কলেজ
মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমান করে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ছেলের ‘আত্মহত্যা’
কলেজ ছাত্রী আসমা খাতুন মনিরা (১৯) দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমজাদ আলীর মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আসমা খাতুনের। মায়ের বকুনিতে অভিমান করে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য আসমা খাতুনের লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
১ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে ‘জিম করতে গিয়ে’ কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার একটি জিম সেন্টারে রাকিব (২৩) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পৌর শহরের গরুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় জিমরত অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়েন। তাকে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এই বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার মিঠুন রানা জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে রাকিবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে জিমরত অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন।
তিনি জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাকিবের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুকুরে ডুবে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে রবিবারের (১৪ মে) অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানায়, এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পাঁচটি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কুমিল্লা এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। তবে অন্য শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হবে।
এদিকে রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
এইচএসসি, বিএমটি’র বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক সাইফুল আলম সুজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের এপিপি জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জামাল, ইলিয়াস ও জাকির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন নয়ন, কামাল ও মিঠুন পলাতক।
এছাড়া মোট ৯ আসামির মধ্যে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। একজন বিচারাধীন সময়ে মারা যান।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট বিকালে কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় শিক্ষক সাইফুল আজম সুজনকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় সুজনের বাবা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
কলেজে বন্দুক নিয়ে সহকর্মী শিক্ষকদের হুমকি অধ্যক্ষের, অতঃপর যা ঘটলো
বন্দুক-গুলি নিয়ে নিজ কলেজের সহকর্মী শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কলেজ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে বন্দুকসহ ওই অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
এরপরেই থানা চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা উপজেলার চরারহাট শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাট, হুমকিতে হাট-বাজার
কলেজে গিয়ে জানা যায়, গত ১১ থেকে ১২ মাস অনুপস্থিত থাকার পর অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা একনলা একটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে আসেন। এসময় তিনি পিয়নের মাধ্যমে সহকর্মী শিক্ষকদের দ্বিতীয় তলায় ডেকে নেন।
একপর্যায়ে তিনি শিক্ষকদের বলেন, আমি হাইকোর্টের রায় পেয়েছি। আপনারা বিল-বেতন শিটে সই করবেন। যদি না করেন তাহলে আমি আপনাদের গুলি করে দিব। এসময় তিনি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিলে শিক্ষকেরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতি দেখে একজন শিক্ষক কলেজ থেকে ৯৯৯-এ কল দেন। দ্রুত সেখান থেকে নবাবগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ কলেজে রওনা দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে আসেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা থানায় রাখার পর সন্ধ্যা ৭টায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে তার বন্দুকের বৈধ কাগজ আমাদেরকে দেখিয়েছে। পরে তাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তবে বন্দুকটি তার বাড়িতে রাখতে সমস্যা হওয়ায় সে বন্দুকটি আমাদের হেফাজতে রেখে গেছে। এছাড়া আমরা জিডি মূলে বন্দুকটি আমাদের অস্ত্রাগারে জমা রেখেছি।
ওসি আরও বলেন, কি কারণে কলেজে বন্দুক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে তার কাছ থেকে একটি লিখিত নেয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সে যদি কাউকে হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড হুমকি, সতর্ক করলেন আরব নেতারা
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি আনসার আল-ইসলামের
১ বছর আগে
৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদরা/জমজকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অভিভাবকের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই ৪১ শিক্ষার্থীর পক্ষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদানে ‘বাধা নেই’
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই/বোনকে যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সকল সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এই বিধান মতে ৪১ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়।
যেখানে বলা হয়, শুধু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে।
এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটটি করা হয়। কারণ তারা যখন আবেদন করে তখন পাঁচ শতাংশের বিধান ছিল না। এ কারণে আদালত এই ৪১ জনের ক্ষেত্রে ওই বিধান স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।
পাশাপাশি তাদের ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
১ বছর আগে
মাগুরায় নিজের বাসা থেকে কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
মাগুরায় নিজের ফ্ল্যাট বাসা থেকে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে পৌর শহরের নতুন বাজার পাঠশালা স্কুলে অবস্থিত নির্মলা ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তরুণ সাহা (৬০) ওই এলাকার মৃত অমুল্ল্য সাহার ছেলে এবং জেলা সদরের শিবরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত তরুণ সাহা দীর্ঘদিন যাবত ওই ফ্লাটে বসবাস করছিলেন।
তরুণ সাহার গৃহ পরিচালিকা বিজলী সাহা জানান, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে যান তিনি। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় আশপাশের লোকজনকে ডাকেন তিনি। এ সময় লোকজন তাকে ঘরের বাথরুমে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কালিমুল্লাহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কালিমুল্লাহ বলেন, সংবাদ শোনার পর পুলিশ সুপারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে বিল থেকে হ্যান্ডকাপ লাগানো যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত ও যোগ্য শিক্ষক রয়েছে। তাই ভর্তি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কলেজগুলোতে অনেক আসন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলাম, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ঠিকমতো করলো কি না। তারা যেনো খারাপ ভুল পথে চলে না যায়, মা-বাবা সেদিকে সঠিকভাবে নজর রাখেন। আমরা সবাই যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে তারা তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারবে।’
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা-২০২২ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘এ বছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে, তার চেয়ে ৭ লাখের বেশি আসন (সিট) রয়েছে এইচএসসির জন্য। এইচএসসির ভর্তি পরীক্ষা সুনির্দিষ্ট নিয়মে বরাবরের মতো অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাদের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এ দেশের একেবারে সেরা মেধাবীদের ছেঁকে নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে। মেধাবী শিক্ষার্থীগুলো যখন সবাই এক জায়গায় যায়, তখন তাদের প্রচেষ্টায়, বাবা-মায়ের প্রচেষ্টায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় আরও ভালো ফলাফল করে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের খুব মহত্ব রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি বলেন, কি কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে এমন খারাপ ফলাফল হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে তারা ব্যর্থ না হয় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের এই বিজয়ের মাসে দেশে নানান রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বীর বাঙালি স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে, গণতন্ত্র ছিনিয়ে এনেছে। এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আছি। দেশবাসী চায় সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। সেখানে যেন কোন প্রকার অস্থিরতা, অরাজকতা সৃষ্টি না হয়। ২০১৩-১৪ সালের মত কোন ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস আবার দেখতে চাই না। জনগণ শান্তি চায়, সমৃদ্ধি চায়, সামনে এগিয়ে যেতে চায়। যারা দেশে অস্থিতরা চালানোর চেষ্টা করছে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ।
এর আগে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
১ বছর আগে
পটুয়াখালীতে কেন্দ্রের সামনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালীতে মো. ফয়সাল আকন (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রের সামনে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১ টায় পৌর শহরের 'আবদুল করিম মৃধা কলেজ' পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ফয়সাল সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজিখালি গ্রামের বেল্লাল আকনের ছেলে। সে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, আমি জীববিজ্ঞান ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে আবদুল করিম মৃধা কলেজের কেন্দ্রে যাই। পরীক্ষা শেষে বের হলেই কেন্দ্রের গেট থেকে আমাকে ৫/৬ জন লোক জোর করে ধরে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় জসিমের (২২) কাছে থাকা ছুরি দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করে। এতে আমার হাত ও পিঠে জখম হয়েছে। পরে কলেজের প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিই।
কেন তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি ফয়সাল।
পটুয়াখালী আবদুল করিম মৃধা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ.ন.ম. সাইফুদ্দিন বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার হাতে বেশি জখম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে কলেজের বাইরে। তবে ওই শিক্ষার্থী দৌড়ে আমার কক্ষে আসে। এতে আমার কক্ষ এবং কলেজের বারান্দায় অনেক রক্ত পড়ে আছে।
আহত ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে আসেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। এ সময় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী জাফর ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে কলেজের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে । ওই শিক্ষার্থীর রবিবারে কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা রয়েছে। তার হাত দিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে নিয়ম অনুযায়ী বিকল্প ভাবে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তার ( ফয়সালের) পিঠে ও ডান কাঁধে কোপের আঘাত রয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা!
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মিরাজ হোসেন (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্র বিষপানে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিরাজ কুমারখালীর গোবরা চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও কুমারখালী সরকারি কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা!
তবে নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মিরাজ হোসেন দীর্ঘদিন দাঁতের ব্যাথায় ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দাঁতের ব্যাথা বেড়ে গেলে দুপুরে ‘টাকা না থাকলে এই সমাজে তার কোন মূল্য নাই। তার কোনো বন্ধু নাই। পরিবারের কাছে তার কোন মূল্য নেই। সে যতই অসুস্থ হোক না কেন, আর যতই ভালো ছেলে হোক না কেন? সে সবার থেকে পৃথিবীতে খারাপ ছেলে। আল্লাহ মাফ করে দিও।’- সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এমন আবেগঘন ও অর্থাভাবের একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মিরাজ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
বিষপানের বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮ টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মিরাজের ফুফাতো ভাই শাহিন বলেন, মিরাজ খুব ভাল ছেলে। দাঁতের রোগে ভুগছিল। ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করে। পরে রাতে মারা যান।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুজ্জামান তুষার বলেন, ছেলেটি খুব ভাল ও পরিশ্রমী ছিলো। খুব কষ্ট করে একটি বিল্ডিং বাড়ি বানিয়েছিল। কিন্তু ওর (ছাত্র) অসুখ ছিল। হয়তো সেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। ব্যাথায় ভুগছিল। ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা!
২ বছর আগে