আরও পড়ুন: ওমান থেকে ফিরলেন ২৮৮ বাংলাদেশি
সালতানাত অব ওমানে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলে মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মিজানুর সোমবার ওমানের রাজধানী মাস্কাট নগরীর বাইরে বারকা অঞ্চলে ‘কছর আল বারকা’ প্রাসাদে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুলতান তারিকের নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: ওমানের সুলতানের মৃত্যুতে সোমবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর ওমানের রাজকীয় বাহিনীর চৌকস বাদকদল বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশ করে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রদূত রাজকীয় অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এরপর ওমানের রাজকীয় শিষ্টাচার প্রধান রাষ্ট্রদূতকে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের হলরুমে নিয়ে যান। সেখানে সুলতান তারিকের সাথে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়িদ বদর বিন হামাদ বিন হামুদ আল বুসাইদি ও দিওয়ান অব রয়্যাল কোর্টের মন্ত্রী সাইয়িদ খালিদ বিন হিলাল বিন সাউদ আল বুসাইদি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত
রাষ্ট্রদূত মিজানুর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্রটি সুলতানের নিকট হস্তান্তর করেন। সুলতান পরিচয়পত্র গ্রহণ করে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার আমন্ত্রণ করেন।
সুলতানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে দুই ভাইসহ বাংলাদেশি ৬ শ্রমিক নিহত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতা পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম অগ্রগামী ওমানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত।
এছাড়াও, আধুনিক ওমান বিনির্মাণে প্রায় সাত লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন যে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালায় সুলতানের যোগদান দুদেশের বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে উচ্চতর এক ঐতিহাসিক রূপ দেবে।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে ওমানে যেতে পারবেন প্রবাসীরা
জবাবে সুলতান আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে তা যথাযথভাবে বিবেচনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ভিত্তিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। সুলতান এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান এবং তার সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটি ওমান জেনারেল টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে।