রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোসাব্বিরুল ইসলাম রাজশাহী জেলা মুখ্য মেট্রোপলিটন আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। তবে আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।
মিনু ছাড়া অন্য তিনজন হলেন - বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ৩০ মার্চ
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি
গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।
তবে ৭ মার্চ (রবিবার) এক বিবৃতিতে রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনু তার দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এর আগে মিনুকে ক্ষমা চাইতে নগর আওয়ামী লীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হয় শনিবার সন্ধ্যায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিনু ক্ষমা না চাইলেও রবিবার তিনি দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি গণমাধ্যমের কাছে ইমেইল করেন।
বিবৃতিতে মিনু বলেন, ‘আমার বক্তব্যের জন্য যারা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন, আমি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে পাশে পেয়েছি। সুতরাং কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষকে উদ্দেশ্য করে আক্রোশমূলক বক্তব্য দেয়া আমার স্বভাববহির্ভূত। তাই সবাইকে আমার বক্তব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এদিকে, মুসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২ মার্চ বিএনপি সমাবেশের নামে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করে প্রাণনাশের হুমকিসহ রাষ্ট্রবিরোধী, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণে এই মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার যে অনুমোদন প্রয়োজন হয় তা-জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর দরখাস্ত প্রদান করা হয়েছে। এটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে তদন্ত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হয়ে আসলে তার পরে নিয়মিত মামলা হবে।
মিনুর বিবৃতি পাঠানোর আগে আলটিমেটামের সময় শেষ হওয়ায় নগর আওয়ামী লীগ মিনুর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার ৭ মার্চের আলোচনা অনুষ্ঠানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং মিনুর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন উপস্থিত ছিলেন।