জামিন
সংঘর্ষের মামলায় ৩ মাসের আগাম জামিন পেলেন নিপুন রায়
গত ২৬ মে কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা নিপুন রায় চৌধুরীকে তিন মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় বিএনপি নেতার জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের শুনানিকালে নিপুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
আগের দিন মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হন নিপুন রায়। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার এড়াতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে আসেন তিনি।
সংঘর্ষে কয়েক ডজন আহত হওয়ার একদিন পর গত ২৭ মে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুমন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ মোট ১০৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের তিনদিন পর মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত আপসের শর্তে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
নোবেলকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
নোবেলের আইনজীবী আদালতে বলেন, আসামি বাদীর সঙ্গে আপস করে সকল টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাদী সকল টাকা বুঝে পেয়েছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত নোবেলের জামিনের আদেশ দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ১৬ মে নোবেলের নামে মামলাটি করেন।
এ মামলায় গত ২০ মে নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার অভিযোগে বলা হয় যে ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন নোবেল।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি হাইকোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অব্যাহতি দিয়ে জামিন দিয়েছেন।
খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার একদিন পর শুক্রবার আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, খান এখন ‘মুক্ত মানুষ’ এবং আদালতের এ রায় ন্যায়সঙ্গত।
খানকে আদালতে উপস্থিত করার পর তাকে ফের পুলিশ হেফাজতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, নাকি তাকে জামিন দেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
আদালতের এই রায়ের পর কয়েকদিন ধরে সরকার এবং খান সমর্থকদের মধ্যে চলা সহিংস সংঘর্ষ প্রশমিত হয়।
৭০ বছর বয়সী খান দেশটির একজন জনপ্রিয় বিরোধী নেতা, গত মঙ্গলবার একই আদালতে তিনি হাজির হন; যেখান থেকে তাকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তাকে গ্রেপ্তারের ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তার সমর্থকরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর লুট করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রায় তিন হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবারের আদালতের অধিবেশন জটিল আইনি কৌশলের একটি সিরিজের অংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেন, খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ছিল, কিন্তু তারপরেও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট একটি নিম্ন আদালতকে গ্রেপ্তার বহাল রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, শুক্রবার ইসলামাবাদের আদালত যা রায় দেবে তা তারা মেনে নেবেন।
সরকার বলেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার আগের আদেশ বহাল রাখলে তারা ফের দ্রুত খানকে গ্রেপ্তার করবে।
শুক্রবার ইসলামাবাদ আদালতের একটি প্রাথমিক সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে, বিচারকরা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা চেয়ে খানের একটি অনুরোধের শুনানি করেন। আদালত কক্ষে খানের সমর্থকরা স্লোগান দেওয়ায় বিচারক অধিবেশন দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খানকে দুর্নীতির মামলায় জামিন দেওয়া হলেও অন্যান্য অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন তিনি।
সরকারের দাবি, খানের মুক্তি জনতার সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে।
শুক্রবার আদালতে খানের প্রধান আইনজীবী বাবর আওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে অনড় বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ৩ মে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। গতকাল তিনটিসহ মোট ২০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
মামুনুলের কারামুক্তির জন্য আরও ২১টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আপাতত স্থগিতই থাকছে
সাভারের রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) আগামী ১০ জুলাই শুনানি হবে।
এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন হাইকোর্টে স্থগিত
এর আগে এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ মার্চ এ হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে গত ৬ এপ্রিল সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আদেশ স্থগিত
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিচারিক আদালত (নিম্ন আদালত) থেকেও জামিন পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মতিউর রহমানের জামিননামা দাখিল করা হয়। এরপর মতিউর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: খোকন-কায়সারসহ ২৪ আইনজীবীর আগাম জামিন
আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন বহাল রাখেন। একই সঙ্গে সিএমএম আদালত থেকে মামলার নথি তলব করেন।
ওইদিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান মতিউর রহমান। হাইকোর্ট তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী বুধবার জামিননামা দাখিল করে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।
গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক।
এ মামলায় পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক।
এছাড়া এ মামলায় শামসুজ্জামানও জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের অভিযোগের করা পৃথক পাঁচটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব মামলার মধ্যে চারটি রাজধানীর পল্টন থানায় এবং একটি মামলা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা। মামলা গুলো ২০২১ সালে দায়ের করা হয়। তার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই জামিন দেন। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পরে হেলাল উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আগে ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ পাঁচটি জামিন পেলেন। মামুনুল হকের কারামুক্তির জন্য বাকি ২৪টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় ১টি, মোহাম্মদ থানায় ১টি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
চাঁদাদাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
এদিকে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন আদালত। এদিকে এদিন শাকিব খান অসুস্থ থাকার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেনি। এজন্য তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ে আবেদন মঞ্জুর করেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৩ মার্চ শাকিব খান বাদী হয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং চলার সময় শাকিব খানের বিরুদ্ধে সহকারী নারী প্রযোজককে ধর্ষণ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ।
তবে শাকিব খানের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও চাঁদা দাবি করেছেন রহমত উল্লাহ।
গত ২৭ মার্চ টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ মামলা গ্রহণ করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ৬ জুন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৩ এপ্রিল ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনমুন আক্তার।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে গত বছরের ১ মার্চ রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে আজ সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে সারেন পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজায় আহতদের ৫৬ শতাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি: একশনএইড
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
আরও পড়ুন: অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার