সেনাবাহিনী
এভারকেয়ারের কাছে হেলিকপ্টার মহড়া কাল, বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানে চিকিৎসাধীন, সেই এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছে দুটি মাঠে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে ওঠানামা করবে জানিয়ে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী আগামীকাল (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের নিকটস্থ দুটি উন্মুক্ত মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলক অবতরণ ও উড্ডয়ন পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) হিসেবে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেয় সরকার।
সে অনুযায়ী ওই দিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ভিভিআইপি বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ সদস্যরা এভারকেয়ার হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
১ দিন আগে
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪'কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত কর্মকর্তা এবং একজন এলপিআরে, অর্থাৎ অবসরোত্তর ছুটিতে ছিলেন। এছাড়া মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ নামের আরেকজন সেনা কর্মকর্তা অদ্যাবধি অনুপস্থিত রয়েছেন। তার কোনো সন্ধান এখনও কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) দায়ের করা মামলাগুলো নিয়েই মূলত আলোচনা হয়।
গত বুধবার আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে ২৫ জন সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। দুই মামলায়ই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক শুরু
২৮ আসামির মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে নির্যাতনের অভিযোগ এবং ১৩ জনের বিরুদ্ধে যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল (জেআইসি)-এ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
পরোয়ানা জারির দিনই তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর কর্মকর্তারা। তবে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, পরোয়ানার কপি এখনো সেনাসদরে পৌঁছায়নি। তারপরও তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআরে এবং ১৫ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ১৬ জনকে সেনাসদরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে হাজির হয়েছেন ১৫ জন। তারা পরিবার থেকে আলাদা অবস্থায় থাকছেন। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ এখনও উপস্থিত নন।’
৫২ দিন আগে
রংপুরে মহাসড়ক সংস্কারে অনিয়ম ধরল সেনাবাহিনী
রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ওই সড়কে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দেওয়া হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। রাস্তাটিতে প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি। তবে রাস্তা নির্মাণে কেন এরকম অনিয়ম হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
আরও পড়ুন: কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ
৪ ফেব্রুয়ারি এই সড়কের সংস্কারকাজ পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। তার মানে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রতি স্কয়ারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, মাত্র ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপেয়ার (সংস্কার) করে দেব।’
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত হলে সবারই উপকার হবে।
আরও পড়ুন: জবির ১৫ বছরের নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন
লেফটেন্যান্ট নাজমুল জানান, রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হচ্ছে—এমন খবর পেয়েই তারা অভিযান চালান। এটি তাদের নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এলাকা, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।’
১৩৩ দিন আগে
বিডিআর বিদ্রোহ: গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চরম অবহেলা এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতার কথা কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় নতুন ভবনে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিদ্রোহ চলাকালে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল, যার সুযোগে হত্যাকাণ্ডসহ ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়।
কমিশনের তথ্যমতে, তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে তদন্তের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা কমিশনের সদস্যরা পর্যালোচনা করছেন।
এ ছাড়া, বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এজন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘মিলিটারি অ্যাকশন শুরু হলে এত বড় প্রাণহানি, নৃশংসতা ও সহিংসতা এড়ানো যেত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও বিদ্রোহের আগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের অজুহাত দিয়ে প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার পাশাপাশি তৎকালীন দুটি তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিদ্রোহের প্রকৃত রহস্য আড়াল করতে পুরনো দুটি তদন্ত কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটিকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া কয়েকটি বক্তব্যে বিদ্রোহের সঙ্গে বিদেশি সংশ্লিষ্টতার বিষয় উঠে এসেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘঠিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে করা মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া, আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
১৬২ দিন আগে
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) তিন ঘণ্টার এক অভিযানে সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
ঢাকায় সেনাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কথিত ‘সেভেন স্টার’ বাহিনীর প্রধান ছিলেন সুব্রত বাইন। পুলিশের খাতায় তার পুরো নাম ত্রিমাতি সুব্রত বাইন।
বহুদিন ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঁপিয়ে ভারতের কারাগারে কিছু দিন বন্দি ছিলেন তিনি। সুব্রত বাইনের আদি নিবাস বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার জোবারপাড় গ্রামে।আরও পড়ুন: সুব্রত বাইনের সহযোগী বিপু গ্রেপ্তার
তার বাবা বিপুল বাইন ছিলেন একটি এনজিওর গাড়িচালক। মা কুমুলিনি আর তিন বোন মেরি, চেরি ও পরীকে নিয়ে ঢাকার মগবাজারের ভাড়া বাসায় থাকতেন। সুব্রত বাইন বড় সন্তান।
১৯১ দিন আগে
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন সেনাবাহিনী
দেশের স্বার্থ সবার আগে উল্লেখ করে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপসহীন বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপহীন। করিডর একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। দেশের স্বার্থ সেনাবাহিনীর কাছে সবার আগে। তাই দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস নয়।’
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা সদর এক ব্রিফিংয়ে করিডরের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, করিডর একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সংবেদনশীল। সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
কেএনএফের জন্য চট্টগ্রামে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরির প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম বলেন, 'কেএনএফ, কুকি জনগোষ্ঠীর সংগঠন পুরো সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার, তাহলে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেন বানানো হচ্ছিল? বা এর কতটুকু সত্যতা এবং নেপথ্যে কি আছে- সবগুলো সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: সংস্কারে সচিবালয় থেকে বাধা এলে প্রতিহত করা হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে নাগরিকদের 'পুশ ইন' প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি গ্রহণযোগ্য না। বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে তারা এটি যথেষ্টভাবে মোকাবিলা করছে। তবে, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় বা সরকারের আদেশ দিলে এই বিষয়ে সেনাবাহিনীও কাজ করবে—তবে বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিগত ৪০ দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মব ভায়লেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল বা কোথাও উন্নতিও আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর একার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে হবে।
তিনি আরও জানান, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ভলকার তুর্কের বার্তা সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত নয়: আইএসপিআর
নাজিম উদ দৌলা বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঈদের আগে ও পরে মিলে দুই সপ্তাহের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় মহাসড়কগুলোয় নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ দেশের গুরত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাসড়কে দিন-রাত টহল পরিচালনা, গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনসহ টিকিট কালোবাজারি বা বেশি দামে টিকিট বিক্রি রোধ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম ঈদুল ফিতরের মতোই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদ্যাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পায়, মূল সড়কের পাশে পশুর হাটের অবস্থান হওয়ায় রাস্তাঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে জনসাধারণের মাঝে দুর্ভোগ ও জানমালের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে।
১৯২ দিন আগে
রাজধানীতে সেনা অভিযানে ‘হিটলু বাবু গ্যাংয়ের’ ১০ গ্রেপ্তার
রাজধানীর মাটিকাটা এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ হিটলু বাবু গ্যাংয়ের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর ৫টা নাগাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেডের ভাষানটেক সেনা ক্যাম্প থেকে পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্ট থেকে জানা যায়, অভিযানে কুখ্যাত ‘হিটলু বাবু গ্যাংয়ের’ ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩টি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ১টি রিভলবার ও ২৮ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কৃষক হত্যাকাণ্ডে ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সেনাবাহিনী জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভাষানটেক সেনা ক্যাম্প থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাংটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। পরে আজ (মঙ্গলবার) আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, গ্রেপ্তার এড়ানো অসম্ভব মনে করে টহল দলের ওপর হামলার চেষ্টা করেন গ্যাং সদস্যরা। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সতর্কতামূলক ফাঁকা গুলি ছোড়ে সেনারা। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা পালাতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানান তারা।
১৯৯ দিন আগে
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তা পেতে হালনাগাদ নম্বর প্রকাশ
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে হালনাগাদ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়ার জন্য ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী এলাকার জন্য ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগযোগ করতে হবে।
সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক ও মানিকগঞ্জের জন্য ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০।
বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিণ খান, উত্তরখান ও উত্তরা পূর্ব এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫, ও ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মনিপুর এলাকার যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯-০৫০৭১০, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫ ও ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তর এলাকা প্লাবিত, দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী
উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানার জন্য যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯-০৩৩৭০০, ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, ও ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা এলাকার যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯০৫০২৮৩, ও ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
এছাড়াও খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার জন্য ০১৭৬৯০৫৩১৪৪; রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ০১৭৬৯০৫৩১৬৮; ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, ০১৭৬৯-০১৯০৭৩ ও ০১৭৬৯-০১৩২৩৬; হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানায় ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; তেজগাঁও থানা এলাকার জন্য ০১৭৬৯০১৯৪০৯, ০১৭৬৯০১৯৪১৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার সেনাক্যাম্পের সহায়তা পেতে ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, ০১৬১৯৮৩২০৬৯, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮ ও ০১৭৬৯০৫১৮৩৯ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
২০৫ দিন আগে
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুজনের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দ্রুত হাসপাতালের কার্যক্রম চালু, প্রয়োজনীয় ক্লিনিক্যাল ক্লাস (হাতে-কলমে শিক্ষা) নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেডিকেল কলেজে নিয়মিত ক্লাস চালুসহ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিশ্চিত এবং এর হাসপাতাল কার্যক্রম দ্রুত চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের সব দাবি বাস্তবায়নে সরকারের নিকট আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
সুজন সহ-সভাপতি শাহিনা চৌধুরী রুবির সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফজলুল করিম সাঈদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, সুনামগঞ্জ জেলা হাওর বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনির উদ্দিন, সাংবাদিক পঙ্কজ কান্তি দে, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা মানিক, হাওর বাচাঁও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলন, জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক শেখ এমদাদুল, সাংবাদিক দিলাল আহমেদ, সুজন সদর উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী বাকি বিল্লাহ, এস এম মারুফ হোসেন প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ সিরাজুল ইসলাম পলাশ, সাংবাদিক আমিনুল হক, হেলিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল হক মামুন, প্রভাষক শাহিনুল ইসলাম, মানিক উল্লাহ, দেশ টিভির সাংবাদিক কর্ণবাবু দাস।
২২৮ দিন আগে
সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তর এলাকা প্লাবিত, দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধের অন্তত ১৫০ ফুট জায়গা খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনের স্থানে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও জোয়ারের পানির চাপ বাড়ায় তা সম্ভব হয়নি। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবো প্রতিনিধি ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সংকট নিরসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তারা। বর্তমানে আশাশুনি ক্যাম্প থেকে দুটি পেট্রোল টিম এলাকাটিতে অবস্থান করে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনকে বাঁধ মেরামতের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
এ ছাড়াও, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ব্যাটালিয়নের একটি দল বাঁধ মেরামতের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: অসৎ গোষ্ঠীর উসকানিতে কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা: আইএসপিআর
২৪৬ দিন আগে