাপ্তি মে মাসের মোট পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। মে মাসে মোট রেমিটেন্স প্রাপ্তি ছিল ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, জুন মাসের শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত মার্চ মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল (২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার), এপ্রিল মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার) এবং মে মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উৎসবে মানুষ বেশি খরচ করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনেক প্রবাসী তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাড়িতে তাদের কোরবানি (সাধারণত গবাদি পশুর কোরবানি) করেন।
আরও পড়ুন: দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে গরুর বাজারে নজর কেড়েছে ‘কালা বাবু’
এবারের কোরবানির গরুর বাজারে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলোচিত নাম ‘কালা বাবু’। যার ওজনে ২৩ মণ ছাড়াবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের খামারি মো. রাসেল গরুটি পালন করেছেন। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে। শখ করে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। প্রায় ৩ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন-পালন করেছেন কালা বাবুকে একটি ঘরের মধ্যে। সম্পূর্ণ দেশি ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভূসি খাইয়ে বড় করছেন।
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
গরুর মালিক রাসেল জানান, এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যে প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন–পালন করেছেন গরুটি। শখ করে নাম রেখেছেন কালা বাবু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে গরুটিকে। পরম যত্নে গরুটি পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি তিন বছর আগে আরেকটি গরুর সঙ্গে বাছুর হিসেবে ক্রয় করা হয় বলে জানান রাসেল।
সীতাকুণ্ডে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে গরু রয়েছে ৩০ হাজার ৮৬৮টি, ছাগল রয়েছে ৭ হাজার ৬৯০, মহিষ রয়েছে ৩৪১ ও ভেড়া রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৫টি। কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে গরু ২৫ হাজার ২৫৪টি, ছাগল ৭ হাজার ৫২০, মহিষ ৯৯৪ ও ভেড়া ৩৫৮টি। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৩৫৮টি পশু বেশি রয়েছে সীতাকুণ্ডে।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ঢাকায় গেলো ৪৬টি কোরবানির পশু
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবারও কম খরচে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ ঢাকায় গেলো কোরবানিযোগ্য ৪০টি গরু ও ৬টি ছাগল। তবে এবার আলাদাভাবে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু না করে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আলাদা ওয়াগন সংযুক্ত করে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
এসময় জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের সহকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা একেএম নুরুল আলম, স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চালুর এক দিন পরই বন্ধ হয়ে গেল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহন করার জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে আলাদা ৩টি ওয়াগন জুড়ে দিয়ে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ এর কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। একটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ টাকা। ট্রেনটি প্রতিদিন বিকাল ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে (তেজগাঁও) ছেড়ে যাবে। শনিবার (২৪জুন) থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত টানা ৩দিন এ সুবিধা চালু থাকবে।
করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই প্রথমবারের মতো কোরবানির পশু স্বল্পমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
৬ জুলাই থেকে চলবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
১ বছর আগে