জামিন
মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘৩ বছর ৭ মাস কারাগারে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত বাবুলকে জামিন দিয়েছেন। তাকে জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন যা চলমান। ওই মামলায় বিজয়ী হলে তার চাকরিতে যোগ দিতে বাধা থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার। তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
পরে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে গত বছরের ১৩ মার্চ বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
৩ সপ্তাহ আগে
রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর, সাবেক এমপি দবিরুল কারাগারে
চাঁদাবাজি, ভুমিদখল, হত্যা চেস্টায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে এ রায় দেন বিচারক রাজীব কুমার রায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেশ কয়েকজনের কাছে প্রায় ৭১ একর জমি ক্রয় করে হাবিবুল ইসলাম বাবলু নামে এক ব্যবসায়ী। পরে ওই জমিতে প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে গেলে সাবেক এমপির নেতৃত্বে তার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ৫০ একরের বেশি জমি দখল করে নেয় আসামিরা। পরে জমি উদ্ধারে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় সাবেক এমপি দবিরুলসহ তার লোকজন।
এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হাবিবুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু করা হয়।
বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে রিমান্ড ও জামিন বাতিল করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক রহিমা খাতুনের মুখোমুখি করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ মাস আগে
আগাম জামিন পেলেন জেড আই খান
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দেন।
আদালতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। তাকে শুনানিতে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।
গত ১৭ অক্টোবর পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।
আরও পড়ুন: আইনজীবী জেড আই খান পান্নাসহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
এই মামলা হওয়ার বিষয়ে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আমি যতটুকু খোঁজ পেয়েছি এবং এটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিমত যে, বরিশালের মুলাদীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির (লোকাল পলিটিক্স) সূত্রেই মামলাটি হতে পারে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মেরাদিয়া বাজার এলাকায় আহাদুলসহ অন্যরা বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় পুলিশ, বিজিবি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা এই মামলায় আসামি হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এই মামলায় ৯৪ নম্বর নামটি জেড আই খান পান্নার।
১ মাস আগে
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
যুবদলের নেতা শামীম হত্যা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মাহমুদুর রহমান
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মো. নজিবুর রহমান ও মো. আমিনুল ইসলাম খানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেদিন বিকালে বনানী থেকে আমিনুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে পাল্টা সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।
এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং যুবদল নেতা শামীম মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের নেতা সম্রাট ৪ দিনের রিমান্ডে
২ মাস আগে
জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত মাহমুদুর রহমান
জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতাল থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির একদিনের মধ্যে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন পান তিনি।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার জামিনের কাগজপত্র সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয় তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত কারারক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে জামিনের কাগজপত্র সিলেটে আসলে হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত কারারক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর এম এ মান্নানের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত সুইডেন আসলাম
২ মাস আগে
রানা প্লাজার মালিক সোহেলের জামিন স্থগিত
রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে আবেদনটি আগামী ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২ অক্টোবর) চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই স্থগিতাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আজ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক। সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ আলী চৌধুরী।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। ফলে সোহেল রানা আপাতত কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
পুলিশের করা এই মামলায় গত মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন সোহেল রানা। তার আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানি হয়।
তাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের ওপর বুধবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধস: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
২ মাস আগে
৬ মাস কারাভোগের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জামিনে মুক্ত
নয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও প্রভাবশালী বিরোধী দলীয় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাকে জামিন দেন।
কেজরিওয়াল প্রায় ছয় মাস আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন মদ বিতরণকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া তাকে জামিন দেন।
নয়া দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি বা কমন ম্যানস পার্টির নেতা কেজরিওয়াল। তিনি গত এক দশকের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের একজন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচক।
জাতীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে মার্চ মাসে কেজরিওয়ালকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করেছেন এবং সেগুলোকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেছেন।
বিরোধী দলগুলোর একটি বিস্তৃত জোট ‘ইন্ডিয়া’র অংশ তার দল। জোটটি গত জুন মাসে শেষ হওয়া নির্বাচনে মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে মোদি সরকারের বিরোধীদের দমনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে নিন্দা করেছিল বিরোধী দলগুলো। তারা সরকারকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানি ও দুর্বল করার জন্য ফেডারেল তদন্ত সংস্থাগুলোর অপব্যবহারের অভিযোগ করেছে। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রধান বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ও দুর্নীতির তদন্তের দিকে ইঙ্গিত করেছিল বিরোধী দলের নেতারা।
গত ২ জুন কারাগারে ফেরার আগে নির্বাচনে প্রচারণার জন্য কেজরিওয়ালকে মে মাসে অস্থায়ীভাবে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও অন্য একটি সরকারি সংস্থা আরেকটি মামলায় তাকে ফের গ্রেপ্তার করে তার মুক্তিকে আটকে দেয়। শুক্রবার ওই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযোগ, কেজরিওয়ালের দল ও মন্ত্রীরা প্রায় দুই বছর আগে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি লাভের সুযোগ করে দিতে নয়া দিল্লিতে মদ বিক্রয় নীতি সংশোধনের বিনিময়ে এক মদ বিতরণকারীর কাছ থেকে ১০০ কোটি রুপি (১ কোটি ২০ লাখ ডলার) ঘুষ নিয়েছেন।
কেজরিওয়ালের মুক্তি তার দলকে চাঙ্গা করবে এবং দলটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়া দিল্লিতে নতুন নির্বাচনে অংশ নেবে।
ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও প্রশাসনকে দুর্নীতি ও অদক্ষতা থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা কেজরিওয়াল ২০১২ সালে আম আদমি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
দলটির প্রতীক ‘একটি ঝাড়ু’। প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুতি নয়া দিল্লির বাসিন্দাদের মনে আলোড়ন তুলে। লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিরক্ত ছিল দিল্লিবাসী
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ গ্রেপ্তার ৫
৩ মাস আগে
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জামিনে মুক্তি পান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান জানান, সন্ত্রাসবিরোধী মামলাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। সোমবার সকালে তার জামিন আদেশের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাছাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী বরগুনা সদর থানার খাজুর তোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
তার মুক্তির খবরে সকালে কারাগারের মূল ফটকে উপস্থিত হন তার বড় ভাই মো. আব্দুল খলিল, মো. আব্দুল জলিল, মো. আইয়ুব আলী ও তার অনুসারী শায়েখ আব্দুল্লাহ ওরফে নজরুল ইসলাম।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্প্রীতি সমাবেশ: বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
২৬ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন চট্টগ্রামের ‘শিবির নাছির’
৩ মাস আগে
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন, তখনই শুনানির সিদ্ধান্ত
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন করা হবে, তখনই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা জজ আদালতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ‘জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগপন্থী কোনো আইনজীবী এসময় ছিলেন না।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
৪ মাস আগে
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হুদা ও আলী হায়দার কামালসহ তিন বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মঙ্গলবার এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সেতু ভবন, মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
জামিন পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন এ্যানি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘আশা করি, আজই তিনি কারামুক্ত হচ্ছেন।’
একাধিক মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির একাধিক নেতা জামিন পেয়েছেন। দলটির অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মো. আবু তাহের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও গাজীপুর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি সামিউল হক ফারুকী ও শিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বা পুলিশ প্রসিকিউশনের শুনানি ছাড়াই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী আন্দোলন: ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
৪ মাস আগে