মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে বার্মিজ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেয়া প্রথম সরকার হলো যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞার জন্য যাদের প্রকাশ্যে মনোনীত করেছে তারা হলেন- সর্বাধিনায়ক মিন অং লাইং, উপ-সর্বাধিনায়ক সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তান ও, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা।
‘মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘনে এসব কমান্ডারদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে এসব ব্যক্তিকে আমরা মনোনীত করেছি,’ বলেন পম্পেও।
তার বিশ্বাস, এ পদক্ষেপ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের আচরণ পরিবর্তন ও জবাবদিহি আদায়ের লক্ষ্য অর্জনকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি আদায়ে মিয়ানমার সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ‘উদ্বিগ্ন’ অবস্থায় আছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দেশব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন চালানোর খবর আসা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাইক পম্পেও উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের সময় ইন দিন গ্রামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের মাত্র এক মাস পরই কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছেন সর্বাধিনায়ক মিন অং লাইং। কিন্তু যে সাংবাদিকরা এ হত্যার কথা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন তাদের ৫০০ দিনের অধিক কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়েছে।