চলতি সপ্তাহে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশদি আলম খান।
তিনি বলেন, ‘আগাম জামিন চেয়ে করা দুটি আবেদনের কপি গত বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। একটিতে সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে আবেদনকারী, অন্যটিতে সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান আবেদনকারী।’
গত ৬ জুন রাতে পাপুলকে তার কুয়েতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে তিনি ওই দেশের কারাগারে আছেন। তার স্ত্রী সেলিনা সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ।
এ দম্পতিসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীন ১১ নভেম্বর মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহিদ, সেলিনা, জেসমিন ও ওয়াফার পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা পাচার হয়। জেসমিন ও ওয়াফার বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই। জেসমিন এফডিআর হিসাবে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকা দেখিয়েছেন।
শহিদ ও সেলিনার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কুয়েতে হওয়া মামলায় পাপুলের বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচার, ঘুষ লেনদেন ও শ্রমিক শোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার অভিযোগে কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ এবং জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে চারজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অর্থ ও মানবপাচারের এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে কুয়েতের একটি আদালত।