বিকালে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পরই নীলক্ষেত মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সকালে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু করেন।
অবরোধের কারণে নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হওয়ায় চলাচলে বিপাকে পড়েন অফিসগামীসহ সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে বৈঠক করে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সকল পরীক্ষা ১ মে পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। পরে রাতে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ পালন করেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: নীলক্ষেত মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান
শাবিতে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত জানাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
বিক্ষোভে যোগ দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী। সেই সাথে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান তারা।
কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, আগামী ১৭ মে পুনরায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং ২৪ মে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে, ততদিন পর্যন্ত সকল পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশও জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘পুনরায় ক্লাস শুরু হওয়ার আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকা দেয়া হবে।’
দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী, ১৫ হাজার শিক্ষক এবং ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।