মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং এখন তারা অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারবেন, যা আগে রাশিয়ার সাথে হওয়া ‘মাঝারি-পাল্লার পারমাণবিক শক্তি’ চুক্তির আওতায় নিষিদ্ধ ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময় হওয়া এ চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য উভয় পক্ষ পরস্পরকে বারবার দায়ী করত।
সেই সাথে এ চুক্তিতে চীন বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এর সমালোচনা ছিল। অবশ্য এক প্রজন্ম আগে এ চুক্তি হওয়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ছিলও না।
২০২১ সালে শেষ হতে যাওয়া দূর-পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক একটি চুক্তির মেয়াদ দুই দেশ বাড়াবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের মাঝেই মাঝারি-পাল্লার পারমাণবিক শক্তি চুক্তিটির ইতি টানা হলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসে তিনি চীন ও রাশিয়ার সাথে নতুন একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো এক সময়ে চুক্তি হবে বলে তিনি মনে করেন।
মাঝারি-পাল্লার পারমাণবিক শক্তি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে গত ২ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের নোটিশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
চুক্তি বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যে চুক্তি রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করে তার অংশ থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির আরেক মাইলফলক হিসেবে এ চুক্তি বাতিলকে দেখা হচ্ছে।