সেনাবাহিনী
আইন ভেঙে সেনাবাহিনীর হাতে আটক বিএনপির ৭ নেতাকর্মী
সিগন্যাল না মানায় ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তারসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ধর্মপুর আমিনবাজার থেকে তারা আটক হন। পরে সোমবার সকালে তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হলে সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।
আটকরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সবুজ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, মো. কাশেম বাচ্চু, জাকের হোসেন ও মো. সাইফ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলাইমান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালি করে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আমিনবাজার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে এলে সেনাবাহিনীর কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ান তারা। এ সময় সিগন্যাল না মানায় তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
বিমানবন্দর সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন সাকিব বলেন, তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানা থেকে তথ্য নিতে পারেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করার পর সন্ধ্যায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
৫ দিন আগে
মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।
পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে, এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, গুজব ছড়ানো হয়েছে
একটি পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সেনা সদস্যরা জড়ো হয়েছেন বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই গুজবটি ছড়ানো হয়েছিল।
ভুয়া খবর, মিথ্যা ও ভুল তথ্য খণ্ডনকারী স্বাধীন বাংলাদেশি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট 'রিউমার স্ক্যানার' এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
গুজব স্ক্যানারের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা (সিটিও) জাওয়াদ বিন হাফিজ ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা অনুসন্ধানে দেখতে পেয়েছি যে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে তা ৯ সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান দূতাবাসের সামনে ভিসা প্রত্যাশীদের পুরনো ঘটনা। এছাড়া আমরা আরও কিছু পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়া শনাক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: সৎ ও পেশাগত নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
পরে যমুনায় কথিত বৈঠক ও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের দাবি বিভিন্ন আইডি থেকে লাগাতার পোস্ট করা শুরু হলে সেগুলোও তারা তদন্ত করে যে তথ্য পেয়েছেন তার কোনো সত্যতা তারা পাননি বলে উল্লেখ করেন হাফিজ।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মন্তব্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে বিষয়টি আসলেই ভুয়া।
শিগগিরই পুরো ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংও এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। ‘এটা একেবারেই গুজব। সবকিছু ঠিক আছে।’
এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনতিয়েভিচ মানতিৎস্কি বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার সকালে একটি মজার পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'শুধু চেয়ারম্যানই নন, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারাও দেশ ছেড়েছেন।’
সূত্র: চালাইডেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধান জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে
ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
২ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। পরে আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন।
এছাড়াও সব পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশের সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার জন্য গর্বিত।
এরপর দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান।
পরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা দেওয়াসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসিসহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২ মাস আগে
সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটক সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এদিকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাতে যান চলাচল ঠিক রাখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, বাঘাইছড়ি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাজেক রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের আবাসন ফির ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাস্থ জুম্ম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীরা অবরোধের ডাক দেয়। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
২ মাস আগে
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মতে তখনই এ ক্ষমতা দেওয়া দরকার, যখন মনে হবে সংবিধান নিয়মের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এ সংবিধান এখনও ভালো আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা। সে কারণে আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবেন এবং কখনই তারা এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না, যাতে রাজনৈতিক বা সমগ্র দেশের মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব ভিআইপি হলরুমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী, এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সব জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যে পরিবেশে সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের একটা পার্লামেন্ট তৈরি হবে। সংস্কার আমরা চাই। আমরা মানুষের উপর যাতে অন্যায়-অত্যাচার না হয় সে অবস্থা দেখতে চাই। এখানে আর যেন শিশুদের উপর গুলি করে হত্যা করা না হয়। আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের তালিকা তৈরি করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বিষয়টি আমার কাছে খুবই হৃদয় বিদারক। আজকে এ অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আছেন। অনেক বাবা এসেছেন যারা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন। তারা জানেনা যে তাদের ছেলে কী কারণে শহীদ হয়েছেন। এখানে অনেকেই আছেন যাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এই স্বাধীন দেশে আমাদের এ বিষয়টি দেখতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দল। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এখন নেই। এখন অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। তারা চেষ্টা করছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ের বিচার করতে। এ অপরাধের যিনি মূল হোতা শেখ হাসিনা, যার নির্দেশে হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ২০১২ সাল থেকে এ জাতীয় হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এ অবস্থার মোকাবিলা করছি। আমাদের দলের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এখানে যারা বসে আছেন কেউ বাদ নেই যাদের নামে ৮/১০টি মামলা হয়নি। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। আমাদের দলের সভানেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত করিয়ে দেশের বাইরে রেখেছেন।
শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কতজনকে ব্যবসা হারাতে হয়েছে, জমি হারাতে হয়েছে। চাকরি হারাতে হয়েছে তার হিসাব নেই। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
জেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার সাহায্য দেন মির্জা ফখরুল।
৩ মাস আগে
মেট্রোপলিটনের বাইরে বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতি প্রুয়ের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২(১) ধারার বিধান অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে শুরু করে ৬০ দিনের জন্য সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
তবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত যাবে: সেনাপ্রধান
৩ মাস আগে
সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার খুলছে সব পোশাক কারখানা: বিজিএমইএ
সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাসের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার(৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
এর আগে বিজিএমইএ কর্মকর্তা, পোশাক কারখানার মালিক, সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১৭০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যদিও কারখানার শ্রমিকরা সরাসরি বাধাদানের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তিনি বহিরাগতদের আক্রমণকে শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করেছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারখানাগুলোর জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব আশ্বাস নিয়ে বিজিএমইএ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে ১৯০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বিজিএমইএ
পদত্যাগ করলেন কচি, বিজিএমইএর নতুন সভাপতি খন্দকার রফিকুল
৩ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবায় সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স দীঘিনালা জোনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ চিকিৎসা সেবার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় সেনাবাহিনী ৮০০ দুর্গত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সেবা কার্যক্রমের আওতায় গাইনি, মেডিসিন, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের সেবা দেওয়া হয়।
এসময় খাগড়াছড়ি ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল ইসলাম, দীঘিনালা জোন কমান্ডার কর্নেল ওমর ফারুক চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া কর্নেল ডা. সেতারা, মেজর ডা. আসিফ রুবায়েত, মেজর ডা. সাবিনা, ক্যাপ্টেন ডা. রাকিব, ডা. আশুতোষ চাকমা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
এতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসা দেবে ১৪ স্বাস্থ্য ক্যাম্প
সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকারি হাসপাতাল: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৩ মাস আগে