যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। টিকটককে নিষিদ্ধ করে ফেডারেল আইন কার্যকর হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় টিকটকের অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে কার্যত চীনভিত্তিক অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল।
পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাপটি অ্যাপল এবং গুগলের অ্যাপ স্টোরগুলোতে পাওয়া যায়নি।
এর আগে মার্কিন আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল, টিকটকের চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সকে প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি করতে হবে। আর তা না করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স এটিতে রাজি হয়নি। ফলে প্ল্যাটফর্মটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হলো।
তবে টিকটক মার্কিন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে চিকিৎসক অভিযুক্ত
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ২০০ জনেরও বেশি সাবেক রোগীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একজন চিকিৎসককে অভিযুক্ত করেছে ম্যাসাচুসেটসের একটি গ্র্যান্ড জুরি।
অভিযুক্ত ডা. ডেরিক টডের বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের করা মামলায় অপ্রয়োজনীয় পেলভিক ফ্লোর থেরাপি, স্তন পরীক্ষা, টেস্টিকুলার পরীক্ষা এবং অন্যান্য অযৌক্তিক পদ্ধতি সম্পাদনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'দুই নারীকে যৌন নিপীড়ন ও দুটি ধর্ষণের অভিযোগে' টডকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তবে শুক্রবার ১০ হাজার ডলারের জামিনে শুনানির সময় টড নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, পাসপোর্ট জমা না দেওয়া, সব মেডিকেল লাইসেন্স জমা দিতে, চিকিৎসা না দিতে এবং নতুন পাসপোর্ট বা লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জুনে দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং চিকিৎসক টডের আচরণ নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।
বোস্টন ফার্ম লুবিন অ্যান্ড মেয়ারের ১৮০ জনেরও বেশি অভিযোগকারীর অ্যাটর্নি উইলিয়াম থম্পসন বলেছেন, টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সম্ভবত বাড়বে।
থম্পসন বলেন, ‘এটি ডা. টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কেবল শুরু মাত্র। তবে এটি লুবিন ও মেয়ার তার প্রাক্তন রোগীদের পক্ষে যে ফৌজদারি অভিযোগগুলো তুলেছে তা প্রমাণে সহায়তা করে।’
‘অভিযোগগুলো মূলত একজন চিকিৎসকের পদের অপব্যবহার সম্পর্কে। নিজের ব্যক্তিগত যৌন পরিতৃপ্তির জন্য যাদের উপর আস্থা রেখেছিলেন, তিনি তাদের কাছে সুযোগ নিয়েছেন।’
থম্পসন আরও বলেছেন, টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি বর্তমানে আবিষ্কারের জন্য প্রক্রিয়াধীন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফৌজদারি মামলায় টডের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি অ্যান্টনি আবেলন এবং টডের প্রতিনিধিত্বকারী ফৌজদারি আইনজীবী ইনগ্রিড মার্টিনকে একটি টেলিফোন বার্তা দিয়েছেন।
টড বোস্টনের ব্রিগহাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটালের প্রাক্তন রিউম্যাটোলজিস্ট। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হাসপাতালসহ আরও বেশ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়টি জানার এবং এটি বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রিগহাম এবং উইমেনস ২০২৩ সালের এপ্রিলে টড সম্পর্কে বেনামে অভিযোগ পান। এরপরই নিজস্ব তদন্ত শুরু করা হয়। গত জুলাইতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।
এরপরে টড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় মেডিসিন অনুশীলন বন্ধ যাতে না হয় সেজন্য মেডিসিনে বোর্ড অব রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে একটি স্বেচ্ছাসেবী চুক্তি করেন।
আরও পড়ুন: টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
অভিযোগ ওঠার পর থেকে টডের প্রাক্তন কর্মস্থলগুলো তার মাধ্যমে সেবা প্রদান থেকে বিরত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে কিশোরী থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব নারীও রয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী এবং ম্যাসাচুসেটস আইনি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জাস্টিস ল কোলাবোরেটিভের অংশীদার পলা ব্লিস শুক্রবার বলেছেন, এই অভিযোগ ‘যেসব রোগীদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং যারা এই তথাকথিত চিকিৎসকের নিন্দনীয় আচরণের সত্যকে তুলে ধরতে এগিয়ে এসেছেন, এটি তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্যারাবনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
১ দিন আগে
টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে মার্কিন সরকার পদক্ষেপ না নিলে আগামী রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক আর কার্যক্রম চালাবে না।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকটক কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এক বিবৃতিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বাইডেন প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ উভয়ই টিকটকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা এবং আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, সরকার যদি অবিলম্বে ভিডিও অ্যাপটিকে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা দিতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটি ‘১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে’।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর টিকটকের এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলো। এতে বলা হয়েছে, চীনভিত্তিক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স রবিবারের মধ্যে অ্যাপটি বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আইন বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
টিকটক এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী দিনগুলোতে যদি কোনো ক্রেতা না পাওয়া যায়, তাহলে অ্যাপটির মার্কিন সংস্করণ অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
ধারণা করা হচ্ছিল, যাদের ফোনে টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা আছে, এই নিষেধাজ্ঞা সেই ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
কিন্তু শুক্রবার টিকটকের নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি যারা এটি ডাউনলোড করতে চান— তাদের জন্যও অবিলম্বে এটি সহজপ্রাপ্য হবে না।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
১ দিন আগে
গাজায় ১৫ মাসের বিয়োগান্তক উপাখ্যান শেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা
টানা ১৫ মাস ধরে গাজাবাসী অপেক্ষায় ছিলেন যুদ্ধ বন্ধের। শত-সহস্র প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পর অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।যুক্তরাষ্ট্র, মিসর আর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস আর ইসরাইল। রোববার থেকে গাজার আকাশে দেখা যাবে না আর কোনো ইসরাইলি বোমারু বিমান।আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যভাগ থেকে চলছিল যুদ্ধবিরতির আলোচনা। একদিকে গোলটেবিল বৈঠক আর অন্যদিকে গাজার ওপর মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত এক হাজার ২০০ ইসরাইলির লাশের কাফফারা দিতে হয়েছে ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনির জীবনের বিনিময়ে।মা হারিয়েছেন তার সন্তান, সন্তান হারিয়েছেন বাবা-মাকে, মৃত সন্তানের কফিন কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে পিতাকে, বাস্তুচ্যুত হয়ে থাকতে হয়েছে ক্যাম্পে ক্যাম্পে। অনাহারে অর্ধাহারে বেঁচে থাকা। সকালে যার সঙ্গে নাস্তা করেছেন, দুপুরে হয়তো সেই প্রিয়জনের লাশ কাঁধে নিয়ে যেতে হয়েছে গোরস্থানে। এইতো ছিল ১৫ মাস ধরে গাজাবাসীর জীবন।সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে গাজার আর্তনাদ। প্রতিটি মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, এটা আর কিছু না, নিরাপত্তার ধোয়া তুলে রীতিমতো প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছে ইসরাইল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, স্রেফ গণহত্যা চালানো হয়েছে গাজায়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।অবশেষে সেই খুশির খবর। প্রায় অর্ধলক্ষ নিরীহ ফিলিস্তিনির লাশের ওপর দাঁড়িয়ে বোধোদয় হলো বিশ্ব মোড়লদের, ঘোষিত হলো যুদ্ধবিরতি।রোববার থেকে গাজার রাতের আকাশে হয়তো আর যুদ্ধবিমান না, দেখা মিলবে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের। হয়তো স্বজনহারা গাজাবাসী আবারও নতুন উদ্যোমে বাঁচতে শুরু করবে। সব ভুলে হয়তো ফিলিস্তিনের ধ্বংসস্তূপের ওপর ফুটবে নতুন দিনের লাল গোলাপ।পাঁচ দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ মুহূর্তে মুখ রক্ষা করলেন জো বাইডেন। জানালেন, রোববার থেকেই ইসরাইলের সৈন্যরা ছাড়তে শুরু করবে গাজার মাটি। যারা বাড়িছাড়া হয়ে এতদিন উদ্বাস্তুর মতো বেঁচে ছিলেন, তারা ফিরে যাবেন নিজ গৃহে। আবারও আন্তর্জাতিক সাহায্য আসবে গাজার মাটিতে, শিশুর শূন্য থালায় জায়গা করে নিবে শুকনো রুটি।জাতিসংঘেরও জোর সেদিকেই। যুদ্ধ তো শেষ হলো, এবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামলানোর আহ্বান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতারেসের।হামাসের হাতে এখনো বন্দি ৯৪ জন ইসরাইলের নাগরিক, চুক্তি মোতাবেক যাদের মুক্তি দিতে হবে শিগগিরই। যদিও ইসরাইল সরকারের ধারণা এদের মধ্যে ৩৪ জন হয়তো আর বেঁচেই নেই। তবে হামাস জানিয়েছে, যারা বেঁচে আছেন, তাদের সবাইকেই ফেরত পাঠানো হবে ইসরাইলে।বুধবার গাজার রাত ছিল ভিন্নরকমের। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিমান হামলায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনি। শেষবেলায়ও শোধ তুলে নিতে ভুল করেনি আগ্রাসী ইসরাইল। তবুও রাতের আঁধার আর বোমার আঘাতকে তুচ্ছ করে তাবু ছেড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে গাজাবাসী। সবচেয়ে অবাককাণ্ড এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত রক্ত; এরপরও ফিলিস্তিনিদের সৃষ্টিকর্তঅর প্রতি বিশ্বাসে ভাটা পড়েনি এতটুকু। রীতিমতো আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে আনন্দ উদযাপন করেছেন তারা।এই আনন্দ ঘরে ফেরার, নিজের টেবিলে বসে আহার করার, নিজের বিছানায় ঘুমানোর। হয়তো যে সন্তানকে কোলে নিয়ে মা ঘুমাতো সেই বুকের ধন বেঁচে নেই। হয়তো যে বাবার আঙুল ধরে স্কুলে যাতায়াত বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তার শরীর। যে ঘরে হয়তো প্রতিদিন বসতো চাঁদের হাট সেখানে ফিরতে হবে একা। তারপরও বেঁচে থাকাই যেন অনেক কিছু গাজাবাসীর জন্য। আর এই বেঁচে থাকার উদ্যোম নিয়েই এত আঘাতের পরেও মেরুদণ্ড সোজা করে মানচিত্র আঁকড়ে ধরে টিকে আছে ফিলিস্তিন, স্বপ্ন তাদের স্বাধীনতার।
৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাবেক এক সদস্য বর্ষবরণ উৎসবে একটি পিকআপ ট্রাক উঠিয়ে দিলে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। গাড়িটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের পতাকা খচিত ছিল। খবর এপির।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে মানুষ যখন বর্ষবরণের উৎসবে মেতে ওঠে, তখন পিকআপটি চালিয়ে তাদের ওপর উঠিয়ে দেন ওই মার্কিন নাগরিক। পরে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। নিহতদের বাইরে আরও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। এটা একজন গাড়িচালকের একক কর্মকাণ্ড না বলে মনে করেন তারা।
সংস্থাটি বলছে, ৪২ বছর বয়সী শামসুদ্দিন জাব্বার নামের টেক্সাসের এক বাসিন্দা এই হত্যাকণ্ড চালিয়েছে। তার সহযোগীদেরও খুঁজে বের করা হবে।
গাড়িতে বন্দুক ও হাতে তৈরি বোমা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ইসলামিক স্টেটের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামলাকারী গাড়িচালক। এতে সে হত্যার সংকল্পও প্রকাশ করে। এফবিআইয়ের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনার পর বর্ষবরণ উৎসবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জিয়ন পারসনস নামের এক ব্যক্তি বলেন, গাড়িটি উৎসবমুখর মানুষের ওপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। সামনে থাকা লোকজনকে এমন ভয়ঙ্করভাবে শূন্যে ছুড়ে মারা হয়েছে, যা কেবল চলচ্চিত্রের দৃশ্যে দেখা যায়। আতঙ্কে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন।
নিউ অরলিন্সের পুলিশ সুপারইনটেনডেন্ট অ্যান্নে কার্কপ্যাট্রিক বলেন, এটা কেবল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই না, ভয়ঙ্কর দানবীয় ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ড ঘটাবে বলে অঙ্গীকার করেই এসেছিল ওই গাড়িচালক। ট্রাক থেকে বের হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করলে পুলিশ তার জবাব দিয়েছে। এতে সে নিহত হয়।
এফবিআইয়ের অ্যাসিস্টেন্ট স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ অ্যালেথিয়া ডানকান বলেন, ‘শামসুদ্দিন একাই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে আমরা মনে করছি না।’
২ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
নোবেল বিজয়ী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় ড. ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কার্টারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জিমি কার্টারকে একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের রক্ষক এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তার প্রেসিডেন্সিয়াল আমলে এবং তার পরেও বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার ও বিস্তৃত হয়। কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার কাজ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণার উৎস।’
ড. ইউনূস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই: অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আমাকে সব সময় উৎসাহিত করেছে। আমাদের কথোপকথনগুলো তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার বিদেহী আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেন।
২ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কার্টার সেন্টার।
রবিবার কার্টার সেন্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এ ক বার্তায় বলে, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, আজ বিকেলে জর্জিয়ার প্লেইন্সে মারা গেছেন।’
১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিমি কার্টার। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে। এতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, উভয় দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
কার্টার ১৯৭৭ সালে পানামা খাল চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ২০০০ সাল থেকে পানামাকে পানামা খাল অঞ্চলের পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং এর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে।
এছাড়াও, তিনি ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের সাক্ষী ছিলেন। এটি তৎকালীন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন স্বাক্ষর করেছিলেন।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষে, কার্টার ও তার স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থা কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।
কার্টার ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক, যিনি বিশালা এলাকাজুড়ে বাদাম খেতের মালিক ছিলেন।
কার্টারের স্ত্রী রোজালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা গেছেন। ৭৭ বছর ধরে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
কার্টার ছিলেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক প্রেসিডেন্ট।
২ সপ্তাহ আগে
ভারত-চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের সখ্যতা আছে। আবার এই তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্কটা রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে- ভারত ও চীনের এত শত্রুতার মধ্যেও তাদের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।’
তৌহিদ বলেন, ‘আমাদের আরেকটি স্বার্থ আছে তা হলো- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা যেহেতু প্রধান প্লেয়ার না। তাই আমাদেরকে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
মিয়ানমার ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের চারপাশে স্থল সীমান্ত থাকা দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাংককে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে মূল আলোচনায় তিনটি বিষয় ছিল। সেগুলো হলো- সীমান্ত, মাদক ও অন্যান্য অপরাধ এবং মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ কী হবে। রোহিঙ্গাদের কথা বলা ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে বলেছিলেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করে এই তিনটি জিনিসের সমাধান করতে পারবেন না। এটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যান্য চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘এখানে যদি তাদের সমস্যার সমাধান আপনারা না করেন,তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। তাদের জনতাত্ত্বিক অবস্থান অনুযায়ী অন্তত ২ লাখ তরুণ-তরুণী আছে। তারা আলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। তারা হতাশায় নিমজ্জিত। ফলে তারা হতাশাজনক কাজ করছে- যা বাংলাদেশসহ প্রত্যেকটি দেশেরই ক্ষতি হবে। ইতোমধ্যে তার লক্ষণও দেখা গেছে। নৌকায় মানুষ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তিনটি বিষয় আমাদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তিনটি সমস্যার সমাধের সঙ্গেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান জরুরি। এটি আমাদের অবস্থান।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধতায় স্বাধীন পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ পেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্তের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে জানানোর কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, আমাদের দেশের স্বার্থ আমাদেরকে দেখতে হবে। আমাদের স্বার্থ হচ্ছে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এখন তো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলতে পারছি না। কার সঙ্গে কথা বলব? এটা নিয়েও তো সমস্যা আছে।
তিনি বলেন, অতীতে যে অঞ্চলগুলো থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়েছেন, আরাকান আর্মির সময়েও তারা বিতাড়িত হচ্ছেন। সেখানে তো মিয়ানমার রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নেই। এমতাবস্থায় আগামী ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে কাউকে ফেরত পাঠাতে পারব এমন আশাও করতে পারছি না। কিন্তু, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তাদেরকে অবশ্যই ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে কারও শান্তি থাকবে না- এটি তাদেরকে স্পষ্ট করে বলেছি।
৩ সপ্তাহ আগে
কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলবে সৌদি আরব!
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কনকাকাফ গোল্ড কাপে অংশ নিতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন ও কনকাকাফ কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ ও ২০২৭ সালের কনকাকাফ গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কনকাকাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিথি দেশকে টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য ধরে রাখার অংশ হিসেবে আগামী দুই আসরের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফের (CONCACAF) টুর্নামেন্টে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো নতুন কিছু নয়। সবশেষ দুই আসরে এই টুর্নামেন্টে অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করে কাতার।
এর আগে, ব্রাজিল (১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩), কলম্বিয়া (২০০০, ২০০৩, ২০০৫), ইকুয়েডর (২০০২), পেরু (২০০০), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৫) ও দক্ষিণ কোরিয়াও (২০০০, ২০০২) অতিথি দেশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন শুরু হতে যাচ্ছে কনকাকাফ গোল্ড কাপের পরবর্তী আসর যা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
১৬ দলের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯ বার শিরোপা জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো। ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কানাডা। ফলে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রই টুর্নামেন্টের ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই তিন দেশ ছাড়াও আসন্ন গোল্ড কাপ আসরে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, কুরাসাও, হাইতি ও পানামা। বাকি দলগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল এবারের আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
৪ সপ্তাহ আগে
হাওয়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু বুধবার
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১১তম দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে শুরু হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড প্ল্যানস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলিমুল আমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য এই সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংলাপে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিকসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া ও কর্মশালা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিনিধিদলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
১ মাস আগে