রাতে সচিবালয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
দীপু মনি বলেন, ক্লাশ শুরুর আগেই সকল শিক্ষককে করোনার টিকা দেয়া হবে।
‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রসঙ্গে সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে। আশা করছি, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৭ মের আগেই ভ্যাকসিন পাবে।’
এর আগে সোমবার শিক্ষামন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ১৭ মে পুনরায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং ২৪ মে থেকে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বহিরাগতদের হয়রানির শিকার ইবির ৪ ছাত্রী
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে: মন্ত্রণালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধের চেষ্টা, আটক ১১
তবে অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না, বলেন তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ছুটি পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮৩১ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১১ জনের মৃত্যু এবং ৪৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ১৮৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৩৪৮টি নমুনা।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে ৭ এপ্রিল
কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরামর্শ
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩.৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১০৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ৮৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনার টিকা প্রয়োগ
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭৩ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ নেয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।