সোমবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, গণতন্ত্রকে ধবংস করে অর্থনীতি লুটপাট করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘কোভিড ভাইরাস যখন গোটা বিশ্বের ব্যবস্থাকে পাল্টে দিচ্ছে, তখন সরকারি মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েও একটা লুটপাটের আয়োজন করছেন।’
আরও পড়ুন: টিকার বিকল্প উৎস খুঁজে বের করুন: সরকারকে বিএনপি
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালনে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের লুটপাটের যে অর্থনীতি এটাকে আমরা পরিবর্তন করতে চাই। আমরা বাংলাদেশের একদলীয় শাসনব্যবস্থা ধবংস করে দিয়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সাধারণ মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিয়ে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০২১ সালে ‘স্বৈরাচার’ থেকে মুক্তি পাবে: বিএনপি
বিএনপি বাংলাদেশকে জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে জানান তিনি।
আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে তার কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান ফখরুল।
২০০৭ সালের ১/১১ এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৭ সালের ১/১১ এর ঘটনার অভ্যুত্থান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। তা ছিল বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার জন্যই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের একটি অংশ।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে কোভিড টিকা দেয়া শুরু হবে: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৮০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৪৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকার কোনো অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৯৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৮১টি। র্যাপিড অ্যান্টিজেনসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।