দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিনাভোটের সরকার ক্ষমতায় থাকায় জনগণের প্রতি তাদের ন্যূনতম দায়বদ্ধতা নেই। এখন তাদের অদূরদর্শিতা ও লুটপাট নীতির কারণেই টিকা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।’
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তার থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে অনতিবিলম্বে টিকা সংগ্রহ, মূল্য, সংরক্ষণ এবং বিতরণ ব্যবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য জনগণের সামনে উপস্থাপনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে টিকা সরবরাহের জন্য অতি দ্রুত বিকল্প উত্স খুঁজে বের করারও আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে: বিএনপি
গত সপ্তাহে খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে গঠিত করোনাভাইরাস টিকা সম্পর্কিত বিএনপির ছয় সদস্যের কমিটি দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, সরকার চীন, রাশিয়া এবং অন্য সম্ভাব্য টিকা উৎপাদনকারীদের সাথে টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণের সমস্যার কারণে মডার্না, ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়। ইতোমধ্যে রাশিয়া স্পুটনিক টাস্ক, চীন সিনো ফার্মার টিকার অনুমোদন দিতে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০২১ সালে ‘স্বৈরাচার’ থেকে মুক্তি পাবে: বিএনপি
বাস পোড়ানো মামলায় ১৭৮ বিএনপি নেতা-কর্মীর আগাম জামিন
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেসব টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত, আমাদের দেশের তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দেয়া হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হলে আরও কম দামে আমাদের দেশ টিকা পেতে পারত। এখনও সুযোগ আছে বলে আমরা সরকারকে বিকল্প উৎস খোঁজার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের ও বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সাথে জি-টু-জি চুক্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছে। আবার বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সরকারের সাথে নয়, চুক্তি হয়েছে বেক্সিমকোর সাথে।’
আরও পড়ুন: সরকার উন্নয়ন সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: বিএনপি
বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘টিকা ক্রয়ে সরাসরি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না করে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে (বেক্সিমকো) চুক্তি করায় বাংলাদেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকার প্রতিটি ডোজের দাম প্রায় দ্বিগুণ পড়বে। যদি কয়েক কোটি টিকা আমদানিও হয় তা সাধারণ মানুষ আদৌ পাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার যদি সরাসরি টিকা ক্রয় করত তাহলে প্রায় অর্ধেক দামে বাংলাদেশ এটি পেত। এতে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয় হতো।