শুক্রবার তিনি এ মামলা করেন বলে আদালতের নথিতে দেখা গেছে।
মামলায় কার্দেশিয়ান জানান, তাদের চার সন্তানের দায়িত্ব দুজনকেই নিতে হবে। আর প্রাক-বিবাহ চুক্তি অনুযায়ী সম্পদের ভাগ নির্ধারণ হবে।
আরও পড়ুন: যথেষ্ট কারণ না থাকলে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্তে আসতাম না: ফারিয়া
কিম ও কানিয়ের প্রেম ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়। ২০১৩ সালে তাদের প্রথম সন্তান হয়। ২০১৪ সালের ২৪ মে তারা ইতালির ফ্লোরেন্সে রাজকীয় বিয়ে সারেন। এরপর থেকে খুব অল্পদিনেই বিশ্বের অন্যতম সেলিব্রিটি দম্পতি হয়ে উঠেন তারা।
৪৩ বছর বয়সী কানিয়ে ওয়েস্টের এটি প্রথম বিয়ে ছিল। অপরদিকে কিম কার্দেশিয়ানের (৪০) ছিল এটি তৃতীয় বিয়ে।
এর আগে কিম ১৯ বছর বয়সে সংগীত প্রযোজক ডেমন থমাসের সাথে ২০০০ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০১১ সালে তিনি ক্রিস হামফ্রিসকে বিয়ে করেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাদের এ সংসার টিকে।
কানিয়ে ওয়েস্ট ও কিম কার্দেশিয়ান দম্পতির চার সন্তান নর্থ ৭ বছর, সেইন্ট ৫ বছর, শিকাগো ৩ বছর এবং স্যাম ২১ মাস বয়সী।
আরও পড়ুন: মিমির জন্য পাত্র খুঁজছেন নুসরাত, পায়েল, তনুশ্রীরা!
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নোনা জলের কাব্য’র নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড জয়
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কানিয়ে ওয়েস্ট। পরবর্তী সময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। সেই সময় কানিয়ের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন কিম। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে কানিয়ে যখন আবারও ব্যক্তিগত বিষয় টুইটারে প্রকাশ করেন তখনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন কিম।
হলিউডে তাদের দেখা হতো আদর্শ দম্পতি হিসেবে। বেশ আনন্দে মেতে থাকা সুখী এ দম্পতির বিচ্ছেদের খবরে অনেকেই অবাক।
টুইটারে কানিয়ে ওয়েস্টের ৩০ মিলিয়ন এবং ইনস্টাগ্রামে কিম কার্দেশিয়ানের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। দুজনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।