শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপায়
মেধা ও মননের সঠিক বিকাশের জন্য শিক্ষা অর্জনের মঞ্চটি হওয়া উচিত বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে শিক্ষার অবকাঠামোগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হলেও বাকি রয়ে গেছে সুস্থ পরিবেশের বিষয়টি। বিশেষত নারীদের জন্য এখনও পরিপূর্ণ নিরাপদ হয়ে ওঠেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষিকারাও শিকার হন নানা ধরনের হয়রানি ও সহিংসতার, যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর করে তোলে শিক্ষাঙ্গনকে। এই নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হওয়া। চলুন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তায় করণীয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপায়
সহিংসতা-বিরোধী কঠোর নীতি বাস্তবায়ন
জাতীয় পরিসরে নির্দিষ্ট আইন থাকলেও প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব বিধিমালা থাকা জরুরি। মৌখিক, শারীরিক ও অনলাইন প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর আচরণগুলোর সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। প্রত্যেকটি ছোট ছোট ঘটনার রিপোর্ট করা থেকে শুরু করে শাস্তি প্রদান পর্যন্ত একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া থাকবে। অবশ্যই প্রক্রিয়াটি হতে হবে সহজতর ও পক্ষপাতিত্বমুক্ত।
নীতি প্রণয়নে সর্বাত্মকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। নীতিমালায় শিক্ষক, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ও দায়িত্বের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা বাঞ্ছনীয়। উপরন্তু, বিধানগুলোর এমনভাবে প্রসার ঘটাতে হবে, যেন প্রত্যেকে তা লঙ্ঘনের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ থাকে।
নিবেদিত প্রশাসন টিম নিয়োগ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসন বিভাগের উপর দায়িত্ব না চাপিয়ে নির্ধারিত নীতিমালা পরিচালনার রাখার জন্য পৃথক দল গঠন করা দরকার। এই দলটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমস্ত নিরাপত্তা নীতি এবং পদ্ধতিগুলোর বিকাশ, বাস্তবায়ন ও তদারক করার জন্য দায়ী থাকবে।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
তাদের নিয়মিত কার্যাবলির মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা অডিট পরিচালনা, প্রশিক্ষণ সেশনের আয়োজন, রিপোর্টিং সিস্টেম পরিচালনা করা এবং নিরাপত্তা কর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা। সর্বসাকূল্যে, ক্যাম্পাসে নারীর যেকোনো নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে দলটি। এতে করে বিধিমালা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যা রসদ যোগাবে নারীদের নির্ভরতার।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নেওয়া
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আইন প্রণয়নে বৈধতার জন্য আইনশৃঙ্খলা বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকা দরকার। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচিত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা। প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা সম্বন্ধে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবশ্যই জানিয়ে রাখতে হবে।
এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলে তা বহিরাগত আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া থাকলে তা অপরাধমূলক আচরণের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাছাড়া এই সমন্বয় সাধন জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার প্রশিক্ষণ
বিধি-বিধান প্রণয়নের সর্বোত্তম উপায় হলো প্রশাসক দলের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সংকটের সময় দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে এর কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি সেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট ও মানানসই হওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
কোন আচরণগুলো সহিংসতামূলক, কীভাবে অভিযোগ করতে হবে এবং হয়রানির তাৎক্ষণিক প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তুতে। বিশেষ করে অভিযোগের জন্য নিবেদিত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রোটোকল সহজভাবে শেখানোর উপর জোর দেওয়া উচিত। এর ফলে ভুক্তভোগীদের আতঙ্কটা অনেকাংশে কমে আসবে এবং তারা ন্যায়-বিচারের নিশ্চয়তা পাবে।
অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন
সিঁড়িঘর, প্রবেশপথ ও লম্বা করিডোর সহ যাবতীয় সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসাতে হবে উচ্চ মানের সিসিটিভি ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে নিযুক্ত করতে হবে অভিজ্ঞ নিরাপত্তা কর্মী, যারা ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে অনায়াসেই শনাক্ত করতে পারবে সন্দেহজনক কার্যকলাপ।
সারা বছর ধরে এই ধারা অব্যাহত রাখতে রুটিন করে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। সিসি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত, যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেগুলো তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়।
নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা
বাসা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার মাঝের সময়টি নারীর নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে খুব বেশি রাত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও দিনের অন্যান্য সময়গুলোও ঝুঁকিমুক্ত নয়। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলোতে প্রায়ই নারীরা হয়রানির শিকার হন। তাই স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন থাকলে সেখানে শিক্ষিকা বা ছাত্রীদের স্বস্তির জায়গা থাকে।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এসব পরিবহনের চালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা উচিত। অবশ্যই চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে দক্ষতার পাশাপাশি আচরণগত বৈশিষ্ট্য যাচাইয়ের জন্য তার আগের কাজ ও জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
যানবাহনগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং জরুরি যোগাযোগ ডিভাইসের সংযোগ থাকা উচিত। এতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। সব মিলিয়ে এই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে নিরাপদে বাসা পৌঁছানো নিশ্চিত করা যাবে।
পিয়ার সাপোর্ট ও বাডি সিস্টেম
পৃথক নিরাপত্তা কর্মী এবং অত্যাধুনিক অবকাঠামো স্থাপনের পরেও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান নিতান্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার। এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সমাধান হচ্ছে সহকর্মী বা বন্ধুদের বলয়ের মধ্যে থাকা। শিক্ষাঙ্গনের পাশাপাশি যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও কর্মকর্তারা মূলত নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করে নেন। একই পথে একাধিক লোকের বাড়ি থাকলে তারা একসঙ্গে যাতায়াত করে থাকেন। কাজ অথবা পড়াশোনা বা খেলাধুলার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।
এই একসঙ্গে চলাফেরার ব্যাপারটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই উৎসাহিত করা যেতে পারে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষক-শিক্ষিকারা গ্রুপ করে তাদের প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এই গ্রুপিং সুসম্পর্ক বজায়ের জন্যও উপযোগী, যার ধারাবাহিকতায় তারা সার্বক্ষণিক পরস্পরের খোঁজ-খবর রাখার তাগিদ অনুভব করেন। এমনকি এই একত্রিত থাকাটা যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ র্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্যও বেশ কার্যকর।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ
অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার জন্য কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে একদম প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও এমন ব্যবস্থা কমবেশি থাকে। কিন্তু ভেতরের পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে স্থাপনার সীমানা এবং প্রবেশের স্থানগুলো কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
এক্ষেত্রে উপযুক্ত উপায় হতে পারে ইলেকট্রনিক কি-কার্ড বা বায়োমেট্রিক স্ক্যানার ব্যবহার। বাইরে থেকে আগতদের প্রত্যেককে ভেতরে প্রবেশের পূর্বে তাদের পরিচয় এবং উদ্দেশ্য যাচাই করতে হবে। এর জন্য প্রধান ফটকের দায়িত্বরত কর্মীদের সঙ্গে একাডেমিক প্রতিটি বিভাগের যোগাযোগ সংযোগ থাকতে হবে। ফলে তারা তাৎক্ষণিক ভাবে আগত ব্যক্তি কে ও তিনি কার কাছে কী উদ্দেশ্যে যাবেন সমুদয় বিষয় যাচাই করতে পারবেন। অতিরিক্তভাবে, ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখাও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার পরিচায়ক।
বেনামী অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা
প্রাথমিক পর্যায়ে ভয় থাকে অসম্মান ও হীনমন্যতার, যা পরবর্তীতে বিস্তৃতি পায় প্রতিশোধপরায়নতার শিকার হওয়া পর্যন্ত। আর এই কারণগুলোই বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থের শিকার হওয়ার পরেও অনেক নারীদের বিরত রাখে প্রতিরোধ করা থেকে। এ অবস্থায় নাম গোপন রেখে অভিযোগের সুযোগ হতে পারে প্রতিরোধের মোক্ষম উপায়।
গোপন হটলাইন নম্বর এবং সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপগুলো হতে পারে পৃথক প্রশাসন ব্যবস্থার সহায়ক সংযোজন। তদন্ত ও অপরাধীকে ধরার আগ পর্যন্ত গোপন রাখতে হবে অভিযোগকারীর নাম। ফলে, অনেক ভুক্তভোগী নিজেদের প্রকাশ করতে সাহস পাবে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পথে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অভিভাবক ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা
স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপ্রশস্ত ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে স্থানীয়রা। আশেপাশের এলাকার ছোট ছোট দোকানগুলো অপরাধের বিরুদ্ধে সম্মিলিত থাকলে প্রশাসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত।
এই কর্মকাণ্ডে অভিভাবকরাও এগিয়ে এলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়। প্রত্যেক অভিভাবক তার নিজের এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে করণীয়গুলোর ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবেদিত প্রশাসন। এভাবে ঘর ও শিক্ষাঙ্গন উভয় ঠিকানাকে সুরক্ষিত করে সর্বত্রে নারীর অবাধ বিচরণে নিশ্চয়তা প্রদান করা যায়।
শেষাংশ
এসব পদক্ষেপের প্রতি গুরুত্বারোপ করার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তন্মধ্যে সক্রিয় ভূমিকা নেয়া উচিত নীতি নির্ধারণ ও প্রণয়নে। এর সূত্র ধরেই আসবে নিরাপদ পরিবহন, শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা এবং পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসন নিয়োগ। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং পিয়ার সাপোর্ট ও বাডি সিস্টেম ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে বেনামী অভিযোগ ব্যবস্থাকে। সর্বপরি, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশগ্রহণে সার্বিক ভাবে গড়ে উঠতে পারে একটি সুস্থ শিক্ষাঙ্গন।
আরো পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়
৩ মাস আগে
ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জননিরাপত্তা এবং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি- যারা নিরাপরাধ শিক্ষার্থী এবং যারা শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলন অংশগ্রহণ করেছে তারা কেউই যাতে কোনো ধরনের প্রশাসনিক হয়রানির শিকার বা আইনি জটিলতায় না পড়েন এই ঘোষণা দিয়েছি।
যেসব শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা যদি মনে করেন তারা নিরপরাধ তারা অবশ্যই সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সরাসরি তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেব। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে অবশ্যই সেগুলো বলা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে আমরা বারবার বলছি সবার আগে জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আমাদের যে বিদ্যালয়গুলো আছে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো আছে সেগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। এই মুহূর্তে আমরা প্রতিদিন নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ করছি। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা যথাসময়ে জানাব।
অনলাইনে ক্লাসের শুরুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে সেহেতু আমরা এই বিষয়টি বিবেচনায় নেব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। বেসরকারি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। সেটা আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেব। এইচএসসি পরীক্ষা কখন হবে সেটাও আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেব৷
এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসে ৭ মন্ত্রী ৪ সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আলোচনায় যোগ দেন। এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও বৈঠকে ছিলেন।
এছাড়া আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসারপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
৪ মাস আগে
এই মূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম ইস্যুতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
এদিনও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন- কয়েকজন নেমেছে। কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে- সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। মন্ত্রিসভায় কী আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধাবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার সমস্যা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। আগে পরিবেশ তৈরি করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
বারবার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নওফেল বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছেন এবং রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’
তিনি বলেন, 'বর্তমানে মূল দুশ্চিন্তার বিষয় এইচএসসি পরীক্ষা। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত সব শিক্ষা বোর্ডের ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই থেকে অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (২৯ জুন) খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে বিসিসিটির সংস্কার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
এছাড়া বর্তমান সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত ও পরিবেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।’
এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করে সব ক্ষেত্রে নিজেকে প্রস্তুত করবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
এছাড়া সব অনিয়ম থেকে দূরে থেকে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশমন্ত্রী।
৫ মাস আগে
সোমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। একই সঙ্গে আগামীকাল সোমবার চসিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রবিবার (২৬ মে) বিকালে নগরীর টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
মেয়র বলেন, ‘সোমবার চসিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিকের ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, শনিবার সকালেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি। দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ উপবিভাগের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদারক করতে নির্দেশ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ
৬ মাস আগে
লালমনিরহাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন, পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণিকক্ষ
লালমনিরহাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন, পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণিকক্ষ
লালমনিরহাট, ১২ মে (ইউএনবি)-
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কান্তেশ্বর বর্মন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে আগুনে দুটি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে টিফিন শুরুর সময় আকস্মিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণির দুটি কক্ষে আগুনের ধোঁয়া দেখে ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। পরে ওই শ্রেণিকক্ষের দরজা জানালাসহ আসবাবপত্রে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দুটির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করা যায়নি। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ল ৪০ বিঘা জমির পানের বরজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে ১৫ দোকান
৭ মাস আগে
সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশের চিঠির আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সুপারিশপত্রটি নিয়ে একপক্ষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এদিকে সম্প্রতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
চাকরিপ্রার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। শনিবার তারা সমাবেশের পর শাহবাগ এলাকা অবরোধও করেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে আপনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী অনুরোধ করেছিল, আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মনে হয়েছে সেটার বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আমি একটি সুপারিশপত্র দিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার সেই সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের বলব, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন। রাষ্ট্র উত্তর দিয়েছেন, এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে। সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা আর নেই। এখন এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি মাত্র ১ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। সেখানে ৩৫ করলে আর কতই বা বাড়বে সেটা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেটা নিয়ে আর জলঘোলা করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
৭ মাস আগে
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার ফের বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়া আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে স্নাতকদের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৭ মাস আগে
দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শৈত্যপ্রবাহ, তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, বর্তমানে শনিবারে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তা স্থায়ী নয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে বিদ্যালয়গুলোর জন্য। এখন আমাদের প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশকিছু দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যেকোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হতো। সেটা শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখতে পারব।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থান। একেক জেলায় একেক তাপমাত্রা। যেসব জেলায় আমাদের সন্তানরা অতিবৃষ্টির কারণে, বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারে না, অনেক কষ্ট হয়, সেখানে স্কুল বন্ধ থাকে। সেসব জায়গায় শুষ্ক মৌসুমেই শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে, তাদের শিখন ফল অর্জনের জন্য। কিন্ত এখন দেখা যাচ্ছে, এমন একটা আলোচনা হচ্ছে— রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আসছে। রাজধানীতে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঢাকায় আমরা স্কুল বন্ধ রাখতেই পারি।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
৭ মাস আগে