নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বরিসকে ‘পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়।
গৃহায়ণ ও সমাজমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বিবিসিকে জানান, একটি অপ্রকাশিত হাসপাতালে রাত অতিবাহিত করা বরিস এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে সামনে থেকে সরকারের নেতৃত্ব দিতে চাওয়া বরিসের মতো একজনের জন্য এটি খুবই হতাশার ব্যাপার। তা সত্ত্বেও তিনি এখনো সরকারের পুরোপুরি দায়িত্বে রয়েছেন।’
বরিসের বেশি দিন হাসপাতালে থাকার সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি জেনরিক। তিনি উল্লেখ করেন যে বরিস এ ‘তুলনাহীন চরম সময়ে বিস্ময়করভাবে কঠোর’ কাজ করছিলেন।
‘এটি বলা জরুরি যে হাসপাতালে যাওয়া ছিল পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার কিছু নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। এটা কোনো জরুরি ভর্তি নয়, আর তাই আমি নিশ্চিতভাবে আশা করছি যে তিনি শিগগিরই ১০ নম্বরে (ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসা) ফিরে আসবেন,’ যোগ করেন জেনরিক।
প্রথম কোনো দেশের সরকার প্রধান হিসেবে গত ২৬ মার্চ করোনাভাইরাসের শিকার হন ৫৫ বছর বয়সী বরিস জনসন। এরপর থেকে তিনি ডাউনিং স্ট্রিটের বাসায় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
অবরুদ্ধ থাকার এ ১০ দিনে তিনি প্রতিদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং কয়েকটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
বরিস শুক্রবার একটি বার্তা দিয়ে বলেন যে তিনি ভালো বোধ করছে, তবে জ্বর জ্বর ভাব রয়েছে। তখন থেকেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের মাঝে হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দেয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বৃদ্ধ ও দুর্বলদের নিউমোনিয়া ধরে তা থেকে মৃত্যু হতে পারে।