তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করা হচ্ছে। যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে তবে ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর আগে পরিস্থিতি মূল্যায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দেয়ার কথা ভাবছে সরকার: মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত যে সময় দেয়া আছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৩০ মার্চ খুলবার কথা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে খুলবার কথা ২৪ মে থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলবার কথা ১৭ মে থেকে।’
‘আমরা বরাবরের মতো গত এক বছর যেমন করেছি এখনো প্রতিদিনই পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকদের, কর্মচারীদের এবং সকল অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সবচাইতে বিবেচনায় নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কাজেই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন যে এই মার্চ মাসেই গতবছর সংক্রমণ হয়েছিল এবং এরপরে বেড়েছিল। কাজেই যদি আমরা দেখি, এখনো একটু মনে হচ্ছে ঊর্ধ্বগতি, আমরাও টিকা এসে যাওয়াতে হয়তোবা আমাদের সবার মধ্যে কিছুটা শৈথিল্য ভাব দেখা গিয়েছিল। আশা করি, এই যে আবার একটু বাড়ছে তাতে সবাই আবার সচেতন হবেন। সকলেই অনেকে ভালোভাবে, পাকাপোক্তভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানবেন এবং এটি বাড়বে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার মানোন্নয়নে কারিকুলাম সংশোধন করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সকল স্কুল-কলেজ ৩০ মার্চ থেকে পুনরায় খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ২৪ মে
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে সেই ছুটি কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ আগামী ৩০ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খোলার তারিখ ঠিক করে সরকার।
এদিকে, আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা জাানিয়েছে সরকার। সেই সাথে ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।