বৃহস্পতিবার রাতে শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ঝুমা খাতুন (১৯) চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শহরের হাটকালুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদের মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক ইকরামুল হক জানান, আব্দুস সামাদ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। নিজ বাড়িতে থাকেন স্ত্রী জুলেখা খাতুন ও মেয়ে ঝুমা খাতুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলেখা বেগম হাসপাতালে যান নিকটাত্মীয় এক রোগীকে দেখতে। সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সদর থানা পুলিশের একটি দল। পরে নিহত কলেজছাত্রীর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে পাঠানো হয় সদর হাসপাতাল মর্গে।
উপ-পরিদর্শক ইকরামুল হক আরও জানান, নিহত কলেজছাত্রীর বাম হাতের শিরা কাটা রয়েছে। গলাতেও দাগ রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, কলেজছাত্রী ঝুমার মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। সে নিজে হাত কেটে আত্মহত্যা করেছে না কি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু আছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।