সেনাবাহিনী
ফিলিপাইনে ১০ কমিউনিস্ট বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় দুর্গম এলাকায় এক সংঘর্ষে অন্তত ১০ সন্দেহভাজন কমিউনিস্ট গেরিলাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনা সদস্যরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) এ কথা জানিয়েছেন সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
মাত্র এক হাজার গেরিলা অবশিষ্ট থাকায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কয়েক দশক ধরে চলা এ বিদ্রোহ।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে পিছু হটতে থাকা প্রায় ২০ জন নিউ পিপলস আর্মির গেরিলাকে ধরে ফেলে সেনাসদস্যরা। বুধবার নুয়েভা এসিজা প্রদেশের পান্তাবাঙ্গান শহরের একটি গ্রামের কাছে তিন কমান্ডারসহ ১০ বিদ্রোহী নিহত হয়।
সংঘর্ষস্থল থেকে ১৩টি রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
আঞ্চলিক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জিমসন মাসাংকে টেলিফোনে জানান, দুর্গম এলাকা থেকে সরে আসা আরও ১০ জন গেরিলাকে সেনারা ধাওয়া করছিল।
সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নরউইন জোসেফ পাসামোন্তে সৈন্যদের প্রশংসা করলেও বিদ্রোহীদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে পাসামোন্তে বলেন, সরকার তাদের আত্মসমর্পণ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয়ে হাল ছাড়েনি। এসব মৃত্যু বাকিদের আত্মসমর্পণ করতে রাজি করাতেও পারে।
মাসাংকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের ধান উৎপাদনকারী অঞ্চল নুয়েভা এসিজা কয়েক দশক আগেও কমিউনিস্ট বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল, কিন্তু এখন ওই এলাকায় ৫০ জনেরও কম মাওবাদী গেরিলা আছে।
নরওয়ের মধ্যস্থতাকারীদের মতে, গত নভেম্বরে সরকার ও কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বৈঠকের পরে এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছিল।
তবে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে প্রকৃত শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়নি।
ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে বিদ্রোহীদের বিপর্যয়, আত্মসমর্পণ ও দলাদলির কারণে এখন মাত্র এক হাজার কমিউনিস্ট যোদ্ধা টিকে আছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শাসনামলে নরওয়ের মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায় কারণ উভয় পক্ষই আলোচনার বদলে একে অপরকে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোতে এডিএফ বিদ্রোহীদের হামলায় ৩০ জন নিহত: সেনাবাহিনী
দেশের কল্যাণে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাবাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি খুবই চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া দেশের কল্যাণে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে সাভার সেনানিবাসে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোতে এডিএফ বিদ্রোহীদের হামলায় ৩০ জন নিহত: সেনাবাহিনী
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক করেছেন।
এর আগে সাভার সেনানিবাসে পৌঁছে সেনাসদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন সেনাপ্রধান।
এছাড়া ডিওএইচএস এলাকায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নির্মাণ শেষ হওয়া মসজিদ উদ্বোধন করেন ও বৃক্ষ রোপণ করেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধানকে নবম পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় ফুলে আচ্ছাদিত একটি খোলা জিপে সেনানিবাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন
যশোরে সেনাবাহিনী প্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা
যশোরে সেনাবাহিনী প্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাবাহিনীর কোর অব সিগন্যালসের কর্নেল কমান্ড্যান্ট সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে যশোর সেনানিবাসের সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যশোরে প্যারেড গ্রাউন্ডে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব সিগন্যালসের চৌকস দল সামরিক রীতিতে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তার মূল্যবান বক্তব্যে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব সিগন্যালস আধুনিক যোগাযোগ, যোগাযোগ নিরাপত্তা, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও গবেষণার পাশাপাশি অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে, সেনাবাহিনী প্রধান যশোর সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার যশোর।
উল্লেখ্য, তিনি ২০২২ সালের ৮ মার্চ কোর অব সিগন্যালস এর 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব দি অর্ডন্যান্স, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসি ছাড়াও সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কোর অব সিগন্যালসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, একজন সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার জন্য এই সরকার দায়ী। তারা সেনাবাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তারা সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করত।’
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
'উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে' জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জেনারেল আজিজের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন পরিবেশন করেছে। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জাতির বদনাম করার, তার মর্যাদা ও সম্মান হ্রাস করার অধিকার কারও নেই।’
আরও পড়ুন: জেনারেল আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সেনাবাহিনীকে জাতির সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সরকারের কারণে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, এটা দেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না।
র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার এ থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি। বরং তাদের কয়েকজনকে আইজিপি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না এটা (নিষেধাজ্ঞা) কতটা প্রভাব ফেলবে।’
সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের অন্য শক্তিগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে বলপ্রয়োগ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই দুর্ভাগ্যজনক নয়, লজ্জা ও অস্বস্তিরও বটে।’
সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভোট নিয়ে জনগণের আগ্রহ না থাকায় নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো উৎসাহ দেখছি না। নির্বাচনি ব্যবস্থার ওপর জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলায় কোথাও নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আলোচনা হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ১৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
সরকার বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ও পরাধীন দেশে পরিণত করে জাতির আত্মাকে ধ্বংস করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত উন্নয়নের নামে ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ কোথায় যাবে?'
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য যখন ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন, তখন বাংলাদেশ সরকার বা বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তাহলে আমরা কী বিশ্বাস করব?’
ভারতে এমপির মৃত্যুর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সে বিষয়েও তাদের দল নিশ্চিত নয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুলের হত্যাকারীরা বাংলাদেশি: ডিবি প্রধান
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের পাশে দাঁড়িয়েই সেনাবাহিনী তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমাদের সেনাবাহিনী এখন জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’
রবিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত দরবারে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন ও সেনা প্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবন উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আমাদের সেনাবাহিনী সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছি, যা (তাদের নিজ দেশের) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার করতে দেশের সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী এখন জনগণের পাশে থাকবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪-এর আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে।
এখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন তার সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।
সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাধারণ রোগীর মতো জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে সবকিছু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, 'আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।'
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে 'ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি : স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান।
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির বাণী 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে তারা সবকিছু করছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, 'কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশে-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
সেনাপ্রধান বলেন, যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, তারা সুযোগ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করেন।
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ‘আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়, কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই আছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন তারা দেশেই তৈরি করেছেন যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো, তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তাও জানে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হব না।’
একই সঙ্গে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনো ভুলে যান না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু নাও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার, মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ঢোকা মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর লোকদের ফেরত নিয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশ থেকেও নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যেরা আসার ঘটনা ঘটেছে তা নয়, ভারতেও কয়েক শ' লোক ঢুকেছে। তাদেরকে তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ তাদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আমাদের দেশেও পালিয়ে এসেছে।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে, মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, আলোচনা চলছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে, সরকার সেটি মোকাবিলা করতে পারছে না’বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমরা রাখি না। যেটি ঘটছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বাহিনীসহ অন্যান্যদের সংঘাত চলছে। সে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এবং দুজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক। এ সবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেখানে আমি তাকে বলেছি যে অন্তত প্রত্যাবাসনটা শুরু করার জন্য। তার কথাবার্তায় আমার যেটি মনে হয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনটা শুরুর ব্যাপারে একমত। কিন্তু তাদের বর্তমান আভ্যন্তরীণ যে সংকটগুলো চলছে, সেই কারণে এই মুহূর্তে তারা পারছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত যে সমস্ত মানুষ আমাদের দেশে আছে, তাদেরকে সসম্মানে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান এবং সেই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
তিনি বলেন, 'বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই, শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা'
'বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন'এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির দুই-তিনজন নেতা টেলিভিশনে কথা বলেন, সেখানেই শুধু তারা আছে, অন্য কোথাও বিএনপির অবস্থান নাই। তারা এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। কারাগারে অনেক মানুষেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কারাগারে থাকা আমাদের দলেরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ইতোপূর্বে। এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আসলে বিএনপির এখন কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে প্রচন্ড ভুল করেছে, এটি যে তাদের সুসাইডাল ডিসিশান ছিল। এজন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মীরা এখন প্রচন্ডভাবে হতাশ, সেই হতাশা কাটানোর জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা যে এখনও টিকে আছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তারা।
আরও পড়ুন: প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ ভূখন্ডে আসা একটি মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের নয়াপড়া সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
বিজিবির সদর দপ্তর জানায়, নয়াপাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসা অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে তৎপর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের সময় বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় এই প্রাণঘাতী শেলটি ফেলে রেখে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজিবি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন
সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান এবং নতুন সিজিএস ও পিএসও’র দায়িত্ব পালনে তার দিক-নির্দেশনা চান তারা।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
নতুন সিজিএস ও পিএসওকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তাদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা ইতিবাচক অবদান রাখবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে বেসামরিক প্রশাসনের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
সংসদ ভেঙে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট ইনসানিয়াতের
সংসদ ভেঙে দিয়ে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট দায়ের করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্যদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের ১০ নম্বর(এনেক্স) আদালতে রিটটি দায়ের করেন দলটির চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।
রিটে বলা হয়, মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ প্রভাব ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকারের প্রধান বাধা হলো সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত বলেন, বিগত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।’
আরও পড়ুন: দল হিসেবে ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’কে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ
ইমাম হায়াত বলেন, ক্ষমতাসীন দলীয় সংসদ সদস্যদের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা নিরাপত্তা। বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা দেখেছি প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জীবন হানিকর আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্রয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা অস্ত্র ও গুলি-বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, বুথ থেকে গণনা পর্যন্ত আস্থাশীল সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ব্যতীত নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
ইমাম হায়াত বলেন, জালিয়াতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া যে কোনো প্রকার প্রহসনের নির্বাচন জনগণের নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা অস্বীকার এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংসাত্মক এবং গণতন্ত্রের উৎখাতের শামিল।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
তিনি বলেন, মুক্ত স্বাধীন ভোটাধিকার, জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন এবং নিরাপদ নির্বাচন দেশ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণের সবার দাবি যা নিছক কোনো দল বা ব্যক্তির বিষয় নয়।
ইমাম হায়াত বলেন, দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের অধিকার এবং মালিকানার স্বার্থে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নির্বাচনের আদেশ চেয়ে এবং সংসদ না ভাঙ্গা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর একই বিষয়ে দলটির দায়ের করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার