যুক্তরাষ্ট্র
কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলবে সৌদি আরব!
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কনকাকাফ গোল্ড কাপে অংশ নিতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন ও কনকাকাফ কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ ও ২০২৭ সালের কনকাকাফ গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কনকাকাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিথি দেশকে টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য ধরে রাখার অংশ হিসেবে আগামী দুই আসরের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফের (CONCACAF) টুর্নামেন্টে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো নতুন কিছু নয়। সবশেষ দুই আসরে এই টুর্নামেন্টে অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করে কাতার।
এর আগে, ব্রাজিল (১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩), কলম্বিয়া (২০০০, ২০০৩, ২০০৫), ইকুয়েডর (২০০২), পেরু (২০০০), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৫) ও দক্ষিণ কোরিয়াও (২০০০, ২০০২) অতিথি দেশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন শুরু হতে যাচ্ছে কনকাকাফ গোল্ড কাপের পরবর্তী আসর যা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
১৬ দলের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯ বার শিরোপা জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো। ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কানাডা। ফলে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রই টুর্নামেন্টের ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই তিন দেশ ছাড়াও আসন্ন গোল্ড কাপ আসরে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, কুরাসাও, হাইতি ও পানামা। বাকি দলগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল এবারের আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
৩ দিন আগে
হাওয়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু বুধবার
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১১তম দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে শুরু হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড প্ল্যানস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলিমুল আমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য এই সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংলাপে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিকসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া ও কর্মশালা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিনিধিদলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
১ সপ্তাহ আগে
নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সব নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথিত নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক ইমেইল বার্তায় বলেছে, 'আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি যেকোনো সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকারকে সমর্থন করে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের এই অধিকারের জন্য আমাদের সমর্থন দিয়ে থাকি।’
আরও পড়ুন: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ইসকনকে বাংলাদেশে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' ঘোষণা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর চলমান আইনি জটিলতার বিষয়টিও তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ’
মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ও আইন প্রদত্ত অধিকারের আলোকে এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত। অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সংগঠন ও ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি ‘
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের খবর নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন,‘বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা গভীরভাবে মূল্য দেই। তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
২ সপ্তাহ আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলেছে, বুধবারের (২০ নভেম্বর) উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে হামাসের হাতে এখনও আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির বিষয়টি নেই।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো চুক্তিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের অধিকার চায়।
লেবাননের সরকার সম্ভবত এ ধরনের যেকোনো দাবিকে তার দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখবে।, যা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সর্বাত্মক যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল যুদ্ধে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। যুদ্ধের কারণে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বা লেবাননের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অন্যদিকে রকেট, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের ৮৭ সেনা ও ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পরদিন থেকেই ইসরায়েলে গোলাবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক যুদ্ধে প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ৭ অক্টোবরের হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। গাজার অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ নিহত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুট, ২০ জনকে হত্যা করেছে হামাস
১ মাস আগে
সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সবার জন্য 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন পরিচালনার স্বাধীনতা' সমুন্নত ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, 'দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশির জন্য এই স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষা করা জরুরি।’
তিনি বলেন, তারা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ তাদের সকল অংশীদারদের এই সমর্থনের কথা জানিয়ে জানান।
আরও পড়ুন: চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক রক্ষায় তিন নীতি সমুন্নত রাখার আহ্বান
প্যাটেল বলেন, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত ও বিরোধী মতসহ সবার জন্য সংগঠনকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে এই স্বাধীনতাগুলো যেকোনো গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে প্যাটেল বলেন, তিনি ওই প্রতিবেদন দেখেননি।
'যদি এটি সত্য হয় তবে অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক হবে,' উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তাদের ‘দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি’ যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিসহ যেকোনো পরিস্থিতি তুলে ধরতে একটি ‘নিয়োজিত মুক্ত গণমাধ্যম’ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।
প্যাটেল বলেন, ‘আমরা উৎসাহিত এবং নিশ্চিত করতে চাই যে, সাংবাদিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে সম্মান করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র চায় ঢাকা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান করুক: মিলার
১ মাস আগে
দূতাবাসের আয়োজনে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টারে বুধবার (৬ নভেম্বর) আয়োজিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠান।
বিশেষ এই আয়োজনে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এবং অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন: দেশকে সবার আগে রাখতে হবে: নির্বাচনের রাতের ভাষণে ট্রাম্প
তরুণ নেতারা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনের তাৎপর্য ও গণতন্ত্রে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের মধ্যে ছিল প্রতীকী নির্বাচন। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রিয় আমেরিকান মিনিস্টারের পক্ষে ভোট দেন।
এছাড়া, দুটি প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি আপডেটের মাধ্যমে নির্বাচনি ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেন, যা তাদের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ দেয়।
ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলডিন বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের জীবন্ত উদাহরণ। বাংলাদেশের তরুণদের এই অভিজ্ঞতায় সম্পৃক্ত করে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং নাগরিক অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ করে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি এই আয়োজন নেতা-নেত্রীদের অনুপ্রাণিত করবে যেন তারা তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের কণ্ঠস্বরের মূল্যায়ন করে।’
এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রসারের প্রচেষ্টার একটি অংশ।
আরও পড়ুন: নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রথম ব্যালটের মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
১ মাস আগে
জয়ের পথে ট্রাম্প, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে তিনটি-পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল ভোটের কাছাকাছি পৌঁছেছেন তিনি।
পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ওহাইওতে আসন লাভ করে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে রিপাবলিকানরা।
নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকানদের লাভ করা প্রায় ১০টি আসন এবার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ডেমোক্র্যাটরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে প্রভাবিত হ্যারিস সমর্থক, আর মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনে ট্রাম্প সমর্থকরা
মঞ্চে উঠলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এপির বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৬৭টি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। তিনি মিশিগান ও উইসকনসিনসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন।
পেনসিলভানিয়া জয়ের ফলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল ভোট দূরে রয়েছেন।
তিনি আলাস্কা বা অবশিষ্ট সুইং স্টেটে জয়ী হতে পারলে হোয়াইট হাউস যেতে পারেন।
ট্রাম্পের ওয়াচ পার্টিতে আলিঙ্গন, ফোনালাপ ও উদযাপন
তার নির্বাচরি রাতের ওয়াচ পার্টিতে জড়ো হওয়া ট্রাম্প সমর্থকরা একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন, ফোনে কল, লাফালাফি করছেন এবং তাদের ‘এমএজিএ টুপি’ বাতাসে ছুঁড়ে মারছেন।
ওয়েস্ট পাম বিচের কনভেনশন সেন্টারে এখনও আসছেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: শুরুতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমাণ রাজ্যগুলোর ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি
১ মাস আগে
ইউক্রেনকে ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৪২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। শুক্রবার(১ নভেম্বর) পেন্টাগন এই ঘোষণা দিয়ে কারণ হিসেবে জানায়, ১০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্যের বর্ধিত রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত সপ্তাহে কিয়েভ সফরের সময় বলেছিলেন যে আরও সহায়তা আসছে এবং তা শিগগিরই। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের জন্য এয়ার ডিফেন্স ইন্টারসেপ্টর, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম এবং ১৫৫ মিমি আর্টিলারি, এবং সাঁজোয়া যান এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্রসহ বিদ্যমান মার্কিন মজুদের অন্যান্য অস্ত্র।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো ক্রমাগতভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে খারকিভে ৫০০ কিলোগ্রাম (১১০০ পাউন্ড) ওজনের গ্লাইড বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।
এছাড়াও, ইউক্রেন নতুন অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদল ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাশিয়া ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী গ্লাইড বোমা ব্যবহার করে ১ হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূরের ইউক্রেনের অবস্থানগুলোতে সরাসরি আঘাত করেছে। যা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) দূরের শহরগুলোতে আঘাত হেনেছে। সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইলেরও কম) দূরত্বে অবস্থিত ১১ লাখ মানুষের শহর খারকিভ।
শুক্রবার পেন্টাগন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার মোট পরিমাণ ৬০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় স্পেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮
১ মাস আগে
ইরানে ইসরায়েলি হামলার সমাপ্তি ও প্রতিশোধের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত: যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলা এবং দুই শত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি গুলি বিনিময় বন্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা প্রতিক্রিয়া জানালে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন বিশ্বাস করে ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়েই ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সামরিক হামলা বন্ধ করা উচিত।
ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার সারাদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের মাধ্যমে ইসরায়েলিদের পরিচালিত হামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনেছেন।
হোয়াইট হাউসের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি অভিযানে 'ব্যাপক, ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিল।’ এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল যুদ্ধের ঝুঁকি
১ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জি পিয়েরে ল্যাক্রইক্স, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ জেনালের জেই মেননের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি, সেনাবাহিনী প্রধান র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত না করার বিষয় সবাইকে জানান। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কর্মকাণ্ডের উপর আলোকপাত করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি শৃঙ্খলার উন্নয়নে গৃহীত নানামুখি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়ও তাদের জানান। মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে শান্তিরক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ বিনিময়, আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মিশন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জোরালো ভূমিকা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত ২২ অক্টোবর সেনাপ্রধান ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দি আর্মি জেনারেল র্যান্ডি এ জর্জের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ পরবর্তী মানবিক সহায়তা, যৌথ প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধানের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব ডিফেন্স অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী সামরিক সচিব ড. এলি রাটনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশসমূহ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসি ডব্লিউ ফোর্ডসহ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী সচিব ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সরকারের সমর্থনে সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যকলাপ সম্পর্কে জানান। কানাডা সফরকালে সেনাপ্রধান ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন আর কেলসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজতর করার জন্য কথা বলেন। তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংসদ সালমা জাহিদ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেনাপ্রধান বিশেষ করে ছাত্রদের এবং কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, শিক্ষা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ পরিচর্যাকারী পাঠানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মনোনীত কানাডার হাইকমিশনার এইচ ই অজিত সিং এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাপ্রধান।আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
১ মাস আগে