প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকার ১৪ সস্যের একটি জাতীয় লবণ কমিটি করবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাতীয় লবণ কমিটির সভাপতি হবেন। তার নেতৃত্বে কমিটি লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আমদানি, গুদামজাত, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ, আয়োডিনের গুণগত মান নিশ্চিত করা, কারখানায় আয়োডিন সরবরাহ করা, লবণের আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিকভাবে লবণ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তাদের সুপারিশ তুলে ধরবে।
খসড়া আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন ছাড়া কেউ লবণ আমদানি ও লবণের ব্যবসা করতে পারবে না। করলে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
বৈঠকে ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ: বাংলাদেশর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুসারে, বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে বা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চায়।
সে লক্ষ্য চারটি পরিকল্পনা- সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্য পূরণের ওপর নজর দেয়া হবে।
পরিকল্পনা অনুসারে, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশের জন্য ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে ১২,৫০০ মার্কিন ডলার এবং ৯.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.১৯ শতাংশ। যা ২০৩১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ৯.৯ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।