উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম সেলিম তোহার কার্যকাল ২০ আগস্ট শেষ হয়েছে।
সরকার কর্তৃক ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কেউ নিযুক্ত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যে সরকার শুন্য পদগুলোতে নিয়োগ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পাবেন না।
ইবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এম আবদুল হান্নান বলেন, উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদগুলো শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত একাডেমিক, অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য দুজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা উচিত যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (আইইউটিএ) সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন বলেন, 'যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত।'
তিনি পদগুলোতে নিয়োগ দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক সরকারের উচ্চপদস্থদের কাছে তদবির করছেন বলে জানা গেছে।