গত ১৪ এপ্রিল থেকে এসব শ্রমিককে কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু ইউএনও’র নির্দেশে তাদের ২১ এপ্রিল বিকালে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশীদ।
এ বিষয়ে কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের অধিকাংশ আগেই পালিয়ে যান। তাই ইউএনও’র সাথে আলোচনা করে যে কয়েকজন ছিল তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
তবে ওসি মামুন বলেন, ‘কেউ পালায়নি। ইউএনও’র নির্দেশে সবাইকে একসাথে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ওই শ্রমিকদের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও মাছুম বলেন, ‘ওই শ্রমিকদের ১১ দিন রেখে কোনো উপসর্গ না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটা ৮ দিন কি না তা আমি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যারা বাইরে থেকে আসবেন তাদের কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে সীমাবদ্ধতার কারণে কচাকাটায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের ৮ দিন পর ছেড়ে দেয়ার কথা জেনেছি। তাদের বাকি ৭ দিন বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।’