এছাড়া, ৭৮৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৯০ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেল দেশের গ্লোব বায়োটেক
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৮১ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৯১টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টিকার বিকল্প উৎস খুঁজে বের করুন: সরকারকে বিএনপি
নতুন যে ১৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ এবং নারী তিনজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৮০ জন বা ৭৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৮৫৪ জন বা ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই, ভ্যাকসিন সময় মতোই পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব করোনা
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৮ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯২৫ জনে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে আক্রান্ত ৮ কোটি ৭১ লাখ ছাড়াল
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩১০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন:টিকা সরবরাহ: ঢাকার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানাল দিল্লি
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৪ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৯৮ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (৩২ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (২৮ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (২৭ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি) ও তুরস্ক (২২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো, তারপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্স।