গণভবন
গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হলেও খাওয়ার ভাগ্য হয়নি হাসিনার: টুকু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হলেও খাওয়ার ভাগ্য হয়নি শেখ হাসিনার। ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে না খেয়েই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছে। তবে এখন তার পরিচিতির কোনো কাগজপত্র নেই এবং তাকে কোনো রাষ্ট্রও গ্রহণ করছে না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার গয়লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুমন, লতিফ ও রশিদের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে তার নির্দেশেই ২ হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আবু সাঈদ বুক পেতে প্রতিবাদ জানালেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে আন্দোলনের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরদ্ধে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে এবং নেতাদেরকে জেল জুলুমসহ নির্যাতন করা হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমাকেও সিরাজগঞ্জে আসামাত্রই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সে সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলত ওপরের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া শেখ হাসিনা হাইকোর্টের আদেশও মানেনি এবং অন্য বেঞ্চে আদেশ পরিবর্তন করে আমাকে ৯ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, তার এ সাজা না খেটে বিদেশ পারি দিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে আসতে পেরেছি। স্বৈরাচার সরকারের পাতানো নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে কেউ যায়নি। তারপরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের রাজত্বকালে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাচ্চু, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ও ভিপি শামিম প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণ করতে উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিলেন অধ্যাপক ইউনূস
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা প্রাসাদ পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন। বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এখানেই বসবাস করেছেন। এখন এটি দমন-পীড়ন ও তার বর্বর শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সৌদির বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের
ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাদুঘরের তার(হাসিনার) দুঃশাসনের স্মৃতি এবং তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার সময় জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সেসকল স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা উচিত।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরপরই গণভবনে লাখো মানুষের ঢল নামে।
বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে ‘খুনি হাসিনার’ (খুনি হাসিনা) মতো প্রতিবাদী বাক্য লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্বৃত করে উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে যে আয়নাঘরে আটক করেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘর দর্শনার্থীদের গোপন বন্দীদের নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেছেন তিনি।
ছাত্রনেতা ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসিনা সরকারের অপকর্মগুলো জাদুঘরে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখছেন যে তারা কীভাবে তাদের বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মরণে স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
৩ সপ্তাহ আগে
গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরের রূপান্তর করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে বিগত ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র।
শনিবার গণভবন পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পাঁচ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জনগণের বিজয়কে ধারণ করে রাখার উদ্দেশ্যেই গণভবনের বর্তমান ভগ্নাবশেষ অক্ষত রেখেই জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে যা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
পদেষ্টা বলেন, যেকোনো ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী ও খুনি রাষ্ট্রনায়কদের কী পরিণত হয়, তা পৃথিবীর বুকে একটা নিদর্শন হিসেবে রাখার জন্য এই ভবনকে জাদুঘর করা হচ্ছে। আর জনগণই যে রাষ্ট্র ক্ষমতার আসল মালিক সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যারা জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিতে নাহিদ ইসলামের নির্দেশনা
জাদুঘরে গত ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের ঘটনা, শহীদদের তালিকা, স্মৃতি এসব কিছুর একটি সামগ্রিক উপস্থাপনা থাকবে। পাশাপাশি কিছু ডিজিটাল উপস্থাপনা থাকবে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের উপর অত্যাচার, গুম, খুনের স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য গণভবনকে জাদুঘরের রূপান্তরিত করা হবে। পরে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
পত্য শিল্পী এবং জাদুঘর বিশেষজ্ঞ আর্কিটেক্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পরিদর্শনকালে শিল্প উপদেষ্টা আজিজুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
২ মাস আগে
গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রেখে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ক্রীড়া ও শ্রম বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে 'শহীদি মার্চ'
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে তারা অন্যান্য দেশের উদাহরণ খতিয়ে দেখবেন।
তিনি বলেন, তারা এটি অপরিবর্তিত রাখবেন (এখন যেমন আছে) এবং গণভবনের ভেতরে একটি জাদুঘর থাকবে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
২ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে গণভবনে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানায়, রাত সোয়া ৮টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক এক দফা দাবি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, গণভবনের নির্দেশিত এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কথিত মামলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, 'গণভবনের এই রায়ে সমগ্র জাতি লজ্জিত। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত বিষাক্ত মন্তব্য এবং তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রমাণ করেছে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ মে এক আলোচনা সভার উদ্বৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন। তখন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট পাট করে বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, জাতির গর্ব ড. ইউনূসকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো রায়ে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপিলের শর্তে আদালত সবাইকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন।
অসন্তোষ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, 'আমরা ন্যায়বিচার পাইনি এবং হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
১০ মাস আগে
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা, রওশনের ছেলে রাহগীর আলমাহে এরশাদ (সাদ এরশাদ), তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ এবং সাদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
১১ মাস আগে
গণভবনে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন'-এর শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানে শুক্রবার গণভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের প্রিমিয়ার শো দেখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
১ বছর আগে
গণভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তামিম বলেন যে তিনি তার মত পরিবর্তন করেছেন।
ফিটনেস নিয়ে বিতর্ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কিছু কঠোর মন্তব্যের পর গত বৃহস্পতিবার সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তামিম বলেন, ‘আমি আমার অবসরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দেশের প্রধানকে না বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে তার অবসর বাতিল করে ছুটি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাতের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বিসিবি সভাপতি।
আপাতত দেড় মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে ছুটিতে থাকবেন তামিম। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন: তামিমের আকস্মিক অবসরে সতীর্থরা মর্মাহত ও আবেগাপ্লুত
লিটন দাস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক
১ বছর আগে
জাতীয় উন্নয়নকে বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করুন: আ. লীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে তার ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন ও দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী গোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা অনেক বেড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে তা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে সম্ভব হয়েছে। আমরা জনগণের মন জয় করে ক্ষমতায় এসেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের ওপর যে নির্যাতন করেছে তার প্রতিশোধ নেয়নি।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবির মধ্যেই ছিল স্বাধীনতার প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন দিয়ে অন্যায়ের জবাব দিই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার প্রতিটি জেলায় উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে। ফলে গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় না রাখলে সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমাদের যত অগ্রগতি হয়েছে তার সবই ধ্বংস হয়ে যাবে।’
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রেক্ষাপটে দলের দুঃসময়ে পাশে থাকা নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাদের অবহেলা করা উচিত নয়।
হাসিনা বলেন, দলই তার একমাত্র শক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক শক্তি ছাড়া কোনো বড় অর্জন সম্ভব নয়। তাই দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক স্বার্থান্বেষী মহল চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আজ বিএনপিকে উসকানি দিয়েছে তারা দলকে (বিএনপিকে) ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ‘তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার বহু অপচেষ্টা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু সেই চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-বাবা ও ভাইদের হারিয়ে আওয়ামী লীগই আমার পরিবার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তার শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনের মান উন্নয়নে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা করোনা মহামারিতে জনগণের পাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।’
ঢাকা ১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা শেষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে