গণভবন
স্বার্থান্বেষী মহল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। খোশামোদী-তোষামোদী করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। 'আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ।
‘আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন, আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়।
আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া দেশে অনাচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ট্রাস্টের সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ ২০২২’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সমস্ত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে চান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী বা অবিলম্বে কোনও বড় ঝুঁকি খুঁজে পাননি।
তিনি আরও বলেন, হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, আমরা তা অর্জন করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংকট সমাধানের জন্য চাপ দিয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আগত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংঘটিত পরিবেশ ধ্বংস, মাদক পাচার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে সর্বশেষ অনুপ্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের (রোহিঙ্গাদের) জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন কমছে। তাই তাদের আর আশ্রয় দেয়া সম্ভব না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরেছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয়-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের লন্ডন যান।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পড়ুন: এই নারী মানেই শক্তি
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভা অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাস্টি বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়মিত বৈঠকে স্মৃতি জাদুঘরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগের সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে উপ-কমিটির প্রতিবেদনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও বলেছেন, সদ্য উদ্বোধন করা পদ্মা সেতু দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি (পদ্মা সেতু্) একটি বিশাল মাইলফলক।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী আবারও কিছু দেশীয় অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিন্দা জানান। যারা বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পটি কার্যকর হবে না এবং ব্যয় (সেতু নির্মাণের) টাকা উঠে আসবে না।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এখন কি দেখা যাচ্ছে? সেতুটি অবশ্যই মানুষের জীবন ও জীবিকা পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো পদ্মা বহুমুখী সেতুও দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গেম চেঞ্জার হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রমিজ উদ্দিন কলেজ সংলগ্ন আন্ডারপাসসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বিমানবন্দর মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন নবনির্মিত একটি পথচারী আন্ডারপাসসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতায় চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হওয়ার চার দিন পর ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আন্ডারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
একই বছরের ১২ আগস্ট শেখ হাসিনা এ আন্ডারপাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছরের ২ আগস্ট দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য এবং কলেজের অধ্যক্ষ তার সাথে দেখা করার পর ৪ আগস্ট তিনি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বাস সরবরাহ করেন।
অন্য তিনটি প্রকল্প হলো-সিলেট সিটি বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪-লেন হাইওয়ে, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) বর্ডার লিঙ্ক-রোড এবং রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, নানিয়ারচর ও সিলেট সেনানিবাস এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েকুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছি: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে এবং বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দিয়ে অনেক উদারতা দেখানো হয়েছে, যদিও সবসময়ই তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ক্ষতি করা।’
বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন,‘তারা আমাদের কাছ থেকে আর কী আশা করে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি এবং তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? মানবিক কারণেই নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে ও চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তিনি (খালেদা) দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটা অর্থ কী? এদিন যারা বাবা-মা, ভাই ও সন্তানদের হারিয়েছেন,এটা শুধু তাদের কষ্ট দেয়ার জন্য; তাই না? খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। যদি তাই হয়,তাহলে তারা কীভাবে আমার কাছ থেকে আরও বেশি আশা করতে পারে?’
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘এই জন্মদিন ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিভিন্ন নথিতে তার জন্মদিন হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি দিনের উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা কখনোই বৃথা যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা ব্যর্থ হতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রবিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১ উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধকিারীদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রাপ্তদের মধ্যে উপহার ও পুরস্কার তুলে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা (সোনার বাংলা) হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের অগ্রগতি যেন থেমে না যায়...এই বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এটাই আমাদের শপথ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর মতো দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে একীভূত প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। তাই আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি, যাতে গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ এসব উন্নয়নের ফল পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা