শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকসহ বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, জাপানি ড্রিম এডুকেশন মডেল ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে দেশের বিদ্যালয়গুলোকে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ করা হবে।
এলক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্কুল এইড জাপান, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্কুল এইড জাপান, বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল কাতসুশি ফুরুসাওয়া বলেন, স্কুলগুলোতে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অনুকরণীয় মডেল তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসডিজি-এস ক্লাব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই, যার ফলে পরিবেশবান্ধব জাতি গঠন হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মডেল সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে চাই।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো বড় শহরগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বর্জ্য ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরে মন্ত্রী ড্যান্ডি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন রোয়েন নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় জলবায়ু ইস্যু বিশেষ করে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউএনউমেনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অপর এক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করছে এবং সরকার জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করছে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
যশোরের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) যশোরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও যশোরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না হওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাত ৮টায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সম্পর্কিত স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে যশোর জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে- চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
এতে আরও বলা হয়, যশোর জেলার দিনের তাপমাত্রা সোমবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি (যশোর) থেকে জানা যায়। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, সরকারি নির্দেশনা মতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। যশোরে সোমবার তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ছিল। মঙ্গলবার একই ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। যে কারণে জেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হোসেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে নামার কারণে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন ও যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। মঙ্গলবার যেহেতু একই আবহাওয়া বিরাজ করবে সে কারণে জেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯৩৪টি মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক মাদরাসা ও ভোকেশনাল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি তাপমাত্র নেমে যাওয়ায় জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২২টি মাদরাসাসহ মোট ১ হাজার ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় বসে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর না ওঠা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
জেলায় গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রবিবার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে উঠলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতের কারণে আজ (২১ জানুয়ারি) ও আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২১ জানুয়ারি রাজশাহীর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী। সন্ধ্যায় রাজশাহী শিক্ষা কর্মকর্তারা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ২১ ও ২২ জানুয়ারি রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে। ফলে এ দুইদিন রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, রবিবার একদিনের জন্য পাঠদান বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে অফিস খোলা থাকবে।
রবিবার আবহাওয়া দেখে আবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে একদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার কুয়াশার মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে কুয়াশা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। শনিবার আবার ঘন কুয়াশা পড়েছে। ফলে তাপমাত্রাও কমে গেছে। পুরো জানুয়ারিজুড়েই এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি এবং শুক্রবার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ১০ থেকে ১২ বছরে জেলায় এত শীত পড়েনি। এ ধরনের তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে যে কোনো জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
গাজীপুরে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরের দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবার দিবাগত রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, রাত পৌনে ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকার টিএনটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
তিনি আরও বলেন, আগুনে বিদ্যালয়ের ৭টি শ্রেণিকক্ষ, একটি অফিসকক্ষ, শিক্ষা উপকরণসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
তবে এই বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র নয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, বাসন থানা এলাকার পূর্ব চন্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত দেড়টার দিকে স্কুলের জানালা দিয়ে একটি রুমের আলমারিতে পেট্রোল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় কিছু বই পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় পিকআপ ভ্যানে দুর্বৃত্তদের আগুন
রাজধানীর গোপীবাগে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন, নিহত ৪
বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না। জামায়াত ১৯৭১ সালে সময় আমাদের মা-বোনের সম্মান নিয়েছে এবং স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। বিএনপি এবার জনগনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি মানুষ পুড়িয়েছে, যানবাহন পুড়িয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে; ওরা এখনো সংশোধন হয়নি। বিএনপিকে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যেতে পারে। অলরেডি কানাডিয়ান আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে। আমার মনে হয় না এই সন্ত্রাসীদের ডাকে কেউ সাড়া দেবে।
আরও পড়ুন: ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ফতুল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে- কেউ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। তবে, আমরা দেখছি বিএনপি নারায়ণগঞ্জে কর্মসূচি পালন করছে। যদি এর চেয়ে বাড়াবাড়ি তারা করার চেষ্টা করে, তাহলে মানুষ কিন্তু জবাব দিয়ে দেবে। বিশেষ করে ট্রেনে আগুন দিয়ে বাচ্চাটাকে মেরে ফেলাটাকে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। মানুষের মাঝে একটা ঘৃণা জমে গেছে। এই ঘৃণার যদি বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়, বিএনপির জন্য খুব ভয়ানক হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে, আমাদের এদের জন্য মায়া হচ্ছে। কিছুদিন পর তাদের আদালতে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তখন কাঁদবে কিন্তু তার পরিবারের লোকরা, লন্ডনে বসে তারেক রহমান কাদবে না। আমরা কারো সঙ্গে প্রতিহিংসা করতে চাই না, আমরা চাই সবাই ভালো থাকুক।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, এমপি শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সহকারী হাফিজুর রহমান মান্নাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
চলমান রাজনৈতিক সংকটে উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা
একটানা অবরোধের কারণে দেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,অবরোধের মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। কারণ যাদের বাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটু দূরে, তারা সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না।
এ ছাড়া, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা আসন্ন, তারাও তা পেছাতে বাধ্য হচ্ছে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকে সারাদেশে হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে তিন দিনের অবরোধ শেষে ফের ৫ ও ৬ নভেম্বর দুদিনের অবরোধ চলমান। এভাবে দফায় দফায় অবরোধের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কে রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপিসহ সমমনা দলের রাজনৈতিক চলমান কর্মসূচি নভেম্বর মাসে আরও কঠোর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নভেম্বর মাসের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া, নভেম্বর শেষে অথবা ডিসেম্বর মাসেই স্কুলগুলোতে নতুন বই পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসটি শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবরোধের কারণে এসব কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরেই হরতাল-অবরোধের প্রভাব বেশি পড়ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসায় বেশি ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা।
গ্রামগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব খুব বেশি না থাকলেও সারা দেশের স্কুল-কলেজ একই শিক্ষাপঞ্জি মেনে চলে। গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতেও কাছাকাছি সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়। কারণ শহরাঞ্চলের স্কুলগুলো নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন তৈরি করে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনও বেশ কিছু স্কুল একসঙ্গে একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয় বা শিক্ষকদের সমিতি থেকে প্রশ্ন কিনে নেয়।
এজন্য মফস্বলেও একেক স্কুলের একেক দিন পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়বে।
অন্যদিকে, বেশ কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হরতাল ও অবরোধের দিন বন্ধ রেখে বন্ধের দিন এবং শুক্রবার ও শনিবার স্কুল খোলা রেখেছিল।
এখন আবার ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধে কারণে ফিজিক্যালি ক্লাস না করে বাসা থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে।
বসুন্ধরায় অবস্থিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ‘প্লে-পেন’ এ বাচ্ছা পড়ে তার একজন অভিবাবক সরোয়ার আলম ইউএনবিকে বলেন,একটানা অবরোধের কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে, তাই না বাসা থেকে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। শারীরিক উপস্থিতিতে ক্লাস আর অনলাইন ক্লাসের অনেক পার্থক্য রয়েছে, আবার চলতি মাসে ১০ নভেম্বর থেকে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা কীভাবে হবে বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে’ লিখে কুবির প্রধান ফটকে ছাত্রদলের তালা!
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ইউএনবিকে বলেন, আগামী ৯ নভেম্বর থেকে স্কুলগুলোর বার্ষিক মূল্যায়ন শুরু হবে। আমরা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে চাই। কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে বেশ আগেই একটি সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছিল মাউশি অধিদপ্তর। সেখানে ৫ নভেম্বর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে ৯ নভেম্বর থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে এখনও পরীক্ষা শেষ করার সময় ৩০ নভেম্বরই রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের দুই পরীক্ষার মধ্যে সময় কমে আসবে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত সংশোধিত চিঠি স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, তারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সন্তানদের স্কুলে নিয়ে আসছেন।
বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রুহুল আমীন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমার দুই বাচ্চা বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলে পড়ে। আগের দফায় হরতাল-অবরোধে বাচ্চাকে স্কুলে আসতে দেইনি। এক সপ্তাহ স্কুল করেনি। এখন আবার অবরোধ। এভাবে কতদিন চলবে কে জানে। এজন্য আবার বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এলাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে, কখন-কোথায় কী হয়।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সুজন ইউএনবিকে বলেন, ‘চলতি মাসেই বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা। এরমধ্যে হরতাল এবং একটানা অবরোধে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে ভয় ও উদ্বেগে আছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় বিএনপির অবরোধের প্রথমদিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসার প্রধান শাখা এবং বসুন্ধরা শাখা, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা, বনানী বিদ্যানিকেতনসহ রাজধানীর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্ত
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্তএবছর এসএসসিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ।
এবছর ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় যশোর প্রেস ক্লাবে এক ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি।
ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানান, খুলনা বিভাগের ২ হাজার ৫৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৯ জন। যাদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭। এবছর ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে, অর্থাৎ শতভাগ পাস করেছে। আর শতভাগ ফেল করেছে ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল সদর উপজেলার মুলাদী তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও যশোরের শার্শা উপজেলার সাড়াতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪ জন, মুলাদী তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ জন ও সাড়াতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তাদের জবাবের উপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেনি
২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মঙ্গলবার সংসদে বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তিন মেয়াদের সরকারের সময় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রশংসনীয়ভাবে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই শ্রেণিগুলোতে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে লড়াই করতে হয়। শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পরে দরিদ্র বাবা-মা প্রায়শই তাদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কাজে লাগায়, বা কাজের সন্ধান করে।
শিক্ষামন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য সরকারের 'দরিদ্রবান্ধব' উদ্যোগকে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
দীপু মনি বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) আওতায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৭০১টি সরকারি কলেজ আছে, যেখানে মোট ২৫ লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১২ লাখ ৯৭ হাজার এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১২ লাখ ৬১ হাজার।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য: দীপু মনি