গণভবন
ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, গণভবনের নির্দেশিত এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কথিত মামলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, 'গণভবনের এই রায়ে সমগ্র জাতি লজ্জিত। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত বিষাক্ত মন্তব্য এবং তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রমাণ করেছে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ মে এক আলোচনা সভার উদ্বৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন। তখন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট পাট করে বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, জাতির গর্ব ড. ইউনূসকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো রায়ে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপিলের শর্তে আদালত সবাইকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন।
অসন্তোষ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, 'আমরা ন্যায়বিচার পাইনি এবং হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা, রওশনের ছেলে রাহগীর আলমাহে এরশাদ (সাদ এরশাদ), তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ এবং সাদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
গণভবনে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন'-এর শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানে শুক্রবার গণভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের প্রিমিয়ার শো দেখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
গণভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তামিম বলেন যে তিনি তার মত পরিবর্তন করেছেন।
ফিটনেস নিয়ে বিতর্ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কিছু কঠোর মন্তব্যের পর গত বৃহস্পতিবার সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তামিম বলেন, ‘আমি আমার অবসরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দেশের প্রধানকে না বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে তার অবসর বাতিল করে ছুটি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাতের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বিসিবি সভাপতি।
আপাতত দেড় মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে ছুটিতে থাকবেন তামিম। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন: তামিমের আকস্মিক অবসরে সতীর্থরা মর্মাহত ও আবেগাপ্লুত
লিটন দাস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক
জাতীয় উন্নয়নকে বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করুন: আ. লীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে তার ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন ও দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী গোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা অনেক বেড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে তা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে সম্ভব হয়েছে। আমরা জনগণের মন জয় করে ক্ষমতায় এসেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের ওপর যে নির্যাতন করেছে তার প্রতিশোধ নেয়নি।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবির মধ্যেই ছিল স্বাধীনতার প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন দিয়ে অন্যায়ের জবাব দিই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার প্রতিটি জেলায় উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে। ফলে গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় না রাখলে সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমাদের যত অগ্রগতি হয়েছে তার সবই ধ্বংস হয়ে যাবে।’
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রেক্ষাপটে দলের দুঃসময়ে পাশে থাকা নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাদের অবহেলা করা উচিত নয়।
হাসিনা বলেন, দলই তার একমাত্র শক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক শক্তি ছাড়া কোনো বড় অর্জন সম্ভব নয়। তাই দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক স্বার্থান্বেষী মহল চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আজ বিএনপিকে উসকানি দিয়েছে তারা দলকে (বিএনপিকে) ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ‘তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার বহু অপচেষ্টা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু সেই চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-বাবা ও ভাইদের হারিয়ে আওয়ামী লীগই আমার পরিবার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তার শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনের মান উন্নয়নে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা করোনা মহামারিতে জনগণের পাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।’
ঢাকা ১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা শেষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিন বছর পর গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী, বিচারক ও বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিগত ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হয়নি।
আরও পড়ুন: দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব পরিহার করে জাতীয় উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রথমে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
পরে তিনি সকাল ১১টা থেকে বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সচিবের সমতুল্য পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে শনিবার উদযাপন করা হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে ঢাকা: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
স্বার্থান্বেষী মহল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। খোশামোদী-তোষামোদী করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। 'আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ।
‘আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন, আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়।
আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া দেশে অনাচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ট্রাস্টের সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ ২০২২’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সমস্ত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে চান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী বা অবিলম্বে কোনও বড় ঝুঁকি খুঁজে পাননি।
তিনি আরও বলেন, হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, আমরা তা অর্জন করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংকট সমাধানের জন্য চাপ দিয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আগত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংঘটিত পরিবেশ ধ্বংস, মাদক পাচার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে সর্বশেষ অনুপ্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের (রোহিঙ্গাদের) জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন কমছে। তাই তাদের আর আশ্রয় দেয়া সম্ভব না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী