তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে কোভিড-১৯-এর মতো মহামারির মধ্যেও এ খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আগের অবস্থানে চলে এসেছে। এ খাত নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্রও সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়জ আমদানি শুরু হয়েছে, দাম আরও কমবে।
গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে পেয়াঁজ আমদানি করা হয়েছে, এতে আমাদের বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে।’
‘আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের দিকে এ ঘাটতি দেখা দেয়। সে কারণে আগে থেকেই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। কিন্তু এখন সেখানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ এবং আলুর দাম সেখানেও বেশি। আমাদের বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য সবকিছুই করা হচ্ছে,’ বলেন মন্ত্রী।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাবেক সভাপতি শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ জুরি বোর্ডের সমন্বয়ক সিরাজুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ইআরএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর নয় ক্যাটাগরিতে ১৫ ইআরএফ সদস্য সেরা রিপোর্টার হিসেবে নির্বাচিত হন। এবার অ্যাওয়ার্ড প্রদানে সহায়তা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।