ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ‘নট আউট নোমান’ অনুষ্ঠানে আশরাফুল তার জীবনের এ অজানা কাহিনী তুলে ধরেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওই সময়টা বর্তমান মহামারির সময়ের চেয়েও আরও ভয়ংকর ছিল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০১ সালে ১৬ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে মুগ্ধ করা আশরাফুল বর্তমানে দেশে ক্রিকেটীয় কোনো কার্যক্রম না থাকায় ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই অনুষ্ঠানে আশরাফুল বলেন, ‘ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার বিষয়টি মেনে নেয়ার সময়টাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়। আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যা পরে কমে তিনে বছরে দাঁড়িয়েছিল। এটি মহামারির সময়ের চেয়ে আরও কঠিন সময় ছিল।’
জাতীয় দলের সাবেক এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সে সময়ে আমি কতটা বিধ্বস্ত ও ভেঙে পড়েছিলাম তা এখনও মনে আছে। সবাই জানতে পেরেছিল যে আমি অপরাধী, আমি এমন কিছু করেছি যা আমার কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল না। এ ঘটনার পরে আমার কাছের প্রত্যেকে দূরে চলে যেতে শুরু করেছিল। আমি একা আটকা পড়ে গিয়েছিলাম। এর পরে জীবনে কীভাবে বাঁচতে হবে তা সম্পর্কে এবং কীভাবে মানুষের সামনে যাব সে বিষয়ে আমার কোনো ধরণাই ছিল না। কীভাবে এ ক্ষত কাটিয়ে উঠতে হবে সে বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম।’
ওই সময়ের সব কিছু অসহনীয় হয়ে পড়েছিল এবং নিজেকে মেরে ফেলতেও চেয়েছিলেন জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘পরে আমি হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যা শেষ পর্যন্ত আমাকে শান্ত হতে এবং ভুলগুলো শুধরে লড়াইয়ে ফিরতে সহায়তা করেছিল।’
আশরাফুল ২০১৩ সালে শেষবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। তিনি ৬১ টেস্ট, ১৭৭ ওয়ানডে এবং ২৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন।