প্রথম দেশ হিসেবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ শুরু করা ইংল্যান্ডে কমপক্ষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই লকডাউন চলমান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, লোকজনকে অবশ্যই আবারও ঘরে থাকতে হবে। ঠিক যেমনটা তারা মার্চে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ছিল। কেননা করোনার নতুন ধরন ‘হতাশাজনক ও বিপজ্জনকভাবে’ ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সেরামের টিকা পেতে সমস্যা হবে না: বেক্সিমকো
এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মহামারি শুরুর পর যেকোনো সময় থেকে বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে চাপ অনেক বেড়েছে।’
মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের স্কুল-কলেজ বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জন্যই বন্ধ থাকবে এবং বাসা থেকে শিক্ষার ব্যবস্থা ফের চালু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা
মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার দরকার নেই। মানুষকে ঘরে বসে কাজ করতে বলা হয়েছে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান নয় এমন সকল দোকান ও সেলুন বন্ধ থাকবে। রেস্টুরেন্টগুলো শুধু বাসায় খাবার সরবরাহ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন জনগণকে বিনামূল্যে দেয়ার চেষ্টা চলছে: হানিফ
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জনসন জনগণকে নতুন জারি হওয়া লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান। বুধবার সকাল থেকে এই নিয়মগুলো আইনে পরিণত হবে।
সোমবার পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ২৬ হাজার ৬২৬ জন কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি এবং গত বসন্তে করোনার প্রথম ধাপের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ৭৫ হাজার ৫৪৭ জন করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৪ জনে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৯ জনে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই, ভ্যাকসিন সময় মতোই পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী